আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে উল্লেখ করেছিল।
এই পোস্টের সূত্র ধরে সাতারা পুলিশের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র শাহানে এক্স কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক ‘গোপন’ নোটিশে লিখেছিলেন, ‘এই পোস্ট ও এর বিষয়বস্তু মারাত্মক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’
পোস্টটি এখনো অনলাইনে আছে। তবে এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এক্স ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মার্চে দায়ের করা ওই মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর দমন অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করেছে এক্স।
২০২৩ সাল থেকে ভারত সরকার অনলাইনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। এখন অনেক বেশি সরকারি কর্মকর্তা সরাসরি টেক কোম্পানিগুলোর কাছে পোস্ট মুছে ফেলার ‘নির্দেশ’ দিতে পারছেন। গত অক্টোবরে চালু হওয়া একটি সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এসব নির্দেশ পাঠানো যাচ্ছে।
এক্স বলছে, ভারতের এই পদক্ষেপ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। এতে অসংখ্য সরকারি সংস্থা ও হাজারো পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনামূলক পোস্টও দমন করতে পারে—যা স্বাধীন মতপ্রকাশের পরিপন্থী।
ভারত সরকার আদালতে বলেছে, এই উদ্যোগ অনলাইনে বেআইনি কনটেন্টের বিস্তার রোধ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে। তারা দাবি করেছে, মেটা ও গুগলসহ অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। তবে মেটা ও গুগল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মাস্ক নিজেকে ‘পূর্ণ স্বাধীন মতপ্রকাশের সমর্থক’ বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া ও আরও কিছু দেশে কনটেন্ট অপসারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়েছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সরকারের কড়া সেন্সরশিপ নীতির ভিত্তিকেই আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ভারত এক্সের অন্যতম বড় বাজার, আর মাস্ক বলেছিলেন, এই দেশটির উন্নয়নের সম্ভাবনা বিশ্বের যে কোনো বড় দেশের চেয়ে বেশি।
রয়টার্সের হাতে থাকা আড়াই হাজার পৃষ্ঠার আদালতের গোপন নথি ও ৭ পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ভারত কীভাবে একটি গোপন সেন্সরশিপ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনলাইন পোস্ট মুছে ফেলছে। এর মধ্যে শুধু ভুয়া তথ্য রোধ নয়, সংবাদ প্রতিবেদন, কার্টুন এবং রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রও রয়েছে।
এর আগে, কেবল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দিতে পারত। কিন্তু ২০২৩ সালে মোদি সরকার সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থা এবং পুলিশকে যে কোনো বেআইনি তথ্য সরানোর ক্ষমতা দেয়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে চালু হয় ‘সহযোগ’ নামের একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে সহজেই টেক কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ পাঠানো যায় পোস্ট মুছে ফেলার। এক্স এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়নি, বরং এটিকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ আখ্যা দিয়ে মামলা করেছে।
আদালতের নথি বলছে, মার্চ ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভারতীয় সংস্থাগুলো এক্সকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নির্দেশ এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র থেকে।
সরকারের প্রতিবেদনে এক্সকে ‘বিদ্বেষ ও বিভাজন ছড়ানোর’ জন্য দায়ী করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক সংবাদ প্রতিবেদন ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ।
কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, ভারতের রেল মন্ত্রণালয় ভয়াবহ পদদলনের ঘটনার সংবাদ প্রতিবেদনও সরাতে বলেছে। আবার চেন্নাই পুলিশ প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা ‘লাল ডাইনোসর’ কার্টুন মুছে ফেলতে বলেছে, যেখানে ডাইনোসরটির নাম ছিল ‘মূল্যস্ফীতি।’
চেন্নাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এক্স ‘ভারতের সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বোঝে না’। অন্য দেশে যা গ্রহণযোগ্য, ভারতে তা ‘নিষিদ্ধ’ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে উল্লেখ করেছিল।
এই পোস্টের সূত্র ধরে সাতারা পুলিশের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র শাহানে এক্স কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক ‘গোপন’ নোটিশে লিখেছিলেন, ‘এই পোস্ট ও এর বিষয়বস্তু মারাত্মক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’
পোস্টটি এখনো অনলাইনে আছে। তবে এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এক্স ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মার্চে দায়ের করা ওই মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর দমন অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করেছে এক্স।
২০২৩ সাল থেকে ভারত সরকার অনলাইনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। এখন অনেক বেশি সরকারি কর্মকর্তা সরাসরি টেক কোম্পানিগুলোর কাছে পোস্ট মুছে ফেলার ‘নির্দেশ’ দিতে পারছেন। গত অক্টোবরে চালু হওয়া একটি সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এসব নির্দেশ পাঠানো যাচ্ছে।
এক্স বলছে, ভারতের এই পদক্ষেপ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। এতে অসংখ্য সরকারি সংস্থা ও হাজারো পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনামূলক পোস্টও দমন করতে পারে—যা স্বাধীন মতপ্রকাশের পরিপন্থী।
ভারত সরকার আদালতে বলেছে, এই উদ্যোগ অনলাইনে বেআইনি কনটেন্টের বিস্তার রোধ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে। তারা দাবি করেছে, মেটা ও গুগলসহ অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। তবে মেটা ও গুগল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মাস্ক নিজেকে ‘পূর্ণ স্বাধীন মতপ্রকাশের সমর্থক’ বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া ও আরও কিছু দেশে কনটেন্ট অপসারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়েছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সরকারের কড়া সেন্সরশিপ নীতির ভিত্তিকেই আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ভারত এক্সের অন্যতম বড় বাজার, আর মাস্ক বলেছিলেন, এই দেশটির উন্নয়নের সম্ভাবনা বিশ্বের যে কোনো বড় দেশের চেয়ে বেশি।
রয়টার্সের হাতে থাকা আড়াই হাজার পৃষ্ঠার আদালতের গোপন নথি ও ৭ পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ভারত কীভাবে একটি গোপন সেন্সরশিপ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনলাইন পোস্ট মুছে ফেলছে। এর মধ্যে শুধু ভুয়া তথ্য রোধ নয়, সংবাদ প্রতিবেদন, কার্টুন এবং রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রও রয়েছে।
এর আগে, কেবল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দিতে পারত। কিন্তু ২০২৩ সালে মোদি সরকার সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থা এবং পুলিশকে যে কোনো বেআইনি তথ্য সরানোর ক্ষমতা দেয়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে চালু হয় ‘সহযোগ’ নামের একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে সহজেই টেক কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ পাঠানো যায় পোস্ট মুছে ফেলার। এক্স এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়নি, বরং এটিকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ আখ্যা দিয়ে মামলা করেছে।
আদালতের নথি বলছে, মার্চ ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভারতীয় সংস্থাগুলো এক্সকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নির্দেশ এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র থেকে।
সরকারের প্রতিবেদনে এক্সকে ‘বিদ্বেষ ও বিভাজন ছড়ানোর’ জন্য দায়ী করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক সংবাদ প্রতিবেদন ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ।
কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, ভারতের রেল মন্ত্রণালয় ভয়াবহ পদদলনের ঘটনার সংবাদ প্রতিবেদনও সরাতে বলেছে। আবার চেন্নাই পুলিশ প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা ‘লাল ডাইনোসর’ কার্টুন মুছে ফেলতে বলেছে, যেখানে ডাইনোসরটির নাম ছিল ‘মূল্যস্ফীতি।’
চেন্নাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এক্স ‘ভারতের সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বোঝে না’। অন্য দেশে যা গ্রহণযোগ্য, ভারতে তা ‘নিষিদ্ধ’ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে উল্লেখ করেছিল।
এই পোস্টের সূত্র ধরে সাতারা পুলিশের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র শাহানে এক্স কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক ‘গোপন’ নোটিশে লিখেছিলেন, ‘এই পোস্ট ও এর বিষয়বস্তু মারাত্মক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’
পোস্টটি এখনো অনলাইনে আছে। তবে এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এক্স ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মার্চে দায়ের করা ওই মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর দমন অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করেছে এক্স।
২০২৩ সাল থেকে ভারত সরকার অনলাইনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। এখন অনেক বেশি সরকারি কর্মকর্তা সরাসরি টেক কোম্পানিগুলোর কাছে পোস্ট মুছে ফেলার ‘নির্দেশ’ দিতে পারছেন। গত অক্টোবরে চালু হওয়া একটি সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এসব নির্দেশ পাঠানো যাচ্ছে।
এক্স বলছে, ভারতের এই পদক্ষেপ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। এতে অসংখ্য সরকারি সংস্থা ও হাজারো পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনামূলক পোস্টও দমন করতে পারে—যা স্বাধীন মতপ্রকাশের পরিপন্থী।
ভারত সরকার আদালতে বলেছে, এই উদ্যোগ অনলাইনে বেআইনি কনটেন্টের বিস্তার রোধ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে। তারা দাবি করেছে, মেটা ও গুগলসহ অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। তবে মেটা ও গুগল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মাস্ক নিজেকে ‘পূর্ণ স্বাধীন মতপ্রকাশের সমর্থক’ বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া ও আরও কিছু দেশে কনটেন্ট অপসারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়েছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সরকারের কড়া সেন্সরশিপ নীতির ভিত্তিকেই আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ভারত এক্সের অন্যতম বড় বাজার, আর মাস্ক বলেছিলেন, এই দেশটির উন্নয়নের সম্ভাবনা বিশ্বের যে কোনো বড় দেশের চেয়ে বেশি।
রয়টার্সের হাতে থাকা আড়াই হাজার পৃষ্ঠার আদালতের গোপন নথি ও ৭ পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ভারত কীভাবে একটি গোপন সেন্সরশিপ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনলাইন পোস্ট মুছে ফেলছে। এর মধ্যে শুধু ভুয়া তথ্য রোধ নয়, সংবাদ প্রতিবেদন, কার্টুন এবং রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রও রয়েছে।
এর আগে, কেবল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দিতে পারত। কিন্তু ২০২৩ সালে মোদি সরকার সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থা এবং পুলিশকে যে কোনো বেআইনি তথ্য সরানোর ক্ষমতা দেয়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে চালু হয় ‘সহযোগ’ নামের একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে সহজেই টেক কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ পাঠানো যায় পোস্ট মুছে ফেলার। এক্স এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়নি, বরং এটিকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ আখ্যা দিয়ে মামলা করেছে।
আদালতের নথি বলছে, মার্চ ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভারতীয় সংস্থাগুলো এক্সকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নির্দেশ এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র থেকে।
সরকারের প্রতিবেদনে এক্সকে ‘বিদ্বেষ ও বিভাজন ছড়ানোর’ জন্য দায়ী করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক সংবাদ প্রতিবেদন ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ।
কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, ভারতের রেল মন্ত্রণালয় ভয়াবহ পদদলনের ঘটনার সংবাদ প্রতিবেদনও সরাতে বলেছে। আবার চেন্নাই পুলিশ প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা ‘লাল ডাইনোসর’ কার্টুন মুছে ফেলতে বলেছে, যেখানে ডাইনোসরটির নাম ছিল ‘মূল্যস্ফীতি।’
চেন্নাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এক্স ‘ভারতের সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বোঝে না’। অন্য দেশে যা গ্রহণযোগ্য, ভারতে তা ‘নিষিদ্ধ’ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে উল্লেখ করেছিল।
এই পোস্টের সূত্র ধরে সাতারা পুলিশের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র শাহানে এক্স কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক ‘গোপন’ নোটিশে লিখেছিলেন, ‘এই পোস্ট ও এর বিষয়বস্তু মারাত্মক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।’
পোস্টটি এখনো অনলাইনে আছে। তবে এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এক্স ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মার্চে দায়ের করা ওই মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর দমন অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করেছে এক্স।
২০২৩ সাল থেকে ভারত সরকার অনলাইনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। এখন অনেক বেশি সরকারি কর্মকর্তা সরাসরি টেক কোম্পানিগুলোর কাছে পোস্ট মুছে ফেলার ‘নির্দেশ’ দিতে পারছেন। গত অক্টোবরে চালু হওয়া একটি সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এসব নির্দেশ পাঠানো যাচ্ছে।
এক্স বলছে, ভারতের এই পদক্ষেপ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। এতে অসংখ্য সরকারি সংস্থা ও হাজারো পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনামূলক পোস্টও দমন করতে পারে—যা স্বাধীন মতপ্রকাশের পরিপন্থী।
ভারত সরকার আদালতে বলেছে, এই উদ্যোগ অনলাইনে বেআইনি কনটেন্টের বিস্তার রোধ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে। তারা দাবি করেছে, মেটা ও গুগলসহ অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। তবে মেটা ও গুগল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মাস্ক নিজেকে ‘পূর্ণ স্বাধীন মতপ্রকাশের সমর্থক’ বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া ও আরও কিছু দেশে কনটেন্ট অপসারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়েছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সরকারের কড়া সেন্সরশিপ নীতির ভিত্তিকেই আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ভারত এক্সের অন্যতম বড় বাজার, আর মাস্ক বলেছিলেন, এই দেশটির উন্নয়নের সম্ভাবনা বিশ্বের যে কোনো বড় দেশের চেয়ে বেশি।
রয়টার্সের হাতে থাকা আড়াই হাজার পৃষ্ঠার আদালতের গোপন নথি ও ৭ পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ভারত কীভাবে একটি গোপন সেন্সরশিপ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনলাইন পোস্ট মুছে ফেলছে। এর মধ্যে শুধু ভুয়া তথ্য রোধ নয়, সংবাদ প্রতিবেদন, কার্টুন এবং রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রও রয়েছে।
এর আগে, কেবল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দিতে পারত। কিন্তু ২০২৩ সালে মোদি সরকার সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থা এবং পুলিশকে যে কোনো বেআইনি তথ্য সরানোর ক্ষমতা দেয়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে চালু হয় ‘সহযোগ’ নামের একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে সহজেই টেক কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ পাঠানো যায় পোস্ট মুছে ফেলার। এক্স এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়নি, বরং এটিকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ আখ্যা দিয়ে মামলা করেছে।
আদালতের নথি বলছে, মার্চ ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত ভারতীয় সংস্থাগুলো এক্সকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নির্দেশ এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র থেকে।
সরকারের প্রতিবেদনে এক্সকে ‘বিদ্বেষ ও বিভাজন ছড়ানোর’ জন্য দায়ী করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক সংবাদ প্রতিবেদন ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ।
কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, ভারতের রেল মন্ত্রণালয় ভয়াবহ পদদলনের ঘটনার সংবাদ প্রতিবেদনও সরাতে বলেছে। আবার চেন্নাই পুলিশ প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা ‘লাল ডাইনোসর’ কার্টুন মুছে ফেলতে বলেছে, যেখানে ডাইনোসরটির নাম ছিল ‘মূল্যস্ফীতি।’
চেন্নাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এক্স ‘ভারতের সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বোঝে না’। অন্য দেশে যা গ্রহণযোগ্য, ভারতে তা ‘নিষিদ্ধ’ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে
০৯ আগস্ট ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে
০৯ আগস্ট ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে
০৯ আগস্ট ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

গত জানুয়ারিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা এক পুরোনো পোস্ট নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা শহরে পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে লেখা সেই ছোট্ট বার্তায় কয়েক শ ফলোয়ারের একটি অ্যাকাউন্ট ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ‘অকেজো’ বলে
০৯ আগস্ট ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৫ ঘণ্টা আগে