Ajker Patrika

ভারতে পলিটিক্যাল ডিজাস্টার চলছে: মমতা

ভারতে পলিটিক্যাল ডিজাস্টার চলছে: মমতা

ঢাকা: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতে চলছে রাজনৈতিক বিপর্যয় বা পলিটিক্যাল ডিজাস্টার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে দিল্লিতে ৭ মাস ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে অবিলম্বে বৈঠকের দাবি তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই সঙ্গে নতুন কৃষি বিল বাতিলেরও দাবি করেন তিনি।

মোদি সরকারের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে ৭ মাস ধরে আন্দোলনরত কৃষক আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আজ কলকাতায় রাজ্য সচিবালয় নবান্ন-এ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সাবেক বিজেপি নেতা ও ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিং এবং আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে টিকায়েত জানান গোটা দেশজুড়ে তাঁরা 'নো ভোট টু বিজেপি' বা বিজেপিকে কোনো ভোট নয় প্রচার চালাবেন। পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভা ভোটের সময় মমতার সমর্থনে এই প্রচার চালিয়েছিলেন তাঁরা।

কৃষক নেতাদের অভিযোগ, মোদি সরকারের আমলে গৃহীত নতুন কৃষি আইনের কৃষিজাতপণ্য বিক্রি, গুদামজাতকরণ ও মূল্য নির্ধারণ নীতি বদলে গিয়েছে। নতুন আইনে নির্ধারিত বাজার ছাড়াও বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা যাবে। ব্যবসায়ীরা খাবার মজুত করতে পারবেন। ফলে পণ্য মজুত করে লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরাই।

এদিকে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ভারতের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গে নব নির্বাচিত মমতা ব্যানার্জির সরকারকে বরখাস্ত করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছেন শাসক দলের অত্যাচারে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তবে শুভেন্দুর দাবিকে তেমন একটা আমল দিতেই নারাজ তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের মতে, বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে। তাই দিল্লিতে কাঁদুনি গাইছেন নেতারা।

এদিকে, শুভেন্দুর দিল্লির সফর ঘিরেও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের রাজ্যে নেতাদের দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, তাঁকে কেউ জানিয়ে দিল্লি যাননি। গতকালই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ । সেই বৈঠকে মুকুল রায়-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা যোগ দেননি ।

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বিতর্ক
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে সামনের বছর শুরুতেই বিধানসভা ভোট। এর আগে উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যসচিব অনুপচন্দ্র পাণ্ডেকেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে তিনিও কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন। অভিযোগ উঠেছে, বিধানসভা ভোটে বাড়তি সুবিধা নিতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পছন্দের এই আমলাকে নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করেছে সরকার। অনুপচন্দ্রের নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের মতে, নির্বাচন কমিশনও বিজেপির আমলে কলঙ্কিত। অনুপচন্দ্রের নিয়োগে সেটি ফের প্রমাণিত হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত