আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা চলতি সপ্তাহে আরও তীব্র হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার আরও ৯টি শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে। এ নিয়ে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পুষ্টিহীনতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২২-এ পৌঁছাল।
ইসরায়েল গাজায় সমস্ত সরবরাহের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা দাবি করেছে, সাহায্য প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। অপুষ্টির জন্য হামাসকেই দায়ী করছে তারা।
গতকাল একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় বিমানযোগে সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো এর আগে সতর্ক করেছিল, গাজায় ত্রাণ কার্যকর উপায় এটি নয়। স্থানীয় গণমাধ্যম সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে খবর দিলেও, জর্ডানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের কাছ থেকে এখনো অনুমতি পায়নি। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলি সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার প্রতি একটি বিভ্রান্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের প্রতি ‘অবিলম্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে। এ যৌথ বিবৃতিতে তারা গাজায় চলমান ‘মানবিক বিপর্যয়’ এবং যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বেসামরিক জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা আটকে রাখা অগ্রহণযোগ্য।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মধ্যে তিনি যে উদাসীনতা এবং নিষ্ক্রিয়তা দেখছেন, সহানুভূতি, সত্য এবং মানবতার অভাব দেখছেন—তা ব্যাখ্যা করা যায় না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দিতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, ২৭ মে থেকে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে।
২০২৫ সালের মে ও জুন মাসে জিএইচএফ-এ কাজ করা একজন মার্কিন নিরাপত্তা ঠিকাদার শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ‘নিঃসন্দেহে...যুদ্ধাপরাধ প্রত্যক্ষ করেছেন’। অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, তিনি দেখেছেন যে আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদাররা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি, কামান, মর্টার শেল এবং ট্যাংকের গোলা ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার পুরো কর্মজীবনে, আমি গাজায় আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদারদের হাতে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে এমন বর্বরতা এবং নির্বিচার ও অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ কখনো দেখিনি।’
এদিকে, নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দলকে কাতার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস ‘আসলে কোনো চুক্তি করতে চায়নি’। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা মরতে চায়।’
হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। একজন জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা বিবিসির গাজা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছে, আলোচনা ভেস্তে যায়নি এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে দোহায় ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে। ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। নিহতদের বেশির ভাগই সামরিক বাহিনীর সদস্য। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই সময় থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল গত মার্চের শুরুতে ত্রাণ সরবরাহে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। দুই সপ্তাহ পরেই দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি অভিযানে গাজার বেশির ভাগ বাসিন্দা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ঘোষণা করেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে তারা। এই পদক্ষেপ ইসরায়েল এবং তার প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে। এর একদিন পর, যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠিতে যুক্তরাজ্যকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ শিগগিরই নিচ্ছেন না তিনি। তাঁর ভাষায় এটি ‘একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে হবে’।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা চলতি সপ্তাহে আরও তীব্র হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার আরও ৯টি শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে। এ নিয়ে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পুষ্টিহীনতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২২-এ পৌঁছাল।
ইসরায়েল গাজায় সমস্ত সরবরাহের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা দাবি করেছে, সাহায্য প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। অপুষ্টির জন্য হামাসকেই দায়ী করছে তারা।
গতকাল একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় বিমানযোগে সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো এর আগে সতর্ক করেছিল, গাজায় ত্রাণ কার্যকর উপায় এটি নয়। স্থানীয় গণমাধ্যম সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে খবর দিলেও, জর্ডানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের কাছ থেকে এখনো অনুমতি পায়নি। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলি সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার প্রতি একটি বিভ্রান্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের প্রতি ‘অবিলম্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে। এ যৌথ বিবৃতিতে তারা গাজায় চলমান ‘মানবিক বিপর্যয়’ এবং যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বেসামরিক জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা আটকে রাখা অগ্রহণযোগ্য।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মধ্যে তিনি যে উদাসীনতা এবং নিষ্ক্রিয়তা দেখছেন, সহানুভূতি, সত্য এবং মানবতার অভাব দেখছেন—তা ব্যাখ্যা করা যায় না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দিতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, ২৭ মে থেকে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে।
২০২৫ সালের মে ও জুন মাসে জিএইচএফ-এ কাজ করা একজন মার্কিন নিরাপত্তা ঠিকাদার শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ‘নিঃসন্দেহে...যুদ্ধাপরাধ প্রত্যক্ষ করেছেন’। অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, তিনি দেখেছেন যে আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদাররা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি, কামান, মর্টার শেল এবং ট্যাংকের গোলা ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার পুরো কর্মজীবনে, আমি গাজায় আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদারদের হাতে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে এমন বর্বরতা এবং নির্বিচার ও অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ কখনো দেখিনি।’
এদিকে, নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দলকে কাতার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস ‘আসলে কোনো চুক্তি করতে চায়নি’। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা মরতে চায়।’
হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। একজন জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা বিবিসির গাজা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছে, আলোচনা ভেস্তে যায়নি এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে দোহায় ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে। ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। নিহতদের বেশির ভাগই সামরিক বাহিনীর সদস্য। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই সময় থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল গত মার্চের শুরুতে ত্রাণ সরবরাহে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। দুই সপ্তাহ পরেই দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি অভিযানে গাজার বেশির ভাগ বাসিন্দা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ঘোষণা করেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে তারা। এই পদক্ষেপ ইসরায়েল এবং তার প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে। এর একদিন পর, যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠিতে যুক্তরাজ্যকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ শিগগিরই নিচ্ছেন না তিনি। তাঁর ভাষায় এটি ‘একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে হবে’।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা চলতি সপ্তাহে আরও তীব্র হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার আরও ৯টি শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে। এ নিয়ে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পুষ্টিহীনতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২২-এ পৌঁছাল।
ইসরায়েল গাজায় সমস্ত সরবরাহের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা দাবি করেছে, সাহায্য প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। অপুষ্টির জন্য হামাসকেই দায়ী করছে তারা।
গতকাল একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় বিমানযোগে সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো এর আগে সতর্ক করেছিল, গাজায় ত্রাণ কার্যকর উপায় এটি নয়। স্থানীয় গণমাধ্যম সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে খবর দিলেও, জর্ডানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের কাছ থেকে এখনো অনুমতি পায়নি। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলি সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার প্রতি একটি বিভ্রান্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের প্রতি ‘অবিলম্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে। এ যৌথ বিবৃতিতে তারা গাজায় চলমান ‘মানবিক বিপর্যয়’ এবং যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বেসামরিক জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা আটকে রাখা অগ্রহণযোগ্য।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মধ্যে তিনি যে উদাসীনতা এবং নিষ্ক্রিয়তা দেখছেন, সহানুভূতি, সত্য এবং মানবতার অভাব দেখছেন—তা ব্যাখ্যা করা যায় না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দিতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, ২৭ মে থেকে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে।
২০২৫ সালের মে ও জুন মাসে জিএইচএফ-এ কাজ করা একজন মার্কিন নিরাপত্তা ঠিকাদার শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ‘নিঃসন্দেহে...যুদ্ধাপরাধ প্রত্যক্ষ করেছেন’। অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, তিনি দেখেছেন যে আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদাররা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি, কামান, মর্টার শেল এবং ট্যাংকের গোলা ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার পুরো কর্মজীবনে, আমি গাজায় আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদারদের হাতে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে এমন বর্বরতা এবং নির্বিচার ও অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ কখনো দেখিনি।’
এদিকে, নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দলকে কাতার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস ‘আসলে কোনো চুক্তি করতে চায়নি’। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা মরতে চায়।’
হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। একজন জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা বিবিসির গাজা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছে, আলোচনা ভেস্তে যায়নি এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে দোহায় ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে। ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। নিহতদের বেশির ভাগই সামরিক বাহিনীর সদস্য। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই সময় থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল গত মার্চের শুরুতে ত্রাণ সরবরাহে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। দুই সপ্তাহ পরেই দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি অভিযানে গাজার বেশির ভাগ বাসিন্দা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ঘোষণা করেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে তারা। এই পদক্ষেপ ইসরায়েল এবং তার প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে। এর একদিন পর, যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠিতে যুক্তরাজ্যকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ শিগগিরই নিচ্ছেন না তিনি। তাঁর ভাষায় এটি ‘একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে হবে’।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা চলতি সপ্তাহে আরও তীব্র হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার আরও ৯টি শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে। এ নিয়ে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পুষ্টিহীনতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২২-এ পৌঁছাল।
ইসরায়েল গাজায় সমস্ত সরবরাহের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা দাবি করেছে, সাহায্য প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। অপুষ্টির জন্য হামাসকেই দায়ী করছে তারা।
গতকাল একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় বিমানযোগে সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো এর আগে সতর্ক করেছিল, গাজায় ত্রাণ কার্যকর উপায় এটি নয়। স্থানীয় গণমাধ্যম সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডান এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে খবর দিলেও, জর্ডানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের কাছ থেকে এখনো অনুমতি পায়নি। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলি সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার প্রতি একটি বিভ্রান্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের প্রতি ‘অবিলম্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে। এ যৌথ বিবৃতিতে তারা গাজায় চলমান ‘মানবিক বিপর্যয়’ এবং যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বেসামরিক জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা আটকে রাখা অগ্রহণযোগ্য।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মধ্যে তিনি যে উদাসীনতা এবং নিষ্ক্রিয়তা দেখছেন, সহানুভূতি, সত্য এবং মানবতার অভাব দেখছেন—তা ব্যাখ্যা করা যায় না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দিতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, ২৭ মে থেকে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে।
২০২৫ সালের মে ও জুন মাসে জিএইচএফ-এ কাজ করা একজন মার্কিন নিরাপত্তা ঠিকাদার শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ‘নিঃসন্দেহে...যুদ্ধাপরাধ প্রত্যক্ষ করেছেন’। অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক অ্যান্থনি আগুইলার বলেন, তিনি দেখেছেন যে আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদাররা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি, কামান, মর্টার শেল এবং ট্যাংকের গোলা ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘আমার পুরো কর্মজীবনে, আমি গাজায় আইডিএফ এবং মার্কিন ঠিকাদারদের হাতে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে এমন বর্বরতা এবং নির্বিচার ও অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ কখনো দেখিনি।’
এদিকে, নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দলকে কাতার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস ‘আসলে কোনো চুক্তি করতে চায়নি’। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা মরতে চায়।’
হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। একজন জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা বিবিসির গাজা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছে, আলোচনা ভেস্তে যায়নি এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে দোহায় ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে। ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। নিহতদের বেশির ভাগই সামরিক বাহিনীর সদস্য। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই সময় থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল গত মার্চের শুরুতে ত্রাণ সরবরাহে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। দুই সপ্তাহ পরেই দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি অভিযানে গাজার বেশির ভাগ বাসিন্দা একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ঘোষণা করেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে তারা। এই পদক্ষেপ ইসরায়েল এবং তার প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে। এর একদিন পর, যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠিতে যুক্তরাজ্যকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ শিগগিরই নিচ্ছেন না তিনি। তাঁর ভাষায় এটি ‘একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে হবে’।

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৩৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। ব্রিটিশ আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ডেভি ও টারনেসের পদত্যাগ বিবিসিতে পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসির ইতিহাসে একই দিনে মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।
রোববার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টিম ডেভি বলেন, ‘সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সব সময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। বর্তমান বিতর্কই আমার পদত্যাগের একমাত্র কারণ নয়, তবে তা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিবিসি সামগ্রিকভাবে ভালো করছে, কিন্তু কিছু ভুল হয়েছে, যার দায় আমাকে নিতেই হবে।’
ডেবোরা টারনেস রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, প্যানোরামা বিতর্ক এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যা বিবিসির ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতিষ্ঠানে নেতাদের পূর্ণ জবাবদিহি থাকতে হয়। তাই আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। কিছু ভুল হয়েছে, তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই—বিবিসি নিউজ প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট—এই অভিযোগ সঠিক নয়।’ টারনেস গত তিন বছর ধরে বিবিসির নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রকাশিত নথিতে আরও বলা হয়, বিবিসি আরবির ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধসংক্রান্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’র কথাও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন ‘শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ ও ‘প্রচারযন্ত্র।’ সম্প্রতি সম্প্রচারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নথি অনুসারে, অনুষ্ঠানটি দুইটি ভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে দেখিয়েছে, যেন ট্রাম্প সমর্থকদের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার আগে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং তাঁদের ‘প্রাণপণে লড়তে’ বলছেন। কিন্তু ভাষণের যে অংশে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও দেশপ্রেমিকের মতো নিজেদের মত প্রকাশের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল। ভাষণের এই দুই অংশ মূলত প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিল।

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। ব্রিটিশ আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ডেভি ও টারনেসের পদত্যাগ বিবিসিতে পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসির ইতিহাসে একই দিনে মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।
রোববার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টিম ডেভি বলেন, ‘সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সব সময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। বর্তমান বিতর্কই আমার পদত্যাগের একমাত্র কারণ নয়, তবে তা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিবিসি সামগ্রিকভাবে ভালো করছে, কিন্তু কিছু ভুল হয়েছে, যার দায় আমাকে নিতেই হবে।’
ডেবোরা টারনেস রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, প্যানোরামা বিতর্ক এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যা বিবিসির ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতিষ্ঠানে নেতাদের পূর্ণ জবাবদিহি থাকতে হয়। তাই আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। কিছু ভুল হয়েছে, তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই—বিবিসি নিউজ প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট—এই অভিযোগ সঠিক নয়।’ টারনেস গত তিন বছর ধরে বিবিসির নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রকাশিত নথিতে আরও বলা হয়, বিবিসি আরবির ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধসংক্রান্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’র কথাও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন ‘শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ ও ‘প্রচারযন্ত্র।’ সম্প্রতি সম্প্রচারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নথি অনুসারে, অনুষ্ঠানটি দুইটি ভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে দেখিয়েছে, যেন ট্রাম্প সমর্থকদের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার আগে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং তাঁদের ‘প্রাণপণে লড়তে’ বলছেন। কিন্তু ভাষণের যে অংশে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও দেশপ্রেমিকের মতো নিজেদের মত প্রকাশের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল। ভাষণের এই দুই অংশ মূলত প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
২৬ জুলাই ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার আবারও আমেরিকান নাগরিকদের ২ হাজার ডলার করে ‘ডিভিডেন্ড’ বা ‘লভ্যাংশ’ দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ অর্থ আসবে এই বছর শুল্ক থেকে সরকারের তোলা বিলিয়ন ডলার রাজস্ব থেকে। বিষয়টি তিনি বহুবার বলেছেন, কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করেননি।
ট্রাম্প আবারও তাঁর শুল্কনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন এমন এক সময়, যখন বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বড় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বড় ধাক্কা লেগেছে। যেখানে ভোটাররা মূল্যস্ফীতির জন্য তাদের দায়ী করেছেন, যা আংশিকভাবে ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ফল।
ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমরা ট্রিলিয়ন ডলার আয় করছি এবং শিগগিরই ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণ পরিশোধ শুরু করব। যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড বিনিয়োগ হচ্ছে, নতুন কারখানা গড়ে উঠছে সর্বত্র।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রত্যেকের জন্য অন্তত ২ হাজার ডলারের একটি ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে (অবশ্যই উচ্চ আয়ের মানুষ ছাড়া)।’
এর আগে, এই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের বেশির ভাগ শুল্ক আইনগতভাবে বৈধ কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়। বিচারপতিরা শুনানিতে ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁরা ইঙ্গিত দেন, এই শুল্ক আসলে রাজস্ব সংগ্রহের এক প্রকার করের মতো কাজ করেছে—বাণিজ্য ভারসাম্যজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে নয়।
যদি আদালত শেষ পর্যন্ত রায় দেয় যে এসব শুল্ক অবৈধ ছিল, তাহলে সরকারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আমদানিকারকদের ফেরত দিতে হতে পারে। রোববার এবিসি নিউজের দিস উইক—অনুষ্ঠানে ট্রেজারি সচিব বা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, শুল্কের উদ্দেশ্য রাজস্ব আদায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভারসাম্য আনা।
ট্রাম্প এই বছর একাধিকবার এমন ‘শুল্ক ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি নির্দিষ্টভাবে ২ হাজার ডলার পরিমাণের কথাই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কবে এই শুল্ক মামলার রায় দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদি আদালত শুল্ক বহাল রাখে, তাহলে নতুন প্রশ্ন উঠবে—এই ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুমোদন আদৌ আছে কি না, কারা এটি পাবেন, আর এতে সরকারের ঋণ পরিশোধের প্রচেষ্টায় কতটা প্রভাব পড়বে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার আবারও আমেরিকান নাগরিকদের ২ হাজার ডলার করে ‘ডিভিডেন্ড’ বা ‘লভ্যাংশ’ দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ অর্থ আসবে এই বছর শুল্ক থেকে সরকারের তোলা বিলিয়ন ডলার রাজস্ব থেকে। বিষয়টি তিনি বহুবার বলেছেন, কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করেননি।
ট্রাম্প আবারও তাঁর শুল্কনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন এমন এক সময়, যখন বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বড় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বড় ধাক্কা লেগেছে। যেখানে ভোটাররা মূল্যস্ফীতির জন্য তাদের দায়ী করেছেন, যা আংশিকভাবে ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ফল।
ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমরা ট্রিলিয়ন ডলার আয় করছি এবং শিগগিরই ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল ঋণ পরিশোধ শুরু করব। যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড বিনিয়োগ হচ্ছে, নতুন কারখানা গড়ে উঠছে সর্বত্র।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রত্যেকের জন্য অন্তত ২ হাজার ডলারের একটি ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে (অবশ্যই উচ্চ আয়ের মানুষ ছাড়া)।’
এর আগে, এই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের বেশির ভাগ শুল্ক আইনগতভাবে বৈধ কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়। বিচারপতিরা শুনানিতে ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁরা ইঙ্গিত দেন, এই শুল্ক আসলে রাজস্ব সংগ্রহের এক প্রকার করের মতো কাজ করেছে—বাণিজ্য ভারসাম্যজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসেবে নয়।
যদি আদালত শেষ পর্যন্ত রায় দেয় যে এসব শুল্ক অবৈধ ছিল, তাহলে সরকারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আমদানিকারকদের ফেরত দিতে হতে পারে। রোববার এবিসি নিউজের দিস উইক—অনুষ্ঠানে ট্রেজারি সচিব বা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, শুল্কের উদ্দেশ্য রাজস্ব আদায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভারসাম্য আনা।
ট্রাম্প এই বছর একাধিকবার এমন ‘শুল্ক ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি নির্দিষ্টভাবে ২ হাজার ডলার পরিমাণের কথাই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কবে এই শুল্ক মামলার রায় দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদি আদালত শুল্ক বহাল রাখে, তাহলে নতুন প্রশ্ন উঠবে—এই ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুমোদন আদৌ আছে কি না, কারা এটি পাবেন, আর এতে সরকারের ঋণ পরিশোধের প্রচেষ্টায় কতটা প্রভাব পড়বে।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
২৬ জুলাই ২০২৫
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৩৪ মিনিট আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
একদল মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমঝোতার পর এই অগ্রগতি এসেছে। শর্ত হলো—রিপাবলিকানরা আগামী ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি নিয়ে উত্থাপিত বিলে যদি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটরা এই তহবিলের বিলে ভোট দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই তহবিল প্যাকেজে কিছু সরকারি খাত—যেমন খাদ্য সহায়তা ও আইনসভা শাখার অর্থায়ন—চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চালু রাখার বিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজের পক্ষে আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর ভোট দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের ফলে সিনেট এখন অচলাবস্থা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এটিকে ক্লোচার ভোট বলা হয়। এর মাধ্যমে সিনেট সম্মত হয়েছে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং সরকার পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে।’
হান্না আরও বলেন, ‘ক্লোচার ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এটি একবার ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে পরবর্তী সব ভোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেওয়া যায়। অর্থাৎ, সিনেটে এখন বিল ও অর্থায়ন প্রস্তাব পাস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।’
তবে এই সংশোধিত প্যাকেজটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সরকার শাটডাউন অবসানের খুব কাছাকাছি।’
বর্তমানে টানা ৪০ দিন ধরে চলা এই অচলাবস্থার কারণে হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে গেছেন এবং লাখো আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
একদল মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমঝোতার পর এই অগ্রগতি এসেছে। শর্ত হলো—রিপাবলিকানরা আগামী ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি নিয়ে উত্থাপিত বিলে যদি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটরা এই তহবিলের বিলে ভোট দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই তহবিল প্যাকেজে কিছু সরকারি খাত—যেমন খাদ্য সহায়তা ও আইনসভা শাখার অর্থায়ন—চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চালু রাখার বিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজের পক্ষে আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর ভোট দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের ফলে সিনেট এখন অচলাবস্থা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এটিকে ক্লোচার ভোট বলা হয়। এর মাধ্যমে সিনেট সম্মত হয়েছে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং সরকার পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে।’
হান্না আরও বলেন, ‘ক্লোচার ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এটি একবার ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে পরবর্তী সব ভোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেওয়া যায়। অর্থাৎ, সিনেটে এখন বিল ও অর্থায়ন প্রস্তাব পাস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।’
তবে এই সংশোধিত প্যাকেজটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সরকার শাটডাউন অবসানের খুব কাছাকাছি।’
বর্তমানে টানা ৪০ দিন ধরে চলা এই অচলাবস্থার কারণে হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে গেছেন এবং লাখো আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
২৬ জুলাই ২০২৫
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৩৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। শুক্র থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা হামলায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করা হয়, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই হামলাগুলো দেশটির একাধিক শহরে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সেন্টনেনার্গো জানিয়েছে, এতে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে গেছে।
ইউক্রেনার্গো বলেছে, মেরামতের কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও কিয়েভ, দিনিপ্রোপেত্রভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পোলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলতে পারে বলে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি উপমন্ত্রী সভিতলানা গ্রিনচুক।
তিনি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইউনাইটেড নিউজকে বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এত বেশি সরাসরি জ্বালানি স্থাপনায় আঘাতের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। এসব উপকেন্দ্র খমেলনিতস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে; যেগুলো লুতস্ক শহর থেকে যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিবিহা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের পারমাণবিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরসের জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানাই, যাতে এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত; যারা ঐতিহ্যগতভাবে রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা যেন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই আক্রমণ বন্ধে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা ইউক্রেনকে শীতের আগে তীব্র তাপ সরবরাহ সংকটে ফেলতে পারে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রুশ আগ্রাসনে দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি কোম্পানি নাফতোগাজ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তের হামলা অক্টোবরের শুরু থেকে নবম বৃহৎ গ্যাস অবকাঠামো আক্রমণ।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের অর্ধেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেক্সান্দর খারচেঙ্কো বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কিয়েভের দুটি প্রধান বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ কেন্দ্র টানা তিন দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকে এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ ঘটবে।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে ইউক্রেনও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেল মজুত কেন্দ্র ও শোধনাগারে হামলা জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মস্কোর জ্বালানি রপ্তানি ব্যাহত করা এবং দেশজুড়ে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি করাই কিয়েভের লক্ষ্য।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। শুক্র থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা হামলায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করা হয়, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই হামলাগুলো দেশটির একাধিক শহরে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সেন্টনেনার্গো জানিয়েছে, এতে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে গেছে।
ইউক্রেনার্গো বলেছে, মেরামতের কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও কিয়েভ, দিনিপ্রোপেত্রভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পোলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলতে পারে বলে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি উপমন্ত্রী সভিতলানা গ্রিনচুক।
তিনি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইউনাইটেড নিউজকে বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এত বেশি সরাসরি জ্বালানি স্থাপনায় আঘাতের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। এসব উপকেন্দ্র খমেলনিতস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে; যেগুলো লুতস্ক শহর থেকে যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিবিহা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের পারমাণবিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরসের জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানাই, যাতে এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত; যারা ঐতিহ্যগতভাবে রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা যেন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই আক্রমণ বন্ধে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা ইউক্রেনকে শীতের আগে তীব্র তাপ সরবরাহ সংকটে ফেলতে পারে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রুশ আগ্রাসনে দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি কোম্পানি নাফতোগাজ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তের হামলা অক্টোবরের শুরু থেকে নবম বৃহৎ গ্যাস অবকাঠামো আক্রমণ।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের অর্ধেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেক্সান্দর খারচেঙ্কো বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কিয়েভের দুটি প্রধান বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ কেন্দ্র টানা তিন দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকে এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ ঘটবে।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে ইউক্রেনও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেল মজুত কেন্দ্র ও শোধনাগারে হামলা জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মস্কোর জ্বালানি রপ্তানি ব্যাহত করা এবং দেশজুড়ে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি করাই কিয়েভের লক্ষ্য।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, পুষ্টিহীনতা দ্রুত বাড়ছে এবং ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
২৬ জুলাই ২০২৫
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৩৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সব নাগরিককে ২০০০ ডলার করে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর যে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তা থেকে অর্জিত অর্থ থেকে এই ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে