আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
গত শুক্রবার থেকে এই বাড়ির বাইরে একজন নারী কনস্টেবলসহ দুজন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। সাদা পোশাকের এক কনস্টেবল বলেন, এই পরিবারের লোকেরা খুব কমই গেট খোলেন বা কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে আসেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন শহীদ আনসারী (৪৪) ও তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আনসারী (৩৮)। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক ফাঁস হওয়া কথিত ‘আন্তদেশীয় ও আন্তরাজ্য’ জঙ্গি মডিউলের (ট্রান্সন্যাশনাল ও ইন্টারস্টেট টেরর মডিউল) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর শাহীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর পারভেজকে আটক রাখা হয়েছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি দরজায় কড়া নাড়লে বেশ কয়েক মিনিট কেউ উত্তর দেয় না। অবশেষে তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোহাম্মদ শোয়েব (৪৮) গ্রিলের পেছন থেকে কথা বলতে রাজি হন।
শোয়েব জানান, তাঁদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৮০) সন্তানদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো এসবে আগ্রহ ছিল না। তাই আমার বাবা শাহীন ও পারভেজের ওপর মনোযোগ দেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফলও হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি যে, পরিস্থিতি এমন মোড় নিতে পারে।’
শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে আমি ২০২১ সাল থেকে তাদের (শাহীন ও পারভেজ) সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পর থেকে তারা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক দিন শাহীনের সঙ্গে কথা বলিনি, পুলিশ গ্রেপ্তার করার আগে সে কোথায় ছিল বা কী কাজ করছিল, তা আমি সত্যি জানতাম না।’
পরিবারের তথ্যমতে, শাহীন তাঁদের বাড়ির কাছেই লালবাগ গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আর পারভেজ ছিলেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে।
এরপর শাহীন এলাহাবাদের এসআরএন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বারবার নোটিশের উত্তর না দেওয়ায় সে বছরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পারভেজ লক্ষ্ণৌয়ের এরা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং আগ্রার একটি কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২১ সালে ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
শোয়েব জানান, শাহীন ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রায় আড়াই বছর সৌদি আরবে ছিলেন। পারভেজও ২০১৬ সালে চাকরির জন্য মালদ্বীপ যান। এরপর দুজনই ২০১৭ সালের দিকে ভারতে ফিরে আসেন।
শোয়েব আরও জানান, দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। শাহীন ২০০৩ সালে চক্ষু সার্জন জাফর হায়াতকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়। চিকিৎসক হায়াত এখন কানপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
পারভেজ বিহারের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে শোয়েব জানান, তাঁর ছোট ভাই বিয়ের পরেই দূরে সরে যান এবং এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
শোয়েব বলেন, ‘আমার মা ইয়াসমিন পারভীনের ডায়াবেটিস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মা মারা যাওয়ার পর শাহীন বাড়িতে আসা আরও কমিয়ে দেয়।’
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি মাসে ফাঁস হওয়া জঙ্গি মডিউলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাহীন। অন্যরা হলেন রেড ফোর্টে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর নবী, তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ এবং সাহারানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী আদিল মজিদ। শাহীনও আল-ফালাহতে কাজ করতেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শাহীন ‘হোয়াইট কালার অপরাধী’ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মুজাম্মিলকে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, যা ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত পাঁচ বছরে শাহীন তাঁর পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। পারভেজও ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশ ও অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এখন এই পরিবারের দুই ভাই-বোনের জীবন, শিক্ষা, পরিচিত মানুষ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সৌদি আরব ও মালদ্বীপে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পারভেজের ডিভাইসগুলোও তাঁর লক্ষ্ণৌয়ের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খাণ্ডারি বাজারের অনেকে এই পরিবারকে চেনেন, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না। একজন ফিসফিস করে ওই পরিবারের কথা বলেন। তাঁকে ওই বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে নাম না নিয়ে কেবল ইশারা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই স্বীকার করতে চায় না যে তারা এই ভাই-বোনদের বা তাঁদের পরিবারকে চিনত। তাঁরা যখন ছোট ছিল, শুধু তখনকার কথাই মনে আছে। গত কয়েক বছরে দুই ভাই-বোন ধীরে ধীরে সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে।

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
গত শুক্রবার থেকে এই বাড়ির বাইরে একজন নারী কনস্টেবলসহ দুজন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। সাদা পোশাকের এক কনস্টেবল বলেন, এই পরিবারের লোকেরা খুব কমই গেট খোলেন বা কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে আসেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন শহীদ আনসারী (৪৪) ও তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আনসারী (৩৮)। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক ফাঁস হওয়া কথিত ‘আন্তদেশীয় ও আন্তরাজ্য’ জঙ্গি মডিউলের (ট্রান্সন্যাশনাল ও ইন্টারস্টেট টেরর মডিউল) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর শাহীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর পারভেজকে আটক রাখা হয়েছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি দরজায় কড়া নাড়লে বেশ কয়েক মিনিট কেউ উত্তর দেয় না। অবশেষে তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোহাম্মদ শোয়েব (৪৮) গ্রিলের পেছন থেকে কথা বলতে রাজি হন।
শোয়েব জানান, তাঁদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৮০) সন্তানদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো এসবে আগ্রহ ছিল না। তাই আমার বাবা শাহীন ও পারভেজের ওপর মনোযোগ দেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফলও হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি যে, পরিস্থিতি এমন মোড় নিতে পারে।’
শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে আমি ২০২১ সাল থেকে তাদের (শাহীন ও পারভেজ) সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পর থেকে তারা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক দিন শাহীনের সঙ্গে কথা বলিনি, পুলিশ গ্রেপ্তার করার আগে সে কোথায় ছিল বা কী কাজ করছিল, তা আমি সত্যি জানতাম না।’
পরিবারের তথ্যমতে, শাহীন তাঁদের বাড়ির কাছেই লালবাগ গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আর পারভেজ ছিলেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে।
এরপর শাহীন এলাহাবাদের এসআরএন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বারবার নোটিশের উত্তর না দেওয়ায় সে বছরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পারভেজ লক্ষ্ণৌয়ের এরা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং আগ্রার একটি কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২১ সালে ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
শোয়েব জানান, শাহীন ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রায় আড়াই বছর সৌদি আরবে ছিলেন। পারভেজও ২০১৬ সালে চাকরির জন্য মালদ্বীপ যান। এরপর দুজনই ২০১৭ সালের দিকে ভারতে ফিরে আসেন।
শোয়েব আরও জানান, দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। শাহীন ২০০৩ সালে চক্ষু সার্জন জাফর হায়াতকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়। চিকিৎসক হায়াত এখন কানপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
পারভেজ বিহারের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে শোয়েব জানান, তাঁর ছোট ভাই বিয়ের পরেই দূরে সরে যান এবং এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
শোয়েব বলেন, ‘আমার মা ইয়াসমিন পারভীনের ডায়াবেটিস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মা মারা যাওয়ার পর শাহীন বাড়িতে আসা আরও কমিয়ে দেয়।’
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি মাসে ফাঁস হওয়া জঙ্গি মডিউলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাহীন। অন্যরা হলেন রেড ফোর্টে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর নবী, তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ এবং সাহারানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী আদিল মজিদ। শাহীনও আল-ফালাহতে কাজ করতেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শাহীন ‘হোয়াইট কালার অপরাধী’ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মুজাম্মিলকে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, যা ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত পাঁচ বছরে শাহীন তাঁর পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। পারভেজও ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশ ও অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এখন এই পরিবারের দুই ভাই-বোনের জীবন, শিক্ষা, পরিচিত মানুষ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সৌদি আরব ও মালদ্বীপে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পারভেজের ডিভাইসগুলোও তাঁর লক্ষ্ণৌয়ের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খাণ্ডারি বাজারের অনেকে এই পরিবারকে চেনেন, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না। একজন ফিসফিস করে ওই পরিবারের কথা বলেন। তাঁকে ওই বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে নাম না নিয়ে কেবল ইশারা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই স্বীকার করতে চায় না যে তারা এই ভাই-বোনদের বা তাঁদের পরিবারকে চিনত। তাঁরা যখন ছোট ছিল, শুধু তখনকার কথাই মনে আছে। গত কয়েক বছরে দুই ভাই-বোন ধীরে ধীরে সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
গত শুক্রবার থেকে এই বাড়ির বাইরে একজন নারী কনস্টেবলসহ দুজন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। সাদা পোশাকের এক কনস্টেবল বলেন, এই পরিবারের লোকেরা খুব কমই গেট খোলেন বা কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে আসেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন শহীদ আনসারী (৪৪) ও তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আনসারী (৩৮)। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক ফাঁস হওয়া কথিত ‘আন্তদেশীয় ও আন্তরাজ্য’ জঙ্গি মডিউলের (ট্রান্সন্যাশনাল ও ইন্টারস্টেট টেরর মডিউল) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর শাহীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর পারভেজকে আটক রাখা হয়েছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি দরজায় কড়া নাড়লে বেশ কয়েক মিনিট কেউ উত্তর দেয় না। অবশেষে তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোহাম্মদ শোয়েব (৪৮) গ্রিলের পেছন থেকে কথা বলতে রাজি হন।
শোয়েব জানান, তাঁদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৮০) সন্তানদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো এসবে আগ্রহ ছিল না। তাই আমার বাবা শাহীন ও পারভেজের ওপর মনোযোগ দেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফলও হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি যে, পরিস্থিতি এমন মোড় নিতে পারে।’
শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে আমি ২০২১ সাল থেকে তাদের (শাহীন ও পারভেজ) সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পর থেকে তারা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক দিন শাহীনের সঙ্গে কথা বলিনি, পুলিশ গ্রেপ্তার করার আগে সে কোথায় ছিল বা কী কাজ করছিল, তা আমি সত্যি জানতাম না।’
পরিবারের তথ্যমতে, শাহীন তাঁদের বাড়ির কাছেই লালবাগ গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আর পারভেজ ছিলেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে।
এরপর শাহীন এলাহাবাদের এসআরএন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বারবার নোটিশের উত্তর না দেওয়ায় সে বছরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পারভেজ লক্ষ্ণৌয়ের এরা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং আগ্রার একটি কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২১ সালে ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
শোয়েব জানান, শাহীন ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রায় আড়াই বছর সৌদি আরবে ছিলেন। পারভেজও ২০১৬ সালে চাকরির জন্য মালদ্বীপ যান। এরপর দুজনই ২০১৭ সালের দিকে ভারতে ফিরে আসেন।
শোয়েব আরও জানান, দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। শাহীন ২০০৩ সালে চক্ষু সার্জন জাফর হায়াতকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়। চিকিৎসক হায়াত এখন কানপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
পারভেজ বিহারের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে শোয়েব জানান, তাঁর ছোট ভাই বিয়ের পরেই দূরে সরে যান এবং এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
শোয়েব বলেন, ‘আমার মা ইয়াসমিন পারভীনের ডায়াবেটিস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মা মারা যাওয়ার পর শাহীন বাড়িতে আসা আরও কমিয়ে দেয়।’
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি মাসে ফাঁস হওয়া জঙ্গি মডিউলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাহীন। অন্যরা হলেন রেড ফোর্টে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর নবী, তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ এবং সাহারানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী আদিল মজিদ। শাহীনও আল-ফালাহতে কাজ করতেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শাহীন ‘হোয়াইট কালার অপরাধী’ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মুজাম্মিলকে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, যা ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত পাঁচ বছরে শাহীন তাঁর পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। পারভেজও ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশ ও অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এখন এই পরিবারের দুই ভাই-বোনের জীবন, শিক্ষা, পরিচিত মানুষ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সৌদি আরব ও মালদ্বীপে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পারভেজের ডিভাইসগুলোও তাঁর লক্ষ্ণৌয়ের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খাণ্ডারি বাজারের অনেকে এই পরিবারকে চেনেন, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না। একজন ফিসফিস করে ওই পরিবারের কথা বলেন। তাঁকে ওই বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে নাম না নিয়ে কেবল ইশারা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই স্বীকার করতে চায় না যে তারা এই ভাই-বোনদের বা তাঁদের পরিবারকে চিনত। তাঁরা যখন ছোট ছিল, শুধু তখনকার কথাই মনে আছে। গত কয়েক বছরে দুই ভাই-বোন ধীরে ধীরে সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে।

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
গত শুক্রবার থেকে এই বাড়ির বাইরে একজন নারী কনস্টেবলসহ দুজন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। সাদা পোশাকের এক কনস্টেবল বলেন, এই পরিবারের লোকেরা খুব কমই গেট খোলেন বা কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে আসেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন শহীদ আনসারী (৪৪) ও তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আনসারী (৩৮)। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক ফাঁস হওয়া কথিত ‘আন্তদেশীয় ও আন্তরাজ্য’ জঙ্গি মডিউলের (ট্রান্সন্যাশনাল ও ইন্টারস্টেট টেরর মডিউল) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর শাহীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর পারভেজকে আটক রাখা হয়েছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি দরজায় কড়া নাড়লে বেশ কয়েক মিনিট কেউ উত্তর দেয় না। অবশেষে তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোহাম্মদ শোয়েব (৪৮) গ্রিলের পেছন থেকে কথা বলতে রাজি হন।
শোয়েব জানান, তাঁদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৮০) সন্তানদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো এসবে আগ্রহ ছিল না। তাই আমার বাবা শাহীন ও পারভেজের ওপর মনোযোগ দেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফলও হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি যে, পরিস্থিতি এমন মোড় নিতে পারে।’
শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে আমি ২০২১ সাল থেকে তাদের (শাহীন ও পারভেজ) সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পর থেকে তারা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক দিন শাহীনের সঙ্গে কথা বলিনি, পুলিশ গ্রেপ্তার করার আগে সে কোথায় ছিল বা কী কাজ করছিল, তা আমি সত্যি জানতাম না।’
পরিবারের তথ্যমতে, শাহীন তাঁদের বাড়ির কাছেই লালবাগ গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আর পারভেজ ছিলেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে।
এরপর শাহীন এলাহাবাদের এসআরএন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বারবার নোটিশের উত্তর না দেওয়ায় সে বছরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পারভেজ লক্ষ্ণৌয়ের এরা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং আগ্রার একটি কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২১ সালে ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
শোয়েব জানান, শাহীন ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রায় আড়াই বছর সৌদি আরবে ছিলেন। পারভেজও ২০১৬ সালে চাকরির জন্য মালদ্বীপ যান। এরপর দুজনই ২০১৭ সালের দিকে ভারতে ফিরে আসেন।
শোয়েব আরও জানান, দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। শাহীন ২০০৩ সালে চক্ষু সার্জন জাফর হায়াতকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়। চিকিৎসক হায়াত এখন কানপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
পারভেজ বিহারের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে শোয়েব জানান, তাঁর ছোট ভাই বিয়ের পরেই দূরে সরে যান এবং এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
শোয়েব বলেন, ‘আমার মা ইয়াসমিন পারভীনের ডায়াবেটিস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মা মারা যাওয়ার পর শাহীন বাড়িতে আসা আরও কমিয়ে দেয়।’
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি মাসে ফাঁস হওয়া জঙ্গি মডিউলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাহীন। অন্যরা হলেন রেড ফোর্টে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর নবী, তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ এবং সাহারানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী আদিল মজিদ। শাহীনও আল-ফালাহতে কাজ করতেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শাহীন ‘হোয়াইট কালার অপরাধী’ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মুজাম্মিলকে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, যা ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত পাঁচ বছরে শাহীন তাঁর পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। পারভেজও ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশ ও অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এখন এই পরিবারের দুই ভাই-বোনের জীবন, শিক্ষা, পরিচিত মানুষ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সৌদি আরব ও মালদ্বীপে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পারভেজের ডিভাইসগুলোও তাঁর লক্ষ্ণৌয়ের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খাণ্ডারি বাজারের অনেকে এই পরিবারকে চেনেন, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না। একজন ফিসফিস করে ওই পরিবারের কথা বলেন। তাঁকে ওই বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে নাম না নিয়ে কেবল ইশারা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই স্বীকার করতে চায় না যে তারা এই ভাই-বোনদের বা তাঁদের পরিবারকে চিনত। তাঁরা যখন ছোট ছিল, শুধু তখনকার কথাই মনে আছে। গত কয়েক বছরে দুই ভাই-বোন ধীরে ধীরে সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে।

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
১৬ নভেম্বর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
১৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।
প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’
আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’
এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।
প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’
আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’
এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
১৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
১৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে