আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইটগুলো এমন সূক্ষ্ম রাসায়নিক বা উপাদানগত পরিবর্তন শনাক্ত করতে সক্ষম যা প্রথাগত স্যাটেলাইট পারে না। এর ফলে এটি ফসলের গুণমান পর্যবেক্ষণ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি নির্ভুল কৃষি, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, নগর-পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে, ভূ-বিপর্যয় ঝুঁকিগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করার সক্ষমতার কারণে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো বিশাল অবকাঠামো উদ্যোগগুলোতেও এটি সহায়তা করবে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এ সুপারকোর চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইউসুফ খান বলেন, ‘হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইটের তথ্য কৃষি উৎপাদনকে বিপ্লব ঘটাতে, জলবায়ু সহনশীলতাকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনাকে সক্ষম করতে প্রস্তুত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচ ১ এর এই সফল উৎক্ষেপণকে মহাকাশ কর্মসূচির ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী পদক্ষেপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে এটি ‘মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অনুসন্ধানে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের’ প্রতিফলন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপারকো-এর তথ্য অনুযায়ী, এই বছর এইচ১-সহ পাকিস্তান মোট তিনটি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে। অন্য দুটি স্যাটেলাইট, ইও-১ এবং কেএস-১ বর্তমানে পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে সুপারকোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এইচ ১ স্যাটেলাইটের সিস্টেমগুলো সম্পূর্ণ কার্যকর হতে প্রায় দুই মাস লাগবে।
পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইটগুলো এমন সূক্ষ্ম রাসায়নিক বা উপাদানগত পরিবর্তন শনাক্ত করতে সক্ষম যা প্রথাগত স্যাটেলাইট পারে না। এর ফলে এটি ফসলের গুণমান পর্যবেক্ষণ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি নির্ভুল কৃষি, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, নগর-পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে, ভূ-বিপর্যয় ঝুঁকিগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করার সক্ষমতার কারণে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো বিশাল অবকাঠামো উদ্যোগগুলোতেও এটি সহায়তা করবে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এ সুপারকোর চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইউসুফ খান বলেন, ‘হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইটের তথ্য কৃষি উৎপাদনকে বিপ্লব ঘটাতে, জলবায়ু সহনশীলতাকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনাকে সক্ষম করতে প্রস্তুত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচ ১ এর এই সফল উৎক্ষেপণকে মহাকাশ কর্মসূচির ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী পদক্ষেপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে এটি ‘মহাকাশে শান্তিপূর্ণ অনুসন্ধানে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের’ প্রতিফলন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপারকো-এর তথ্য অনুযায়ী, এই বছর এইচ১-সহ পাকিস্তান মোট তিনটি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে। অন্য দুটি স্যাটেলাইট, ইও-১ এবং কেএস-১ বর্তমানে পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে সুপারকোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এইচ ১ স্যাটেলাইটের সিস্টেমগুলো সম্পূর্ণ কার্যকর হতে প্রায় দুই মাস লাগবে।
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
৯ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
২ ঘণ্টা আগেগোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
২ ঘণ্টা আগেবলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে। শুধু মূল্যই নয়, এসব গয়নার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য অপরিসীম।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চুরিটি সংঘটিত হয় জাদুঘরের গ্যালারি দ্য অ্যাপোলনে, যা ১৬৬১ সালে রাজা চতুর্দশ লুই নির্মাণ করেছিলেন। সোনালি কারুকাজ আর অসাধারণ চিত্রকর্মে সজ্জিত এই হলটি পরবর্তীতে ভার্সাই প্রাসাদের বিখ্যাত ‘হল অব মিররস’-এর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল।
জানা গেছে, চোরেরা একটি চেরি পিকার (ট্রাকের ওপর স্থাপন করা মই) ব্যবহার করে এবং কাটার যন্ত্রের সাহায্যে কক্ষটিতে প্রবেশ করে। দুঃসাহসিক এই চুরি এতটাই পরিকল্পিত ছিল যে, সকালে জাদুঘর খুলে দেওয়ার সময়টিতেই তারা প্রবেশ করে এবং মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।
চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (প্রথম নেপোলিয়ন) উপহার দেওয়া একটি দুর্লভ পান্না হার। ১৮১০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী মারি-লুইজকে বিবাহ উপলক্ষে এটি তিনি উপহার দিয়েছিলেন। এই হারে রয়েছে ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হিরা। একই সেটের একটি কানের দুলের জোড়াও চুরি গেছে।
এ ছাড়া ফ্রান্সের শেষ রানি মেরি-অমেলির মালিকানাধীন একটি নীলকান্তমণির টায়রাও নিয়ে গেছে চোর। এই টায়রায় ছিল ২৪টি সিলন নীলকান্তমণি ও ১ হাজার ৮৩টি হিরা। টায়রাটির সেট হিসেবে থাকা একটি হার ও এক জোড়া দুল থেকে একটি দুলও এখন নিখোঁজ।
আরেকটি চুরি হওয়া গয়না হলো সম্রাজ্ঞী ইউজেনির (তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী) একটি টায়রা। এতে ২১২টি মুক্তা ও প্রায় ৩ হাজার হিরা বসানো ছিল। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০০ হিরা দিয়ে অলংকৃত একটি বেল্ট এবং ১৮৫৫ সালের একটি সাদা হিরার ব্রোচও চুরি গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গয়নাগুলোর ক্ষতি শুধু আর্থিক নয়—এটি ফরাসি রাজকীয় ঐতিহ্যের এক অমূল্য অধ্যায়ের লোপ। ফরাসি বিপ্লবের সময় বহু রাজকীয় গয়না হারিয়ে গিয়েছিল; নেপোলিয়ন বোনাপার্টের আমলে সেগুলোর কিছু পুনর্গঠিত হয়। তাই এই চুরি ফরাসি ঐতিহ্যের এক গভীর ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে একটি আশার খবরও এসেছে। সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি রাজমুকুট ল্যুভর মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরেরা এটি ফেলে রেখে যায়। ৫৬টি পান্না ও ১ হাজার ৩৫৪টি হিরায় অলংকৃত এই রাজমুকুট এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে। শুধু মূল্যই নয়, এসব গয়নার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য অপরিসীম।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চুরিটি সংঘটিত হয় জাদুঘরের গ্যালারি দ্য অ্যাপোলনে, যা ১৬৬১ সালে রাজা চতুর্দশ লুই নির্মাণ করেছিলেন। সোনালি কারুকাজ আর অসাধারণ চিত্রকর্মে সজ্জিত এই হলটি পরবর্তীতে ভার্সাই প্রাসাদের বিখ্যাত ‘হল অব মিররস’-এর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল।
জানা গেছে, চোরেরা একটি চেরি পিকার (ট্রাকের ওপর স্থাপন করা মই) ব্যবহার করে এবং কাটার যন্ত্রের সাহায্যে কক্ষটিতে প্রবেশ করে। দুঃসাহসিক এই চুরি এতটাই পরিকল্পিত ছিল যে, সকালে জাদুঘর খুলে দেওয়ার সময়টিতেই তারা প্রবেশ করে এবং মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।
চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (প্রথম নেপোলিয়ন) উপহার দেওয়া একটি দুর্লভ পান্না হার। ১৮১০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী মারি-লুইজকে বিবাহ উপলক্ষে এটি তিনি উপহার দিয়েছিলেন। এই হারে রয়েছে ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হিরা। একই সেটের একটি কানের দুলের জোড়াও চুরি গেছে।
এ ছাড়া ফ্রান্সের শেষ রানি মেরি-অমেলির মালিকানাধীন একটি নীলকান্তমণির টায়রাও নিয়ে গেছে চোর। এই টায়রায় ছিল ২৪টি সিলন নীলকান্তমণি ও ১ হাজার ৮৩টি হিরা। টায়রাটির সেট হিসেবে থাকা একটি হার ও এক জোড়া দুল থেকে একটি দুলও এখন নিখোঁজ।
আরেকটি চুরি হওয়া গয়না হলো সম্রাজ্ঞী ইউজেনির (তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী) একটি টায়রা। এতে ২১২টি মুক্তা ও প্রায় ৩ হাজার হিরা বসানো ছিল। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০০ হিরা দিয়ে অলংকৃত একটি বেল্ট এবং ১৮৫৫ সালের একটি সাদা হিরার ব্রোচও চুরি গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গয়নাগুলোর ক্ষতি শুধু আর্থিক নয়—এটি ফরাসি রাজকীয় ঐতিহ্যের এক অমূল্য অধ্যায়ের লোপ। ফরাসি বিপ্লবের সময় বহু রাজকীয় গয়না হারিয়ে গিয়েছিল; নেপোলিয়ন বোনাপার্টের আমলে সেগুলোর কিছু পুনর্গঠিত হয়। তাই এই চুরি ফরাসি ঐতিহ্যের এক গভীর ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে একটি আশার খবরও এসেছে। সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি রাজমুকুট ল্যুভর মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরেরা এটি ফেলে রেখে যায়। ৫৬টি পান্না ও ১ হাজার ৩৫৪টি হিরায় অলংকৃত এই রাজমুকুট এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
২ ঘণ্টা আগেগোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
২ ঘণ্টা আগেবলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
২০২৪ সালের মে মাসে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রথমবারের মতো এগুলো ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনারা।
জাবালিয়া, শেখ রাদওয়ান, আবু ইস্কান্দার এবং অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপ পরিস্কার করছিলেন এটা নিশ্চিত জেনেই যে এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে অবিস্ফোরিত রোবট বোমা। তবে কোথায় কোথায় আছে জানেন না তাঁরা। আর সামনে পেলেও কীভাবে নিস্ক্রিয় করবেন বা এ থেকে নিজেদের কীভাবে রক্ষা করবেন সেটিও জানেন না। এ কারণে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় ছেয়ে গেছে তাদের মন।
গত ১ সেপ্টেম্বর ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুদ্ধবিরতির আগে এই রোবটের ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। এগুলো দিয়ে প্রতিদিন গাজা ও জাবালিয়ায় প্রায় ৩০০টি আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করা হয়েছিল।
এই রোবটগুলো এক ধরনের সাঁজোয়া যান। ইসরায়েলি সেনারা এগুলোতে বিস্ফোরক ভরে দিয়ে তারপর সাঁজোয়া বুলডোজার ব্যবহার করে সেগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হতো।
গাজা সিটি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আল জাজিরাকে বলেন, এই রোবটে কতটুকু বিস্ফোরক ছিল তা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এটি কতটা সময় টিকে থাকে তাও জানা নেই।
তবে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্পষ্ট, বলেন বাসাল। তিনি রোবটের ‘কিল রেডিয়াস’ উল্লেখ করে বলেন, এটি প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত ধ্বংস করে দিতে পারে।
গত নভেম্বরের স্মৃতিচারণ করেন জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ২২ বছর বয়সী শরীফ সাদি। তিনি বলতে থাকেন, শৈশব থেকে বিমান হামলা, কামান ও রকেটের শব্দ অনেক শুনেছি। কিন্তু নতুন ওই আওয়াজ শুনে মনে হলো, যুদ্ধের সব শব্দের সঙ্গে এখনো পরিচিত হননি।
উত্তর গাজায় ইসরায়েলের বর্বর স্থল হামলার সময় ওই ভয়ংকর শব্দ শুনেছিলেন। ওই শব্দ ছিল রোবটগুলোর শব্দ। আর শব্দগুলো শোনার পরপরই রোবটগুলো বিস্ফোরিত হয় আর পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
সাদি বলতে থাকেন, ‘এই রোবটগুলো একটা এলাকায় প্রবেশ করে আর মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।’
সেই নভেম্বরের এক সকালের স্মৃতিচারণ করেন সাদি। বলতে থাকেন, ‘রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম আমি। ৯ সদস্যের পরিবার আমার। তাদের জন্য কিছু খাবার সংগ্রহের চেষ্টায় ছিলাম। তখন বুলডোজার দিয়ে একটি রোবট আমার এলাকার দিকে নিয়ে যেতে দেখি।’
সাদি বলেন, ‘রোবটটি ব্লকে ঢুকল আর আমি দৌড়ে পালাতে শুরু করলাম।’
সাদি বলতে থাকেন, ‘আমি প্রায় ১০০ মিটার দৌড়েছিলাম। হঠাৎ নিজেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আবিষ্কার করলাম। বিস্ফোরণটি এত শক্তিশালী ছিল। যারা কাছাকাছি ছিল, তাদের শরীরের কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।’
এর কিছুদিন পরই এক বন্ধুকে হারান তিনি। সাদি বলেন, ‘আমার বন্ধুর শরীর খারাপ ছিল। তাঁকে কামাল আদওয়ান হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আমি তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলাম। পথে আমরা একটি রোবটকে আসতে দেখলাম। দেখেই আমার বন্ধু আর আমি উল্টো দিকে ছুটলাম।’
তিনি বলতে থাকেন, এত ভয়াবহ বিস্ফোরণ ছিল যে আমার পায়ের নিচের মাটি কেঁপে উঠেছিল। যেখানে শেষবারের মতো আমার বন্ধুকে দেখেছিলাম সেখানে ফিরে গিয়ে তাঁর চিহ্নও পাইনি। শরীর পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।’
ইউরো-মেডের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ডিভাইসগুলোর নির্বিচারে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতা এটিকে ‘নিষিদ্ধ অস্ত্রের’ শ্রেণীতে ফেলে এবং জনবহুল এলাকায় এগুলোর ব্যবহার ‘যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হয়।
যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বা সরকার কেউই প্রকাশ্যে এই অস্ত্রের ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি, তবে কিছু ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে এদের ব্যবহারের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আল জাজিরা কোনো উত্তর পায়নি।
গাজার ফিলিস্তিনি মেডিকেল রিলিফ সোসাইটির পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু আফাশ এই বিস্ফোরকের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই বোমার বিস্ফোরণের পরেই এর প্রভাব শেষ হয় না। তিনি বলেন, বিস্ফোরক রোবটগুলো থেকে বের হওয়া বিষাক্ত বাষ্প এবং গ্যাস তীব্র দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, যা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে।
ড. মোহাম্মদ আবু আফাশ আরও বলেন, এগুলোর কারণে শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা বারবার ঘটেছে। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেনও। ধারণা করা হয়, এই বিষাক্ত গ্যাসে সীসা ও বিপজ্জনক রাসায়নিক রয়েছে।
৫০ বছর বয়সী তিন সন্তানের মা উম্মে আহমেদ আল-ড্রেইমলি গাজার সাবরার বাসিন্দা। তিনি বিস্ফোরণের পরে বাতাসে ভেসে থাকা গন্ধটিকে ‘বারুদ এবং পোড়া ধাতুর মিশ্রণ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের অনেক পরেও আমাদের ফুসফুসে আটকে থাকে এবং শ্বাস নেওয়া কঠিন করে তোলে।’
তিনি বলতে থাকেন, কোনো সতর্কতা বা পালানোর সময় না দিয়েই বিস্ফোরণ ঘটাতো ইসরায়েল। বিস্ফোরণের শব্দটি ছিল ভিন্ন।
তিনি স্মরণ করে বলেন, এর শব্দে ভারী ধাতব গর্জন ছিল, যা হাওয়ায় উড়ন্ত জেট বা ড্রোনের শব্দের মতো নয় বা কাছে চলে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের তীক্ষ্ণ শব্দের মতোও ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন আমাদের পায়ের তলার মাটি টেনে নেওয়া হচ্ছে।
সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স মিডিয়া বিভাগের মোহাম্মদ আবু তামুস একাধিকবার রোবট বোমা দেখার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘যখন নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়, সেনাবাহিনী এই রোবটগুলো ব্যবহার করে ভবনগুলোকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, যাতে আক্রমণকারী যানবাহনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, জাবালিয়া ক্যাম্প, বেইত হানুন, তাল আজ-জাতার, বেইত লাহিয়া, তুফফাহ পাড়া, শুজাইয়েয়া, জাইতুন, সাবরা, শেখ রাদওয়ান, আবু ইস্কান্দার ও জাবালিয়া ডাউনটাউন সহ পুরো উত্তর গাজায় এগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
এগুলো ব্যবহারের আগে কোনো রকেটের হুইসেল বা বিমান হামলার সাইরেন বাজে না, শুধু বিস্ফোরণ হয় আর বিশাল সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে থাকে।
আবু তামুস বলেন, ‘একটি অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনে বোমা হামলা করলে দুই বা তিনটি পার্শ্ববর্তী বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু একটা রোবট বোমা পুরো ১০টি বাড়ি ধ্বংস করে দেয়।’
ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ করে রাখা জনবহুল এলাকায় এই রোবট বোমাগুলো ব্যবহার করেছিল। ওইসব এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাতে উদ্ধারকর্মী বা অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশের অনুমতি দিলেও সেখানে ক্ষয়ক্ষতি এতটা ব্যাপক থাকে যে কোন এলাকায় বা কোন সড়কে তাঁরা প্রবেশ করছে, বুঝার উপায় থাকে না।
এর আগে গত জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির সময়, তাল এল-জাতারে একটি অবিস্ফোরিত রোবট বোমা খুঁজে পেয়েছিলেন আবু তামুসেরা। পরীক্ষা করে দেখেন, একটা কনটেইনারে হলুদ পেস্টের মতো পদার্থ সেটা কি তারা শনাক্ত করতে পারেননি। সব বিস্ফোরকের থেকে এটি আলাদা ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এখন গাজাবাসীরা ফিরছেন। এ নিয়ে আবু তামুস উদ্বিগ্ন, কারণ তিনি অবিস্ফোরিত রোবট দেখেছেন এবং এ ধরনের রোবট নিস্ক্রিয় করতে তিনি ও তাঁর দল কিছুই করতে পারছেন না।
আবু তামুস বলেন, ‘আমরা কেবল ওই এলাকাকে টেপ দিয়ে নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘিরে দিতে পারি। এর বাইরে আমাদের হাতে আর কিছুই করার নেই। আমরা বিশেষ বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে জানাই, কিন্তু এটি নিস্ক্রিয় করতে যেসব সরঞ্জাম দরকার তাদের কাছে সেসব নেই।’
যুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
২০২৪ সালের মে মাসে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রথমবারের মতো এগুলো ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনারা।
জাবালিয়া, শেখ রাদওয়ান, আবু ইস্কান্দার এবং অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপ পরিস্কার করছিলেন এটা নিশ্চিত জেনেই যে এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে অবিস্ফোরিত রোবট বোমা। তবে কোথায় কোথায় আছে জানেন না তাঁরা। আর সামনে পেলেও কীভাবে নিস্ক্রিয় করবেন বা এ থেকে নিজেদের কীভাবে রক্ষা করবেন সেটিও জানেন না। এ কারণে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় ছেয়ে গেছে তাদের মন।
গত ১ সেপ্টেম্বর ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুদ্ধবিরতির আগে এই রোবটের ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। এগুলো দিয়ে প্রতিদিন গাজা ও জাবালিয়ায় প্রায় ৩০০টি আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করা হয়েছিল।
এই রোবটগুলো এক ধরনের সাঁজোয়া যান। ইসরায়েলি সেনারা এগুলোতে বিস্ফোরক ভরে দিয়ে তারপর সাঁজোয়া বুলডোজার ব্যবহার করে সেগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হতো।
গাজা সিটি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আল জাজিরাকে বলেন, এই রোবটে কতটুকু বিস্ফোরক ছিল তা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এটি কতটা সময় টিকে থাকে তাও জানা নেই।
তবে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্পষ্ট, বলেন বাসাল। তিনি রোবটের ‘কিল রেডিয়াস’ উল্লেখ করে বলেন, এটি প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত ধ্বংস করে দিতে পারে।
গত নভেম্বরের স্মৃতিচারণ করেন জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ২২ বছর বয়সী শরীফ সাদি। তিনি বলতে থাকেন, শৈশব থেকে বিমান হামলা, কামান ও রকেটের শব্দ অনেক শুনেছি। কিন্তু নতুন ওই আওয়াজ শুনে মনে হলো, যুদ্ধের সব শব্দের সঙ্গে এখনো পরিচিত হননি।
উত্তর গাজায় ইসরায়েলের বর্বর স্থল হামলার সময় ওই ভয়ংকর শব্দ শুনেছিলেন। ওই শব্দ ছিল রোবটগুলোর শব্দ। আর শব্দগুলো শোনার পরপরই রোবটগুলো বিস্ফোরিত হয় আর পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
সাদি বলতে থাকেন, ‘এই রোবটগুলো একটা এলাকায় প্রবেশ করে আর মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।’
সেই নভেম্বরের এক সকালের স্মৃতিচারণ করেন সাদি। বলতে থাকেন, ‘রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম আমি। ৯ সদস্যের পরিবার আমার। তাদের জন্য কিছু খাবার সংগ্রহের চেষ্টায় ছিলাম। তখন বুলডোজার দিয়ে একটি রোবট আমার এলাকার দিকে নিয়ে যেতে দেখি।’
সাদি বলেন, ‘রোবটটি ব্লকে ঢুকল আর আমি দৌড়ে পালাতে শুরু করলাম।’
সাদি বলতে থাকেন, ‘আমি প্রায় ১০০ মিটার দৌড়েছিলাম। হঠাৎ নিজেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আবিষ্কার করলাম। বিস্ফোরণটি এত শক্তিশালী ছিল। যারা কাছাকাছি ছিল, তাদের শরীরের কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।’
এর কিছুদিন পরই এক বন্ধুকে হারান তিনি। সাদি বলেন, ‘আমার বন্ধুর শরীর খারাপ ছিল। তাঁকে কামাল আদওয়ান হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আমি তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলাম। পথে আমরা একটি রোবটকে আসতে দেখলাম। দেখেই আমার বন্ধু আর আমি উল্টো দিকে ছুটলাম।’
তিনি বলতে থাকেন, এত ভয়াবহ বিস্ফোরণ ছিল যে আমার পায়ের নিচের মাটি কেঁপে উঠেছিল। যেখানে শেষবারের মতো আমার বন্ধুকে দেখেছিলাম সেখানে ফিরে গিয়ে তাঁর চিহ্নও পাইনি। শরীর পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।’
ইউরো-মেডের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ডিভাইসগুলোর নির্বিচারে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতা এটিকে ‘নিষিদ্ধ অস্ত্রের’ শ্রেণীতে ফেলে এবং জনবহুল এলাকায় এগুলোর ব্যবহার ‘যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হয়।
যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বা সরকার কেউই প্রকাশ্যে এই অস্ত্রের ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি, তবে কিছু ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে এদের ব্যবহারের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আল জাজিরা কোনো উত্তর পায়নি।
গাজার ফিলিস্তিনি মেডিকেল রিলিফ সোসাইটির পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু আফাশ এই বিস্ফোরকের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই বোমার বিস্ফোরণের পরেই এর প্রভাব শেষ হয় না। তিনি বলেন, বিস্ফোরক রোবটগুলো থেকে বের হওয়া বিষাক্ত বাষ্প এবং গ্যাস তীব্র দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, যা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে।
ড. মোহাম্মদ আবু আফাশ আরও বলেন, এগুলোর কারণে শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা বারবার ঘটেছে। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেনও। ধারণা করা হয়, এই বিষাক্ত গ্যাসে সীসা ও বিপজ্জনক রাসায়নিক রয়েছে।
৫০ বছর বয়সী তিন সন্তানের মা উম্মে আহমেদ আল-ড্রেইমলি গাজার সাবরার বাসিন্দা। তিনি বিস্ফোরণের পরে বাতাসে ভেসে থাকা গন্ধটিকে ‘বারুদ এবং পোড়া ধাতুর মিশ্রণ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের অনেক পরেও আমাদের ফুসফুসে আটকে থাকে এবং শ্বাস নেওয়া কঠিন করে তোলে।’
তিনি বলতে থাকেন, কোনো সতর্কতা বা পালানোর সময় না দিয়েই বিস্ফোরণ ঘটাতো ইসরায়েল। বিস্ফোরণের শব্দটি ছিল ভিন্ন।
তিনি স্মরণ করে বলেন, এর শব্দে ভারী ধাতব গর্জন ছিল, যা হাওয়ায় উড়ন্ত জেট বা ড্রোনের শব্দের মতো নয় বা কাছে চলে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের তীক্ষ্ণ শব্দের মতোও ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন আমাদের পায়ের তলার মাটি টেনে নেওয়া হচ্ছে।
সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স মিডিয়া বিভাগের মোহাম্মদ আবু তামুস একাধিকবার রোবট বোমা দেখার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘যখন নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়, সেনাবাহিনী এই রোবটগুলো ব্যবহার করে ভবনগুলোকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, যাতে আক্রমণকারী যানবাহনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, জাবালিয়া ক্যাম্প, বেইত হানুন, তাল আজ-জাতার, বেইত লাহিয়া, তুফফাহ পাড়া, শুজাইয়েয়া, জাইতুন, সাবরা, শেখ রাদওয়ান, আবু ইস্কান্দার ও জাবালিয়া ডাউনটাউন সহ পুরো উত্তর গাজায় এগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
এগুলো ব্যবহারের আগে কোনো রকেটের হুইসেল বা বিমান হামলার সাইরেন বাজে না, শুধু বিস্ফোরণ হয় আর বিশাল সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে থাকে।
আবু তামুস বলেন, ‘একটি অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনে বোমা হামলা করলে দুই বা তিনটি পার্শ্ববর্তী বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু একটা রোবট বোমা পুরো ১০টি বাড়ি ধ্বংস করে দেয়।’
ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ করে রাখা জনবহুল এলাকায় এই রোবট বোমাগুলো ব্যবহার করেছিল। ওইসব এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাতে উদ্ধারকর্মী বা অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশের অনুমতি দিলেও সেখানে ক্ষয়ক্ষতি এতটা ব্যাপক থাকে যে কোন এলাকায় বা কোন সড়কে তাঁরা প্রবেশ করছে, বুঝার উপায় থাকে না।
এর আগে গত জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির সময়, তাল এল-জাতারে একটি অবিস্ফোরিত রোবট বোমা খুঁজে পেয়েছিলেন আবু তামুসেরা। পরীক্ষা করে দেখেন, একটা কনটেইনারে হলুদ পেস্টের মতো পদার্থ সেটা কি তারা শনাক্ত করতে পারেননি। সব বিস্ফোরকের থেকে এটি আলাদা ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এখন গাজাবাসীরা ফিরছেন। এ নিয়ে আবু তামুস উদ্বিগ্ন, কারণ তিনি অবিস্ফোরিত রোবট দেখেছেন এবং এ ধরনের রোবট নিস্ক্রিয় করতে তিনি ও তাঁর দল কিছুই করতে পারছেন না।
আবু তামুস বলেন, ‘আমরা কেবল ওই এলাকাকে টেপ দিয়ে নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘিরে দিতে পারি। এর বাইরে আমাদের হাতে আর কিছুই করার নেই। আমরা বিশেষ বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে জানাই, কিন্তু এটি নিস্ক্রিয় করতে যেসব সরঞ্জাম দরকার তাদের কাছে সেসব নেই।’
পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
৯ মিনিট আগেগোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
২ ঘণ্টা আগেবলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বরাবরের মতো এবারও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব উদ্যাপনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সোমবার তিনি গোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর শত শত ‘বীর সেনার’ উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে এই পবিত্র উৎসব উদ্যাপন করতে পারা আমার সৌভাগ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের দিনটি সত্যিই এক অনন্য দিন। এই দৃশ্য অবিস্মরণীয়। আজ একদিকে আমার সামনে বিশাল সমুদ্র, অন্যদিকে আছে ভারতের বীর সেনানীদের শক্তি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে অসীম আকাশ ও দিগন্ত, অন্যদিকে দাঁড়িয়ে আছে এই বিশাল আইএনএস বিক্রান্ত—যা অসীম শক্তির প্রতীক। সমুদ্রের জলে সূর্যের আলোয় যে ঝলকানি, তা যেন এই বীর সৈন্যদের প্রজ্বলিত দীপাবলির প্রদীপের মতো।’
মোদি জানান, আইএনএস বিক্রান্ত, যা ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরি—দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রতীক। তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমরা দেখেছি, বিক্রান্ত গোটা পাকিস্তানের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল।’ কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রসঙ্গ টেনে মোদি এই কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীর ‘ভয় ধরানো শক্তি’, বিমানবাহিনীর ‘অসাধারণ দক্ষতা’ ও স্থলবাহিনীর ‘বীরত্ব’ আর এই তিন বাহিনীর ‘অসামান্য সমন্বয়’—সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে কয়েক দিনের মধ্যে ‘হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য’ করেছে। মোদি বলেন, আইএনএস বিক্রান্ত কেবল একটি যুদ্ধজাহাজ নয়, এটি একুশ শতকের ভারতের পরিশ্রম, প্রতিভা, প্রভাব ও অঙ্গীকারের এক জীবন্ত সাক্ষ্য।
মোদি জানান, ব্রহ্মস ও আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বহু দেশ এখন এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
দীপাবলি উদ্যাপনের কিছু ছবি মোদি পরে এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, ‘মানুষ যেমন পরিবারের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে ভালোবাসে, আমিও তেমনই ভালোবাসি। তাই প্রতিবছর আমি সেই সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদ্যাপন করি, যারা আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে। এ বছর গোয়া ও করওয়ার উপকূলে নৌবাহিনীর বীর সদস্যদের সঙ্গে, আইএনএস বিক্রান্তকে প্রধান জাহাজ হিসেবে নিয়ে, দীপাবলি পালন করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি দীপাবলি উদ্যাপন করেছিলেন গুজরাটের কচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিএসএফ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে।
বরাবরের মতো এবারও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব উদ্যাপনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ সোমবার তিনি গোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর শত শত ‘বীর সেনার’ উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে এই পবিত্র উৎসব উদ্যাপন করতে পারা আমার সৌভাগ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের দিনটি সত্যিই এক অনন্য দিন। এই দৃশ্য অবিস্মরণীয়। আজ একদিকে আমার সামনে বিশাল সমুদ্র, অন্যদিকে আছে ভারতের বীর সেনানীদের শক্তি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে অসীম আকাশ ও দিগন্ত, অন্যদিকে দাঁড়িয়ে আছে এই বিশাল আইএনএস বিক্রান্ত—যা অসীম শক্তির প্রতীক। সমুদ্রের জলে সূর্যের আলোয় যে ঝলকানি, তা যেন এই বীর সৈন্যদের প্রজ্বলিত দীপাবলির প্রদীপের মতো।’
মোদি জানান, আইএনএস বিক্রান্ত, যা ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরি—দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রতীক। তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমরা দেখেছি, বিক্রান্ত গোটা পাকিস্তানের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল।’ কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রসঙ্গ টেনে মোদি এই কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীর ‘ভয় ধরানো শক্তি’, বিমানবাহিনীর ‘অসাধারণ দক্ষতা’ ও স্থলবাহিনীর ‘বীরত্ব’ আর এই তিন বাহিনীর ‘অসামান্য সমন্বয়’—সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে কয়েক দিনের মধ্যে ‘হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য’ করেছে। মোদি বলেন, আইএনএস বিক্রান্ত কেবল একটি যুদ্ধজাহাজ নয়, এটি একুশ শতকের ভারতের পরিশ্রম, প্রতিভা, প্রভাব ও অঙ্গীকারের এক জীবন্ত সাক্ষ্য।
মোদি জানান, ব্রহ্মস ও আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বহু দেশ এখন এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
দীপাবলি উদ্যাপনের কিছু ছবি মোদি পরে এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, ‘মানুষ যেমন পরিবারের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে ভালোবাসে, আমিও তেমনই ভালোবাসি। তাই প্রতিবছর আমি সেই সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদ্যাপন করি, যারা আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে। এ বছর গোয়া ও করওয়ার উপকূলে নৌবাহিনীর বীর সদস্যদের সঙ্গে, আইএনএস বিক্রান্তকে প্রধান জাহাজ হিসেবে নিয়ে, দীপাবলি পালন করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি দীপাবলি উদ্যাপন করেছিলেন গুজরাটের কচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিএসএফ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে।
পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
৯ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
২ ঘণ্টা আগেবলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট হোর্হে ‘তুতো’ কুইরোগা পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। যদিও নির্বাচন আদালত ফলাফলকে ‘প্রাথমিক’ বলে উল্লেখ করেছে, তবে জয়ের ব্যবধান স্পষ্ট।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে পাজ পেরেইরা বলেন, ‘চলুন আমরা একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়ি, ২০ বছর পর একটি নতুন পথ তৈরি করি। আগের ব্যবস্থা আমাদের অর্থনীতি ও ভূরাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’
মতাদর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে বাস্তবতার ওপর জোর দিয়ে পাজ পেরেইরা বলেন, ‘মতাদর্শ টেবিলে খাবার দেয় না। যা দেয়, তা হলো কাজ করার অধিকার, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, আইনি নিরাপত্তা, বেসরকারি সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধা এবং নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া—আর এর জন্য আমরা কাজ করতে চাই।’
নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের আশাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এর লক্ষ্য হবে বলিভিয়ার জন্য জল ও জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।
২০০৫ সালের পর প্রথম বামপন্থী মাস পার্টির কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। ইভো মোরালেস ও তাঁর সাবেক রাজনৈতিক শিষ্য প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের মধ্যে তিক্ত কোন্দল এবং গত চার দশকের মধ্যে ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকট (চরম মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও জ্বালানির সংকটে জর্জরিত) একসময়ের এই প্রভাবশালী দলটির পতনের মূল কারণ। একসময় কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ আসন ধরে রাখা মাস পার্টির পক্ষ থেকে এবারের আইনসভায় মাত্র দুজন কংগ্রেসম্যান থাকছেন। একজনও সিনেটর পায়নি।
পাজ পেরেইরা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ‘জনপ্রিয় পুঁজিবাদ’-এর প্ল্যাটফর্মে ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ ও আমদানি শুল্ক কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
অনেকের মতে, পাজ পেরেইরার বিজয়ের একটি ফল নির্ধারণী ফ্যাক্টর ছিলেন তাঁর রানিং মেট, সাবেক পুলিশ ক্যাপ্টেন এদমান লারা মন্তানো (৩৯)। ‘ক্যাপ্টেন লারা’ নামে পরিচিত এ নেতা টিকটকে পুলিশের দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও দ্বিধা করবেন না।
প্রেসিডেন্ট পাজ পেরেইরার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডিজেল ও পেট্রলের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা; কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তাঁর দল পাত্রিদো দেমোক্রাতা ক্রিশ্চিয়ানোর (পিডিসি) আইন ও সংস্কার পাস করানো কঠিন হবে; সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আইন প্রয়োগ করা।
পাজ পেরেইরা নিশ্চিত করেছেন, আইন ‘অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই’ মোরালেসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এদিকে বলিভিয়ায় আসন্ন মধ্য ডানপন্থী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’আর এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ পেরেইরাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘একটি নতুন অধ্যায়’ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, নভেম্বর ২০২৩ সালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বলিভিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এ ছাড়া লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক ভালো না। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বামপন্থী শাসিত সরকারগুলো ইসরায়েলের কঠোর সমালোচক।
বলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রান অফ) ৯৭ শতাংশের বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট হোর্হে ‘তুতো’ কুইরোগা পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। যদিও নির্বাচন আদালত ফলাফলকে ‘প্রাথমিক’ বলে উল্লেখ করেছে, তবে জয়ের ব্যবধান স্পষ্ট।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে পাজ পেরেইরা বলেন, ‘চলুন আমরা একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়ি, ২০ বছর পর একটি নতুন পথ তৈরি করি। আগের ব্যবস্থা আমাদের অর্থনীতি ও ভূরাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’
মতাদর্শকে গুরুত্ব না দিয়ে বাস্তবতার ওপর জোর দিয়ে পাজ পেরেইরা বলেন, ‘মতাদর্শ টেবিলে খাবার দেয় না। যা দেয়, তা হলো কাজ করার অধিকার, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, আইনি নিরাপত্তা, বেসরকারি সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধা এবং নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া—আর এর জন্য আমরা কাজ করতে চাই।’
নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের আশাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এর লক্ষ্য হবে বলিভিয়ার জন্য জল ও জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।
২০০৫ সালের পর প্রথম বামপন্থী মাস পার্টির কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। ইভো মোরালেস ও তাঁর সাবেক রাজনৈতিক শিষ্য প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের মধ্যে তিক্ত কোন্দল এবং গত চার দশকের মধ্যে ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকট (চরম মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও জ্বালানির সংকটে জর্জরিত) একসময়ের এই প্রভাবশালী দলটির পতনের মূল কারণ। একসময় কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ আসন ধরে রাখা মাস পার্টির পক্ষ থেকে এবারের আইনসভায় মাত্র দুজন কংগ্রেসম্যান থাকছেন। একজনও সিনেটর পায়নি।
পাজ পেরেইরা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় ‘জনপ্রিয় পুঁজিবাদ’-এর প্ল্যাটফর্মে ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ ও আমদানি শুল্ক কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
অনেকের মতে, পাজ পেরেইরার বিজয়ের একটি ফল নির্ধারণী ফ্যাক্টর ছিলেন তাঁর রানিং মেট, সাবেক পুলিশ ক্যাপ্টেন এদমান লারা মন্তানো (৩৯)। ‘ক্যাপ্টেন লারা’ নামে পরিচিত এ নেতা টিকটকে পুলিশের দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও দ্বিধা করবেন না।
প্রেসিডেন্ট পাজ পেরেইরার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডিজেল ও পেট্রলের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা; কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তাঁর দল পাত্রিদো দেমোক্রাতা ক্রিশ্চিয়ানোর (পিডিসি) আইন ও সংস্কার পাস করানো কঠিন হবে; সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আইন প্রয়োগ করা।
পাজ পেরেইরা নিশ্চিত করেছেন, আইন ‘অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই’ মোরালেসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
এদিকে বলিভিয়ায় আসন্ন মধ্য ডানপন্থী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’আর এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ পেরেইরাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘একটি নতুন অধ্যায়’ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, নভেম্বর ২০২৩ সালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বলিভিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এ ছাড়া লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক ভালো না। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বামপন্থী শাসিত সরকারগুলো ইসরায়েলের কঠোর সমালোচক।
পাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে ফরাসি রাজপরিবারের অমূল্য গয়না চুরির ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই দুঃসাহসিক চুরিতে চোরেরা আটটি মহামূল্যবান গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে।
৯ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরতে শুরু করেছেন গাজার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে যেসব জিনিসপত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে সেসব সংগ্রহ করছেন আর পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এই নতুন শুরুর চেষ্টার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে ইসরায়েলিদের বিস্ফোরকবাহী রোবট।
২ ঘণ্টা আগেগোয়া ও কর্ণাটকের করওয়ার উপকূলে ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের সঙ্গে ‘আলোক উৎসব’ উদ্যাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই বিমানবাহী রণতরি ‘পাকিস্তানিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে’।
২ ঘণ্টা আগে