ইসরায়েলের ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। নেতানিয়াহুকে তাঁরা ইসরায়েলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি উল্লেখ করে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।
চিঠিটি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের উগ্র–ডানপন্থী সরকারের জোটকে বিব্রত করেছে।
নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে এবং এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরায়েলি এবং অন্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনো হামাসের হাতে বন্দী। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং আজ শুক্রবার দেশটির আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
মাত্র এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ষষ্ঠ মেয়াদ শুরু করার পর থেকে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা আশ্চর্যজনকভাবে কমে গেছে। সমালোচকেরা তাঁর বিচার বিভাগের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতিবাদ করেছেন। ওই সংস্কার চেষ্টা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি এবং কয়েক মাস ধরে ব্যাপক বিক্ষোভে দেশকে বিভক্ত করেছিল।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান, হিজবুল্লাহ এবং হামাসের নেতারা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের বর্তমান অস্থিতিশীল অবস্থা দেখে খুশি এবং এর প্রশংসা করেছে। তাঁরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিনষ্ট ও আমাদের ক্ষতি করার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
স্বাক্ষরকারী ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক আইডিএফ প্রধান মোশে ইয়ালন এবং দান হালুৎজ, গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক পরিচালক তামির পার্দো এবং দানি ইয়াতম এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা ‘শিন বেতের’ সাবেক পরিচালক নাদাভ আরগামান এবং ইয়াকভ পেরি।
সাবেক সিইও, রাষ্ট্রদূত, সরকারি কর্মকর্তা এবং রসায়নের জন্য নোবেল বিজয়ী তিনজন অ্যারন সিচানোভার, আব্রাম হার্শকো এবং দান শেচমানও চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এই সপ্তাহে প্রকাশিত ইসরায়েলের চ্যানেল–১৩–এর একটি জরিপ বলছে, আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির বড় পরাজয় হবে। জরিপে সবচেয়ে এগিয়ে সাবেক আইডিএফ চিফ অব স্টাফ ও বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য পার্টি।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের আগে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ও পরিকল্পনা নেই। যদিও আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ চলছে এবং দেশটির অন্যতম প্রধান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ একই আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহুর অপসারণের দাবিতে চিঠিতে স্বাক্ষর করা সাবেক মোসাদ প্রধান হাইম তোমার বলেছেন, ‘ইসরায়েলে আগাম নির্বাচনের দাবি এখন যা চলছে তা নজিরবিহীন। সবাই বোঝে যে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নেতৃত্ব দিতে অযোগ্য।’
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আবারও কথা বলেছেন, যেখানে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র দুই রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দুর্বল করার জন্য বছরের পর বছর হামাসকে সমর্থন করার জন্য নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীর এবং গাজা শাসন করার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুনরুজ্জীবিত করা উচিত বলে মত দিয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্বেগ সত্ত্বেও কয়েক বছর ধরে নেতানিয়াহুর যোগসাজশে কাতার সরকার গাজায় টাকাভর্তি স্যুটকেস সরবরাহ করেছে। সেসব টাকা সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্তদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ছিল। এখন টাকা দেওয়া হয় ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। গত মাসেও কাতার বলেছে, হামাসকে টাকা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
নেতানিয়াহু লিকুদ পার্টির সঙ্গে অন্য দলগুলোকে জোটবদ্ধ করে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর ডানপন্থী সরকার গঠন করেছেন। ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই সরকারের দুজন বিশিষ্ট সদস্য বেজালেল স্মোত্রিচ এবং ইতামার বেন গভিরকে তলব করেছে বাইডেন প্রশাসন।
চিঠিতে ৭ অক্টোবরের হামলার দায় নিতে নেতানিয়াহু অস্বীকার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবর্তে তিনি অন্যদের দোষারোপ করেছেন, যারা ইসরায়েলের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছেন।
এটি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট এবং নেসেট স্পিকারের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করা না হলে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আপনি যদি আপনার সর্বোচ্চ জাতীয় দায়িত্ব পালন না করেন তবে ইসরায়েলি জাতি এবং ইহুদি ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’
প্রেসিডেন্ট বা স্পিকার কারওই একতরফাভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে পদ থেকে অপসারণের ক্ষমতা নেই। তবে স্পিকার চিঠিটি নেসেট সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁদের ভোটেই প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ এবং অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করা সম্ভব।
মোসাদের সাবেক কর্মকর্তা তোমার বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনার জন্য এখন সঠিক লোকের প্রয়োজন। আমি মনে করি, এখন বিশ্ববাসী ইসরায়েলের দিকে তাকালেই তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগছে, এই দেশের হয়েছেটা কী! অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকা এই দেশের নেতৃত্বে কেন বোকার দল!’
তোমার আরও বলেন, ‘আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হলো, আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার, আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করা দরকার।’
ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও চাপের মুখে পড়েছে। এ পর্যন্ত ইসরায়েল ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। নেতানিয়াহুকে তাঁরা ইসরায়েলের ‘অস্তিত্বের’ জন্য হুমকি উল্লেখ করে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন।
চিঠিটি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের উগ্র–ডানপন্থী সরকারের জোটকে বিব্রত করেছে।
নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে এবং এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যার ফলে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরায়েলি এবং অন্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনো হামাসের হাতে বন্দী। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং আজ শুক্রবার দেশটির আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
মাত্র এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ষষ্ঠ মেয়াদ শুরু করার পর থেকে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা আশ্চর্যজনকভাবে কমে গেছে। সমালোচকেরা তাঁর বিচার বিভাগের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতিবাদ করেছেন। ওই সংস্কার চেষ্টা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি এবং কয়েক মাস ধরে ব্যাপক বিক্ষোভে দেশকে বিভক্ত করেছিল।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান, হিজবুল্লাহ এবং হামাসের নেতারা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের বর্তমান অস্থিতিশীল অবস্থা দেখে খুশি এবং এর প্রশংসা করেছে। তাঁরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিনষ্ট ও আমাদের ক্ষতি করার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
স্বাক্ষরকারী ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক আইডিএফ প্রধান মোশে ইয়ালন এবং দান হালুৎজ, গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক পরিচালক তামির পার্দো এবং দানি ইয়াতম এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা ‘শিন বেতের’ সাবেক পরিচালক নাদাভ আরগামান এবং ইয়াকভ পেরি।
সাবেক সিইও, রাষ্ট্রদূত, সরকারি কর্মকর্তা এবং রসায়নের জন্য নোবেল বিজয়ী তিনজন অ্যারন সিচানোভার, আব্রাম হার্শকো এবং দান শেচমানও চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এই সপ্তাহে প্রকাশিত ইসরায়েলের চ্যানেল–১৩–এর একটি জরিপ বলছে, আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির বড় পরাজয় হবে। জরিপে সবচেয়ে এগিয়ে সাবেক আইডিএফ চিফ অব স্টাফ ও বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য পার্টি।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের আগে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ও পরিকল্পনা নেই। যদিও আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ চলছে এবং দেশটির অন্যতম প্রধান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ একই আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতানিয়াহুর অপসারণের দাবিতে চিঠিতে স্বাক্ষর করা সাবেক মোসাদ প্রধান হাইম তোমার বলেছেন, ‘ইসরায়েলে আগাম নির্বাচনের দাবি এখন যা চলছে তা নজিরবিহীন। সবাই বোঝে যে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নেতৃত্ব দিতে অযোগ্য।’
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আবারও কথা বলেছেন, যেখানে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র দুই রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দুর্বল করার জন্য বছরের পর বছর হামাসকে সমর্থন করার জন্য নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীর এবং গাজা শাসন করার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুনরুজ্জীবিত করা উচিত বলে মত দিয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্বেগ সত্ত্বেও কয়েক বছর ধরে নেতানিয়াহুর যোগসাজশে কাতার সরকার গাজায় টাকাভর্তি স্যুটকেস সরবরাহ করেছে। সেসব টাকা সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্তদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ছিল। এখন টাকা দেওয়া হয় ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। গত মাসেও কাতার বলেছে, হামাসকে টাকা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
নেতানিয়াহু লিকুদ পার্টির সঙ্গে অন্য দলগুলোকে জোটবদ্ধ করে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর ডানপন্থী সরকার গঠন করেছেন। ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই সরকারের দুজন বিশিষ্ট সদস্য বেজালেল স্মোত্রিচ এবং ইতামার বেন গভিরকে তলব করেছে বাইডেন প্রশাসন।
চিঠিতে ৭ অক্টোবরের হামলার দায় নিতে নেতানিয়াহু অস্বীকার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবর্তে তিনি অন্যদের দোষারোপ করেছেন, যারা ইসরায়েলের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছেন।
এটি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট এবং নেসেট স্পিকারের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করা না হলে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আপনি যদি আপনার সর্বোচ্চ জাতীয় দায়িত্ব পালন না করেন তবে ইসরায়েলি জাতি এবং ইহুদি ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’
প্রেসিডেন্ট বা স্পিকার কারওই একতরফাভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে পদ থেকে অপসারণের ক্ষমতা নেই। তবে স্পিকার চিঠিটি নেসেট সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁদের ভোটেই প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ এবং অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করা সম্ভব।
মোসাদের সাবেক কর্মকর্তা তোমার বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনার জন্য এখন সঠিক লোকের প্রয়োজন। আমি মনে করি, এখন বিশ্ববাসী ইসরায়েলের দিকে তাকালেই তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগছে, এই দেশের হয়েছেটা কী! অনেক যোগ্য ব্যক্তি থাকা এই দেশের নেতৃত্বে কেন বোকার দল!’
তোমার আরও বলেন, ‘আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হলো, আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার, আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু করা দরকার।’
ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও চাপের মুখে পড়েছে। এ পর্যন্ত ইসরায়েল ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
১৩ মিনিট আগেএকজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি ভারতে একটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে থ্রি–কোয়ার্টার পরার কারণে এক যুবককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগেগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
১ ঘণ্টা আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
৩ ঘণ্টা আগে