অনলাইন ডেস্ক
ভারতের চলতি এপ্রিল মাসের ক্যালেন্ডারে দেখা যায়, সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১৫ দিনের বেশি ছুটি রয়েছে। ৩০ দিনের মাসের মধ্যে ১৫ দিনের বেশি ছুটিতেই কেটে যাচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হায়দরাবাদভিত্তিক একটি কোম্পানির সিইও (প্রধান নির্বাহী)।
ভারতে কর্মদক্ষতার মান এবং ঘন ঘন ছুটির প্রভাব নিয়ে ক্লিনরুমস কনটেইনমেন্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রবি কুমার তুম্মালাচারলারের দেওয়া এই পোস্ট লিংকডইনে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে রবি কুমার দাবি করছেন, ভারতে সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটির সংখ্যা এত বেশি যে ব্যবসার গতি থমকে যাচ্ছে এবং দক্ষতা কমে যাচ্ছে।
রবি কুমার লিখেছেন, ‘অতিরিক্ত ছুটি, কাজ এগোচ্ছে না! সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটি, তার সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে কাজ প্রায় থেমে আছে। শুধু এপ্রিল ২০২৫-এ ১০টির বেশি ছুটি হয়েছে, আর বেশির ভাগ অফিসে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফাইল পড়ে আছে, নড়াচড়াই করছে না।’
পোস্টের সঙ্গে এপ্রিল মাসের ছুটির একটি তালিকাও জুড়ে দেন তিনি। ভারতের ছুটির ক্যালেন্ডার নতুন করে ভাবার আহ্বান জানান রবি কুমার।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শ্রমমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, ‘চীন আমাদের চেয়ে প্রায় ৬০ বছর এগিয়ে। কারণ, তারা আর্থিক অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয়। ভারতে আমরা প্রায়ই বিদেশে চলে যাই আরও সহজ ও দ্রুত কাজ করে নেওয়ার জন্য। এখন সময় এসেছে আমাদের ছুটির সংস্কৃতি নতুন করে ভাবার এবং ছুটি ও কাজের ভারসাম্য তৈরি করার।’
রবি কুমারের এই পোস্টের কমেন্টে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীরা। অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তিনি ঐচ্ছিক ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিকে একসঙ্গে গণনা করেছেন, ফলে প্রকৃত ‘কর্মহীন’ দিনের সংখ্যা ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এই পোস্টের মাধ্যমে কাজ ও জীবনের ভারসাম্য এবং ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
একজন মন্তব্য করেন, ‘তাহলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমাধান হচ্ছে দীপাবলি, ঈদ আর গুড ফ্রাইডে বাতিল করা? শুনে মনে হচ্ছে, আপনি ই-মেইলের উত্তর না পেয়ে বিরক্ত, ছোট ব্যবসাগুলোর প্রতি কোনো আসল উদ্বেগ নেই। ছুটি উৎপাদনশীলতা মেরে ফেলে না, মারে দুর্বল সিস্টেম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আর ২৪/৭ কাজ মানেই উন্নতি—এই ভান। চীন ইস্টার বাদ দিয়ে এগোয়নি, তারা লজিস্টিকস, প্রযুক্তি আর দক্ষতায় বিনিয়োগ করেছে। ক্যালেন্ডারকে দোষ না দিয়ে সেদিকে নজর দিন।’
আরেকজন লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, সিইও সাহেবের অফিস ২৪ ঘণ্টা খোলা! ভালো করে দেখুন, আপনি পুরো মাসের সব শনিবার-রোববারকে ছুটি ধরে নিয়েছেন। অনেক প্রাইভেট অফিসেই তো ৫ দিন কাজ হয়।’
আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ভারত ও চীনের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়, তাই সরাসরি তুলনা করা অন্যায্য। ভারতের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী সমাধান দরকার। ছুটিকে বাধা হিসেবে না দেখে, কীভাবে সেগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’
এসব প্রতিক্রিয়ার জবাবে রবি কুমার তুম্মালাচারলা পরে আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘যখন আপনি নিজে কোনো প্রতিষ্ঠান চালান, তখন দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। আমাদের পূর্বপুরুষেরা খাবার আর আশ্রয়ের জন্য লড়াই করেছেন। আমরা এখন আরাম চাই, তবু অভিযোগ করি। আমরা বলি চাকরি নেই, অথচ যখন সুযোগ আসে, তখন কতজন সময় আর ৮ ঘণ্টার কর্মদিবসের সম্মান রাখে?’ তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি ৭০ ঘণ্টার কাজের সপ্তাহ চান না; বরং ‘অতিরিক্ত আরামের’ যে প্রবণতা ভারতীয়দের মধ্যে, সেটি নিয়ে সতর্ক করছেন। যা তাঁর মতে, লক্ষ্যহীনতা বাড়াচ্ছে এবং উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে।
অনেকে কমেন্টে ছুটির দিনগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অটোমেশন ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। তার জবাবে রবি কুমার বলেন, ‘এআই রাস্তাঘাট বানাতে পারে না, সীমান্ত পাহারা দিতে পারে না, রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারে না। ভারতে এখনো এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা ছুটির দিনেও কাজ করেন, যাতে অন্যরা বিশ্রাম নিতে পারেন।’
পোস্টের শেষে তিনি পাঠকদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “আমরা কি ছুটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি? আমরা কি কখনো ভাবি, এই ছুটির পেছনে কী মূল্য আছে, নাকি শুধু লম্বা উইকেন্ড উপভোগ করি? শুধু ‘আমি কী পাচ্ছি?’ না ভেবে, ‘আমি কী দিচ্ছি?’ সেটা ভাবুন। ভারতের সমালোচকের চেয়ে অবদানকারীর বেশি প্রয়োজন। ”
ভারতের চলতি এপ্রিল মাসের ক্যালেন্ডারে দেখা যায়, সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১৫ দিনের বেশি ছুটি রয়েছে। ৩০ দিনের মাসের মধ্যে ১৫ দিনের বেশি ছুটিতেই কেটে যাচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হায়দরাবাদভিত্তিক একটি কোম্পানির সিইও (প্রধান নির্বাহী)।
ভারতে কর্মদক্ষতার মান এবং ঘন ঘন ছুটির প্রভাব নিয়ে ক্লিনরুমস কনটেইনমেন্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রবি কুমার তুম্মালাচারলারের দেওয়া এই পোস্ট লিংকডইনে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে রবি কুমার দাবি করছেন, ভারতে সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটির সংখ্যা এত বেশি যে ব্যবসার গতি থমকে যাচ্ছে এবং দক্ষতা কমে যাচ্ছে।
রবি কুমার লিখেছেন, ‘অতিরিক্ত ছুটি, কাজ এগোচ্ছে না! সরকারি ও ঐচ্ছিক ছুটি, তার সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে কাজ প্রায় থেমে আছে। শুধু এপ্রিল ২০২৫-এ ১০টির বেশি ছুটি হয়েছে, আর বেশির ভাগ অফিসে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ফাইল পড়ে আছে, নড়াচড়াই করছে না।’
পোস্টের সঙ্গে এপ্রিল মাসের ছুটির একটি তালিকাও জুড়ে দেন তিনি। ভারতের ছুটির ক্যালেন্ডার নতুন করে ভাবার আহ্বান জানান রবি কুমার।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শ্রমমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, ‘চীন আমাদের চেয়ে প্রায় ৬০ বছর এগিয়ে। কারণ, তারা আর্থিক অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয়। ভারতে আমরা প্রায়ই বিদেশে চলে যাই আরও সহজ ও দ্রুত কাজ করে নেওয়ার জন্য। এখন সময় এসেছে আমাদের ছুটির সংস্কৃতি নতুন করে ভাবার এবং ছুটি ও কাজের ভারসাম্য তৈরি করার।’
রবি কুমারের এই পোস্টের কমেন্টে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীরা। অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তিনি ঐচ্ছিক ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিকে একসঙ্গে গণনা করেছেন, ফলে প্রকৃত ‘কর্মহীন’ দিনের সংখ্যা ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এই পোস্টের মাধ্যমে কাজ ও জীবনের ভারসাম্য এবং ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
একজন মন্তব্য করেন, ‘তাহলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমাধান হচ্ছে দীপাবলি, ঈদ আর গুড ফ্রাইডে বাতিল করা? শুনে মনে হচ্ছে, আপনি ই-মেইলের উত্তর না পেয়ে বিরক্ত, ছোট ব্যবসাগুলোর প্রতি কোনো আসল উদ্বেগ নেই। ছুটি উৎপাদনশীলতা মেরে ফেলে না, মারে দুর্বল সিস্টেম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আর ২৪/৭ কাজ মানেই উন্নতি—এই ভান। চীন ইস্টার বাদ দিয়ে এগোয়নি, তারা লজিস্টিকস, প্রযুক্তি আর দক্ষতায় বিনিয়োগ করেছে। ক্যালেন্ডারকে দোষ না দিয়ে সেদিকে নজর দিন।’
আরেকজন লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, সিইও সাহেবের অফিস ২৪ ঘণ্টা খোলা! ভালো করে দেখুন, আপনি পুরো মাসের সব শনিবার-রোববারকে ছুটি ধরে নিয়েছেন। অনেক প্রাইভেট অফিসেই তো ৫ দিন কাজ হয়।’
আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ভারত ও চীনের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়, তাই সরাসরি তুলনা করা অন্যায্য। ভারতের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী সমাধান দরকার। ছুটিকে বাধা হিসেবে না দেখে, কীভাবে সেগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’
এসব প্রতিক্রিয়ার জবাবে রবি কুমার তুম্মালাচারলা পরে আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘যখন আপনি নিজে কোনো প্রতিষ্ঠান চালান, তখন দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। আমাদের পূর্বপুরুষেরা খাবার আর আশ্রয়ের জন্য লড়াই করেছেন। আমরা এখন আরাম চাই, তবু অভিযোগ করি। আমরা বলি চাকরি নেই, অথচ যখন সুযোগ আসে, তখন কতজন সময় আর ৮ ঘণ্টার কর্মদিবসের সম্মান রাখে?’ তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি ৭০ ঘণ্টার কাজের সপ্তাহ চান না; বরং ‘অতিরিক্ত আরামের’ যে প্রবণতা ভারতীয়দের মধ্যে, সেটি নিয়ে সতর্ক করছেন। যা তাঁর মতে, লক্ষ্যহীনতা বাড়াচ্ছে এবং উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে।
অনেকে কমেন্টে ছুটির দিনগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অটোমেশন ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। তার জবাবে রবি কুমার বলেন, ‘এআই রাস্তাঘাট বানাতে পারে না, সীমান্ত পাহারা দিতে পারে না, রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারে না। ভারতে এখনো এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা ছুটির দিনেও কাজ করেন, যাতে অন্যরা বিশ্রাম নিতে পারেন।’
পোস্টের শেষে তিনি পাঠকদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “আমরা কি ছুটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি? আমরা কি কখনো ভাবি, এই ছুটির পেছনে কী মূল্য আছে, নাকি শুধু লম্বা উইকেন্ড উপভোগ করি? শুধু ‘আমি কী পাচ্ছি?’ না ভেবে, ‘আমি কী দিচ্ছি?’ সেটা ভাবুন। ভারতের সমালোচকের চেয়ে অবদানকারীর বেশি প্রয়োজন। ”
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিষ্ক্রিয়তা (বিরোধী দলগুলোর দাবি) নিয়ে কংগ্রেসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই পোস্ট আবার পাকিস্তানের সাবেক এক মন্ত্রী রিশেয়ার করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছ
১ ঘণ্টা আগেসীমান্তে ভারতের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) কাছে গুলি করে সেটিকে ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করছে তারা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ রাজধানী লন্ডনের প্যাডিংটনে একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০০ জন কর্মী। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগেই একই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছের একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।
৫ ঘণ্টা আগেপুতিন কি আসলেই শান্তি চান? নাকি কেবলই লোক দেখানো?—রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে সম্প্রতি বারবারই উঠছে এই প্রশ্ন। কারণ, এখন ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেন ক্রেমলিনের চালাকিতে পরিণত হয়েছে! গতকাল সোমবার পুতিন আবারও তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
৫ ঘণ্টা আগে