বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন ২০২৫) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজটি থেকে ‘মে ডে’ সংকেত পাঠানো হয়, তবে এরপর আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায়নি।
বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ জানতে ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উড্ডয়ন থেকে দুর্ঘটনার সময়ের মধ্যকার প্রতিটি ঘটনা এই রেকর্ডারগুলোতে সংরক্ষিত থাকে। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, ঠিক কী ঘটেছিল এবং কখন কী ধরনের ত্রুটি বা ব্যর্থতা ঘটেছিল। সাধারণত ব্ল্যাক বক্সের ডেটা বিশ্লেষণে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির পেছনের অংশ ধ্বংস হয়নি। এতে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার সহজ হবে এবং বোয়িং কোম্পানি চাইলে এক দিনের মধ্যেই বিশ্লেষণ করতে পারবে। তবে এটি নির্ভর করছে ভারতের এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর ওপর। যদি বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রে, এনটিএসবির (NTSB) মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে, তাহলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য কারণে বার্ড হিট হতে পারে; যদিও ধোঁয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি, যা সাধারণত বার্ড হিটে দেখা যায়।
অধিকাংশ বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে দুটি ব্ল্যাক বক্স থাকে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর), যা পাইলটদের কথাবার্তা, কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ককপিটের বিভিন্ন শব্দ রেকর্ড করে। আরেকটি ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (এফডিআর), যা উচ্চতা, গতি, দিকনির্দেশ, কম্পন, অটোপাইলট অবস্থা ইত্যাদি ৮০ টিরও বেশি তথ্য সংরক্ষণ করে।
ব্ল্যাক বক্স সাধারণত স্টিল বা টাইটানিয়ামের মতো শক্ত ধাতু দিয়ে তৈরি এবং এগুলো তাপ, পানি ও চাপ সহ্য করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো উড়োজাহাজের লেজ অংশে রাখা হয়, কারণ দুর্ঘটনার সময় সামনের তুলনায় পেছনের অংশ তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি উড়োজাহাজ পানিতে পড়ে, তাহলে ব্ল্যাক বক্স থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত আলট্রাসাউন্ড সংকেত পাঠাতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০-এর মতো, ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় না।
ব্ল্যাক বক্সের ধারণা প্রথম আসে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. ডেভিড ওয়ারেনের হাত ধরে। ১৯৬৩ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ব্ল্যাক বক্স বাধ্যতামূলক করে। প্রাথমিকভাবে এগুলো ধাতব স্ট্রিপে তথ্য সংরক্ষণ করত, পরে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং এখন সলিড-স্টেট মেমোরিতে রূপান্তরিত হয়েছে। যদিও ব্ল্যাক বক্স নামটি এসেছে ১৯৩০-এর দশকে ফরাসি প্রকৌশলী ফ্রঁসোয়া হুসেনোর তৈরি একটি আলোকরোধী বাক্স থেকে, বর্তমানে এগুলোর রঙ কমলা রাখা হয় যেন দুর্ঘটনার পর সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি থেকে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় উড়োজাহাজটি ৬২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় পড়েছে।
ফ্লাইটটি পরিচালনাকারী বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী ফ্লাইট এআই ১৭১ আজ ১২ জুন ২০২৫ তারিখে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। আর যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন কানাডীয় নাগরিক এবং ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনার শিকার হওয়া বোয়িং ৭৮৭ মডেলটি ‘ড্রিমলাইনার’ নামে পরিচিত। গত ১৪ বছরে এই মডেলের কোনো উড়োজাহাজ এভাবে বিধ্বস্ত হয়নি। মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে বোয়িং জানিয়েছিল, ৭৮৭ সিরিজের ১১৭৫ টির বেশি উড়োজাহাজ দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ মিলিয়ন ফ্লাইট পরিচালনা হয়েছে এবং এ সময়ে মডেলটি আকাশে কাটিয়েছে তিন কোটিরও বেশি ঘণ্টা।
ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন ২০২৫) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজটি থেকে ‘মে ডে’ সংকেত পাঠানো হয়, তবে এরপর আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায়নি।
বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ জানতে ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উড্ডয়ন থেকে দুর্ঘটনার সময়ের মধ্যকার প্রতিটি ঘটনা এই রেকর্ডারগুলোতে সংরক্ষিত থাকে। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, ঠিক কী ঘটেছিল এবং কখন কী ধরনের ত্রুটি বা ব্যর্থতা ঘটেছিল। সাধারণত ব্ল্যাক বক্সের ডেটা বিশ্লেষণে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির পেছনের অংশ ধ্বংস হয়নি। এতে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার সহজ হবে এবং বোয়িং কোম্পানি চাইলে এক দিনের মধ্যেই বিশ্লেষণ করতে পারবে। তবে এটি নির্ভর করছে ভারতের এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর ওপর। যদি বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রে, এনটিএসবির (NTSB) মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে, তাহলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য কারণে বার্ড হিট হতে পারে; যদিও ধোঁয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি, যা সাধারণত বার্ড হিটে দেখা যায়।
অধিকাংশ বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে দুটি ব্ল্যাক বক্স থাকে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর), যা পাইলটদের কথাবার্তা, কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ককপিটের বিভিন্ন শব্দ রেকর্ড করে। আরেকটি ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (এফডিআর), যা উচ্চতা, গতি, দিকনির্দেশ, কম্পন, অটোপাইলট অবস্থা ইত্যাদি ৮০ টিরও বেশি তথ্য সংরক্ষণ করে।
ব্ল্যাক বক্স সাধারণত স্টিল বা টাইটানিয়ামের মতো শক্ত ধাতু দিয়ে তৈরি এবং এগুলো তাপ, পানি ও চাপ সহ্য করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো উড়োজাহাজের লেজ অংশে রাখা হয়, কারণ দুর্ঘটনার সময় সামনের তুলনায় পেছনের অংশ তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি উড়োজাহাজ পানিতে পড়ে, তাহলে ব্ল্যাক বক্স থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত আলট্রাসাউন্ড সংকেত পাঠাতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০-এর মতো, ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় না।
ব্ল্যাক বক্সের ধারণা প্রথম আসে অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী ড. ডেভিড ওয়ারেনের হাত ধরে। ১৯৬৩ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ব্ল্যাক বক্স বাধ্যতামূলক করে। প্রাথমিকভাবে এগুলো ধাতব স্ট্রিপে তথ্য সংরক্ষণ করত, পরে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং এখন সলিড-স্টেট মেমোরিতে রূপান্তরিত হয়েছে। যদিও ব্ল্যাক বক্স নামটি এসেছে ১৯৩০-এর দশকে ফরাসি প্রকৌশলী ফ্রঁসোয়া হুসেনোর তৈরি একটি আলোকরোধী বাক্স থেকে, বর্তমানে এগুলোর রঙ কমলা রাখা হয় যেন দুর্ঘটনার পর সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি থেকে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় উড়োজাহাজটি ৬২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় পড়েছে।
ফ্লাইটটি পরিচালনাকারী বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী ফ্লাইট এআই ১৭১ আজ ১২ জুন ২০২৫ তারিখে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। আর যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন কানাডীয় নাগরিক এবং ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনার শিকার হওয়া বোয়িং ৭৮৭ মডেলটি ‘ড্রিমলাইনার’ নামে পরিচিত। গত ১৪ বছরে এই মডেলের কোনো উড়োজাহাজ এভাবে বিধ্বস্ত হয়নি। মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে বোয়িং জানিয়েছিল, ৭৮৭ সিরিজের ১১৭৫ টির বেশি উড়োজাহাজ দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ মিলিয়ন ফ্লাইট পরিচালনা হয়েছে এবং এ সময়ে মডেলটি আকাশে কাটিয়েছে তিন কোটিরও বেশি ঘণ্টা।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৫ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৫ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৫ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে