Ajker Patrika

কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব, ৩ দিনে বিক্রি প্রায় ৩০ টন

অনলাইন ডেস্ক
কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব। ছবি: সংগৃহীত
কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের সৌক ওয়াকিফে চলমান ‘বাংলাদেশি আম উৎসব’ (আল-হামবা প্রদর্শনী) শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ সাড়া ফেলেছে। তিন দিনেই এই উৎসবে ২৯ টনের বেশি আম বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে ৩১ হাজার ৭০০ জন দর্শনার্থী সৌক ওয়াকিফে ভিড় করেছেন বাংলাদেশের আমের স্বাদ নিতে।

কাতারি সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সৌক ওয়াকিফ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, প্রথম দিনে ৮ হাজার ৭০০ কেজি আম বিক্রি হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে যথাক্রমে ১১ হাজার ৩০০ কেজি এবং ৯ হাজার ৭০০ কেজি আম বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে তিন দিনে মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭০০ কেজিতে। প্রথম দিনে ৭ হাজার দর্শনার্থী এসেছিলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এসেছেন যথাক্রমে ১২ হাজার ২০০ এবং ১২ হাজার ৫০০ জন।

আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। সৌক ওয়াকিফের পূর্ব স্কয়ারে আয়োজিত উৎসবে বাংলাদেশের ২০ ধরনের আম প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের (পিইও) সহযোগিতায় আয়োজিত এ উৎসবে রয়েছে নানা রকম আম ও বাংলাদেশ থেকে আনা বিভিন্ন ফলের পসরা।

উৎসবে বাংলাদেশের বিখ্যাত আমের মধ্যে রয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, কাটিমন, ক্ষীরসাপাত, ফজলি, গোবিন্দভোগ, হাঁড়িভাঙা, লেইম ম্যাঙ্গো, কলা আম, হিমসাগর ও লক্ষণভোগ। এ ছাড়া লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, পেয়ারা, বুবি (বাকাউরিয়া মোটলেয়ানা) এবং আনারসও রয়েছে বিক্রির জন্য। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকে। তবে সরকারি ছুটির দিনে সময় বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কাতারে এসেছেন শুধু এই উৎসবে অংশ নিতে। বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা উচ্চমানের ফল এই উৎসবে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের আমের মৌসুমের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে। লক্ষ্য হলো অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করা এবং উচ্চমানের পণ্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখা।

বাংলাদেশ দূতাবাস ও উৎসব উদ্‌যাপন কমিটির যৌথ পরিকল্পনায় আয়োজিত এ উৎসবটি বাংলাদেশি ও স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে একটি আলাদা বাণিজ্যিক পরিবেশে নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে। প্রদর্শনীস্থলে পণ্য সতেজ রাখতে এবং দর্শনার্থীদের আরাম নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত