নারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ইরানে একটি নতুন নৈতিকতা আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, বাধ্যতামূলক ‘হিজাব আইন’ ভাঙার শাস্তি হতে পারে ১৫ বছরের কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘শালীনতা ও হিজাব সংস্কৃতি’ প্রচারের উদ্দেশ্যে পাস করা এই আইনে বলা হয়েছে, যারা নগ্নতা, অশালীনতা বা অশ্লীল পোশাকের প্রচার করবে, তাদের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ হাজার ৫০০ ইউরো জরিমানা হতে পারে। এ ছাড়া যারা বিদেশি গণমাধ্যম বা সংগঠনকে হিজাব আইন ভাঙার প্রমাণ দাখিল করবে, তারাও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে।
ইরানের ইসলামিক দণ্ডবিধি আইনের ২৯৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এ ধরনের অপরাধে ‘পৃথিবীতে ভ্রান্তি’ ছড়ানোর অভিযোগ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এর অর্থ, নারীরা যদি হিজাববিহীন ছবি বা ভিডিও বিদেশি গণমাধ্যমে পাঠান, তবে তাদেরও মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিষয়টিকে নারীদের প্রতি নিপীড়নের নতুন মাত্রা বলে আখ্যায়িত করেছে। সংগঠনটি বলেছে, এই আইন কার্যত নারীদের স্বাধীনতাকে দমন করার জন্য তৈরি। আইনটি এমন ব্যক্তিদের আইনি সুরক্ষা দেয়, যারা নারীদের ওপর ‘ধর্মীয় দায়িত্ব’ হিসেবে হিজাব পরা বাধ্য করতে চায়।
ইরানি মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী সাঈদ দেহগান বলেছেন, ‘এই আইন ইরানের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব করছে।’
২০২২ সালে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর পর থেকেই নারীরা প্রকাশ্যে বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
ইরানে নারীদের গাড়ি চালানোর সময় হিজাব না পরলে জরিমানা করা হচ্ছে এবং তাদের গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, নতুন এই আইন দিয়ে আসলে ‘হত্যা’কে বৈধ করা হচ্ছে।
ইরানি মানবাধিকার কর্মী নাজনিন আফশিন-জাম বলেছেন, ‘এই আইন নারীদের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ। যদি আন্তর্জাতিক চাপ না থাকে, তবে এই দমনমূলক ব্যবস্থা আরও বাড়বে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন, এটি সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
ইরানের নতুন এই নৈতিকতার আইন শুধু নারীদের জীবনকেই কঠিন করবে না, বরং এটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন এই আইন কার্যকরের প্রভাবের দিকে।
নারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ইরানে একটি নতুন নৈতিকতা আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, বাধ্যতামূলক ‘হিজাব আইন’ ভাঙার শাস্তি হতে পারে ১৫ বছরের কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘শালীনতা ও হিজাব সংস্কৃতি’ প্রচারের উদ্দেশ্যে পাস করা এই আইনে বলা হয়েছে, যারা নগ্নতা, অশালীনতা বা অশ্লীল পোশাকের প্রচার করবে, তাদের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ হাজার ৫০০ ইউরো জরিমানা হতে পারে। এ ছাড়া যারা বিদেশি গণমাধ্যম বা সংগঠনকে হিজাব আইন ভাঙার প্রমাণ দাখিল করবে, তারাও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে।
ইরানের ইসলামিক দণ্ডবিধি আইনের ২৯৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এ ধরনের অপরাধে ‘পৃথিবীতে ভ্রান্তি’ ছড়ানোর অভিযোগ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এর অর্থ, নারীরা যদি হিজাববিহীন ছবি বা ভিডিও বিদেশি গণমাধ্যমে পাঠান, তবে তাদেরও মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিষয়টিকে নারীদের প্রতি নিপীড়নের নতুন মাত্রা বলে আখ্যায়িত করেছে। সংগঠনটি বলেছে, এই আইন কার্যত নারীদের স্বাধীনতাকে দমন করার জন্য তৈরি। আইনটি এমন ব্যক্তিদের আইনি সুরক্ষা দেয়, যারা নারীদের ওপর ‘ধর্মীয় দায়িত্ব’ হিসেবে হিজাব পরা বাধ্য করতে চায়।
ইরানি মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী সাঈদ দেহগান বলেছেন, ‘এই আইন ইরানের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব করছে।’
২০২২ সালে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর পর থেকেই নারীরা প্রকাশ্যে বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
ইরানে নারীদের গাড়ি চালানোর সময় হিজাব না পরলে জরিমানা করা হচ্ছে এবং তাদের গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, নতুন এই আইন দিয়ে আসলে ‘হত্যা’কে বৈধ করা হচ্ছে।
ইরানি মানবাধিকার কর্মী নাজনিন আফশিন-জাম বলেছেন, ‘এই আইন নারীদের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ। যদি আন্তর্জাতিক চাপ না থাকে, তবে এই দমনমূলক ব্যবস্থা আরও বাড়বে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন, এটি সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
ইরানের নতুন এই নৈতিকতার আইন শুধু নারীদের জীবনকেই কঠিন করবে না, বরং এটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন এই আইন কার্যকরের প্রভাবের দিকে।
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৪ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
৫ ঘণ্টা আগে