Ajker Patrika

গাজায় যুদ্ধবিরতির আশায় আলোচনা শুরু আজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৯: ৪৯
গাজায় যুদ্ধবিরতির আশায় আলোচনা শুরু আজ

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি এ আশার কথা শুনিয়েছেন। 

রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কে গেছেন শৌকরি। সেখানে গত শুক্রবার এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতিমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।’ 

সামেহ শৌকরি জানান, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে ১০ কিংবা ১১ মার্চ। এই সময়েই রমজানের শুরু হতে পারে। এই যুদ্ধবিরতি হলে ৪০ দিনের জন্য গাজায় অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং সেখানে প্রতিদিন প্রবেশ করবে ত্রাণ ও খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক। সেই সঙ্গে প্রতি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এদিকে আজ রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল শনিবার মিসরের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া। 

নিরাপত্তা সূত্রটি বলছে, উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির সময়সীমার পাশাপাশি জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও আশা করছে রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গতকাল ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গতকাল আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে সক্ষম হব, আমরা গতকাল এবং আজ এটি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী।’

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালিকি। 

একই আশাবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি মুসলিমদের পবিত্র মাসের শুরুতেই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হবে ইসরায়েল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমরা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।’ 

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। 

আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল গাজার দেইর এল-বালাহ এবং জাবালিয়া এলাকায় তিনটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে।

এর আগে খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গত বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে জাতিসংঘের একটি দল। তাঁরা জানিয়েছেন, হামলায় আহত অনেককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বিলাসবহুল বিমান না নেওয়াটা বোকামি: ট্রাম্প

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত