ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইসমাইল হানিয়া। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) আজ বুধবার বিষয়টি জানিয়েছে। হামাসও এক বিবৃতিতে তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইসমাইল হানিয়ার পুরো নাম ইসমাইল আবদুস সালাম আহমেদ হানিয়া। তিনি ১৯৬৩ সালের ২৯ জানুয়ারি গাজা উপত্যকার আল-শাতি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর আদি নিবাস ইসরায়েলের অন্তর্গত আশকেলনে। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তাঁর বাবা-মা আশকেলন ছেড়ে উদ্বাস্তু হন।
ইসমাইল হানিয়া গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে তিনি হামাসে যোগ দেন। সে সময় বেশ কিছুদিন তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিনিধি ছাত্র কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। ১৯৮৭ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম ইন্তিফাদার প্রায় সমসাময়িককালে হানিয়া স্নাতক পাস করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিনি ইসরায়েলে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
এরপর ১৯৮৮ সালে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করে ইসরায়েল এবং ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়। ১৯৮৯ সালে তাঁকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়ার পর আবদুল আজিজ আল-রানতিসি, মাহমুদ জাহহারসহ আরও ৪০০ জনের সঙ্গে ইসরায়েল তাঁকে লেবানন পাঠিয়ে দেয়। এরপর তাঁরা দক্ষিণ লেবাননের মার্জ আল-জহুরে এক বছর অবস্থান করেন। বিবিসির মতে, এখানে হামাস যথেষ্ট পরিমাণে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। পরে ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফিরে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন নিযুক্ত হন।
হামাসের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইয়াসিন ১৯৯৭ সালে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইসমাইল হানিয়া তাঁর দপ্তর পরিচালনার দায়িত্ব পান। ইয়াসিনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে হামাসে তাঁর খ্যতি বৃদ্ধি পায় এবং তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষে নিয়োগ পান। ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হামাসের অনেক নেতার হত্যাকাণ্ডের ফলে ২০০০ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়া দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হামাসে তাঁর অবস্থান আরও দৃঢ় হয়। ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকেও লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। ২০০৩ সালে জেরুসালেমে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর হামাস নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে পরিচালিত ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হন।
এরপর, ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল হামাস জয়লাভ করে। পরে ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ২৯ মার্চ শপথ নেন। পরে ২০০৭ সালের ১৪ জুন মাহমুদ আব্বাস হানিয়াকে পদচ্যুত করে সালাম ফাইয়াদকে নিয়োগ দেন।
এরপর, দীর্ঘ সময় ইসমাইল হানিয়া কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করেছেন। সর্বশেষ তিনি গতকাল মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যান দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং সেখানে গিয়েই তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।
ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ইসমাইল হানিয়া। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) আজ বুধবার বিষয়টি জানিয়েছে। হামাসও এক বিবৃতিতে তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইসমাইল হানিয়ার পুরো নাম ইসমাইল আবদুস সালাম আহমেদ হানিয়া। তিনি ১৯৬৩ সালের ২৯ জানুয়ারি গাজা উপত্যকার আল-শাতি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর আদি নিবাস ইসরায়েলের অন্তর্গত আশকেলনে। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তাঁর বাবা-মা আশকেলন ছেড়ে উদ্বাস্তু হন।
ইসমাইল হানিয়া গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে তিনি হামাসে যোগ দেন। সে সময় বেশ কিছুদিন তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিনিধি ছাত্র কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। ১৯৮৭ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম ইন্তিফাদার প্রায় সমসাময়িককালে হানিয়া স্নাতক পাস করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিনি ইসরায়েলে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
এরপর ১৯৮৮ সালে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করে ইসরায়েল এবং ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়। ১৯৮৯ সালে তাঁকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়ার পর আবদুল আজিজ আল-রানতিসি, মাহমুদ জাহহারসহ আরও ৪০০ জনের সঙ্গে ইসরায়েল তাঁকে লেবানন পাঠিয়ে দেয়। এরপর তাঁরা দক্ষিণ লেবাননের মার্জ আল-জহুরে এক বছর অবস্থান করেন। বিবিসির মতে, এখানে হামাস যথেষ্ট পরিমাণে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। পরে ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফিরে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন নিযুক্ত হন।
হামাসের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইয়াসিন ১৯৯৭ সালে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইসমাইল হানিয়া তাঁর দপ্তর পরিচালনার দায়িত্ব পান। ইয়াসিনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে হামাসে তাঁর খ্যতি বৃদ্ধি পায় এবং তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষে নিয়োগ পান। ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হামাসের অনেক নেতার হত্যাকাণ্ডের ফলে ২০০০ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়া দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় হামাসে তাঁর অবস্থান আরও দৃঢ় হয়। ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকেও লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। ২০০৩ সালে জেরুসালেমে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর হামাস নেতৃত্বকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে পরিচালিত ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হন।
এরপর, ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল হামাস জয়লাভ করে। পরে ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ২৯ মার্চ শপথ নেন। পরে ২০০৭ সালের ১৪ জুন মাহমুদ আব্বাস হানিয়াকে পদচ্যুত করে সালাম ফাইয়াদকে নিয়োগ দেন।
এরপর, দীর্ঘ সময় ইসমাইল হানিয়া কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করেছেন। সর্বশেষ তিনি গতকাল মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যান দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং সেখানে গিয়েই তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সাবেক ট্রাক মেকানিক টিম ফ্রিড ১৮ বছর ধরে নিজ শরীরে কোবরা, মাম্বা, রেটলস্ন্যাকসহ ১৬ প্রজাতির প্রাণঘাতী সাপের বিষ প্রয়োগ করে এক ব্যতিক্রমী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলেছেন। এর ফলে বিজ্ঞানীরা এখন তৈরি করতে পেরেছেন ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত ও কার্যকর অ্যান্টিভেনম। এটি ভবিষ্
৮ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করে বিদেশে বসবাস শুরু করার পর হ্যারির নিরাপত্তা কমিয়ে আনা হয়েছিল। তখন থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যে তাঁর জন্য নির্ধারিত নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ‘নিম্ন মানের’ এবং ‘অসম আচরণ’ বলে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁর সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।
৮ ঘণ্টা আগেগাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে রওনা হওয়া ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ জোটের একটি জাহাজ আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, মাল্টার উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করা ওই জাহাজে দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে নয়নাভিরাম ইনয়া লেকের ধারে অবস্থিত নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির ঐতিহাসিক উপনিবেশ আমলের বাসভবনটি। বাড়িটি বিক্রি করার জন্য টানা চতুর্থবারের মতো নিলামে তোলা হলেও কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
১০ ঘণ্টা আগে