Ajker Patrika

যুদ্ধবিরতি ও বন্দী-জিম্মি বিনিময় চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল-হামাস

আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৬: ৫৬
যুদ্ধবিরতি ও বন্দী-জিম্মি বিনিময় চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল-হামাস

গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিবিনিময়ের লক্ষ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে হামাস ও তেল আবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ইসরায়েলি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তও ফিলিস্তিনি পক্ষের সঙ্গে বন্দী ও জিম্মি বিনিয়মের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে তাঁর দেশ। 

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূত্রটি জানিয়েছে—ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি ও বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের লক্ষ্যে সর্বশেষ যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তা দুই পক্ষকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিশদ আলোচনায় যেতে সাহায্য করবে। 

তবে চুক্তির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বা কোনো পক্ষ এটি নিশ্চিত করেনি। চুক্তিটি বাস্তবায়িত হওয়ার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আলোচনার পরবর্তী পর্বে প্রবেশের সবুজসংকেত দিতে হবে। হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তিসহ একটি সম্ভাব্য চুক্তির বিশদ আলোচনার জন্য সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। 

ইসরায়েলি আলোচকেরা বিস্তারিত আলোচনার এই পর্যায়ে যুক্ত হবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী দিনে নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলোচনায় বসবেন। তবে হামাস নিশ্চিত করেছে যে তারা মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের কাছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বুধবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা কিছু দাবি পেশ করেছি, যা সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’ হামাস গতকাল বুধবার এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কিছু চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছি।’ 

পরে আরেক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি প্রস্তাবকে ‘ইতিবাচকভাবে’ বিবেচনা করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনা করেছেন, যাতে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়। এতে আরও বলা হয়, হামাসপ্রধান তুরস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। 

ইসরায়েলের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেওয়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এক গতকাল  নিশ্চিত করেছে, মিসরীয় ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের কাছে হামাসের সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। বিবৃতিতে মোসাদ বলেছে, ‘জিম্মি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনাকারী দল হামাস উত্থাপিত জিম্মি চুক্তির রূপরেখা ইসরায়েলকে অবহিত করেছে। ইসরায়েল এটি মূল্যায়ন করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জবাব দেবে।’ 
 
এদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ‘অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি’ কাছাকাছি অবস্থানে আছে। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সম্প্রচারমাধ্যম কেএএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা আজ  সন্ধ্যায় গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করার জন্য একটি অধিবেশনে বসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত