গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার বিনিময়ে সকল বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের প্রস্তাবে ছিল—গাজায় যুদ্ধের ইতি টানা, ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের শাসন মেনে নেওয়ার বিনিময়ে হামাস তাদের হাতে থাকা সকল ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি হামাসের দানবদের আত্মসমর্পণের শর্ত সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
হামাসের হাতে বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নিজ দেশে ব্যাপক চাপে আছেন নেতানিয়াহু। এর মধ্যেই প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হামাসের প্রস্তাব মেনে নিলে হামাস সম্পূর্ণ অক্ষতই থেকে যাবে এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ বলে গণ্য হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই প্রস্তাব মেনে নিলে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। তাদের হাতে থাকা আমাদের বন্দী জনগণকেও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যাবে না এবং পরবর্তী ৭ অক্টোবর হবে কেবল সময়ের ব্যাপার।’
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস পরাজিত হওয়ার পর জর্ডান নদীর পশ্চিমে সম্পূর্ণ এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েলের হাতে, যাতে গাজা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে না পারে। বিষয়টি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী।
বেশ কয়েকটি যুদ্ধ ফ্রন্টে লড়ছে ইসরায়েল। নিজ দেশেও যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মিদের উদ্ধারের সঙ্গে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মুখে আছেন নেতানিয়াহু। হামাসের কাছে এখনো বন্দী হিসেবে রয়েছে শতাধিক ইসরায়েলি, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত শুক্রবারও হাইফাসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করে জিম্মিদের উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার ইসরায়েলি।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জিম্মি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের ফোরাম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেছে। বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারা পর্যন্ত তারা সেই এলাকায় অবস্থান করার কথা বলেন। এক বিবৃতিতে ফোরাম বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি জিম্মিদের বলি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার উচিত হবে সততার সঙ্গে ইসরায়েলি জনগণের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করা।’
মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত নভেম্বরের শেষ দিকে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে হামাস ১০০ জনেরও বেশি বন্দীকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামাসের হাতে এখনো ১৩৬ জন বন্দী আছেন।
গতকাল হামাসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেদিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়া এবং গাজার সীমান্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলার কারণে কিছু ত্রুটি ঘটেছে বলেও স্বীকার করেছে হামাস।
গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার বিনিময়ে সকল বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের প্রস্তাবে ছিল—গাজায় যুদ্ধের ইতি টানা, ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের শাসন মেনে নেওয়ার বিনিময়ে হামাস তাদের হাতে থাকা সকল ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি হামাসের দানবদের আত্মসমর্পণের শর্ত সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
হামাসের হাতে বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নিজ দেশে ব্যাপক চাপে আছেন নেতানিয়াহু। এর মধ্যেই প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হামাসের প্রস্তাব মেনে নিলে হামাস সম্পূর্ণ অক্ষতই থেকে যাবে এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ বলে গণ্য হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই প্রস্তাব মেনে নিলে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। তাদের হাতে থাকা আমাদের বন্দী জনগণকেও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যাবে না এবং পরবর্তী ৭ অক্টোবর হবে কেবল সময়ের ব্যাপার।’
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস পরাজিত হওয়ার পর জর্ডান নদীর পশ্চিমে সম্পূর্ণ এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েলের হাতে, যাতে গাজা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে না পারে। বিষয়টি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী।
বেশ কয়েকটি যুদ্ধ ফ্রন্টে লড়ছে ইসরায়েল। নিজ দেশেও যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মিদের উদ্ধারের সঙ্গে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মুখে আছেন নেতানিয়াহু। হামাসের কাছে এখনো বন্দী হিসেবে রয়েছে শতাধিক ইসরায়েলি, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত শুক্রবারও হাইফাসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করে জিম্মিদের উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার ইসরায়েলি।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জিম্মি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের ফোরাম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেছে। বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারা পর্যন্ত তারা সেই এলাকায় অবস্থান করার কথা বলেন। এক বিবৃতিতে ফোরাম বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি জিম্মিদের বলি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার উচিত হবে সততার সঙ্গে ইসরায়েলি জনগণের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করা।’
মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত নভেম্বরের শেষ দিকে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে হামাস ১০০ জনেরও বেশি বন্দীকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামাসের হাতে এখনো ১৩৬ জন বন্দী আছেন।
গতকাল হামাসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেদিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়া এবং গাজার সীমান্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলার কারণে কিছু ত্রুটি ঘটেছে বলেও স্বীকার করেছে হামাস।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ (এনএসএবি) পুনর্গঠন করেছে ভারত সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান অলোক জোশীকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১৮ মিনিট আগেআজ থেকে ৫০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল কমিউনিস্ট বাহিনীর হাতে দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সাইগনের পতনের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান হয়েছিল। কিন্তু লাখ লাখ মানুষ আজও সেই যুদ্ধের রাসায়নিক উত্তরাধিকার, এজেন্ট অরেঞ্জের ভয়াবহ পরিণতির সঙ্গে প্রতিদিন লড়াই করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে। এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এক বাণিজ্য কৌশল বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি, বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন
২ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ডেনিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বর্জন করছেন।
৭ ঘণ্টা আগে