কোভিড টিকা সনদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কোনো দেশই যেখানে সনদে কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম রাখছে না, সেখানে টিকা সনদে মোদির ছবি থাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ইমিগ্রেশনে ভারতীয়দের ঝামেলায় পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তা ছাড়া যাঁরা টাকা দিয়ে কিনে টিকা নিচ্ছেন, তাঁদের সনদে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকাটা অন্যায্য বলেও মনে করেন অনেকে।
এসব নিয়েই আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন এক নাগরিক। আদালত উল্টো ওই নাগরিককে ভর্ৎসনা করে লাখ রুপি জরিমানা করেছেন। বিচারক রিটটি খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, এই রিট ‘অর্থহীন’, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘আত্মপ্রচারের স্বার্থে’ করা হয়েছে।
কেরালা হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন তথ্য অধিকার (আরটিআই) কর্মী পিটার মায়ালিপারম্পিল। রিটে তিনি বলেছিলেন, যখন কেউ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গাঁটের পয়সা খরচ করে টিকা কিনছে, তখন টিকার সনদপত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি থাকাটা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।
তিনি আরও দাবি করেছিলেন, সনদে থাকে ব্যক্তিগত তথ্যের বিবরণ। এটি ‘একটি ব্যক্তিগত জায়গা’। তাই একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার জায়গায় অন্য কারো অনুপ্রবেশ করা অনুচিত।
তবে শুনানির সময় বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত কোভিড টিকার সনদপত্রে কোনো ত্রুটি দেখতে পাননি। বরং বলেছেন, ‘রিটের পেছনে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হচ্ছে। এটি কোনো উল্লেখযোগ্য রিট নয়...রিটের পেছনে উদ্দেশ্য জনসাধারণের মঙ্গল নয়, বরং প্রচারের জন্য।’
সেই বিচারপতি যোগ করেন, ‘যখন গুরুতর মামলা আদালতে জট তৈরি করছে, তখন এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় রিটকে উৎসাহিত করা যায় না।’
এ ব্যাপারে রায় দানকারী বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারে না যে, একজন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের বা বিজেপির বা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান অনুযায়ী একবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তিনিই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সেটি একটি পদ। তাঁকে নিয়ে প্রতিটি নাগরিকের গর্বিত হওয়া উচিত।’
রিট খারিজ করার কারণ জানতে চাইলে জবাব হিসেবে বিচারপতি যা বলেছেন তা উদ্ধৃত করে পিটিআই আরও বলে, ‘...তাঁরা সরকারের নীতি এমনকি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। তবে নাগরিকদের মনোবল বাড়ানোর বার্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত টিকা সনদপত্র বহন করতে লজ্জা পাওয়ার কোনো কারণ নেই, বিশেষ করে এই মহামারি পরিস্থিতিতে তো নয়ই।’
রিটকারীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেরালা স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (কেএলএসএ) বরাবর ১ লাখ রুপি জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁর সম্পদ বিক্রি করে সেই অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পিটিআই জানিয়েছে, শুনানির সময় ওই বিচারপতি রিটাকারীকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপনি লজ্জিত কেন? তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন...আমাদের ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে, কিন্তু তিনি এখনো আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’
পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের টিকা সনদপত্রে কোনো রাজনৈতিক নেতার ছবি নেই, তাহলে ভারতে কেন এটি করতে হবে—এমন প্রশ্নে বিচারপতি বলেন, ‘তাঁরা তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্বিত না-ও হতে পারে, আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য গর্বিত।’
কোভিড টিকা সনদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কোনো দেশই যেখানে সনদে কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম রাখছে না, সেখানে টিকা সনদে মোদির ছবি থাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ইমিগ্রেশনে ভারতীয়দের ঝামেলায় পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তা ছাড়া যাঁরা টাকা দিয়ে কিনে টিকা নিচ্ছেন, তাঁদের সনদে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকাটা অন্যায্য বলেও মনে করেন অনেকে।
এসব নিয়েই আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন এক নাগরিক। আদালত উল্টো ওই নাগরিককে ভর্ৎসনা করে লাখ রুপি জরিমানা করেছেন। বিচারক রিটটি খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, এই রিট ‘অর্থহীন’, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘আত্মপ্রচারের স্বার্থে’ করা হয়েছে।
কেরালা হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন তথ্য অধিকার (আরটিআই) কর্মী পিটার মায়ালিপারম্পিল। রিটে তিনি বলেছিলেন, যখন কেউ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গাঁটের পয়সা খরচ করে টিকা কিনছে, তখন টিকার সনদপত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি থাকাটা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।
তিনি আরও দাবি করেছিলেন, সনদে থাকে ব্যক্তিগত তথ্যের বিবরণ। এটি ‘একটি ব্যক্তিগত জায়গা’। তাই একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার জায়গায় অন্য কারো অনুপ্রবেশ করা অনুচিত।
তবে শুনানির সময় বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত কোভিড টিকার সনদপত্রে কোনো ত্রুটি দেখতে পাননি। বরং বলেছেন, ‘রিটের পেছনে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হচ্ছে। এটি কোনো উল্লেখযোগ্য রিট নয়...রিটের পেছনে উদ্দেশ্য জনসাধারণের মঙ্গল নয়, বরং প্রচারের জন্য।’
সেই বিচারপতি যোগ করেন, ‘যখন গুরুতর মামলা আদালতে জট তৈরি করছে, তখন এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় রিটকে উৎসাহিত করা যায় না।’
এ ব্যাপারে রায় দানকারী বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারে না যে, একজন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের বা বিজেপির বা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান অনুযায়ী একবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তিনিই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সেটি একটি পদ। তাঁকে নিয়ে প্রতিটি নাগরিকের গর্বিত হওয়া উচিত।’
রিট খারিজ করার কারণ জানতে চাইলে জবাব হিসেবে বিচারপতি যা বলেছেন তা উদ্ধৃত করে পিটিআই আরও বলে, ‘...তাঁরা সরকারের নীতি এমনকি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। তবে নাগরিকদের মনোবল বাড়ানোর বার্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত টিকা সনদপত্র বহন করতে লজ্জা পাওয়ার কোনো কারণ নেই, বিশেষ করে এই মহামারি পরিস্থিতিতে তো নয়ই।’
রিটকারীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেরালা স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (কেএলএসএ) বরাবর ১ লাখ রুপি জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁর সম্পদ বিক্রি করে সেই অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পিটিআই জানিয়েছে, শুনানির সময় ওই বিচারপতি রিটাকারীকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপনি লজ্জিত কেন? তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন...আমাদের ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে, কিন্তু তিনি এখনো আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’
পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের টিকা সনদপত্রে কোনো রাজনৈতিক নেতার ছবি নেই, তাহলে ভারতে কেন এটি করতে হবে—এমন প্রশ্নে বিচারপতি বলেন, ‘তাঁরা তাঁদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্বিত না-ও হতে পারে, আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য গর্বিত।’
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেবে, ঠিক যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন কায়েম করেছে ইসরায়েল।
৪৩ মিনিট আগেট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে দেখি, কোনো রকেট গিয়ে একটি নার্সিং হোম বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে। আর রাস্তায় লাশ পড়ে আছে।’
১ ঘণ্টা আগেসৌরশক্তিচালিত বিমানে মানব অভিযাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডমজান। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে তিনি আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম করেন এবং ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১,২৩৪ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছান।
৩ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর দক্ষিণ ফ্রান্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মাখোঁ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা।
৪ ঘণ্টা আগে