সিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, ইসরায়েল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অজুহাত ব্যবহার করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে তাদের সামরিক হামলার বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বর্তমানে পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং কোনো নতুন সংঘাতে জড়ানোর আগ্রহী নয়। গতকাল শনিবার সিরিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
আহমদ আল-শারা সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান। এই গোষ্ঠীই গত সপ্তাহে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। যার মাধ্যমে আসাদ পরিবারের পাঁচ দশক ধরে চলা কঠোর শাসনের অবসান ঘটেছে।
গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েল সিরিয়ার মাটিতে একাধিক হামলা করেছে এবং দাবি করেছে, তারা সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৮০-৯০ শতাংশই ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েল ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর গঠিত সিরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে দামেস্কের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কৌশলগত মাউন্ট হেরমনের সিরিয়ার অংশও রয়েছে, যেখানে তারা একটি পরিত্যক্ত সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে থাকার কোনো পরিকল্পনা করছে না। দেশটি বলছে, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য এটি একটি সীমিত এবং অস্থায়ী পদক্ষেপ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারা সিরিয়ার বিভিন্ন কৌশলগত অস্ত্রভান্ডারে শত শত বিমান হামলাও চালিয়েছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানসহ একাধিক আরব দেশ কড়া নিন্দা জানিয়েছে। তারা ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আল-শারা সিরিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইসরায়েলের যুক্তিগুলো দুর্বল এবং তাদের সাম্প্রতিক লঙ্ঘনের কোনো বৈধতা নেই। তারা সিরিয়ায় সংঘর্ষের সীমা অতিক্রম করেছে, যা পুরো অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।’
এইচটিএসের এই নেতা আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ এবং সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা নতুন কোনো সংঘাতের অনুমতি দেয় না। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো দেশের পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, এমন কোনো বিরোধে জড়ানো নয় যা আরও ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।’ আল-শারা জোর দিয়ে বলেন, ‘কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করাই এখন একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ।’ তবে তিনি সতর্ক করেন যে, ‘অপরিকল্পিত সামরিক অভিযান’ কারও জন্য লাভজনক হবে না।
এদিকে, সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। প্রায় এক দশক আগে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ আসাদের পক্ষে যুদ্ধের ভারসাম্য বদলে দিয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া ক্ষমতাচ্যুত আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে। এ বিষয়ে শারা বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এমনভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত যা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে। বর্তমান পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনার দাবি রাখে।’
সিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, ইসরায়েল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অজুহাত ব্যবহার করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে তাদের সামরিক হামলার বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বর্তমানে পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং কোনো নতুন সংঘাতে জড়ানোর আগ্রহী নয়। গতকাল শনিবার সিরিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
আহমদ আল-শারা সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান। এই গোষ্ঠীই গত সপ্তাহে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। যার মাধ্যমে আসাদ পরিবারের পাঁচ দশক ধরে চলা কঠোর শাসনের অবসান ঘটেছে।
গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েল সিরিয়ার মাটিতে একাধিক হামলা করেছে এবং দাবি করেছে, তারা সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৮০-৯০ শতাংশই ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েল ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর গঠিত সিরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে দামেস্কের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কৌশলগত মাউন্ট হেরমনের সিরিয়ার অংশও রয়েছে, যেখানে তারা একটি পরিত্যক্ত সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে থাকার কোনো পরিকল্পনা করছে না। দেশটি বলছে, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য এটি একটি সীমিত এবং অস্থায়ী পদক্ষেপ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারা সিরিয়ার বিভিন্ন কৌশলগত অস্ত্রভান্ডারে শত শত বিমান হামলাও চালিয়েছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জর্ডানসহ একাধিক আরব দেশ কড়া নিন্দা জানিয়েছে। তারা ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে গোলান মালভূমির বাফার জোন দখল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আল-শারা সিরিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইসরায়েলের যুক্তিগুলো দুর্বল এবং তাদের সাম্প্রতিক লঙ্ঘনের কোনো বৈধতা নেই। তারা সিরিয়ায় সংঘর্ষের সীমা অতিক্রম করেছে, যা পুরো অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।’
এইচটিএসের এই নেতা আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ এবং সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা নতুন কোনো সংঘাতের অনুমতি দেয় না। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো দেশের পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, এমন কোনো বিরোধে জড়ানো নয় যা আরও ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।’ আল-শারা জোর দিয়ে বলেন, ‘কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করাই এখন একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ।’ তবে তিনি সতর্ক করেন যে, ‘অপরিকল্পিত সামরিক অভিযান’ কারও জন্য লাভজনক হবে না।
এদিকে, সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। প্রায় এক দশক আগে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ আসাদের পক্ষে যুদ্ধের ভারসাম্য বদলে দিয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া ক্ষমতাচ্যুত আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে। এ বিষয়ে শারা বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এমনভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত যা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে। বর্তমান পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনার দাবি রাখে।’
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে