আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গ্রেটার নয়ডায় শ্বশুরবাড়িতে মারধর ও গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যান ২৮ বছর বয়সী নিক্কি ভাটি। পুলিশের হেফাজত থেকে ‘পালানোর চেষ্টা করলে’ তাঁর স্বামী বিপিন ভাটির পায়ে গুলি লাগে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিক্কির মৃত্যু হয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিক্কির বোন কাঞ্চন, যিনি বিপিনের ভাই রোহিতের স্ত্রী, অভিযোগ করেন, বিপিন ও তাঁর মা দয়া নিক্কির গায়ে আগুন দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
আজ রোববার সকালে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিক্কির বাবা ভিকারি সিং পায়লা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যার দাবি জানান।
ভিকারি সিং পায়লা বলেন, ‘ওরা খুনি, ওদের গুলি করা উচিত, ওদের বাড়ি ভেঙে ফেলা উচিত। আমার মেয়ে পারলার চালিয়ে নিজের ছেলেকে বড় করছিল। ওরা ওকে নির্যাতন করেছে। পুরো পরিবার এ ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। তারাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’
বিপিনের পালানোর চেষ্টা ও পুলিশের গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এসব কথা বলেন।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সুধীর কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিক্কিকে পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত দাহ্য পদার্থের বোতল উদ্ধারের জন্য তারা আজ বিপিনকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি একজন পুলিশ সদস্যের পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি চালান। পাল্টা গুলিতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপিন বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। সে নিজেই মারা গেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো সব জায়গায় হয়। এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়।’
এ ঘটনার পর নিক্কির বাবা বলেন, ‘আমি খুশি। এমন লোকদের গুলি করা বা ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওকে বুকে গুলি করা উচিত ছিল। যারা পলাতক আছে, তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর নিক্কি ও তাঁর বোন কাঞ্চনের সঙ্গে বিপিন ও রোহিতের বিয়ে হয়।
কাঞ্চন, যিনি নিজের বোনের গায়ে আগুন লাগার দৃশ্য দেখেছেন, এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের বাবা বিয়েতে স্করপিও এসইউভি গাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড বাইক, নগদ টাকা, সোনা—সবকিছুই দিয়েছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন উৎসবে আমাদের বাড়ি থেকে উপহার পাঠানো হতো। আমাদের মা-বাবা দুই মেয়ের জন্য যথাসাধ্য করেছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে খুশি ছিল না। তারা সব সময় সমালোচনা করত। তারা বলত, আমার মা-বাবার দেওয়া পোশাকের দাম মাত্র ২ রুপি।’
নিক্কির বোন আরও বলেন, ‘বিপিন ও রোহিত প্রায়ই রাতে দেরি করে ঘরে ফিরত। আমাদের ফোন ধরত না। আমরা যদি জিজ্ঞেস করতাম, তারা কোথায় ছিল, তাহলে তারা ঝগড়া শুরু করত। তারা অন্য নারীদের সঙ্গে সময় কাটাত। আমরা যখন এর প্রতিবাদ করতাম, তখন তারা আমাদের মারধর করত। আমাদের রাতগুলো কান্না করে কাটত। আমার বোন আর নেই। সে আমার থেকে দুই-তিন বছরের ছোট ছিল। কিন্তু লোকে ভাবত, আমরা যমজ।’
কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা দুই বোন একটি পারলার চালাতাম। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটা পছন্দ করত না। তারা আমাদের সব উপার্জন নিয়ে নিত। এ নিয়ে আমাদের মারধর করা হতো। যদি আমি এ ভিডিও না করতাম, তাহলে কেউ জানত না, আমার বোন কীভাবে মারা গেছে। আমি জল ঢেলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মাঝপথে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
নিক্কি ও বিপিনের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে, যে তার মায়ের ওপর নির্যাতন ও মৃত্যু নিজ চোখে দেখেছে।
মায়ের মৃত্যুর পর ভয়ে কাঁপতে থাকা ছেলেটি বলে, ‘তারা প্রথমে মায়ের গায়ে কিছু একটা দিয়েছিল। তারপর তারা মাকে চড় মারে। এরপর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

ভারতের গ্রেটার নয়ডায় শ্বশুরবাড়িতে মারধর ও গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যান ২৮ বছর বয়সী নিক্কি ভাটি। পুলিশের হেফাজত থেকে ‘পালানোর চেষ্টা করলে’ তাঁর স্বামী বিপিন ভাটির পায়ে গুলি লাগে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিক্কির মৃত্যু হয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিক্কির বোন কাঞ্চন, যিনি বিপিনের ভাই রোহিতের স্ত্রী, অভিযোগ করেন, বিপিন ও তাঁর মা দয়া নিক্কির গায়ে আগুন দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
আজ রোববার সকালে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিক্কির বাবা ভিকারি সিং পায়লা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যার দাবি জানান।
ভিকারি সিং পায়লা বলেন, ‘ওরা খুনি, ওদের গুলি করা উচিত, ওদের বাড়ি ভেঙে ফেলা উচিত। আমার মেয়ে পারলার চালিয়ে নিজের ছেলেকে বড় করছিল। ওরা ওকে নির্যাতন করেছে। পুরো পরিবার এ ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। তারাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’
বিপিনের পালানোর চেষ্টা ও পুলিশের গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এসব কথা বলেন।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সুধীর কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিক্কিকে পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত দাহ্য পদার্থের বোতল উদ্ধারের জন্য তারা আজ বিপিনকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি একজন পুলিশ সদস্যের পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি চালান। পাল্টা গুলিতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপিন বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। সে নিজেই মারা গেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো সব জায়গায় হয়। এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়।’
এ ঘটনার পর নিক্কির বাবা বলেন, ‘আমি খুশি। এমন লোকদের গুলি করা বা ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওকে বুকে গুলি করা উচিত ছিল। যারা পলাতক আছে, তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর নিক্কি ও তাঁর বোন কাঞ্চনের সঙ্গে বিপিন ও রোহিতের বিয়ে হয়।
কাঞ্চন, যিনি নিজের বোনের গায়ে আগুন লাগার দৃশ্য দেখেছেন, এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের বাবা বিয়েতে স্করপিও এসইউভি গাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড বাইক, নগদ টাকা, সোনা—সবকিছুই দিয়েছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন উৎসবে আমাদের বাড়ি থেকে উপহার পাঠানো হতো। আমাদের মা-বাবা দুই মেয়ের জন্য যথাসাধ্য করেছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে খুশি ছিল না। তারা সব সময় সমালোচনা করত। তারা বলত, আমার মা-বাবার দেওয়া পোশাকের দাম মাত্র ২ রুপি।’
নিক্কির বোন আরও বলেন, ‘বিপিন ও রোহিত প্রায়ই রাতে দেরি করে ঘরে ফিরত। আমাদের ফোন ধরত না। আমরা যদি জিজ্ঞেস করতাম, তারা কোথায় ছিল, তাহলে তারা ঝগড়া শুরু করত। তারা অন্য নারীদের সঙ্গে সময় কাটাত। আমরা যখন এর প্রতিবাদ করতাম, তখন তারা আমাদের মারধর করত। আমাদের রাতগুলো কান্না করে কাটত। আমার বোন আর নেই। সে আমার থেকে দুই-তিন বছরের ছোট ছিল। কিন্তু লোকে ভাবত, আমরা যমজ।’
কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা দুই বোন একটি পারলার চালাতাম। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটা পছন্দ করত না। তারা আমাদের সব উপার্জন নিয়ে নিত। এ নিয়ে আমাদের মারধর করা হতো। যদি আমি এ ভিডিও না করতাম, তাহলে কেউ জানত না, আমার বোন কীভাবে মারা গেছে। আমি জল ঢেলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মাঝপথে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
নিক্কি ও বিপিনের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে, যে তার মায়ের ওপর নির্যাতন ও মৃত্যু নিজ চোখে দেখেছে।
মায়ের মৃত্যুর পর ভয়ে কাঁপতে থাকা ছেলেটি বলে, ‘তারা প্রথমে মায়ের গায়ে কিছু একটা দিয়েছিল। তারপর তারা মাকে চড় মারে। এরপর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গ্রেটার নয়ডায় শ্বশুরবাড়িতে মারধর ও গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যান ২৮ বছর বয়সী নিক্কি ভাটি। পুলিশের হেফাজত থেকে ‘পালানোর চেষ্টা করলে’ তাঁর স্বামী বিপিন ভাটির পায়ে গুলি লাগে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিক্কির মৃত্যু হয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিক্কির বোন কাঞ্চন, যিনি বিপিনের ভাই রোহিতের স্ত্রী, অভিযোগ করেন, বিপিন ও তাঁর মা দয়া নিক্কির গায়ে আগুন দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
আজ রোববার সকালে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিক্কির বাবা ভিকারি সিং পায়লা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যার দাবি জানান।
ভিকারি সিং পায়লা বলেন, ‘ওরা খুনি, ওদের গুলি করা উচিত, ওদের বাড়ি ভেঙে ফেলা উচিত। আমার মেয়ে পারলার চালিয়ে নিজের ছেলেকে বড় করছিল। ওরা ওকে নির্যাতন করেছে। পুরো পরিবার এ ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। তারাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’
বিপিনের পালানোর চেষ্টা ও পুলিশের গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এসব কথা বলেন।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সুধীর কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিক্কিকে পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত দাহ্য পদার্থের বোতল উদ্ধারের জন্য তারা আজ বিপিনকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি একজন পুলিশ সদস্যের পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি চালান। পাল্টা গুলিতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপিন বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। সে নিজেই মারা গেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো সব জায়গায় হয়। এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়।’
এ ঘটনার পর নিক্কির বাবা বলেন, ‘আমি খুশি। এমন লোকদের গুলি করা বা ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওকে বুকে গুলি করা উচিত ছিল। যারা পলাতক আছে, তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর নিক্কি ও তাঁর বোন কাঞ্চনের সঙ্গে বিপিন ও রোহিতের বিয়ে হয়।
কাঞ্চন, যিনি নিজের বোনের গায়ে আগুন লাগার দৃশ্য দেখেছেন, এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের বাবা বিয়েতে স্করপিও এসইউভি গাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড বাইক, নগদ টাকা, সোনা—সবকিছুই দিয়েছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন উৎসবে আমাদের বাড়ি থেকে উপহার পাঠানো হতো। আমাদের মা-বাবা দুই মেয়ের জন্য যথাসাধ্য করেছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে খুশি ছিল না। তারা সব সময় সমালোচনা করত। তারা বলত, আমার মা-বাবার দেওয়া পোশাকের দাম মাত্র ২ রুপি।’
নিক্কির বোন আরও বলেন, ‘বিপিন ও রোহিত প্রায়ই রাতে দেরি করে ঘরে ফিরত। আমাদের ফোন ধরত না। আমরা যদি জিজ্ঞেস করতাম, তারা কোথায় ছিল, তাহলে তারা ঝগড়া শুরু করত। তারা অন্য নারীদের সঙ্গে সময় কাটাত। আমরা যখন এর প্রতিবাদ করতাম, তখন তারা আমাদের মারধর করত। আমাদের রাতগুলো কান্না করে কাটত। আমার বোন আর নেই। সে আমার থেকে দুই-তিন বছরের ছোট ছিল। কিন্তু লোকে ভাবত, আমরা যমজ।’
কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা দুই বোন একটি পারলার চালাতাম। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটা পছন্দ করত না। তারা আমাদের সব উপার্জন নিয়ে নিত। এ নিয়ে আমাদের মারধর করা হতো। যদি আমি এ ভিডিও না করতাম, তাহলে কেউ জানত না, আমার বোন কীভাবে মারা গেছে। আমি জল ঢেলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মাঝপথে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
নিক্কি ও বিপিনের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে, যে তার মায়ের ওপর নির্যাতন ও মৃত্যু নিজ চোখে দেখেছে।
মায়ের মৃত্যুর পর ভয়ে কাঁপতে থাকা ছেলেটি বলে, ‘তারা প্রথমে মায়ের গায়ে কিছু একটা দিয়েছিল। তারপর তারা মাকে চড় মারে। এরপর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

ভারতের গ্রেটার নয়ডায় শ্বশুরবাড়িতে মারধর ও গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যান ২৮ বছর বয়সী নিক্কি ভাটি। পুলিশের হেফাজত থেকে ‘পালানোর চেষ্টা করলে’ তাঁর স্বামী বিপিন ভাটির পায়ে গুলি লাগে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিক্কির মৃত্যু হয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নিক্কির বোন কাঞ্চন, যিনি বিপিনের ভাই রোহিতের স্ত্রী, অভিযোগ করেন, বিপিন ও তাঁর মা দয়া নিক্কির গায়ে আগুন দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
আজ রোববার সকালে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিক্কির বাবা ভিকারি সিং পায়লা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যার দাবি জানান।
ভিকারি সিং পায়লা বলেন, ‘ওরা খুনি, ওদের গুলি করা উচিত, ওদের বাড়ি ভেঙে ফেলা উচিত। আমার মেয়ে পারলার চালিয়ে নিজের ছেলেকে বড় করছিল। ওরা ওকে নির্যাতন করেছে। পুরো পরিবার এ ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। তারাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’
বিপিনের পালানোর চেষ্টা ও পুলিশের গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এসব কথা বলেন।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সুধীর কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিক্কিকে পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত দাহ্য পদার্থের বোতল উদ্ধারের জন্য তারা আজ বিপিনকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি একজন পুলিশ সদস্যের পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি চালান। পাল্টা গুলিতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিপিন বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। সে নিজেই মারা গেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো সব জায়গায় হয়। এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়।’
এ ঘটনার পর নিক্কির বাবা বলেন, ‘আমি খুশি। এমন লোকদের গুলি করা বা ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওকে বুকে গুলি করা উচিত ছিল। যারা পলাতক আছে, তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর নিক্কি ও তাঁর বোন কাঞ্চনের সঙ্গে বিপিন ও রোহিতের বিয়ে হয়।
কাঞ্চন, যিনি নিজের বোনের গায়ে আগুন লাগার দৃশ্য দেখেছেন, এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের বাবা বিয়েতে স্করপিও এসইউভি গাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড বাইক, নগদ টাকা, সোনা—সবকিছুই দিয়েছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন উৎসবে আমাদের বাড়ি থেকে উপহার পাঠানো হতো। আমাদের মা-বাবা দুই মেয়ের জন্য যথাসাধ্য করেছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে খুশি ছিল না। তারা সব সময় সমালোচনা করত। তারা বলত, আমার মা-বাবার দেওয়া পোশাকের দাম মাত্র ২ রুপি।’
নিক্কির বোন আরও বলেন, ‘বিপিন ও রোহিত প্রায়ই রাতে দেরি করে ঘরে ফিরত। আমাদের ফোন ধরত না। আমরা যদি জিজ্ঞেস করতাম, তারা কোথায় ছিল, তাহলে তারা ঝগড়া শুরু করত। তারা অন্য নারীদের সঙ্গে সময় কাটাত। আমরা যখন এর প্রতিবাদ করতাম, তখন তারা আমাদের মারধর করত। আমাদের রাতগুলো কান্না করে কাটত। আমার বোন আর নেই। সে আমার থেকে দুই-তিন বছরের ছোট ছিল। কিন্তু লোকে ভাবত, আমরা যমজ।’
কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা দুই বোন একটি পারলার চালাতাম। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটা পছন্দ করত না। তারা আমাদের সব উপার্জন নিয়ে নিত। এ নিয়ে আমাদের মারধর করা হতো। যদি আমি এ ভিডিও না করতাম, তাহলে কেউ জানত না, আমার বোন কীভাবে মারা গেছে। আমি জল ঢেলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মাঝপথে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
নিক্কি ও বিপিনের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে, যে তার মায়ের ওপর নির্যাতন ও মৃত্যু নিজ চোখে দেখেছে।
মায়ের মৃত্যুর পর ভয়ে কাঁপতে থাকা ছেলেটি বলে, ‘তারা প্রথমে মায়ের গায়ে কিছু একটা দিয়েছিল। তারপর তারা মাকে চড় মারে। এরপর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।
ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ফাঁসের পর তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন ও আত্মগোপন করেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গুরুতর ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন তমার-ইয়েরুশালমি। এতে তাঁর আত্মহত্যাচেষ্টা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাঁর পদত্যাগপত্রে তমার-ইয়েরুশালমি স্বীকার করেন, তাঁর কার্যালয়ই গত বছর ভিডিওটি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে ওই ঘটনায় পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আজ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেন, গতকাল রোববার রাতের ঘটনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তমার-ইয়েরুশালমিকে যেখানে রাখা হয়েছে, সেই আটককেন্দ্রে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে। তবে তাঁকে কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তেল আবিবের এক আদালত আগামী বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা, আস্থাভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা ও সরকারি তথ্য ফাঁসের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধান সামরিক প্রসিকিউটর কর্নেল মাতান সলোমেশকেও আজ রাতে আটক করা হয় এবং তাঁকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনা রেডিও।
এর আগে গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটির ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের আগস্টে, যখন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ সদে তেইমান ঘাঁটির একটি নজরদারি ফুটেজ সম্প্রচার করে। ঘাঁটিটি গাজা যুদ্ধের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যদিও দৃশ্যটি সরাসরি দেখা যায়নি, কারণ, সৈন্যরা ঢাল ধরে সেটি আড়াল করে রেখেছিল।
ভিডিওটি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে, যা বিশ্বজুড়ে, এমনকি ইসরায়েলের ভেতরেও বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, পাঁচ রিজার্ভ সেনাকে সদে তেইমান ঘাঁটিতে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা এক বন্দীকে গুরুতর নির্যাতন করেছে। ওই বন্দীর নিতম্বে ধারালো বস্তু ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা তাঁর মলদ্বারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, নির্যাতনের ফলে ওই বন্দীর পাঁজরের হাড় ফেটে যায়, ফুসফুসে ছিদ্র হয় এবং মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্যাতনের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ ইসরায়েলের সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশির সময় ঘটে।
গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই ভিডিও ফাঁস ইসরায়েলের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটি আমাদের রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে বড় আঘাত।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
২৪ আগস্ট ২০২৫
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালের শুরুতে কানাডা পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিট বা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছে, যা মূলত সাময়িক অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতি ঠেকানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে (প্রতি ৪ জন আবেদনকারীর ৩ জনেরই বাতিল)। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে একই সময়ে সামগ্রিকভাবে গড়ে ৪০ শতাংশ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২০২৫ সালের আগস্টে সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ জনে।
গত এক দশক ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান উৎস ছিল ভারত। অথচ এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের শিকার।
এই প্রত্যাখ্যানের ঢেউ এসেছে এমন সময়, যখন গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সরকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে এক কানাডিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালে কানাডার অভিবাসন বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করে, যার বেশির ভাগই এসেছিল ভারত থেকে। এরপর ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা যাচাইয়ে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা চালু করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ওই বছর প্রায় ১৪ হাজারের বেশি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করা হয়—যা সব দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত যাচাইব্যবস্থা চালু করেছে এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ডও বাড়িয়েছে।
এদিকে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে কানাডার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দূতাবাস বলেছে, বিশ্বের মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অন্যতম উৎস ভারত। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে এই প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় রয়টার্সকে বলেন, তাঁর সরকার অভিবাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও কানাডা চায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন দেশটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষা–ভিসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বর্ডার পাসের কর্মকর্তা মাইকেল পিয়েত্রোকার্লো বলেন, এখন আবেদনকারীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই চলছে। শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন যথেষ্ট নয়, আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে টাকার উৎস কী।
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ ছাড়া রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক শিখ ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জসপ্রীত সিংহ যান্ত্রিক প্রকৌশলে পড়তে ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় আসেন। তিনি বলেন, একসময় সরকার নতুনদের উদ্দেশে প্রচারণা চালাত—Study, Work, Stay (পড়ো, কাজ করো, থাকো)। কিন্তু এখন সেই মনোভাব একেবারে বদলে গেছে।
জসপ্রীত সিংহ আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রতারণা এখন বড় সমস্যা। তাই ভিসা প্রত্যাখ্যানের খবর শুনে অবাক হইনি। তবে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকা বা কাজ পাওয়া এখন এত কঠিন হয়ে গেছে যে, এটা ভেবেই এখন অনেকে খুশি।’

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালের শুরুতে কানাডা পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পারমিট বা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছে, যা মূলত সাময়িক অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতি ঠেকানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে (প্রতি ৪ জন আবেদনকারীর ৩ জনেরই বাতিল)। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল মাত্র ৩২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে একই সময়ে সামগ্রিকভাবে গড়ে ৪০ শতাংশ এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের আগস্টে যেখানে ২০ হাজার ৯০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২০২৫ সালের আগস্টে সে সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৫ জনে।
গত এক দশক ধরে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান উৎস ছিল ভারত। অথচ এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যানের শিকার।
এই প্রত্যাখ্যানের ঢেউ এসেছে এমন সময়, যখন গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ২০২৩ সালে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের সরকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে এক কানাডিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে ভারত বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালে কানাডার অভিবাসন বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করে, যার বেশির ভাগই এসেছিল ভারত থেকে। এরপর ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা যাচাইয়ে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা চালু করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ওই বছর প্রায় ১৪ হাজারের বেশি জাল আবেদনপত্র শনাক্ত করা হয়—যা সব দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। এ কারণে কানাডা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত যাচাইব্যবস্থা চালু করেছে এবং অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ডও বাড়িয়েছে।
এদিকে অটোয়ায় ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে কানাডার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দূতাবাস বলেছে, বিশ্বের মানসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অন্যতম উৎস ভারত। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতীতে এই প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় রয়টার্সকে বলেন, তাঁর সরকার অভিবাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও কানাডা চায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন দেশটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষা–ভিসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বর্ডার পাসের কর্মকর্তা মাইকেল পিয়েত্রোকার্লো বলেন, এখন আবেদনকারীদের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই চলছে। শুধু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখানো এখন যথেষ্ট নয়, আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে টাকার উৎস কী।
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন থেকে চার বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ ছাড়া রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমেছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক শিখ ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জসপ্রীত সিংহ যান্ত্রিক প্রকৌশলে পড়তে ২০১৫ সালে ভারত থেকে কানাডায় আসেন। তিনি বলেন, একসময় সরকার নতুনদের উদ্দেশে প্রচারণা চালাত—Study, Work, Stay (পড়ো, কাজ করো, থাকো)। কিন্তু এখন সেই মনোভাব একেবারে বদলে গেছে।
জসপ্রীত সিংহ আরও বলেন, ‘আমি জানি, প্রতারণা এখন বড় সমস্যা। তাই ভিসা প্রত্যাখ্যানের খবর শুনে অবাক হইনি। তবে কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকা বা কাজ পাওয়া এখন এত কঠিন হয়ে গেছে যে, এটা ভেবেই এখন অনেকে খুশি।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
২৪ আগস্ট ২০২৫
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
১ মিনিট আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
২৪ আগস্ট ২০২৫
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানে স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বালিকাবধূর প্রাণ বাঁচাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি তুমান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জোগাড় করতে হবে। নইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি গর্ভবতী হন এবং এক ছেলের জন্ম দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ঘটনার দিন গোলি দেখতে পান, তাঁর স্বামী পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করছেন। তখন তিনি চাচাতো ভাইকে ফোন করে সাহায্য চান। তাঁর চাচাতো ভাই এসে পৌঁছালে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে গোলির স্বামী নিহত হন। পরে গোলি নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় পুলিশ এসে আইনজীবী ছাড়াই গোলিকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। নিরক্ষর গোলি জেরার চাপে জবানবন্দিতে সই করে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যা পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গোলির মামলা ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতীক। দেশটিতে বাল্যবিবাহ বৈধ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা নেই বললেই চলে।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, গোলি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন দরিদ্র নারী। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাঁর শাস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার ও বৈষম্যমূলক আইনের বাস্তব উদাহরণ।
আইএইচআর জানিয়েছে, গোলি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একবার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তখন তাঁর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাদা পোশাকে (বিয়ের সময়) বিদায় দিয়েছি, এখন সে শুধু কাফনের কাপড়েই ফিরতে পারবে।’
ইরানি আইনে হত্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে আসামিকে ক্ষমা করতে পারে। জানা গেছে, কারাগার কর্তৃপক্ষ গোলির স্বামীর পরিবারকে রাজি করিয়েছে। এখন গোলি যদি ১০০ কোটি তুমান পরিশোধ করেন এবং গোরগান শহর ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর সাজা মওকুফ হবে।
তবে শর্ত অনুযায়ী, মুক্তি পেলেও গোলি তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। ছেলেটিকে বর্তমানে তাঁর দাদা-দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
ইরানে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ব্রামশের (Bramsh) সদস্য জিবা বাক্তিয়ারি বলেন, গোলি কোহকানের ঘটনা নতুন নয়। বেলুচ নারীদের পাশাপাশি ইরানের অধিকাংশ নারীই এমন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের কথা কেউ জানে না, কেউ শোনে না। দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলো মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরই তাদের জীবনে নেমে আসে এমন নির্যাতন।

ইরানে স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বালিকাবধূর প্রাণ বাঁচাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি তুমান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জোগাড় করতে হবে। নইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি গর্ভবতী হন এবং এক ছেলের জন্ম দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ঘটনার দিন গোলি দেখতে পান, তাঁর স্বামী পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করছেন। তখন তিনি চাচাতো ভাইকে ফোন করে সাহায্য চান। তাঁর চাচাতো ভাই এসে পৌঁছালে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে গোলির স্বামী নিহত হন। পরে গোলি নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় পুলিশ এসে আইনজীবী ছাড়াই গোলিকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। নিরক্ষর গোলি জেরার চাপে জবানবন্দিতে সই করে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যা পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গোলির মামলা ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতীক। দেশটিতে বাল্যবিবাহ বৈধ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা নেই বললেই চলে।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, গোলি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন দরিদ্র নারী। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাঁর শাস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার ও বৈষম্যমূলক আইনের বাস্তব উদাহরণ।
আইএইচআর জানিয়েছে, গোলি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একবার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তখন তাঁর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাদা পোশাকে (বিয়ের সময়) বিদায় দিয়েছি, এখন সে শুধু কাফনের কাপড়েই ফিরতে পারবে।’
ইরানি আইনে হত্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে আসামিকে ক্ষমা করতে পারে। জানা গেছে, কারাগার কর্তৃপক্ষ গোলির স্বামীর পরিবারকে রাজি করিয়েছে। এখন গোলি যদি ১০০ কোটি তুমান পরিশোধ করেন এবং গোরগান শহর ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর সাজা মওকুফ হবে।
তবে শর্ত অনুযায়ী, মুক্তি পেলেও গোলি তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। ছেলেটিকে বর্তমানে তাঁর দাদা-দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
ইরানে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ব্রামশের (Bramsh) সদস্য জিবা বাক্তিয়ারি বলেন, গোলি কোহকানের ঘটনা নতুন নয়। বেলুচ নারীদের পাশাপাশি ইরানের অধিকাংশ নারীই এমন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের কথা কেউ জানে না, কেউ শোনে না। দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলো মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরই তাদের জীবনে নেমে আসে এমন নির্যাতন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও ছেলে নিক্কিকে মারধর করছেন। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন। বিপিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁর মা দয়া, বাবা সত্যবীর ও ভাই রোহিত পলাতক।
২৪ আগস্ট ২০২৫
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির সাবেক সামরিক প্রসিকিউটর মেজর জেনারেল ইয়িফাত তমার-ইয়েরুশালমিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
১ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর কানাডার কড়াকড়ির কারণে ভারতের আবেদনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য বলছে, একসময় পছন্দের গন্তব্য হলেও কানাডা এখন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেই আকর্ষণ হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
২ ঘণ্টা আগে