Ajker Patrika

সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটি রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের তদবির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৫৯
সিরিয়ার হামেইমিমে অবস্থিত রুশ বিমান ঘাঁটিতে ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ক্রেমলিন
সিরিয়ার হামেইমিমে অবস্থিত রুশ বিমান ঘাঁটিতে ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ক্রেমলিন

সিরিয়াকে দুর্বল ও বিকেন্দ্রীকৃত করে রাখার পক্ষে ইসরায়েল। আর এই বিষয়টি নিয়ে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে তদবিরও করেছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটি সিরিয়ায় রাশিয়া সামরিক ঘাঁটি বজায় রাখতে দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য সিরিয়ায় তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিহত করা। এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত চারটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজা যুদ্ধের কারণে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনকে জানিয়েছেন, আঙ্কারা সমর্থিত সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠী ইসরায়েলের সীমান্তের জন্য হুমকি স্বরূপ।

এই তদবির ইঙ্গিত দেয় যে, সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে প্রভাবিত করতে ইসরায়েল একটি সুসংগঠিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর ইসলামপন্থীরা দেশটিকে স্থিতিশীল করতে চাইছে এবং ওয়াশিংটনের ওপর থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে।

তিন মার্কিন সূত্র ও আরও এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। পরে ইসরায়েল সফরে আসা মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গেও একই বার্তা দেওয়া হয়।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, এই মূল বিষয়গুলো একটি ইসরায়েলি ‘শ্বেতপত্রে’ লিপিবদ্ধ করে কিছু জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। ইসরায়েলের এই উদ্যোগের বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক অ্যারন লুন্ড বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো, তুরস্ক সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করবে এবং এটি হামাস ও অন্যান্য মিলিশিয়াদের জন্য ঘাঁটিতে পরিণত হবে।’

সূত্রগুলো জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তারা সিরিয়া ইস্যুতে খুব কমই কথা বলেছে, ফলে নিষেধাজ্ঞা ও উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

লুন্ড বলেন, ইসরায়েলের মার্কিন নীতিকে প্রভাবিত করার ভালো সম্ভাবনা আছে, কারণ নতুন প্রশাসন অত্যন্ত ইসরায়েলপন্থী। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের এ মুহূর্তে সিরিয়ার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। এটি তাঁর জন্য সামান্য অগ্রাধিকার, ফলে নীতির ক্ষেত্রে একটি শূন্যতা রয়ে গেছে।’

ইসরায়েল প্রকাশ্যে হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) ওপর আস্থা না রাখার কথা বলেছে। এই গোষ্ঠীই আসাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই গোষ্ঠী ২০১৬ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও তাদের অতীত সংযোগ ইসরায়েলের সন্দেহের কারণ হয়ে আছে।

গত সপ্তাহের রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এইচটিএস বা নতুন শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বাহিনীর উপস্থিতি সহ্য করবে না এবং ওই এলাকা নিরস্ত্রীকরণ করার দাবি জানিয়েছে।

আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে এবং সিরিয়ার ভেতরে একটি জাতিসংঘ পর্যবেক্ষিত নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল দামেস্কের দক্ষিণে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

এখন, ইসরায়েল তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কারণ, দেশটি সিরিয়ার নতুন শাসকদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করছে। তিনটি মার্কিন সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা দিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গত বছর বলেছিলেন, ইসলামিক দেশগুলোকে ইসরায়েলের ‘সম্প্রসারণবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি’ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’আর বলেছেন, ইসরায়েল উদ্বিগ্ন যে—তুরস্ক ইরানের সঙ্গে মিলে হিজবুল্লাহ পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে এবং সিরিয়ার ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি করছে।

তুরস্ক বলেছে, তারা চায় সিরিয়া স্থিতিশীল হোক এবং কোনো প্রতিবেশীর জন্য হুমকি সৃষ্টি না করুক। দেশটি বারবার বলেছে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের কার্যকলাপ তার সম্প্রসারণবাদী ও আগ্রাসী নীতির অংশ এবং এটি ইসরায়েল যে অঞ্চলে শান্তি চায় না, তার প্রমাণ।

তুরস্ককে প্রতিহত করতে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে—রাশিয়ার উচিত সিরিয়ার তারতুস প্রদেশের ভূমধ্যসাগরের নৌঘাঁটি এবং লাতাকিয়া প্রদেশের হামেইমিম বিমানঘাঁটি বজায় রাখা।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার উপস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরেন, তখন কয়েকজন উপস্থিত ব্যক্তি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাদের মতে, ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্কই বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য ভালো গ্যারান্টর হতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এটি মানেন না মর্মে ‘অবিচল’।

সিরিয়ার ইসলামপন্থী সরকার পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করছে। তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সিরিয়া গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং আসাদের শাসনামলে বিচ্ছিন্ন হওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চায়।

সিরিয়ার নেতা আহমদ আল-শারা গত ডিসেম্বর একদল বিদেশি সাংবাদিককে বলেছেন, দামেস্ক কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চায় না। কিন্তু ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন, নতুন সরকার বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে এবং একদিন সিরিয়ার নতুন সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে পারে।

আসাদ বহু বছর ধরে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমি ফ্রন্টিয়ার শান্ত রেখেছিলেন, যদিও তিনি ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু আসাদের পতনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য উল্টে গেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষ সপ্তাহগুলোতে তাঁর প্রশাসন সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে ভাবছিল, তবে শর্ত ছিল সিরিয়াকে রাশিয়ার দুটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দিতে হবে।

সূত্রগুলো বলছে, বাইডেন প্রশাসন সে সময় চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার সিরিয়ায় থাকার বিষয়ে আরও ইতিবাচক মনোভাব নিতে পারেন। কারণ, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন।

ইসরায়েলের সিরিয়াকে দুর্বল রাখার প্রচেষ্টা অন্য মার্কিন মিত্রদের বিপরীত অবস্থান নির্দেশ করে। বিশেষ করে সৌদি আরব গত মাসে বলেছে, তারা ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে সিরিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যায়।

এরদোয়ানের একে পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, তুরস্ক এ সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই আমন্ত্রণ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সিরিয়া নীতির অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ এবং ইসরায়েলের যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন

জোহরান মামদানির জয় কি অভিজাতদের পরাজয়?

  • শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক মামদানির।
  • ব্যয়বহুল বিলবোর্ডের বদলে গেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
  • করপোরেট প্রভাবের বিরুদ্ধে জয়ের প্রতীক।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় স্পষ্ট হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ভোটের এই ফলকে ‘ধনীদের রাজনীতির ওপর গরিবের জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে। ছবি: এএফপি
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির বিজয় স্পষ্ট হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ভোটের এই ফলকে ‘ধনীদের রাজনীতির ওপর গরিবের জয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কয়েক মাস ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জোহরান মামদানি। বাসচালকদের সংগঠক থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা এই তরুণ যখন ভোটের মাঠে নামলেন, তখন কেউ ভাবেনি, তিনি এত দূর যাবেন। তবে শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী অভিজাতদের পরাস্ত করে হাজির হলেন বিজয়ীর বেশে। রেকর্ড গড়লেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে। হোয়াইট হাউসে যখন ট্রাম্পের মতো একজন তীব্র অভিবাসীবিরোধী প্রেসিডেন্ট, সেই সময়ে নিউইয়র্কে তাঁর মতো একজন অভিবাসী প্রার্থীর জয় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের রাজনীতি ছিল করপোরেট অনুদাননির্ভর ও অভিজাত শ্রেণির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে অভিবাসী পরিবারের সন্তান মামদানির উত্থান যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

মামদানির প্রচারের ধরন ছিল একেবারে আলাদা। অন্য প্রার্থীদের মতো তিনি ব্যয়বহুল বিলবোর্ড বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে যাননি। বরং চষে বেড়িয়েছেন পাড়ায় পাড়ায়, মানুষের দরজায় দরজায়। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন চোখে চোখ রেখে। জিজ্ঞেস করেছেন, ‘আপনার বাড়িভাড়া কত বেড়েছে? সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি কীভাবে দিচ্ছেন?’ এই সাধারণ প্রশ্নগুলোর মধ্যেই ছিল তাঁর আসল বার্তা; রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা।

মামদানির শিকড় দক্ষিণ এশিয়ায়। বাবা উগান্ডা থেকে আসা অভিবাসী, মা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউইয়র্কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে যুক্ত হন বাসচালকদের সংগঠনে। রাজনীতিতে আসার পরও নিজেকে পরিচয় দেন ‘কমিউনিটি অর্গানাইজার’ হিসেবে; নেতা হিসেবে নয়।

নির্বাচনের আগের মাসগুলোয় অ্যাস্টোরিয়া এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন এক দৃশ্য। একদল তরুণ রাতে কাজ শেষে বেরিয়ে পড়েছেন পোস্টার লাগাতে। কেউ কলেজে পড়েন, কেউ দোকানে কাজ করেন। হাতে লেখা স্লোগান, মুনাফার চেয়ে জীবন গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের কণ্ঠে দৃঢ়তা, ‘আমরা এমন কাউকে চাই, যিনি আমাদের মতো।’

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে তাঁদের বিশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। হিজাব পরা নারী, রেস্টুরেন্টকর্মী, তরুণ, অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ সবাই হাজির কেন্দ্রে। কোলের শিশু নিয়েও ভোট দিয়েছেন অনেকে। এই ভোটারদের বড় অংশের বিশ্বাস, মামদানি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি এক নতুন আশার প্রতীক।

ভোটে মামদানির বিজয় স্পষ্ট হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জনতা। তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত ভোটারদের কেউ বলছিলেন, এটা ধনীদের রাজনীতির ওপর গরিবের জয়। আবার কেউ বলেছেন, ‘আমরা এমন এক শহর তৈরি করতে চাই, যেখানে রাজনীতি মানে মানবিকতা।’

ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে ধনীদের বদলে মানুষের জন্য রাজনীতি করার প্রত্যয়ের কথা জানান মামদানি। তিনি বলেন, ‘এই বিজয় আমার নয়। এটি তাঁদের বিজয়, যাঁরা ঘর হারিয়েছেন, যাঁদের সন্তান ঋণ শোধ করতে করতে কলেজ ছেড়ে দিয়েছেন; যাঁদের চিকিৎসা বিল দিতে হিমশিম খেতে হয়।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মামদানির জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির জন্য একটি বড় বার্তা। এটি করপোরেট প্রভাব, ধনীদের দখলদারত্ব আর দলীয় সিন্ডিকেটের রাজনীতির প্রতি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আটকে গেল ৩ চীনা নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীনের ‘শেনঝু-২০’ মহাকাশযানের তিন নভোচারী চেন দং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জি। ছবি: সংগৃহীত
চীনের ‘শেনঝু-২০’ মহাকাশযানের তিন নভোচারী চেন দং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জি। ছবি: সংগৃহীত

তিন চীনা নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। কারণ তাঁদের ফিরে আসার মহাকাশযান ‘শেনঝু-২০’ সম্ভবত মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (সিএনএসএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নভোচারী চেন দং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জি ছয় মাসের মিশন শেষে বুধবারই পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ফেরার ঠিক আগমুহূর্তে ‘শেনঝু-২০’ এর সম্ভাব্য আঘাতজনিত ঝুঁকি চিহ্নিত হওয়ায় মিশন স্থগিত রাখা হয়েছে।

চীনা মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে মহাকাশযানটির আঘাত বিশ্লেষণ ও ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে। ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে বা কখন নভোচারীরা ফিরবেন, সেই বিষয়ে কোনো সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি। এই নভোচারীরা গত এপ্রিলে চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া অঞ্চল থেকে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।

এদিকে কয়েক দিন আগেই চীন সফলভাবে ‘শেনঝু-২১’ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে আরও তিন নতুন নভোচারীকে ‘তিয়ানগং’ বা ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’ নামে তাদের মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছে। নতুন এই দলটিতে রয়েছেন ৩২ বছর বয়সী উ ফেই, যিনি চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ নভোচারী হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন। নতুন দলটি স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পুরোনো দলটির পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল।

মহাকাশ স্টেশনে ‘শেনঝু-২১’ পৌঁছানোর পর নতুন ও পুরোনো দুটি মহাকাশচারী দলের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। সেখানে পৃথিবীতে ফেরার অপেক্ষায় থাকা চেন দং বলেন, ‘আমরা এখন পৃথিবীতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ কিন্তু তাঁদের মহাকাশযান পরিদর্শনের পরই আটকে যায় পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া।

চীনা মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, নভোচারীদের নিরাপত্তা ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেনঝু কর্মসূচি প্রতি ছয় মাস পরপর পরিচালিত হয় এবং চীনের মহাকাশ অগ্রযাত্রার একটি বড় গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন মহাকাশ গবেষণায় দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে।

চীনের এই ধারাবাহিক উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। যদিও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত বছর মার্কিন নভোচারী সুনি উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরও বোয়িং স্টারলাইনারের ত্রুটির কারণে ৯ মাস ধরে মহাকাশে আটকে ছিলেন। তাঁরা অবশেষে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফেরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের মন্দিরে সোনা চুরি নিয়ে তুলকালাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৮
দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত সবরিমালা মন্দির। ছবি: বিবিসি
দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত সবরিমালা মন্দির। ছবি: বিবিসি

দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত সবরিমালা মন্দিরে সোনা চুরির অভিযোগে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেরালা হাইকোর্ট জানিয়েছে, মন্দিরের কয়েকটি দেবমূর্তি থেকে সোনার আবরণ খুলে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক ভক্তের দর্শনস্থল এই মন্দিরে এমন কেলেঙ্কারি ভক্তদের হতবাক করেছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, সোনা চুরির ঘটনায় কেরালা হাইকোর্ট ইতিমধ্যে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে এবং পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মন্দিরের সাবেক সহকারী পুরোহিত উণ্ণিকৃষ্ণন পট্টিও রয়েছেন। আদালতের দুই বিচারপতি রাজা বিজয়ারাঘবন ভি এবং কে ভি জয়কুমার গত সেপ্টেম্বর থেকে মামলাটি তদারক করছেন।

কী চুরি হয়েছে?

এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দুটি দ্বাররক্ষক মূর্তি। এই দুটি মূর্তি প্রধান দেবতা আয়াপ্পার গর্ভগৃহের বাইরে স্থাপিত। আদালতের নিযুক্ত সবরিমালা স্পেশাল কমিশনারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে—ওই মূর্তি দুটির বহু অংশ থেকে সোনার আবরণ অদৃশ্য।

মন্দিরের নথি অনুযায়ী, ১৯৯৮-৯৯ সালে ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যর দান করা ৩০.২৯ কেজি সোনা ব্যবহার করে মূর্তি ও মন্দিরের দরজা, খিলান, স্তম্ভসহ বিভিন্ন অংশ সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে ত্রিবাঙ্কুর দেবাসম বোর্ড (টিডিবি) তখনকার সহকারী পুরোহিত উণ্ণিকৃষ্ণন পট্টিকে নতুন করে সোনা দিয়ে মোড়ানোর জন্য দ্বাররক্ষক মূর্তি দুটিকে মন্দিরের বাইরে নেওয়ার অনুমতি দেয়—যা একটি বিরল ঘটনা।

দুই মাস পর মূর্তি ফেরত এলেও ওজন মাপা হয়নি। পরে তদন্তে দেখা যায়, মূর্তিগুলো অনেক হালকা হয়ে গেছে। এসআইটি জানায়, মূর্তি, পাদমূর্তি ও দরজার ফ্রেম মিলিয়ে প্রায় ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম সোনা নিখোঁজ হয়েছে। আদালত এই ঘটনাকে ‘সোনা ডাকাতি’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

বিচারকেরা তীব্র ভাষায় টিডিবিকে দোষারোপ করেছেন। কারণ তারা মূর্তিগুলো ‘তামার ফলক’ হিসেবে রেকর্ডে দেখিয়েছিল। এমনকি উণ্ণিকৃষ্ণন পট্টিকে ৪৭৫ গ্রাম সোনা নিজের কাছে রাখার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। তিনি পরে ওই সোনা এক আত্মীয়ার বিয়েতে ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ইমেইল করেন। এই বিষয়টিকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আদালত।

অভিযুক্ত ও প্রতিক্রিয়া

উণ্ণিকৃষ্ণন পট্টিকে আদালতে হাজির করার পর বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়। বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, সত্য একদিন প্রকাশ পাবে।’

এদিকে পুলিশ আরও দুই বোর্ড কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

এই কেলেঙ্কারি ঘিরে কেরালায় রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়েছে। বিরোধী কংগ্রেস নেতা ভি ডি সতীসন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘প্রায় ৫ কেজি সোনা চুরি গেছে, এর সঙ্গে কর্মকর্তারাও জড়িত।’ তিনি মন্দির বিষয়ক মন্ত্রী ভি এন বাসাবানের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

মন্ত্রী বাসাবান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, ‘তদন্ত আদালতের নজরদারিতে চলছে, আমরা কিছুই লুকাব না।’

কেরালার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ছয় সপ্তাহের মধ্যেই এই তদন্ত শেষ করে দোষীদের পরিচয় বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রামা দুয়াজি শুধু মামদানির স্ত্রী নন, একজন প্রতিভাবান শিল্পীও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির পাশে তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি। ছবি: দ্য পিপল
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির পাশে তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি। ছবি: দ্য পিপল

সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।

বুধবার (৫ নভেম্বর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, রামার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে। ৯ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি দুবাইয়ে চলে যান। সেখানেই বড় হন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাতারের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের রিচমন্ড ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়ে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন।

রামা দুয়াজির শিল্পকর্ম মূলত কালো-সাদা রেখাচিত্রে নারীর প্রতিকৃতি, যেখানে দেখা যায় নারীসত্তা, অভিব্যক্তি ও বৈচিত্র্যের প্রতি গভীর মমতা। তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য নিউ ইয়র্কার, ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, অ্যাপল, স্পোটিফাই, ভাইস এবং টেট মডার্ন–এর মতো বিশ্বখ্যাত মাধ্যমগুলোতে। পাশাপাশি ভার্জিনিয়া ও বৈরুতে তাঁর একক প্রদর্শনী হয়েছে।

২০২১ সালে এক ডেটিং অ্যাপে রামা ও জোহরান মামদানির পরিচয় হয়। পরে তাঁদের প্রথম দেখা হয় ব্রুকলিনের একটি ইয়েমেনি কফিশপে। এভাবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। একপর্যায়ে তাঁরা লোয়ার ম্যানহাটনের আদালতে বিয়ে করেন। দুবাইয়ে তাঁদের বাগদান ও নিকাহ অনুষ্ঠানটি ছিল রূপকথার মতো। সূর্যাস্তের পটভূমিতে ফুল ও সবুজে সাজানো এক রোমান্টিক আবহ তৈরি করা হয়েছিল।

রামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে শিল্পকর্ম ও সামাজিক বিষয়ে বেশি সক্রিয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের প্রতি তাঁর অবস্থান বহুবার প্রকাশ পেয়েছে। ২০২১ সালে একটি ইলাস্ট্রেশনে তিনজন মানুষকে তিনি একসঙ্গে কনুই মিলিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখিয়েছিলেন, যার ওপরে আরবিতে লেখা ছিল—‘আমরা ছাড়ব না।’ গাজায় ক্ষুধা ও মানবিক সংকট নিয়েও তিনি সচেতনতা তৈরির কাজ করেছেন।

মাত্র ২৮ বছর বয়সে রামা হবেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসভবন গ্রেসি ম্যানসনে বসবাসকারী প্রথম জেনারেশন–জেড সদস্য। তবে জোহরান মামদানির ভাষায়, ‘রামা শুধু আমার স্ত্রী নন, তিনি একজন অসাধারণ শিল্পী, যিনি নিজের কাজ দিয়ে পরিচিত হওয়ার যোগ্য।’

করোনা মহামারির বেশ কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে দুবাইয়ে কাটিয়েছিলেন রামা। পরে নিউইয়র্কে স্থায়ী হন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নতুন শহরে এসেছিলাম, কাউকে চিনতাম না। তাই ইনস্টাগ্রামে দেখা সৃজনশীল মানুষদের বার্তা পাঠাতে শুরু করি। অবাক করা বিষয় হলো, নিউইয়র্কে মানুষ নতুন সম্পর্ক গড়ায় বেশ খোলা মন। এভাবেই আমি অনেক দারুণ আরব-আমেরিকান শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি।’

রামা দুয়াজি আজ শুধু নিউইয়র্কের মেয়রের স্ত্রী নন, বরং আধুনিক আরব নারীর এক সাহসী ও সৃজনশীল প্রতীক, যিনি শিল্পের মাধ্যমে নিজের শিকড় ও মানবিক দায়বদ্ধতা একসূত্রে বেঁধেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত