আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতাল। এই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি, দুটি, তিনটি নয়; অনেক লাশের সারি। হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন স্থানে কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে লাশ। গাজার আরেক এলাকা আল নাসের হাসপাতালের মর্গের পাশে দেখা গেল আরেক চিত্র। সেখানে জানাজা পড়ানো হচ্ছে। তবে একজনের নয়। একসঙ্গে পাঁচজনের জানাজা হচ্ছে সেখানে।
এসব দৃশ্যই গতকাল মঙ্গলবারের। যুদ্ধবিরতি ভেঙে হঠাৎ গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজায় হামাস সরকারের নেতারাও রয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ভাঙার জন্য ইসরায়েল দোষ চাপিয়েছে হামাসের ওপর। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতির বিচার থেকে বাঁচতে এবং পার্লামেন্টে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে এই হামলা চালিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে নিহত হয়েছিল ১ হাজারের বেশি ইসরায়েলি। আর দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করেছিল হামাস। এর পাল্টা হিসেবে সেদিনই হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই যুদ্ধ হামাসের বিরুদ্ধে। তাদের গাজা থেকে সমূলে উৎপাটন করা হবে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সেই হামলা এখনো চলছে। তবে আইডিএফের হামলায় শুধু হামাসের যোদ্ধারা মারা যাচ্ছেন, এমনটা নয়। যুদ্ধ শুরুর পর ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর অধিকাংশই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক।
যে কারণে হামলা
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারিতে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়। ১৯ জানুয়ারি থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত সোমবার দিবাগত রাতে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেশ কিছু কারণে ইসরায়েল হামলা শুরু করেছে। একটি কারণ হিসেবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা চাইছে হামাসের হাতে বন্দী সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দিতে হবে। এই শর্ত না মানায় আইডিএফ হামলা শুরু করেছে। তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবি খারিজ করেছে। তারা বলছে, এখন যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ঢোকার কথা। এই ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার কথা। তবে আইডিএফ এই নিয়ন্ত্রণ ছাড়বে না বলে হামলা শুরু করেছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া এবং আইডিএফ সদস্যদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার পর নতুন করে যোদ্ধা নিয়োগ দেওয়া শুরু করে হামাস। তবে ইসরায়েল চাইছে না, হামাস তার শক্তি ফেরত পাক।
যুদ্ধবিরতি ভাঙার আরেকটি কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের এই অভিযান বা নতুন করে হামলা শুরুর পেছনে ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আর এ কারণেই হামলা শুরু করেছে আইডিএফ।
এর বাইরে নেতানিয়াহুর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার বিষয়টিও রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্টে ভোট হবে। এই ভোটে কট্টর ডানপন্থীদের সমর্থন পেতে হামলা শুরু করেছেন তিনি। অন্য দিকে আরেক কারণ হলো দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিচার চলছে। গতকাল মঙ্গলবার এই মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল নেতানিয়াহুর। এই মামলায় সাজা হলে তাঁকে জেলে যেতে হবে। তবে হামলা চালানোর পর এই বিচারে অংশ নিচ্ছেন না নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধ নতুন করে শুরু হওয়ায় তিনি আদালতে হাজির হননি।
হামাস নেতারা নিহত
আইডিএফ জানিয়েছিল, তারা হামাসের অবস্থান লক্ষ করে হামলা চালিয়েছে। হামলার পর হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় গাজায় তাদের সরকারের প্রধান এসাম আল-দালিস মারা গেছেন। এ ছাড়া সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং গাজার নিরাপত্তা বিভাগের মহারিচালক আবু সুলতান নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির পর আশ্রয় শিবির থেকে নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছিল গাজাবাসী। গতকাল আইডিএফের হামলা শুরুর পর আবারও আশ্রয়শিবিরে ফিরে যাচ্ছে তারা। গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপির একাধিক ছবিতে দেখা যায়, নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আবারও আশ্রয়শিবিরের দিকে রওনা হয়েছে অনেকে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই হামলা নিয়ে নীবর রয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতাল। এই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি, দুটি, তিনটি নয়; অনেক লাশের সারি। হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন স্থানে কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে লাশ। গাজার আরেক এলাকা আল নাসের হাসপাতালের মর্গের পাশে দেখা গেল আরেক চিত্র। সেখানে জানাজা পড়ানো হচ্ছে। তবে একজনের নয়। একসঙ্গে পাঁচজনের জানাজা হচ্ছে সেখানে।
এসব দৃশ্যই গতকাল মঙ্গলবারের। যুদ্ধবিরতি ভেঙে হঠাৎ গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজায় হামাস সরকারের নেতারাও রয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ভাঙার জন্য ইসরায়েল দোষ চাপিয়েছে হামাসের ওপর। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতির বিচার থেকে বাঁচতে এবং পার্লামেন্টে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে এই হামলা চালিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে নিহত হয়েছিল ১ হাজারের বেশি ইসরায়েলি। আর দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করেছিল হামাস। এর পাল্টা হিসেবে সেদিনই হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই যুদ্ধ হামাসের বিরুদ্ধে। তাদের গাজা থেকে সমূলে উৎপাটন করা হবে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সেই হামলা এখনো চলছে। তবে আইডিএফের হামলায় শুধু হামাসের যোদ্ধারা মারা যাচ্ছেন, এমনটা নয়। যুদ্ধ শুরুর পর ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর অধিকাংশই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক।
যে কারণে হামলা
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারিতে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়। ১৯ জানুয়ারি থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত সোমবার দিবাগত রাতে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বেশ কিছু কারণে ইসরায়েল হামলা শুরু করেছে। একটি কারণ হিসেবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা চাইছে হামাসের হাতে বন্দী সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দিতে হবে। এই শর্ত না মানায় আইডিএফ হামলা শুরু করেছে। তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবি খারিজ করেছে। তারা বলছে, এখন যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ঢোকার কথা। এই ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার কথা। তবে আইডিএফ এই নিয়ন্ত্রণ ছাড়বে না বলে হামলা শুরু করেছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া এবং আইডিএফ সদস্যদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার পর নতুন করে যোদ্ধা নিয়োগ দেওয়া শুরু করে হামাস। তবে ইসরায়েল চাইছে না, হামাস তার শক্তি ফেরত পাক।
যুদ্ধবিরতি ভাঙার আরেকটি কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের এই অভিযান বা নতুন করে হামলা শুরুর পেছনে ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আর এ কারণেই হামলা শুরু করেছে আইডিএফ।
এর বাইরে নেতানিয়াহুর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার বিষয়টিও রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্টে ভোট হবে। এই ভোটে কট্টর ডানপন্থীদের সমর্থন পেতে হামলা শুরু করেছেন তিনি। অন্য দিকে আরেক কারণ হলো দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিচার চলছে। গতকাল মঙ্গলবার এই মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল নেতানিয়াহুর। এই মামলায় সাজা হলে তাঁকে জেলে যেতে হবে। তবে হামলা চালানোর পর এই বিচারে অংশ নিচ্ছেন না নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধ নতুন করে শুরু হওয়ায় তিনি আদালতে হাজির হননি।
হামাস নেতারা নিহত
আইডিএফ জানিয়েছিল, তারা হামাসের অবস্থান লক্ষ করে হামলা চালিয়েছে। হামলার পর হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় গাজায় তাদের সরকারের প্রধান এসাম আল-দালিস মারা গেছেন। এ ছাড়া সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং গাজার নিরাপত্তা বিভাগের মহারিচালক আবু সুলতান নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির পর আশ্রয় শিবির থেকে নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছিল গাজাবাসী। গতকাল আইডিএফের হামলা শুরুর পর আবারও আশ্রয়শিবিরে ফিরে যাচ্ছে তারা। গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপির একাধিক ছবিতে দেখা যায়, নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আবারও আশ্রয়শিবিরের দিকে রওনা হয়েছে অনেকে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই হামলা নিয়ে নীবর রয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা না আসলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও ট্রুথ সোশ্যালে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে তার দাবিকৃত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রশংসা করেছেন। অথচ, এখনো দুই দেশ একে অপরের ভূখণ্ডে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৫ মিনিট আগেপ্রথম দফায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। ওই দুটিকে মাঝপথেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করছে তারা। পরের দফায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। যার মধ্যে একটি সরাসরি আঘাত হানে বিরশেবার ওই ভবনে।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র লি-এর অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ‘অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতি’র সম্মিলিত প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের ‘আগাম সতর্কবার্তা’ দেওয়ায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে