Ajker Patrika

ভারতের নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড: মালিক ভ্রাতৃদ্বয় থাইল্যান্ডে আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০০
থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। ছবি: এনডিটিভি
থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিংয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।

আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করেন এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।

এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তাঁরা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’-র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।

আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে, তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশির ভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।

তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।

গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’

আরব সাগরতীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ