Ajker Patrika

পাখির আঘাতেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ১৯: ০২
বিমান বিধ্বস্তের পর কালো ধোঁয়ায় ছেঁয়ে গেছে আশপাশের এলাকা। ছবি: এএফপি
বিমান বিধ্বস্তের পর কালো ধোঁয়ায় ছেঁয়ে গেছে আশপাশের এলাকা। ছবি: এএফপি

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট১৭১-এর দুর্ঘটনার পেছনে পাখির আঘাতই মূল কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন উড়োজাহাজ চলাচল বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে তাঁরা বলেছেন, উড্ডয়নের সময় একাধিক পাখির আঘাতে উড়োজাহাজটি পর্যাপ্ত গতি অর্জন করতে পারেনি, ফলে ইঞ্জিন শক্তি হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়।

দিল্লি থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উড্ডয়ন করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। এতে ২৩২ জন যাত্রী, ১০ জন ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।

সাবেক সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনগর বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি একাধিক পাখির আঘাতের ঘটনা, যার ফলে দুটি ইঞ্জিনই শক্তি হারায়। উড্ডয়ন ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু চাকা ভাঁজ করার আগেই উড়োজাহাজটি নামতে শুরু করে, যা সাধারণত ইঞ্জিনের পাওয়ার হারালে বা লিফট না থাকলে ঘটে।

অন্য এক অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় লাজার বলেন, উড়োজাহাজটি তুলনামূলকভাবে নতুন। মাত্র ১১ বছর হয়েছে, তাই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনা কম। পাখির আঘাতের কারণে ইঞ্জিনে আগুন ধরলে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের ৬-৭ মিনিটের মধ্যেই নেমে যেতে পারে।

উড়োজাহাজটি একটি আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, যেখানে পাখির আনাগোনা ছিল বলেই ধারণা।

এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, আরোহীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে বলেছেন, ‘আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। এটি ভাষাতীত এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত