
ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লি হাইকোর্টে করা এই মামলায় এএনআই দাবি করেছে, উইকিপিডিয়ায় এএনআইকে মোদি সরকারের প্রচারণার যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ভুয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। এএনআই চাইছে, উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলুক।
তবে উইকিপিডিয়া বলছে, সাইটের সব কনটেন্ট বা আধেয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়ন্ত্রিত ও এর ওপর উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
চলতি বছরের আগস্টে ভারতের আদালত উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দেয়, এই তথাকথিত মানহানিকর সম্পাদনা কারা করেছে—সেসব তথ্য প্রকাশ করতে। একই সঙ্গে আদেশ না মানলে ভারতে উইকিপিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এই মামলার শুনানি এখনো চলছে। উইকিপিডিয়া জানিয়েছে, আদালতে তাঁরা ওই সম্পাদকদের মৌলিক তথ্য গোপনীয়তার অধীনে দেবে, যদিও এসব কতটা প্রকাশ পাবে তা পরিষ্কার নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার ফলে জনগণের নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তির ওপর প্রভাব পড়বে।
প্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ মিশি চৌধুরী বলেছেন, ‘এই মামলার রায় প্রমাণ করবে যে ভারত আদৌ ইন্টারনেটের যুগে বাস করে কি না, যেখানে তথ্যর অবাধ প্রবাহ রয়েছে।’
মামলাটি কী নিয়ে?
এএনআইয়ের দাবি, তাঁরা উইকিপিডিয়ায় তথাকথিত মানহানিকর বিষয়বস্তু পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের সম্পাদনা গ্রহণ করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে এএনআই আদালতে আবেদন করে ও চলতি বছরের জুলাই মাসে শুনানি শুরু হয়।
উইকিপিডিয়ায় এএনআইয়ের পাতাটি ‘এক্সটেনডেড কনফার্মড প্রোটেকশন’-এর আওতায় ছিল, যেখানে নির্দিষ্টসংখ্যক সম্পাদকরাই কেবল পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে।
মামলায় এএনআই ওই ‘মানহানিকর’ বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবি করলেও উইকিপিডিয়ার পৃষ্ঠায় উল্লেখিত সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
উইকিপিডিয়া যুক্তি দেখিয়েছে, এটি জন-অংশগ্রহণমূক প্ল্যাটফর্ম হলেও তাঁদের শক্তিশালী তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। উইকিপিডিয়া স্ব-নিয়ন্ত্রিত মডেলে কাজ করে, যেখানে প্রকাশিত সংবাদ বা নথির প্রামাণ্য সূত্রের ভিত্তিতে যে কেউ পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে। তবে সেটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে লিখতে হবে। তবে উইকিপিডিয়ায় নতুন ও অপ্রকাশিত তথ্য কোনোভাবেই যোগ করা যায় না।
উইকিপিডিয়ার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক আছেন যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে তথ্য সম্পাদনা এবং যাচাই করেন। সম্পাদনাগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যেকোনো বিতর্ক সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। মতবিরোধের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের নিয়মাবলিও রয়েছে। অযাচিত পরিবর্তন ধরতে সাইটটি বট ব্যবহার করে।
আদালতে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, তাঁরা কেবল প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো সরবরাহ করে। ওয়েবসাইটের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু চলমান এই মামলা নিয়েও উইকিপিডিয়াতে একটি পৃষ্ঠা প্রকাশিত হয়। এতে উইকিপিডিয়ার এই মডেলটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত সপ্তাহে, আদালত মামলা সংক্রান্ত পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেন, কারণ এতে আদালতের কার্যক্রমের ওপর হস্তক্ষেপ হয়। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন এরপর পৃষ্ঠাটি স্থগিত করেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই প্রথম উইকিপিডিয়ার কোনো ইংরেজি পাতা আদালতের নির্দেশে মুছে ফেলা হলো।
উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি কনটেন্ট মুছে ফেলা ও পরিবর্তনের অনুরোধের মধ্যে মাত্র ১০ টিরও কম অনুরোধ মেনে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর কোনোটিই ইংরেজিতে ছিল না।
কিছু ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ এই পদক্ষেপটির সমালোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, আদালতের আদেশে পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলা ভুল ছিল, কারণ মামলা নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাতাটি লেখা হয়েছিল।
কেন এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ?
সংক্ষেপে বললে, অনেক কিছুই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রযুক্তি সাংবাদিক এবং ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ নিকহিল পাহওয়া আশঙ্কা করছেন, এই মামলার ফলে আরও লোক এবং ব্র্যান্ড তাঁদের উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠা নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রতিষ্ঠানই উইকিপিডিয়ায় তাঁদের নিয়ে বর্ণিত কথা/চিত্র নিয়ে অসন্তুষ্ট। এখন যে কেউ মামলা করতে পারে, সম্পাদকদের পরিচয় প্রকাশের দাবি করতে পারে এবং মানহানিকর কিনা তা প্রমাণ ছাড়াই আদালত এর অনুমোদনও দিতে পারে।’
মিশি চৌধুরী বলেন, এই মামলা বাক্স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। সম্পাদকেরা এরপর থেকে সত্য লিখতে দ্বিধাবোধ করতে পারেন। এটি নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তিতে বড় বাধা।
উইকিপিডিয়া অবশ্য বিতর্কে নতুন নয়। এটি অন্তত ১৩টি দেশে বিভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপের মুখে পড়েছে। ২০১৯ সালে চীন এবং ২০২১ সালে মিয়ানমার উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ করে।
উইকিপিডিয়া রুশ সরকার এবং আদালতের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছে। মস্কো বেশ কয়েকটি সরকারবিরোধী পৃষ্ঠা ব্লক করেছে। পাতাগুলো মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকে জরিমানা করেছে। তথাকথিত ‘ধর্ম অবমাননামূলক বিষয়’ না মোছায় ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্ল্যাটফর্মটি তিন দিনের জন্য ব্লক করে। ২০১৭ সালে উইকিপিডিয়া ব্লক করেছিল তুরস্ক সরকার। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনটেন্ট মুছে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশের বিরোধিতা করা কয়েকটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম উইকিপিডিয়া। তবে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলে ভারতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।
মিশি চৌধুরী বলেন, ‘রায় উইকিপিডিয়ার বিপক্ষে গেলে আমরা সমাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হব, কারণ আমরা নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লি হাইকোর্টে করা এই মামলায় এএনআই দাবি করেছে, উইকিপিডিয়ায় এএনআইকে মোদি সরকারের প্রচারণার যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ভুয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। এএনআই চাইছে, উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলুক।
তবে উইকিপিডিয়া বলছে, সাইটের সব কনটেন্ট বা আধেয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়ন্ত্রিত ও এর ওপর উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
চলতি বছরের আগস্টে ভারতের আদালত উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দেয়, এই তথাকথিত মানহানিকর সম্পাদনা কারা করেছে—সেসব তথ্য প্রকাশ করতে। একই সঙ্গে আদেশ না মানলে ভারতে উইকিপিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এই মামলার শুনানি এখনো চলছে। উইকিপিডিয়া জানিয়েছে, আদালতে তাঁরা ওই সম্পাদকদের মৌলিক তথ্য গোপনীয়তার অধীনে দেবে, যদিও এসব কতটা প্রকাশ পাবে তা পরিষ্কার নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার ফলে জনগণের নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তির ওপর প্রভাব পড়বে।
প্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ মিশি চৌধুরী বলেছেন, ‘এই মামলার রায় প্রমাণ করবে যে ভারত আদৌ ইন্টারনেটের যুগে বাস করে কি না, যেখানে তথ্যর অবাধ প্রবাহ রয়েছে।’
মামলাটি কী নিয়ে?
এএনআইয়ের দাবি, তাঁরা উইকিপিডিয়ায় তথাকথিত মানহানিকর বিষয়বস্তু পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের সম্পাদনা গ্রহণ করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে এএনআই আদালতে আবেদন করে ও চলতি বছরের জুলাই মাসে শুনানি শুরু হয়।
উইকিপিডিয়ায় এএনআইয়ের পাতাটি ‘এক্সটেনডেড কনফার্মড প্রোটেকশন’-এর আওতায় ছিল, যেখানে নির্দিষ্টসংখ্যক সম্পাদকরাই কেবল পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে।
মামলায় এএনআই ওই ‘মানহানিকর’ বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবি করলেও উইকিপিডিয়ার পৃষ্ঠায় উল্লেখিত সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
উইকিপিডিয়া যুক্তি দেখিয়েছে, এটি জন-অংশগ্রহণমূক প্ল্যাটফর্ম হলেও তাঁদের শক্তিশালী তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। উইকিপিডিয়া স্ব-নিয়ন্ত্রিত মডেলে কাজ করে, যেখানে প্রকাশিত সংবাদ বা নথির প্রামাণ্য সূত্রের ভিত্তিতে যে কেউ পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে। তবে সেটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে লিখতে হবে। তবে উইকিপিডিয়ায় নতুন ও অপ্রকাশিত তথ্য কোনোভাবেই যোগ করা যায় না।
উইকিপিডিয়ার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক আছেন যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে তথ্য সম্পাদনা এবং যাচাই করেন। সম্পাদনাগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যেকোনো বিতর্ক সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। মতবিরোধের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের নিয়মাবলিও রয়েছে। অযাচিত পরিবর্তন ধরতে সাইটটি বট ব্যবহার করে।
আদালতে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, তাঁরা কেবল প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো সরবরাহ করে। ওয়েবসাইটের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু চলমান এই মামলা নিয়েও উইকিপিডিয়াতে একটি পৃষ্ঠা প্রকাশিত হয়। এতে উইকিপিডিয়ার এই মডেলটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত সপ্তাহে, আদালত মামলা সংক্রান্ত পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেন, কারণ এতে আদালতের কার্যক্রমের ওপর হস্তক্ষেপ হয়। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন এরপর পৃষ্ঠাটি স্থগিত করেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই প্রথম উইকিপিডিয়ার কোনো ইংরেজি পাতা আদালতের নির্দেশে মুছে ফেলা হলো।
উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি কনটেন্ট মুছে ফেলা ও পরিবর্তনের অনুরোধের মধ্যে মাত্র ১০ টিরও কম অনুরোধ মেনে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর কোনোটিই ইংরেজিতে ছিল না।
কিছু ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ এই পদক্ষেপটির সমালোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, আদালতের আদেশে পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলা ভুল ছিল, কারণ মামলা নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাতাটি লেখা হয়েছিল।
কেন এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ?
সংক্ষেপে বললে, অনেক কিছুই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রযুক্তি সাংবাদিক এবং ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ নিকহিল পাহওয়া আশঙ্কা করছেন, এই মামলার ফলে আরও লোক এবং ব্র্যান্ড তাঁদের উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠা নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রতিষ্ঠানই উইকিপিডিয়ায় তাঁদের নিয়ে বর্ণিত কথা/চিত্র নিয়ে অসন্তুষ্ট। এখন যে কেউ মামলা করতে পারে, সম্পাদকদের পরিচয় প্রকাশের দাবি করতে পারে এবং মানহানিকর কিনা তা প্রমাণ ছাড়াই আদালত এর অনুমোদনও দিতে পারে।’
মিশি চৌধুরী বলেন, এই মামলা বাক্স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। সম্পাদকেরা এরপর থেকে সত্য লিখতে দ্বিধাবোধ করতে পারেন। এটি নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তিতে বড় বাধা।
উইকিপিডিয়া অবশ্য বিতর্কে নতুন নয়। এটি অন্তত ১৩টি দেশে বিভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপের মুখে পড়েছে। ২০১৯ সালে চীন এবং ২০২১ সালে মিয়ানমার উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ করে।
উইকিপিডিয়া রুশ সরকার এবং আদালতের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছে। মস্কো বেশ কয়েকটি সরকারবিরোধী পৃষ্ঠা ব্লক করেছে। পাতাগুলো মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকে জরিমানা করেছে। তথাকথিত ‘ধর্ম অবমাননামূলক বিষয়’ না মোছায় ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্ল্যাটফর্মটি তিন দিনের জন্য ব্লক করে। ২০১৭ সালে উইকিপিডিয়া ব্লক করেছিল তুরস্ক সরকার। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনটেন্ট মুছে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশের বিরোধিতা করা কয়েকটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম উইকিপিডিয়া। তবে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলে ভারতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।
মিশি চৌধুরী বলেন, ‘রায় উইকিপিডিয়ার বিপক্ষে গেলে আমরা সমাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হব, কারণ আমরা নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লি হাইকোর্টে করা এই মামলায় এএনআই দাবি করেছে, উইকিপিডিয়ায় এএনআইকে মোদি সরকারের প্রচারণার যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ভুয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। এএনআই চাইছে, উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলুক।
তবে উইকিপিডিয়া বলছে, সাইটের সব কনটেন্ট বা আধেয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়ন্ত্রিত ও এর ওপর উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
চলতি বছরের আগস্টে ভারতের আদালত উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দেয়, এই তথাকথিত মানহানিকর সম্পাদনা কারা করেছে—সেসব তথ্য প্রকাশ করতে। একই সঙ্গে আদেশ না মানলে ভারতে উইকিপিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এই মামলার শুনানি এখনো চলছে। উইকিপিডিয়া জানিয়েছে, আদালতে তাঁরা ওই সম্পাদকদের মৌলিক তথ্য গোপনীয়তার অধীনে দেবে, যদিও এসব কতটা প্রকাশ পাবে তা পরিষ্কার নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার ফলে জনগণের নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তির ওপর প্রভাব পড়বে।
প্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ মিশি চৌধুরী বলেছেন, ‘এই মামলার রায় প্রমাণ করবে যে ভারত আদৌ ইন্টারনেটের যুগে বাস করে কি না, যেখানে তথ্যর অবাধ প্রবাহ রয়েছে।’
মামলাটি কী নিয়ে?
এএনআইয়ের দাবি, তাঁরা উইকিপিডিয়ায় তথাকথিত মানহানিকর বিষয়বস্তু পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের সম্পাদনা গ্রহণ করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে এএনআই আদালতে আবেদন করে ও চলতি বছরের জুলাই মাসে শুনানি শুরু হয়।
উইকিপিডিয়ায় এএনআইয়ের পাতাটি ‘এক্সটেনডেড কনফার্মড প্রোটেকশন’-এর আওতায় ছিল, যেখানে নির্দিষ্টসংখ্যক সম্পাদকরাই কেবল পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে।
মামলায় এএনআই ওই ‘মানহানিকর’ বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবি করলেও উইকিপিডিয়ার পৃষ্ঠায় উল্লেখিত সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
উইকিপিডিয়া যুক্তি দেখিয়েছে, এটি জন-অংশগ্রহণমূক প্ল্যাটফর্ম হলেও তাঁদের শক্তিশালী তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। উইকিপিডিয়া স্ব-নিয়ন্ত্রিত মডেলে কাজ করে, যেখানে প্রকাশিত সংবাদ বা নথির প্রামাণ্য সূত্রের ভিত্তিতে যে কেউ পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে। তবে সেটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে লিখতে হবে। তবে উইকিপিডিয়ায় নতুন ও অপ্রকাশিত তথ্য কোনোভাবেই যোগ করা যায় না।
উইকিপিডিয়ার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক আছেন যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে তথ্য সম্পাদনা এবং যাচাই করেন। সম্পাদনাগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যেকোনো বিতর্ক সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। মতবিরোধের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের নিয়মাবলিও রয়েছে। অযাচিত পরিবর্তন ধরতে সাইটটি বট ব্যবহার করে।
আদালতে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, তাঁরা কেবল প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো সরবরাহ করে। ওয়েবসাইটের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু চলমান এই মামলা নিয়েও উইকিপিডিয়াতে একটি পৃষ্ঠা প্রকাশিত হয়। এতে উইকিপিডিয়ার এই মডেলটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত সপ্তাহে, আদালত মামলা সংক্রান্ত পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেন, কারণ এতে আদালতের কার্যক্রমের ওপর হস্তক্ষেপ হয়। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন এরপর পৃষ্ঠাটি স্থগিত করেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই প্রথম উইকিপিডিয়ার কোনো ইংরেজি পাতা আদালতের নির্দেশে মুছে ফেলা হলো।
উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি কনটেন্ট মুছে ফেলা ও পরিবর্তনের অনুরোধের মধ্যে মাত্র ১০ টিরও কম অনুরোধ মেনে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর কোনোটিই ইংরেজিতে ছিল না।
কিছু ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ এই পদক্ষেপটির সমালোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, আদালতের আদেশে পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলা ভুল ছিল, কারণ মামলা নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাতাটি লেখা হয়েছিল।
কেন এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ?
সংক্ষেপে বললে, অনেক কিছুই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রযুক্তি সাংবাদিক এবং ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ নিকহিল পাহওয়া আশঙ্কা করছেন, এই মামলার ফলে আরও লোক এবং ব্র্যান্ড তাঁদের উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠা নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রতিষ্ঠানই উইকিপিডিয়ায় তাঁদের নিয়ে বর্ণিত কথা/চিত্র নিয়ে অসন্তুষ্ট। এখন যে কেউ মামলা করতে পারে, সম্পাদকদের পরিচয় প্রকাশের দাবি করতে পারে এবং মানহানিকর কিনা তা প্রমাণ ছাড়াই আদালত এর অনুমোদনও দিতে পারে।’
মিশি চৌধুরী বলেন, এই মামলা বাক্স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। সম্পাদকেরা এরপর থেকে সত্য লিখতে দ্বিধাবোধ করতে পারেন। এটি নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তিতে বড় বাধা।
উইকিপিডিয়া অবশ্য বিতর্কে নতুন নয়। এটি অন্তত ১৩টি দেশে বিভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপের মুখে পড়েছে। ২০১৯ সালে চীন এবং ২০২১ সালে মিয়ানমার উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ করে।
উইকিপিডিয়া রুশ সরকার এবং আদালতের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছে। মস্কো বেশ কয়েকটি সরকারবিরোধী পৃষ্ঠা ব্লক করেছে। পাতাগুলো মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকে জরিমানা করেছে। তথাকথিত ‘ধর্ম অবমাননামূলক বিষয়’ না মোছায় ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্ল্যাটফর্মটি তিন দিনের জন্য ব্লক করে। ২০১৭ সালে উইকিপিডিয়া ব্লক করেছিল তুরস্ক সরকার। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনটেন্ট মুছে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশের বিরোধিতা করা কয়েকটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম উইকিপিডিয়া। তবে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলে ভারতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।
মিশি চৌধুরী বলেন, ‘রায় উইকিপিডিয়ার বিপক্ষে গেলে আমরা সমাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হব, কারণ আমরা নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লি হাইকোর্টে করা এই মামলায় এএনআই দাবি করেছে, উইকিপিডিয়ায় এএনআইকে মোদি সরকারের প্রচারণার যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ভুয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। এএনআই চাইছে, উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলুক।
তবে উইকিপিডিয়া বলছে, সাইটের সব কনটেন্ট বা আধেয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়ন্ত্রিত ও এর ওপর উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
চলতি বছরের আগস্টে ভারতের আদালত উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দেয়, এই তথাকথিত মানহানিকর সম্পাদনা কারা করেছে—সেসব তথ্য প্রকাশ করতে। একই সঙ্গে আদেশ না মানলে ভারতে উইকিপিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এই মামলার শুনানি এখনো চলছে। উইকিপিডিয়া জানিয়েছে, আদালতে তাঁরা ওই সম্পাদকদের মৌলিক তথ্য গোপনীয়তার অধীনে দেবে, যদিও এসব কতটা প্রকাশ পাবে তা পরিষ্কার নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার ফলে জনগণের নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তির ওপর প্রভাব পড়বে।
প্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ মিশি চৌধুরী বলেছেন, ‘এই মামলার রায় প্রমাণ করবে যে ভারত আদৌ ইন্টারনেটের যুগে বাস করে কি না, যেখানে তথ্যর অবাধ প্রবাহ রয়েছে।’
মামলাটি কী নিয়ে?
এএনআইয়ের দাবি, তাঁরা উইকিপিডিয়ায় তথাকথিত মানহানিকর বিষয়বস্তু পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল, তবে তাদের সম্পাদনা গ্রহণ করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে এএনআই আদালতে আবেদন করে ও চলতি বছরের জুলাই মাসে শুনানি শুরু হয়।
উইকিপিডিয়ায় এএনআইয়ের পাতাটি ‘এক্সটেনডেড কনফার্মড প্রোটেকশন’-এর আওতায় ছিল, যেখানে নির্দিষ্টসংখ্যক সম্পাদকরাই কেবল পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে।
মামলায় এএনআই ওই ‘মানহানিকর’ বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবি করলেও উইকিপিডিয়ার পৃষ্ঠায় উল্লেখিত সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেনি।
উইকিপিডিয়া যুক্তি দেখিয়েছে, এটি জন-অংশগ্রহণমূক প্ল্যাটফর্ম হলেও তাঁদের শক্তিশালী তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। উইকিপিডিয়া স্ব-নিয়ন্ত্রিত মডেলে কাজ করে, যেখানে প্রকাশিত সংবাদ বা নথির প্রামাণ্য সূত্রের ভিত্তিতে যে কেউ পৃষ্ঠায় পরিবর্তন করতে পারে। তবে সেটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে লিখতে হবে। তবে উইকিপিডিয়ায় নতুন ও অপ্রকাশিত তথ্য কোনোভাবেই যোগ করা যায় না।
উইকিপিডিয়ার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক আছেন যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে তথ্য সম্পাদনা এবং যাচাই করেন। সম্পাদনাগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যেকোনো বিতর্ক সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। মতবিরোধের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের নিয়মাবলিও রয়েছে। অযাচিত পরিবর্তন ধরতে সাইটটি বট ব্যবহার করে।
আদালতে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, তাঁরা কেবল প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো সরবরাহ করে। ওয়েবসাইটের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু চলমান এই মামলা নিয়েও উইকিপিডিয়াতে একটি পৃষ্ঠা প্রকাশিত হয়। এতে উইকিপিডিয়ার এই মডেলটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত সপ্তাহে, আদালত মামলা সংক্রান্ত পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেন, কারণ এতে আদালতের কার্যক্রমের ওপর হস্তক্ষেপ হয়। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন এরপর পৃষ্ঠাটি স্থগিত করেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এই প্রথম উইকিপিডিয়ার কোনো ইংরেজি পাতা আদালতের নির্দেশে মুছে ফেলা হলো।
উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি কনটেন্ট মুছে ফেলা ও পরিবর্তনের অনুরোধের মধ্যে মাত্র ১০ টিরও কম অনুরোধ মেনে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর কোনোটিই ইংরেজিতে ছিল না।
কিছু ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ এই পদক্ষেপটির সমালোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করেন, আদালতের আদেশে পৃষ্ঠাটি মুছে ফেলা ভুল ছিল, কারণ মামলা নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাতাটি লেখা হয়েছিল।
কেন এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ?
সংক্ষেপে বললে, অনেক কিছুই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা ভারতে উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রযুক্তি সাংবাদিক এবং ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ নিকহিল পাহওয়া আশঙ্কা করছেন, এই মামলার ফলে আরও লোক এবং ব্র্যান্ড তাঁদের উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠা নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রতিষ্ঠানই উইকিপিডিয়ায় তাঁদের নিয়ে বর্ণিত কথা/চিত্র নিয়ে অসন্তুষ্ট। এখন যে কেউ মামলা করতে পারে, সম্পাদকদের পরিচয় প্রকাশের দাবি করতে পারে এবং মানহানিকর কিনা তা প্রমাণ ছাড়াই আদালত এর অনুমোদনও দিতে পারে।’
মিশি চৌধুরী বলেন, এই মামলা বাক্স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। সম্পাদকেরা এরপর থেকে সত্য লিখতে দ্বিধাবোধ করতে পারেন। এটি নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তিতে বড় বাধা।
উইকিপিডিয়া অবশ্য বিতর্কে নতুন নয়। এটি অন্তত ১৩টি দেশে বিভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপের মুখে পড়েছে। ২০১৯ সালে চীন এবং ২০২১ সালে মিয়ানমার উইকিপিডিয়া নিষিদ্ধ করে।
উইকিপিডিয়া রুশ সরকার এবং আদালতের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছে। মস্কো বেশ কয়েকটি সরকারবিরোধী পৃষ্ঠা ব্লক করেছে। পাতাগুলো মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকে জরিমানা করেছে। তথাকথিত ‘ধর্ম অবমাননামূলক বিষয়’ না মোছায় ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্ল্যাটফর্মটি তিন দিনের জন্য ব্লক করে। ২০১৭ সালে উইকিপিডিয়া ব্লক করেছিল তুরস্ক সরকার। তবে দেশটির শীর্ষ আদালত ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনটেন্ট মুছে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশের বিরোধিতা করা কয়েকটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম উইকিপিডিয়া। তবে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলে ভারতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।
মিশি চৌধুরী বলেন, ‘রায় উইকিপিডিয়ার বিপক্ষে গেলে আমরা সমাজ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হব, কারণ আমরা নিরপেক্ষ তথ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।
১ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
রয়টার্সের তদন্তে জানা গেছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে নতুন সশস্ত্র দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দাবি করা হচ্ছে, সশস্ত্র এই দলের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বাশার আল–আসাদের নির্বাসন মেনে নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের একটি বড় অংশ এখনো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করেনি। সাবেক সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং ব্যবসায়ী রামি মাখলুফ আলাদা আলাদাভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪টি গোপন সামরিক কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসব কেন্দ্র আসাদ শাসনের শেষ সময়ে তৈরি করা হয়েছিল।
চাচাতো ভাই মাখলুফ একসময় আসাদ সরকারের অর্থনৈতিক স্তম্ভ ছিলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে একসময় তিনি গৃহবন্দী হন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার মস্কোয় পালিয়ে যান। এখন তিনি নিজেকে ধর্মীয়ভাবে ‘মসিহ–সদৃশ’ চরিত্র বা ত্রাণকর্তারূপে তুলে ধরে দাবি করছেন, এক চূড়ান্ত যুদ্ধের মাধ্যমে আলাওয়াইতদের ক্ষমতায় ফিরতে হবে।
অন্যদিকে কামাল হাসান সাবেক সেনা ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের একত্র করে উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে বারবার বলেছেন—‘অস্ত্র ছাড়বেন না, সময় এলে আমি আপনাদের সম্মান ফিরিয়ে দেব।’
এই পরিকল্পনাকে ঠেকাতে সিরিয়ার নতুন সরকারও তৎপর। এ ক্ষেত্রে তারা আরেক সাবেক আসাদ-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি খালেদ আল–আহমাদকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। খালেদ আল–আহমাদ যুদ্ধের সময় আসাদের পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় খালেদ আল–আহমাদের কাজ হলো, আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের মানুষদের এটা বোঝানো যে—নতুন সরকারই তাঁদের নিরাপত্তার উপায়, পুরোনো শক্তি নয়।
খালেদ আল–আহমাদ ইতিমধ্যে এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘এই জাতির সামনে পথ শুধু একটি। আর এটা ঘৃণা নয়, পুনর্মিলন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অতীতের ব্যর্থ বিদ্রোহে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত মার্চে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় হাজার আলাওয়াইত নিহত হন। এই ঘটনার পর ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে আবারও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। তবে এই পরিস্থিতিকেই সুযোগ হিসেবে দেখছেন কামাল হাসান ও মাখলুফ।
এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, হাসান কিংবা মাখলুফের পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন এবং রাশিয়া এখনো কাউকেই সমর্থন দেয়নি। এ ছাড়া আলাওয়াইত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখন এই নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়েছে। আর নতুন সরকারও কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
তারপরও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। যদি এই নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়, তবে আবারও রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিমজ্জিত হতে পারে সিরিয়া।

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
রয়টার্সের তদন্তে জানা গেছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে নতুন সশস্ত্র দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দাবি করা হচ্ছে, সশস্ত্র এই দলের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বাশার আল–আসাদের নির্বাসন মেনে নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের একটি বড় অংশ এখনো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করেনি। সাবেক সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং ব্যবসায়ী রামি মাখলুফ আলাদা আলাদাভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪টি গোপন সামরিক কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসব কেন্দ্র আসাদ শাসনের শেষ সময়ে তৈরি করা হয়েছিল।
চাচাতো ভাই মাখলুফ একসময় আসাদ সরকারের অর্থনৈতিক স্তম্ভ ছিলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে একসময় তিনি গৃহবন্দী হন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার মস্কোয় পালিয়ে যান। এখন তিনি নিজেকে ধর্মীয়ভাবে ‘মসিহ–সদৃশ’ চরিত্র বা ত্রাণকর্তারূপে তুলে ধরে দাবি করছেন, এক চূড়ান্ত যুদ্ধের মাধ্যমে আলাওয়াইতদের ক্ষমতায় ফিরতে হবে।
অন্যদিকে কামাল হাসান সাবেক সেনা ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের একত্র করে উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে বারবার বলেছেন—‘অস্ত্র ছাড়বেন না, সময় এলে আমি আপনাদের সম্মান ফিরিয়ে দেব।’
এই পরিকল্পনাকে ঠেকাতে সিরিয়ার নতুন সরকারও তৎপর। এ ক্ষেত্রে তারা আরেক সাবেক আসাদ-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি খালেদ আল–আহমাদকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। খালেদ আল–আহমাদ যুদ্ধের সময় আসাদের পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় খালেদ আল–আহমাদের কাজ হলো, আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের মানুষদের এটা বোঝানো যে—নতুন সরকারই তাঁদের নিরাপত্তার উপায়, পুরোনো শক্তি নয়।
খালেদ আল–আহমাদ ইতিমধ্যে এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘এই জাতির সামনে পথ শুধু একটি। আর এটা ঘৃণা নয়, পুনর্মিলন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অতীতের ব্যর্থ বিদ্রোহে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত মার্চে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় হাজার আলাওয়াইত নিহত হন। এই ঘটনার পর ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে আবারও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। তবে এই পরিস্থিতিকেই সুযোগ হিসেবে দেখছেন কামাল হাসান ও মাখলুফ।
এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, হাসান কিংবা মাখলুফের পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন এবং রাশিয়া এখনো কাউকেই সমর্থন দেয়নি। এ ছাড়া আলাওয়াইত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখন এই নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়েছে। আর নতুন সরকারও কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
তারপরও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। যদি এই নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়, তবে আবারও রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিমজ্জিত হতে পারে সিরিয়া।

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।
১ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ছবি শেয়ার করে মোদি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত এক কপি গীতা উপহার দিলাম। এই গীতার শিক্ষা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরোপিত বিভিন্ন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এটিই পুতিনের প্রথম ভারত সফর।
এদিকে এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান। এ সময় দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাতে গিয়ে মোদি কূটনৈতিক প্রটোকল ভেঙে ফেলেন; যা রুশ পক্ষকে বিস্মিত করে।

ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ছবি শেয়ার করে মোদি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত এক কপি গীতা উপহার দিলাম। এই গীতার শিক্ষা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরোপিত বিভিন্ন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এটিই পুতিনের প্রথম ভারত সফর।
এদিকে এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান। এ সময় দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাতে গিয়ে মোদি কূটনৈতিক প্রটোকল ভেঙে ফেলেন; যা রুশ পক্ষকে বিস্মিত করে।

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ৬২ বছর বয়সী তে চি লপ একজন কানাডীয় নাগরিক হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন চীনে। ইন্টারপোল তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বড় মাদক সিন্ডিকেট ‘স্যাম গোর’ বা দ্য কোম্পানি-র মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল। এই সিন্ডিকেট বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করত বলে ধারণা করা হয় এবং জাপান থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে মাদক সরবরাহ করত।
২০১৯ সালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে থমসন রয়টার্স তাঁকে বিশ্বের প্রভাবশালী ও আলোচিত মাদক সম্রাট জোয়াকিন ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যান এবং পাবলো এসকোবারের সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তায় থাই কিকবক্সার ভাড়া করা হতো বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে।
২০২১ সালে ইন্টারপোলের নোটিশের ভিত্তিতে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে তাঁকে সেখান থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তে চি লপ অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমাণে মেথঅ্যামফেটামিন পাচারের ষড়যন্ত্র করেন।
রায়ে বিচারক পিটার রোজেন বলেন, মামলাটির সাজা আজীবন কারাদণ্ড হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণে তুলনামূলক কম সাজা দিতে হয়েছে।
আদালতে দণ্ড ঘোষণার সময় তে চি লপ নীল শার্ট ও কালো চশমা পরে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন। তিনি দশ বছর কারাভোগের পর জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট বলেন, ‘এই রায় প্রমাণ করে, অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত বিশ্বের যে কোনো অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে পারে।’
তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে এই আলোচিত মামলার পরিসমাপ্তি ঘটল।

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ৬২ বছর বয়সী তে চি লপ একজন কানাডীয় নাগরিক হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন চীনে। ইন্টারপোল তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বড় মাদক সিন্ডিকেট ‘স্যাম গোর’ বা দ্য কোম্পানি-র মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল। এই সিন্ডিকেট বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করত বলে ধারণা করা হয় এবং জাপান থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে মাদক সরবরাহ করত।
২০১৯ সালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে থমসন রয়টার্স তাঁকে বিশ্বের প্রভাবশালী ও আলোচিত মাদক সম্রাট জোয়াকিন ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যান এবং পাবলো এসকোবারের সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তায় থাই কিকবক্সার ভাড়া করা হতো বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে।
২০২১ সালে ইন্টারপোলের নোটিশের ভিত্তিতে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে তাঁকে সেখান থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তে চি লপ অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমাণে মেথঅ্যামফেটামিন পাচারের ষড়যন্ত্র করেন।
রায়ে বিচারক পিটার রোজেন বলেন, মামলাটির সাজা আজীবন কারাদণ্ড হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণে তুলনামূলক কম সাজা দিতে হয়েছে।
আদালতে দণ্ড ঘোষণার সময় তে চি লপ নীল শার্ট ও কালো চশমা পরে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন। তিনি দশ বছর কারাভোগের পর জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট বলেন, ‘এই রায় প্রমাণ করে, অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত বিশ্বের যে কোনো অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে পারে।’
তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে এই আলোচিত মামলার পরিসমাপ্তি ঘটল।

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।
১ ঘণ্টা আগে
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ হার্ভার্ড ল স্কুলের একজন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও ব্রাজিলের নাগরিক কার্লোস পর্তুগাল গুভেয়াকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গুভেয়ার অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হার্ভার্ডও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে অধ্যাপক গুভেয়ার বিরুদ্ধে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের আগের দিন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একটি সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) বাইরে পেলেট গান (ছররা গুলি) ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ম্যাসাচুসেটসের ব্রুকলাইনে টেম্পল বেথ জিয়নের (ইহুদি উপসনালয়) কাছে গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তির উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ গুভেয়াকে আটক করে। ওই সময়টা ছিল ইহুদিদের পবিত্র উৎসব ইয়ম কিপুরের আগের দিন। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুভেয়া দাবি করেছিলেন, তিনি কাছাকাছি ইঁদুর মারতে পেলেট গান ব্যবহার করছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ওই ঘটনাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ ঘটনা বলে আখ্যা দেয়। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিপরীতে টেম্পল বেথ জিয়ন জানায়, ঘটনাটি ইহুদিবিদ্বেষ থেকে ঘটেছে বলে মনে হয় না। ঘটনাটি তদন্তের পর ব্রুকলাইন পুলিশ বিভাগও একই মত দেয়। উপসনালয়টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পুলিশ তাদের জানিয়েছে, গুভেয়া জানতেন না যে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানে একটি উপাসনালয় আছে বা ওই দিন সেখানে কোনো ধর্মীয় উৎসব চলছে।
তবে গত মাসে অবৈধভাবে পেলেট গান ছোড়ার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন গুভোয়া। এরপর তিনি ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন (বিচার পূর্ববর্তী বিশেষ ব্যবস্থা) মেনে নেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা শান্তিভঙ্গ, বিশৃঙ্খল আচরণ ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগগুলো প্লিয়া ডিলের (ফৌজদারি আইনের একটি প্রক্রিয়া) অংশ হিসেবে বাতিল করা হয়।
কিন্তু গত বুধবার ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন শেষ হওয়ার আগেই অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করে অধ্যাপক গুভেয়াকে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে গুভেয়ার গ্রেপ্তারের খবর এমন সময়ে এল, যখন ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চাপ দিচ্ছে।
হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়টি ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে হার্ভার্ড কিছু সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক রায় দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বেআইনিভাবে হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ করা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি গবেষণা অনুদান বাতিল করেছিল।

মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ হার্ভার্ড ল স্কুলের একজন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও ব্রাজিলের নাগরিক কার্লোস পর্তুগাল গুভেয়াকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গুভেয়ার অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অধ্যাপক গুভেয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি সদ্য সমাপ্ত শরৎকালীন সেমিস্টারে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে হার্ভার্ডে পড়িয়েছেন। ডিএইচএস জানিয়েছে, গুভেয়া যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হার্ভার্ডও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে অধ্যাপক গুভেয়ার বিরুদ্ধে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের আগের দিন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একটি সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) বাইরে পেলেট গান (ছররা গুলি) ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ম্যাসাচুসেটসের ব্রুকলাইনে টেম্পল বেথ জিয়নের (ইহুদি উপসনালয়) কাছে গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তির উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ গুভেয়াকে আটক করে। ওই সময়টা ছিল ইহুদিদের পবিত্র উৎসব ইয়ম কিপুরের আগের দিন। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুভেয়া দাবি করেছিলেন, তিনি কাছাকাছি ইঁদুর মারতে পেলেট গান ব্যবহার করছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ওই ঘটনাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ ঘটনা বলে আখ্যা দেয়। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিপরীতে টেম্পল বেথ জিয়ন জানায়, ঘটনাটি ইহুদিবিদ্বেষ থেকে ঘটেছে বলে মনে হয় না। ঘটনাটি তদন্তের পর ব্রুকলাইন পুলিশ বিভাগও একই মত দেয়। উপসনালয়টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পুলিশ তাদের জানিয়েছে, গুভেয়া জানতেন না যে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানে একটি উপাসনালয় আছে বা ওই দিন সেখানে কোনো ধর্মীয় উৎসব চলছে।
তবে গত মাসে অবৈধভাবে পেলেট গান ছোড়ার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন গুভোয়া। এরপর তিনি ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন (বিচার পূর্ববর্তী বিশেষ ব্যবস্থা) মেনে নেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা শান্তিভঙ্গ, বিশৃঙ্খল আচরণ ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগগুলো প্লিয়া ডিলের (ফৌজদারি আইনের একটি প্রক্রিয়া) অংশ হিসেবে বাতিল করা হয়।
কিন্তু গত বুধবার ছয় মাসের প্রিট্রায়াল প্রবেশন শেষ হওয়ার আগেই অস্থায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা বাতিল করে অধ্যাপক গুভেয়াকে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে গুভেয়ার গ্রেপ্তারের খবর এমন সময়ে এল, যখন ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চাপ দিচ্ছে।
হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়টি ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে হার্ভার্ড কিছু সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক রায় দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বেআইনিভাবে হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ করা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি গবেষণা অনুদান বাতিল করেছিল।

ভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৩০ অক্টোবর ২০২৪
সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কামাল হাসান এবং আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।
১ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।
১ ঘণ্টা আগে