আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
ঘোষণায় আরও জানানো হয়, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বৈঠকটি। রোমের বৈঠকেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে ওমান। এর আগে, গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয় দুপক্ষের পরোক্ষ বৈঠক। ওই বৈঠকে একসঙ্গে বসেননি দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। আলাদা দুটি কক্ষে বসে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেন তারা।
পরোক্ষ এই বৈঠকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি। তিনি দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরানি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন রাজনীতি বিষয়ক উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখ্ত-রাভাঞ্চি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিব–আবাদি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগাবি।
এর আগে, সোমবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকের ভেন্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রথমে আলোচনার স্থান হিসেবে রোমের নাম শোনা যায়। ইতালীয় কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করে সে তথ্য। কিন্তু পরদিন মঙ্গলবার ইরান জানায় ওমানেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার বৈঠক। এর বৈঠকের স্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার পর গতকাল বুধবার তেহরানের তরফে নিশ্চিত করা হয় আগামী শনিবার রোমেই আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ইরানি ও মার্কিন প্রতিনিধিরা।
এদিকে, গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক কর্মকর্তার পদত্যাগ অনুমোদন দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ওই কর্মকর্তা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে তেহরানের প্রধান আলোচকের ভূমিকা পালন করেছেন। একইদিন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি- আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিও তেহরানে পৌঁছান। নতুন কোনো চুক্তিতে যদি তেহরান পৌঁছায়, তাহলে তার অধীনে আইএইএর পরিদর্শকেরা কতটা প্রবেশাধিকার পাবে, তা নিয়ে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডেকে এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি জানান, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে। পুরো প্রক্রিয়াটিকে আপনি একটি ধাঁধার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। সবগুলো ক্লু এখন ইরানের হাতে চলে এসেছে। শুধু জুড়ে দিলেই মিলে যাবে উত্তর।’
২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করার পর থেকে ইরান তাদের কর্মসূচির ওপর সব সীমা তুলে দিয়েছে এবং এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ।
এদিকে, ইরান আইএইএর নজরদারি অনেকটাই সীমিত করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পরিদর্শককে নিষিদ্ধও করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য চুক্তিতে আইএইএর তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও ইরান ও সংস্থাটির মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে, তবে আইএইএ পুরোপুরি প্রবেশাধিকার হারায়নি।
মূলত এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক করতেই ইরান গিয়েছেন গ্রোসি। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর।
এদিকে, গতকাল বুধবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় ‘বিরোধপূর্ণ অবস্থান’ না নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের বক্তব্যের পর ইরান এই মন্তব্য করল। উইটকফ প্রথমে বলেছিলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরান আবার ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিতে ফিরে যেতে পারে– ঠিক যেমনটা ২০১৫ সালের ওবামা প্রশাসনের চুক্তিতে ছিল। কিন্তু পরে তিনি বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তি কেবল ট্রাম্পের চুক্তি হিসেবেই সম্পন্ন হবে।’
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেন, ‘ইরানকে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ এবং অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একটি কঠোর, ন্যায্য ও টেকসই চুক্তি প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেই লক্ষ্যেই নিয়োজিত করেছেন।’
এর জবাবে আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সমৃদ্ধিকরণ একটি বাস্তব এবং স্বীকৃত বিষয়। যেসব ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে তা নিয়ে আমরা আস্থা গঠনের জন্য প্রস্তুত। তবে, সমৃদ্ধিকরণের অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের দর-কষাকষি মেনে নেওয়া হবে না।’

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
ঘোষণায় আরও জানানো হয়, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বৈঠকটি। রোমের বৈঠকেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে ওমান। এর আগে, গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয় দুপক্ষের পরোক্ষ বৈঠক। ওই বৈঠকে একসঙ্গে বসেননি দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। আলাদা দুটি কক্ষে বসে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেন তারা।
পরোক্ষ এই বৈঠকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি। তিনি দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরানি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন রাজনীতি বিষয়ক উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখ্ত-রাভাঞ্চি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিব–আবাদি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগাবি।
এর আগে, সোমবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকের ভেন্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রথমে আলোচনার স্থান হিসেবে রোমের নাম শোনা যায়। ইতালীয় কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করে সে তথ্য। কিন্তু পরদিন মঙ্গলবার ইরান জানায় ওমানেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার বৈঠক। এর বৈঠকের স্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার পর গতকাল বুধবার তেহরানের তরফে নিশ্চিত করা হয় আগামী শনিবার রোমেই আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ইরানি ও মার্কিন প্রতিনিধিরা।
এদিকে, গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক কর্মকর্তার পদত্যাগ অনুমোদন দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ওই কর্মকর্তা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে তেহরানের প্রধান আলোচকের ভূমিকা পালন করেছেন। একইদিন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি- আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিও তেহরানে পৌঁছান। নতুন কোনো চুক্তিতে যদি তেহরান পৌঁছায়, তাহলে তার অধীনে আইএইএর পরিদর্শকেরা কতটা প্রবেশাধিকার পাবে, তা নিয়ে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডেকে এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি জানান, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে। পুরো প্রক্রিয়াটিকে আপনি একটি ধাঁধার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। সবগুলো ক্লু এখন ইরানের হাতে চলে এসেছে। শুধু জুড়ে দিলেই মিলে যাবে উত্তর।’
২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করার পর থেকে ইরান তাদের কর্মসূচির ওপর সব সীমা তুলে দিয়েছে এবং এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ।
এদিকে, ইরান আইএইএর নজরদারি অনেকটাই সীমিত করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পরিদর্শককে নিষিদ্ধও করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য চুক্তিতে আইএইএর তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও ইরান ও সংস্থাটির মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে, তবে আইএইএ পুরোপুরি প্রবেশাধিকার হারায়নি।
মূলত এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক করতেই ইরান গিয়েছেন গ্রোসি। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর।
এদিকে, গতকাল বুধবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় ‘বিরোধপূর্ণ অবস্থান’ না নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের বক্তব্যের পর ইরান এই মন্তব্য করল। উইটকফ প্রথমে বলেছিলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরান আবার ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিতে ফিরে যেতে পারে– ঠিক যেমনটা ২০১৫ সালের ওবামা প্রশাসনের চুক্তিতে ছিল। কিন্তু পরে তিনি বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তি কেবল ট্রাম্পের চুক্তি হিসেবেই সম্পন্ন হবে।’
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেন, ‘ইরানকে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ এবং অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একটি কঠোর, ন্যায্য ও টেকসই চুক্তি প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেই লক্ষ্যেই নিয়োজিত করেছেন।’
এর জবাবে আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সমৃদ্ধিকরণ একটি বাস্তব এবং স্বীকৃত বিষয়। যেসব ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে তা নিয়ে আমরা আস্থা গঠনের জন্য প্রস্তুত। তবে, সমৃদ্ধিকরণের অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের দর-কষাকষি মেনে নেওয়া হবে না।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
ঘোষণায় আরও জানানো হয়, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বৈঠকটি। রোমের বৈঠকেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে ওমান। এর আগে, গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয় দুপক্ষের পরোক্ষ বৈঠক। ওই বৈঠকে একসঙ্গে বসেননি দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। আলাদা দুটি কক্ষে বসে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেন তারা।
পরোক্ষ এই বৈঠকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি। তিনি দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরানি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন রাজনীতি বিষয়ক উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখ্ত-রাভাঞ্চি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিব–আবাদি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগাবি।
এর আগে, সোমবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকের ভেন্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রথমে আলোচনার স্থান হিসেবে রোমের নাম শোনা যায়। ইতালীয় কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করে সে তথ্য। কিন্তু পরদিন মঙ্গলবার ইরান জানায় ওমানেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার বৈঠক। এর বৈঠকের স্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার পর গতকাল বুধবার তেহরানের তরফে নিশ্চিত করা হয় আগামী শনিবার রোমেই আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ইরানি ও মার্কিন প্রতিনিধিরা।
এদিকে, গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক কর্মকর্তার পদত্যাগ অনুমোদন দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ওই কর্মকর্তা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে তেহরানের প্রধান আলোচকের ভূমিকা পালন করেছেন। একইদিন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি- আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিও তেহরানে পৌঁছান। নতুন কোনো চুক্তিতে যদি তেহরান পৌঁছায়, তাহলে তার অধীনে আইএইএর পরিদর্শকেরা কতটা প্রবেশাধিকার পাবে, তা নিয়ে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডেকে এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি জানান, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে। পুরো প্রক্রিয়াটিকে আপনি একটি ধাঁধার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। সবগুলো ক্লু এখন ইরানের হাতে চলে এসেছে। শুধু জুড়ে দিলেই মিলে যাবে উত্তর।’
২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করার পর থেকে ইরান তাদের কর্মসূচির ওপর সব সীমা তুলে দিয়েছে এবং এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ।
এদিকে, ইরান আইএইএর নজরদারি অনেকটাই সীমিত করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পরিদর্শককে নিষিদ্ধও করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য চুক্তিতে আইএইএর তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও ইরান ও সংস্থাটির মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে, তবে আইএইএ পুরোপুরি প্রবেশাধিকার হারায়নি।
মূলত এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক করতেই ইরান গিয়েছেন গ্রোসি। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর।
এদিকে, গতকাল বুধবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় ‘বিরোধপূর্ণ অবস্থান’ না নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের বক্তব্যের পর ইরান এই মন্তব্য করল। উইটকফ প্রথমে বলেছিলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরান আবার ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিতে ফিরে যেতে পারে– ঠিক যেমনটা ২০১৫ সালের ওবামা প্রশাসনের চুক্তিতে ছিল। কিন্তু পরে তিনি বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তি কেবল ট্রাম্পের চুক্তি হিসেবেই সম্পন্ন হবে।’
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেন, ‘ইরানকে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ এবং অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একটি কঠোর, ন্যায্য ও টেকসই চুক্তি প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেই লক্ষ্যেই নিয়োজিত করেছেন।’
এর জবাবে আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সমৃদ্ধিকরণ একটি বাস্তব এবং স্বীকৃত বিষয়। যেসব ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে তা নিয়ে আমরা আস্থা গঠনের জন্য প্রস্তুত। তবে, সমৃদ্ধিকরণের অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের দর-কষাকষি মেনে নেওয়া হবে না।’

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
ঘোষণায় আরও জানানো হয়, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বৈঠকটি। রোমের বৈঠকেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে ওমান। এর আগে, গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হয় দুপক্ষের পরোক্ষ বৈঠক। ওই বৈঠকে একসঙ্গে বসেননি দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। আলাদা দুটি কক্ষে বসে পরোক্ষভাবে আলোচনা করেন তারা।
পরোক্ষ এই বৈঠকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি। তিনি দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইরানি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন রাজনীতি বিষয়ক উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখ্ত-রাভাঞ্চি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিব–আবাদি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগাবি।
এর আগে, সোমবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকের ভেন্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। প্রথমে আলোচনার স্থান হিসেবে রোমের নাম শোনা যায়। ইতালীয় কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করে সে তথ্য। কিন্তু পরদিন মঙ্গলবার ইরান জানায় ওমানেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার বৈঠক। এর বৈঠকের স্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার পর গতকাল বুধবার তেহরানের তরফে নিশ্চিত করা হয় আগামী শনিবার রোমেই আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছেন ইরানি ও মার্কিন প্রতিনিধিরা।
এদিকে, গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক কর্মকর্তার পদত্যাগ অনুমোদন দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ওই কর্মকর্তা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে তেহরানের প্রধান আলোচকের ভূমিকা পালন করেছেন। একইদিন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি- আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিও তেহরানে পৌঁছান। নতুন কোনো চুক্তিতে যদি তেহরান পৌঁছায়, তাহলে তার অধীনে আইএইএর পরিদর্শকেরা কতটা প্রবেশাধিকার পাবে, তা নিয়ে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডেকে এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি জানান, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে। পুরো প্রক্রিয়াটিকে আপনি একটি ধাঁধার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। সবগুলো ক্লু এখন ইরানের হাতে চলে এসেছে। শুধু জুড়ে দিলেই মিলে যাবে উত্তর।’
২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করার পর থেকে ইরান তাদের কর্মসূচির ওপর সব সীমা তুলে দিয়েছে এবং এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ।
এদিকে, ইরান আইএইএর নজরদারি অনেকটাই সীমিত করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পরিদর্শককে নিষিদ্ধও করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য চুক্তিতে আইএইএর তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও ইরান ও সংস্থাটির মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে, তবে আইএইএ পুরোপুরি প্রবেশাধিকার হারায়নি।
মূলত এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক করতেই ইরান গিয়েছেন গ্রোসি। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর।
এদিকে, গতকাল বুধবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় ‘বিরোধপূর্ণ অবস্থান’ না নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের বক্তব্যের পর ইরান এই মন্তব্য করল। উইটকফ প্রথমে বলেছিলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরান আবার ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিতে ফিরে যেতে পারে– ঠিক যেমনটা ২০১৫ সালের ওবামা প্রশাসনের চুক্তিতে ছিল। কিন্তু পরে তিনি বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তি কেবল ট্রাম্পের চুক্তি হিসেবেই সম্পন্ন হবে।’
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেন, ‘ইরানকে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ এবং অস্ত্রায়ন কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একটি কঠোর, ন্যায্য ও টেকসই চুক্তি প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেই লক্ষ্যেই নিয়োজিত করেছেন।’
এর জবাবে আরাকছি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সমৃদ্ধিকরণ একটি বাস্তব এবং স্বীকৃত বিষয়। যেসব ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে তা নিয়ে আমরা আস্থা গঠনের জন্য প্রস্তুত। তবে, সমৃদ্ধিকরণের অধিকার নিয়ে কোনো ধরনের দর-কষাকষি মেনে নেওয়া হবে না।’

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৮ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৮ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৮ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৮ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১১ ঘণ্টা আগে