অনলাইন ডেস্ক
মাত্র ২৩ বছর বয়সে পারনিয়া আব্বাসি হয়ে উঠেছিলেন ইরানের উদীয়মান কবি। তবে পেশায় ছিলেন ইংরেজি শিক্ষিকা। রাজধানী তেহরানের সত্তারখানপাড়ার যে আবাসিক কমপ্লেক্সে পারনিয়া থাকতেন, গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি বোমা এসে পড়ে সেখানেই। পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের করে আনা হয় পারনিয়ার নিথর দেহ।
শুধু পারনিয়াই নন, সেদিন ইসরায়েলি বোমার আঘাতে তাঁর পুরো পরিবার নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর বাবা পারভিজ আব্বাসি ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক; মা মাসুমেহ শাহরিয়ারি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, আর ছোট ভাই পাহরাম আব্বাসি পড়তেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পারনিয়া আব্বাসি সমসাময়িক ইরানি কবিদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল কণ্ঠ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তাঁর লেখা গভীর ও আবেগঘন কবিতাগুলো ইরানের সাহিত্যজগতে প্রশংসিত হয়েছিল। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত কবিতাটির শিরোনাম বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘নিভে যাওয়া নক্ষত্র’। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ভজন-ই-দুনিয়া সাহিত্য পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যায়। মূলত এই সংখ্যায় জেনারেশন জেড-এর কবিদের নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
পত্রিকাটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পারনিয়া বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে যা কিছু ঘটে, আমি চেষ্টা করি সেগুলোকে লেখায় ধরতে—সেই মুহূর্তের অনুভূতিকে কবিতায় রূপ দিতে।’
পারনিয়ার লেখা ‘নিভে যাওয়া নক্ষত্র’ কবিতাটি যেন তাঁর জীবনের নামান্তর হয়ে গেছে। ফেসবুকে শত শত মানুষ কবিতাটি পোস্ট করছেন। কবিতাটির কয়েকটি লাইন এমন—
‘তুমি আর আমি
একদিন শেষ হয়ে যাব
কোথাও, কোনোখানে
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কবিতা
চুপ হয়ে যাবে।’
কবিতার পাশাপাশি পারনিয়া আব্বাসি পেশাগতভাবে ইংরেজি শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন এবং ব্যাংক মেল্লির প্রধান ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। তিনি কাজভিন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি অনুবাদ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর করতে ভর্তি হলেও কাজের জন্য তা মুলতবি রেখেছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বিমান হামলার লক্ষ্য ছিলেন ড. আবদুলহামিদ মিনুশেহর। তিনি ইরানের একজন পরমাণুবিজ্ঞানী ও বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একই ভবনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন পারনিয়া আব্বাসি।
পারনিয়াকে বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীরা স্মরণ করছেন ‘জীবন ও কবিতায় পরিপূর্ণ’ একজন মানুষ হিসেবে। তাঁর মৃত্যু ইরানের সাহিত্য ও সংস্কৃতি মহলে গভীর শোক আর ক্ষোভের ঢেউ তুলেছে। একদিকে যেমন বিজ্ঞানীদের মৃত্যুকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, তেমনি নিরীহ নাগরিক ও উদীয়মান শিল্পীদের প্রাণহানিও জাতীয় শোকে রূপ নিচ্ছে।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে পারনিয়া আব্বাসি হয়ে উঠেছিলেন ইরানের উদীয়মান কবি। তবে পেশায় ছিলেন ইংরেজি শিক্ষিকা। রাজধানী তেহরানের সত্তারখানপাড়ার যে আবাসিক কমপ্লেক্সে পারনিয়া থাকতেন, গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি বোমা এসে পড়ে সেখানেই। পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের করে আনা হয় পারনিয়ার নিথর দেহ।
শুধু পারনিয়াই নন, সেদিন ইসরায়েলি বোমার আঘাতে তাঁর পুরো পরিবার নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর বাবা পারভিজ আব্বাসি ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক; মা মাসুমেহ শাহরিয়ারি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, আর ছোট ভাই পাহরাম আব্বাসি পড়তেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পারনিয়া আব্বাসি সমসাময়িক ইরানি কবিদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল কণ্ঠ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তাঁর লেখা গভীর ও আবেগঘন কবিতাগুলো ইরানের সাহিত্যজগতে প্রশংসিত হয়েছিল। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত কবিতাটির শিরোনাম বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘নিভে যাওয়া নক্ষত্র’। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ভজন-ই-দুনিয়া সাহিত্য পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যায়। মূলত এই সংখ্যায় জেনারেশন জেড-এর কবিদের নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
পত্রিকাটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পারনিয়া বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে যা কিছু ঘটে, আমি চেষ্টা করি সেগুলোকে লেখায় ধরতে—সেই মুহূর্তের অনুভূতিকে কবিতায় রূপ দিতে।’
পারনিয়ার লেখা ‘নিভে যাওয়া নক্ষত্র’ কবিতাটি যেন তাঁর জীবনের নামান্তর হয়ে গেছে। ফেসবুকে শত শত মানুষ কবিতাটি পোস্ট করছেন। কবিতাটির কয়েকটি লাইন এমন—
‘তুমি আর আমি
একদিন শেষ হয়ে যাব
কোথাও, কোনোখানে
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কবিতা
চুপ হয়ে যাবে।’
কবিতার পাশাপাশি পারনিয়া আব্বাসি পেশাগতভাবে ইংরেজি শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন এবং ব্যাংক মেল্লির প্রধান ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। তিনি কাজভিন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি অনুবাদ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর করতে ভর্তি হলেও কাজের জন্য তা মুলতবি রেখেছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বিমান হামলার লক্ষ্য ছিলেন ড. আবদুলহামিদ মিনুশেহর। তিনি ইরানের একজন পরমাণুবিজ্ঞানী ও বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একই ভবনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন পারনিয়া আব্বাসি।
পারনিয়াকে বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীরা স্মরণ করছেন ‘জীবন ও কবিতায় পরিপূর্ণ’ একজন মানুষ হিসেবে। তাঁর মৃত্যু ইরানের সাহিত্য ও সংস্কৃতি মহলে গভীর শোক আর ক্ষোভের ঢেউ তুলেছে। একদিকে যেমন বিজ্ঞানীদের মৃত্যুকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, তেমনি নিরীহ নাগরিক ও উদীয়মান শিল্পীদের প্রাণহানিও জাতীয় শোকে রূপ নিচ্ছে।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৩ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৩ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৩ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে