Ajker Patrika

পাকিস্তানের ভয়ে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করতে চায় না ভারত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ২৩: ৫৭
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে পাক-ভারত যুদ্ধের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। ছবি: পিআইবি ইন্ডিয়া
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে পাক-ভারত যুদ্ধের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। ছবি: পিআইবি ইন্ডিয়া

ভারত-পাকিস্তান চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের ঠিক কী পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তথ্য জানাতে রাজি হননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে পাক-ভারত যুদ্ধের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল এ কে ভার্তি বলেন, ‘আমরা এখনো যুদ্ধাবস্থায় আছি। আর ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ।’ সাড়ে তিন দিনের যুদ্ধের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি শুধু এতটুকুই বলেন।

পাকিস্তানের দাবি, চলমান সংঘাতে তারা ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতের একটি বা একাধিক রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান।

তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে কথা বলতে চাননি সামরিক কর্মকর্তারা। এয়ার মার্শাল এ কে ভার্তি বলেন, ‘আপনাদের এবং আমাদেরও উচিত নিজেদের কাছে শুধু একটি প্রশ্ন করা। সেটা হলো, আমরা কি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি? মানে, আমরা কি তাদের সন্ত্রাসীর আস্তানাগুলো ধ্বংস করতে পেরেছি?’

ভার্তি বলেন, ‘উত্তর হলো, হ্যাঁ। সীমান্তের ওপারে থাকা সন্ত্রাসীর আস্তানাগুলো আমরা ধ্বংস করতে পেরেছি। আর পুরো বিশ্ব এটা জানে। তারা এটা প্রত্যক্ষ করেছে।’

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারত কী কী হারিয়েছে এবং কতগুলো সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ, আমরা এখনো যুদ্ধাবস্থায় আছি। কিছু বললে তাতে প্রতিপক্ষের লাভ হবে।’

তবে তিনি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা যে উদ্দেশ্যে এই অভিযান পরিচালনা করেছি, সেটাতে আমরা সফল হয়েছি। আমাদের সব পাইলট নিরাপদে ঘরে ফিরেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত