আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেড় বছরের আগ্রাসনে ৫১ হাজার মানুষকে হত্যার পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসসহ অঞ্চলটির প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকেও নিরস্ত্র করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। তবে এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে হামাস।
নিরস্ত্র করার শর্তকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব আখ্যায়িত করে দলটি বলছে, এ ধরনের শর্ত একই সঙ্গে অসম্ভব ও অসম্মানজনক। প্রকৃতপক্ষে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করে এমন সব প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক, তবে ইসরায়েল যেভাবে আত্মসমর্পণের কথা বলছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নেতানিয়াহু এমন শর্ত দিচ্ছেন যা আদতে যুদ্ধবিরতির পথ রুদ্ধ করার পাঁয়তারা। তাঁরা শুধু একতরফাভাবে নিজেদের বন্দীদের ফেরত চায়।
সামি আবু জুহরি বলেন, ‘হামাসের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করে এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করে তাহলে আমরা জীবিত ও মৃত বন্দীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রতিরোধের সব পথ অব্যাহত থাকবে।’
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের খসড়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের একটি কপি হাতে পেয়েছে। এতে ১২টি শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলে গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সম্প্রতি হামাসের কাছে ওই খসড়া প্রস্তাব পৌঁছে দেয় ইসরায়েল। তবে সাংবাদিকদের কাছে নাকচ করলেও হামাসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হয়নি। ফলে মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের আনুষ্ঠানিক উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন। হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে দেখছে এবং যত দ্রুত সম্ভব আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়ে আরও অন্তত ৩৯ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছে আরও শতাধিক। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজার। এর মধ্যে শুধু গত ১৮ মার্চ থেকেই নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে গাজার পাশাপাশি প্রতিবেশী লেবাননেও তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকালও দক্ষিণ লেবাননে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ জানান সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের মুখপাত্র থামিন আল-খেতান।
দেড় বছরের আগ্রাসনে ৫১ হাজার মানুষকে হত্যার পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসসহ অঞ্চলটির প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকেও নিরস্ত্র করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। তবে এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে হামাস।
নিরস্ত্র করার শর্তকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব আখ্যায়িত করে দলটি বলছে, এ ধরনের শর্ত একই সঙ্গে অসম্ভব ও অসম্মানজনক। প্রকৃতপক্ষে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করে এমন সব প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক, তবে ইসরায়েল যেভাবে আত্মসমর্পণের কথা বলছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নেতানিয়াহু এমন শর্ত দিচ্ছেন যা আদতে যুদ্ধবিরতির পথ রুদ্ধ করার পাঁয়তারা। তাঁরা শুধু একতরফাভাবে নিজেদের বন্দীদের ফেরত চায়।
সামি আবু জুহরি বলেন, ‘হামাসের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করে এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করে তাহলে আমরা জীবিত ও মৃত বন্দীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রতিরোধের সব পথ অব্যাহত থাকবে।’
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের খসড়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের একটি কপি হাতে পেয়েছে। এতে ১২টি শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলে গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সম্প্রতি হামাসের কাছে ওই খসড়া প্রস্তাব পৌঁছে দেয় ইসরায়েল। তবে সাংবাদিকদের কাছে নাকচ করলেও হামাসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হয়নি। ফলে মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের আনুষ্ঠানিক উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন। হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে দেখছে এবং যত দ্রুত সম্ভব আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়ে আরও অন্তত ৩৯ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছে আরও শতাধিক। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজার। এর মধ্যে শুধু গত ১৮ মার্চ থেকেই নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে গাজার পাশাপাশি প্রতিবেশী লেবাননেও তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকালও দক্ষিণ লেবাননে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ জানান সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের মুখপাত্র থামিন আল-খেতান।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা একটি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ সাইবারইসনাদফ্রন্ট।
৮ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পুতিন তাঁকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন ‘ভিত্তিহীন’।
১৯ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের জেরে ‘যুদ্ধের বিস্তার’ ঘটতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এই যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে। তিনি বিশেষ করে ‘উপসাগর এবং এর আশপাশের জলপথ গুরুত্ব
২৯ মিনিট আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই হামলা সংঘাতে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং উত্তেজনাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
৩৯ মিনিট আগে