
কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টার পেছনে ভারত সরকারের হাত আছে—জাস্টিন ট্রুডোর এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি কানাডা আরও গুরুতর অভিযোগ করেছে। অটোয়া বলেছে, শিখ নেতাদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টায় যুক্তদের সঙ্গে কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূতের সংযোগ আছে। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে। তবে এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ‘র’-এর হাত কতটা বিস্তৃত তা ট্রুডোর অভিযোগের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ কূটনৈতিক মহলকে বেশ অবাক করেছে। কারণ, সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশগুলোর ভেতরে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিষয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হয়নি।
তবে কানাডা যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছে, তার ফলে বিশ্ব এমন একটি আভাস পাচ্ছে যে, কূটনীতিক, গুপ্তচর, আমলা ও পুলিশ অফিসাররা—যারা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেন—দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তাঁদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত সোমবার কানাডা বলেছে, তাদের বিশ্বাস, ছয় ভারতীয় কূটনীতিক একটি বিস্তৃত অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের অংশ, যা সারা কানাডায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই নেটওয়ার্ক কানাডিয়ান শিখদের ভয় দেখানো, হয়রানি ও চাঁদাবাজি, সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। তারা আরও বলেছে, ভারতীয় এজেন্টরা সরাসরি শিখদের হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে অথবা ভাড়াটে ব্যক্তিদের মাধ্যমে শিখদের চাঁদাবাজি ও অন্যান্য হুমকি দিয়ে থাকে।
কানাডার কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের তদন্তে সহায়তা করেছে। তবে ভারতীয়রা কীভাবে তাদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করত, তাদের হ্যান্ডলার বা নিয়ন্ত্রক কারা ছিল, তারা কী ধরনের অপরাধ করেছিল কিংবা কারা তাদের শিকার হয়েছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেয়নি কানাডীয়রা।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডো ভারত সরকারকে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার দায়ে অভিযুক্ত করেছিলেন। খালিস্তান আন্দোলন মূলত ভারতের পাঞ্জাবে শিখদের জন্য আলাদা একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে। নিজ্জার দীর্ঘদিন ধরেই কানাডায় বসবাস করছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার এক কর্মকর্তা বলেছেন, সুখদুল সিং গিল নামে আরেকজন শিখের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সঙ্গে যুক্ত ‘অপরাধী নেটওয়ার্কের’ সংযোগ থাকার অনুমান করছি আমরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর ৩৯ বছর বয়সী সুখদুল সিং গিলকে ম্যানিটোবার উইনিপেগের একটি গুরুদুয়ারার কাছে নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কানাডা দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। কানাডার কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা তাঁদের অভিযোগের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করেছেন। তবে ভারতের বক্তব্য, কানাডা তা করেনি।
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা হলো রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (আরএডব্লিউ) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। তবে আইবি মূলত ভারতের অভ্যন্তরেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিদেশের মাটিতে কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ ‘র’-এর হাতে। এই দুনিয়ায় ভারতের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গুপ্তচরবৃত্তি-সংশ্লিষ্ট খাতে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, তিনি দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কাজও করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ অজিত দোভাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে বেশ ভূমিকা রাখেন।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের স্কুল অব ক্রিমিনোলজি, সোসিওলজি অ্যান্ড পুলিশিংয়ের গোয়েন্দা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের লেকচারার ধীরাজ পরমেষা ছায়া বলেছেন, ‘মোদি ও দোভালের নেতৃত্বে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছে। তাদের অধীনে এজেন্সিগুলোর ব্যাপক তহবিল প্রাপ্তি ও কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা ছিল।’
দীর্ঘদিন ধরে ‘র’-এর ফোকাস ছিল ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা। বিশেষ করে, চীন ও পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। ১৯৬৮ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একাংশ নিয়ে ‘র’ গঠন করা হয়। মূলত, ১৯৬৫ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর নয়াদিল্লি একটি বিশেষায়িত গোয়েন্দা সংস্থা সৃষ্টির প্রয়োজন থেকে ‘র’ গঠন করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গ ‘র’-এর সবচেয়ে বড় ফোকাস হয়ে ওঠে পাকিস্তান। কারণ, দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ও মাদকের বিস্তার নিয়ে একটি ব্যাপক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল একটা পর্যায়ে। তবে দিন যত গড়িয়েছে, বড় বড় দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ‘র’ এজেন্টদের উপস্থিতি তত বেড়েছে। এ ছাড়া, ভারতের বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘র’-এর কার্যক্রমও তত প্রসারিত হয়েছে।
ড. পরমেষা-ছায়ার সন্দেহ পোষণ করেন যে, কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতাদের হত্যা ভারতের জন্য হয়তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, ‘কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তান আন্দোলনের শিখ নেতাদের নির্মূল করার জন্য জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ তাঁরা নন। একই সঙ্গে তাঁরা মোটেও মোদির জন্য রাজনৈতিক হুমকি নন। শিখ আন্দোলন ভারতের জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হয়েও ওঠেনি। কিন্তু তার পরও মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় শিখ চরমপন্থীদের প্রতি হুমকি দেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
ভারত গত বছর থেকে একই ধরনের (হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড) মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। মার্কিন বিচার বিভাগ এক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন ও কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী এক খালিস্তান আন্দোলনের নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা মার্কিন তদন্তে সহযোগিতা করছেন।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিখ নেতা ও আইনজীবী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন নিউইয়র্কের একটি আদালতে দোভাল ও ‘র’-এর সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েলসহ ভারত সরকার এবং অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। শিখস ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুনকে ভারত সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পান্নুন বলেছেন, তিনি জীবননাশের আশঙ্কা করছেন। তিনি আসামিদের কাছে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সে সময় মোদি-বাইডেন বৈঠকে অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছিল, মামলাসংক্রান্ত কারণেই হয়তো দোভাল যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি। তবে ভারত এ বিষয়ে বলেছে, দেশীয় বিষয় তদারকিতে ব্যস্ত থাকায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র যাননি।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যম ও রাজনীতি বিশ্লেষকেরা কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বে প্রায় একই ধরনের অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, ট্রুডো মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফায়দা হাসিলের জন্যই এ ধরনের কাজ করছেন। ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরেই কানাডার শিখদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কারণ, তাঁর সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিখদের সমর্থন জরুরি। উল্লেখ্য, শিখরা কানাডার জনসংখ্যার ২ শতাংশ।
ভারতীয় বিশ্লেষক ব্রহ্ম চেলানির মতে, ‘ট্রুডোর পদক্ষেপ ভারতের জন্য বিপৎসীমা দেখিয়ে দিয়েছে, যার অর্থ হলো—কানাডায় নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। নতুন সরকার এলে হয়তো দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব হবে।’
কেসি সিং নামে ভারতের সাবেক এক কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক একটি ‘সংকট বিন্দুতে’ পৌঁছে গেছে। কারণ, এক দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, যেগুলোকে সাধারণত পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সমঝোতার জন্য জনসমক্ষে বিবাদের বাইরে রাখা হয়।’
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টার পেছনে ভারত সরকারের হাত আছে—জাস্টিন ট্রুডোর এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি কানাডা আরও গুরুতর অভিযোগ করেছে। অটোয়া বলেছে, শিখ নেতাদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টায় যুক্তদের সঙ্গে কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূতের সংযোগ আছে। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে। তবে এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ‘র’-এর হাত কতটা বিস্তৃত তা ট্রুডোর অভিযোগের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ কূটনৈতিক মহলকে বেশ অবাক করেছে। কারণ, সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশগুলোর ভেতরে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিষয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হয়নি।
তবে কানাডা যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছে, তার ফলে বিশ্ব এমন একটি আভাস পাচ্ছে যে, কূটনীতিক, গুপ্তচর, আমলা ও পুলিশ অফিসাররা—যারা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেন—দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তাঁদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত সোমবার কানাডা বলেছে, তাদের বিশ্বাস, ছয় ভারতীয় কূটনীতিক একটি বিস্তৃত অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের অংশ, যা সারা কানাডায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই নেটওয়ার্ক কানাডিয়ান শিখদের ভয় দেখানো, হয়রানি ও চাঁদাবাজি, সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। তারা আরও বলেছে, ভারতীয় এজেন্টরা সরাসরি শিখদের হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে অথবা ভাড়াটে ব্যক্তিদের মাধ্যমে শিখদের চাঁদাবাজি ও অন্যান্য হুমকি দিয়ে থাকে।
কানাডার কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের তদন্তে সহায়তা করেছে। তবে ভারতীয়রা কীভাবে তাদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করত, তাদের হ্যান্ডলার বা নিয়ন্ত্রক কারা ছিল, তারা কী ধরনের অপরাধ করেছিল কিংবা কারা তাদের শিকার হয়েছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেয়নি কানাডীয়রা।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডো ভারত সরকারকে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার দায়ে অভিযুক্ত করেছিলেন। খালিস্তান আন্দোলন মূলত ভারতের পাঞ্জাবে শিখদের জন্য আলাদা একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে। নিজ্জার দীর্ঘদিন ধরেই কানাডায় বসবাস করছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার এক কর্মকর্তা বলেছেন, সুখদুল সিং গিল নামে আরেকজন শিখের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সঙ্গে যুক্ত ‘অপরাধী নেটওয়ার্কের’ সংযোগ থাকার অনুমান করছি আমরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর ৩৯ বছর বয়সী সুখদুল সিং গিলকে ম্যানিটোবার উইনিপেগের একটি গুরুদুয়ারার কাছে নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কানাডা দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। কানাডার কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা তাঁদের অভিযোগের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করেছেন। তবে ভারতের বক্তব্য, কানাডা তা করেনি।
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা হলো রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (আরএডব্লিউ) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। তবে আইবি মূলত ভারতের অভ্যন্তরেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিদেশের মাটিতে কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ ‘র’-এর হাতে। এই দুনিয়ায় ভারতের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গুপ্তচরবৃত্তি-সংশ্লিষ্ট খাতে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, তিনি দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কাজও করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ অজিত দোভাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে বেশ ভূমিকা রাখেন।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের স্কুল অব ক্রিমিনোলজি, সোসিওলজি অ্যান্ড পুলিশিংয়ের গোয়েন্দা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের লেকচারার ধীরাজ পরমেষা ছায়া বলেছেন, ‘মোদি ও দোভালের নেতৃত্বে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছে। তাদের অধীনে এজেন্সিগুলোর ব্যাপক তহবিল প্রাপ্তি ও কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা ছিল।’
দীর্ঘদিন ধরে ‘র’-এর ফোকাস ছিল ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা। বিশেষ করে, চীন ও পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। ১৯৬৮ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একাংশ নিয়ে ‘র’ গঠন করা হয়। মূলত, ১৯৬৫ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর নয়াদিল্লি একটি বিশেষায়িত গোয়েন্দা সংস্থা সৃষ্টির প্রয়োজন থেকে ‘র’ গঠন করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গ ‘র’-এর সবচেয়ে বড় ফোকাস হয়ে ওঠে পাকিস্তান। কারণ, দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ও মাদকের বিস্তার নিয়ে একটি ব্যাপক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল একটা পর্যায়ে। তবে দিন যত গড়িয়েছে, বড় বড় দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ‘র’ এজেন্টদের উপস্থিতি তত বেড়েছে। এ ছাড়া, ভারতের বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘র’-এর কার্যক্রমও তত প্রসারিত হয়েছে।
ড. পরমেষা-ছায়ার সন্দেহ পোষণ করেন যে, কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতাদের হত্যা ভারতের জন্য হয়তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, ‘কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তান আন্দোলনের শিখ নেতাদের নির্মূল করার জন্য জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ তাঁরা নন। একই সঙ্গে তাঁরা মোটেও মোদির জন্য রাজনৈতিক হুমকি নন। শিখ আন্দোলন ভারতের জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হয়েও ওঠেনি। কিন্তু তার পরও মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় শিখ চরমপন্থীদের প্রতি হুমকি দেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
ভারত গত বছর থেকে একই ধরনের (হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড) মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। মার্কিন বিচার বিভাগ এক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন ও কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী এক খালিস্তান আন্দোলনের নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা মার্কিন তদন্তে সহযোগিতা করছেন।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিখ নেতা ও আইনজীবী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন নিউইয়র্কের একটি আদালতে দোভাল ও ‘র’-এর সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েলসহ ভারত সরকার এবং অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। শিখস ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুনকে ভারত সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পান্নুন বলেছেন, তিনি জীবননাশের আশঙ্কা করছেন। তিনি আসামিদের কাছে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সে সময় মোদি-বাইডেন বৈঠকে অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছিল, মামলাসংক্রান্ত কারণেই হয়তো দোভাল যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি। তবে ভারত এ বিষয়ে বলেছে, দেশীয় বিষয় তদারকিতে ব্যস্ত থাকায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র যাননি।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যম ও রাজনীতি বিশ্লেষকেরা কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বে প্রায় একই ধরনের অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, ট্রুডো মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফায়দা হাসিলের জন্যই এ ধরনের কাজ করছেন। ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরেই কানাডার শিখদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কারণ, তাঁর সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিখদের সমর্থন জরুরি। উল্লেখ্য, শিখরা কানাডার জনসংখ্যার ২ শতাংশ।
ভারতীয় বিশ্লেষক ব্রহ্ম চেলানির মতে, ‘ট্রুডোর পদক্ষেপ ভারতের জন্য বিপৎসীমা দেখিয়ে দিয়েছে, যার অর্থ হলো—কানাডায় নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। নতুন সরকার এলে হয়তো দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব হবে।’
কেসি সিং নামে ভারতের সাবেক এক কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক একটি ‘সংকট বিন্দুতে’ পৌঁছে গেছে। কারণ, এক দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, যেগুলোকে সাধারণত পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সমঝোতার জন্য জনসমক্ষে বিবাদের বাইরে রাখা হয়।’
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টার পেছনে ভারত সরকারের হাত আছে—জাস্টিন ট্রুডোর এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি কানাডা আরও গুরুতর অভিযোগ করেছে। অটোয়া বলেছে, শিখ নেতাদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টায় যুক্তদের সঙ্গে কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূতের সংযোগ আছে। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে। তবে এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ‘র’-এর হাত কতটা বিস্তৃত তা ট্রুডোর অভিযোগের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ কূটনৈতিক মহলকে বেশ অবাক করেছে। কারণ, সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশগুলোর ভেতরে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিষয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হয়নি।
তবে কানাডা যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছে, তার ফলে বিশ্ব এমন একটি আভাস পাচ্ছে যে, কূটনীতিক, গুপ্তচর, আমলা ও পুলিশ অফিসাররা—যারা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেন—দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তাঁদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত সোমবার কানাডা বলেছে, তাদের বিশ্বাস, ছয় ভারতীয় কূটনীতিক একটি বিস্তৃত অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের অংশ, যা সারা কানাডায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই নেটওয়ার্ক কানাডিয়ান শিখদের ভয় দেখানো, হয়রানি ও চাঁদাবাজি, সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। তারা আরও বলেছে, ভারতীয় এজেন্টরা সরাসরি শিখদের হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে অথবা ভাড়াটে ব্যক্তিদের মাধ্যমে শিখদের চাঁদাবাজি ও অন্যান্য হুমকি দিয়ে থাকে।
কানাডার কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের তদন্তে সহায়তা করেছে। তবে ভারতীয়রা কীভাবে তাদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করত, তাদের হ্যান্ডলার বা নিয়ন্ত্রক কারা ছিল, তারা কী ধরনের অপরাধ করেছিল কিংবা কারা তাদের শিকার হয়েছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেয়নি কানাডীয়রা।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডো ভারত সরকারকে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার দায়ে অভিযুক্ত করেছিলেন। খালিস্তান আন্দোলন মূলত ভারতের পাঞ্জাবে শিখদের জন্য আলাদা একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে। নিজ্জার দীর্ঘদিন ধরেই কানাডায় বসবাস করছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার এক কর্মকর্তা বলেছেন, সুখদুল সিং গিল নামে আরেকজন শিখের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সঙ্গে যুক্ত ‘অপরাধী নেটওয়ার্কের’ সংযোগ থাকার অনুমান করছি আমরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর ৩৯ বছর বয়সী সুখদুল সিং গিলকে ম্যানিটোবার উইনিপেগের একটি গুরুদুয়ারার কাছে নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কানাডা দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। কানাডার কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা তাঁদের অভিযোগের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করেছেন। তবে ভারতের বক্তব্য, কানাডা তা করেনি।
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা হলো রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (আরএডব্লিউ) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। তবে আইবি মূলত ভারতের অভ্যন্তরেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিদেশের মাটিতে কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ ‘র’-এর হাতে। এই দুনিয়ায় ভারতের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গুপ্তচরবৃত্তি-সংশ্লিষ্ট খাতে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, তিনি দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কাজও করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ অজিত দোভাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে বেশ ভূমিকা রাখেন।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের স্কুল অব ক্রিমিনোলজি, সোসিওলজি অ্যান্ড পুলিশিংয়ের গোয়েন্দা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের লেকচারার ধীরাজ পরমেষা ছায়া বলেছেন, ‘মোদি ও দোভালের নেতৃত্বে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছে। তাদের অধীনে এজেন্সিগুলোর ব্যাপক তহবিল প্রাপ্তি ও কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা ছিল।’
দীর্ঘদিন ধরে ‘র’-এর ফোকাস ছিল ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা। বিশেষ করে, চীন ও পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। ১৯৬৮ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একাংশ নিয়ে ‘র’ গঠন করা হয়। মূলত, ১৯৬৫ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর নয়াদিল্লি একটি বিশেষায়িত গোয়েন্দা সংস্থা সৃষ্টির প্রয়োজন থেকে ‘র’ গঠন করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গ ‘র’-এর সবচেয়ে বড় ফোকাস হয়ে ওঠে পাকিস্তান। কারণ, দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ও মাদকের বিস্তার নিয়ে একটি ব্যাপক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল একটা পর্যায়ে। তবে দিন যত গড়িয়েছে, বড় বড় দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ‘র’ এজেন্টদের উপস্থিতি তত বেড়েছে। এ ছাড়া, ভারতের বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘র’-এর কার্যক্রমও তত প্রসারিত হয়েছে।
ড. পরমেষা-ছায়ার সন্দেহ পোষণ করেন যে, কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতাদের হত্যা ভারতের জন্য হয়তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, ‘কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তান আন্দোলনের শিখ নেতাদের নির্মূল করার জন্য জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ তাঁরা নন। একই সঙ্গে তাঁরা মোটেও মোদির জন্য রাজনৈতিক হুমকি নন। শিখ আন্দোলন ভারতের জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হয়েও ওঠেনি। কিন্তু তার পরও মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় শিখ চরমপন্থীদের প্রতি হুমকি দেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
ভারত গত বছর থেকে একই ধরনের (হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড) মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। মার্কিন বিচার বিভাগ এক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন ও কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী এক খালিস্তান আন্দোলনের নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা মার্কিন তদন্তে সহযোগিতা করছেন।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিখ নেতা ও আইনজীবী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন নিউইয়র্কের একটি আদালতে দোভাল ও ‘র’-এর সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েলসহ ভারত সরকার এবং অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। শিখস ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুনকে ভারত সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পান্নুন বলেছেন, তিনি জীবননাশের আশঙ্কা করছেন। তিনি আসামিদের কাছে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সে সময় মোদি-বাইডেন বৈঠকে অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছিল, মামলাসংক্রান্ত কারণেই হয়তো দোভাল যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি। তবে ভারত এ বিষয়ে বলেছে, দেশীয় বিষয় তদারকিতে ব্যস্ত থাকায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র যাননি।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যম ও রাজনীতি বিশ্লেষকেরা কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বে প্রায় একই ধরনের অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, ট্রুডো মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফায়দা হাসিলের জন্যই এ ধরনের কাজ করছেন। ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরেই কানাডার শিখদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কারণ, তাঁর সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিখদের সমর্থন জরুরি। উল্লেখ্য, শিখরা কানাডার জনসংখ্যার ২ শতাংশ।
ভারতীয় বিশ্লেষক ব্রহ্ম চেলানির মতে, ‘ট্রুডোর পদক্ষেপ ভারতের জন্য বিপৎসীমা দেখিয়ে দিয়েছে, যার অর্থ হলো—কানাডায় নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। নতুন সরকার এলে হয়তো দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব হবে।’
কেসি সিং নামে ভারতের সাবেক এক কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক একটি ‘সংকট বিন্দুতে’ পৌঁছে গেছে। কারণ, এক দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, যেগুলোকে সাধারণত পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সমঝোতার জন্য জনসমক্ষে বিবাদের বাইরে রাখা হয়।’
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টার পেছনে ভারত সরকারের হাত আছে—জাস্টিন ট্রুডোর এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি কানাডা আরও গুরুতর অভিযোগ করেছে। অটোয়া বলেছে, শিখ নেতাদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টায় যুক্তদের সঙ্গে কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূতের সংযোগ আছে। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে। তবে এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ‘র’-এর হাত কতটা বিস্তৃত তা ট্রুডোর অভিযোগের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ কূটনৈতিক মহলকে বেশ অবাক করেছে। কারণ, সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশগুলোর ভেতরে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিষয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হয়নি।
তবে কানাডা যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছে, তার ফলে বিশ্ব এমন একটি আভাস পাচ্ছে যে, কূটনীতিক, গুপ্তচর, আমলা ও পুলিশ অফিসাররা—যারা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেন—দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তাঁদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত সোমবার কানাডা বলেছে, তাদের বিশ্বাস, ছয় ভারতীয় কূটনীতিক একটি বিস্তৃত অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের অংশ, যা সারা কানাডায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই নেটওয়ার্ক কানাডিয়ান শিখদের ভয় দেখানো, হয়রানি ও চাঁদাবাজি, সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। তারা আরও বলেছে, ভারতীয় এজেন্টরা সরাসরি শিখদের হুমকি ও ভয় দেখানোর জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে অথবা ভাড়াটে ব্যক্তিদের মাধ্যমে শিখদের চাঁদাবাজি ও অন্যান্য হুমকি দিয়ে থাকে।
কানাডার কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের তদন্তে সহায়তা করেছে। তবে ভারতীয়রা কীভাবে তাদের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করত, তাদের হ্যান্ডলার বা নিয়ন্ত্রক কারা ছিল, তারা কী ধরনের অপরাধ করেছিল কিংবা কারা তাদের শিকার হয়েছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেয়নি কানাডীয়রা।
এর আগে জাস্টিন ট্রুডো ভারত সরকারকে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার দায়ে অভিযুক্ত করেছিলেন। খালিস্তান আন্দোলন মূলত ভারতের পাঞ্জাবে শিখদের জন্য আলাদা একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে। নিজ্জার দীর্ঘদিন ধরেই কানাডায় বসবাস করছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার এক কর্মকর্তা বলেছেন, সুখদুল সিং গিল নামে আরেকজন শিখের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সঙ্গে যুক্ত ‘অপরাধী নেটওয়ার্কের’ সংযোগ থাকার অনুমান করছি আমরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর ৩৯ বছর বয়সী সুখদুল সিং গিলকে ম্যানিটোবার উইনিপেগের একটি গুরুদুয়ারার কাছে নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কানাডা দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। ভারত এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। কানাডার কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা তাঁদের অভিযোগের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সরবরাহ করেছেন। তবে ভারতের বক্তব্য, কানাডা তা করেনি।
ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা হলো রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (আরএডব্লিউ) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। তবে আইবি মূলত ভারতের অভ্যন্তরেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিদেশের মাটিতে কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ ‘র’-এর হাতে। এই দুনিয়ায় ভারতের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গুপ্তচরবৃত্তি-সংশ্লিষ্ট খাতে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, তিনি দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কাজও করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ অজিত দোভাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে বেশ ভূমিকা রাখেন।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের স্কুল অব ক্রিমিনোলজি, সোসিওলজি অ্যান্ড পুলিশিংয়ের গোয়েন্দা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের লেকচারার ধীরাজ পরমেষা ছায়া বলেছেন, ‘মোদি ও দোভালের নেতৃত্বে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক উৎসাহ পেয়েছে। তাদের অধীনে এজেন্সিগুলোর ব্যাপক তহবিল প্রাপ্তি ও কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা ছিল।’
দীর্ঘদিন ধরে ‘র’-এর ফোকাস ছিল ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তা। বিশেষ করে, চীন ও পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। ১৯৬৮ সালে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর একাংশ নিয়ে ‘র’ গঠন করা হয়। মূলত, ১৯৬৫ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর নয়াদিল্লি একটি বিশেষায়িত গোয়েন্দা সংস্থা সৃষ্টির প্রয়োজন থেকে ‘র’ গঠন করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গ ‘র’-এর সবচেয়ে বড় ফোকাস হয়ে ওঠে পাকিস্তান। কারণ, দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ও মাদকের বিস্তার নিয়ে একটি ব্যাপক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল একটা পর্যায়ে। তবে দিন যত গড়িয়েছে, বড় বড় দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ‘র’ এজেন্টদের উপস্থিতি তত বেড়েছে। এ ছাড়া, ভারতের বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘র’-এর কার্যক্রমও তত প্রসারিত হয়েছে।
ড. পরমেষা-ছায়ার সন্দেহ পোষণ করেন যে, কানাডার মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতাদের হত্যা ভারতের জন্য হয়তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, ‘কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তান আন্দোলনের শিখ নেতাদের নির্মূল করার জন্য জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ তাঁরা নন। একই সঙ্গে তাঁরা মোটেও মোদির জন্য রাজনৈতিক হুমকি নন। শিখ আন্দোলন ভারতের জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হয়েও ওঠেনি। কিন্তু তার পরও মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় শিখ চরমপন্থীদের প্রতি হুমকি দেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
ভারত গত বছর থেকে একই ধরনের (হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড) মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। মার্কিন বিচার বিভাগ এক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন ও কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী এক খালিস্তান আন্দোলনের নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা মার্কিন তদন্তে সহযোগিতা করছেন।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিখ নেতা ও আইনজীবী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন নিউইয়র্কের একটি আদালতে দোভাল ও ‘র’-এর সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েলসহ ভারত সরকার এবং অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। শিখস ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুনকে ভারত সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পান্নুন বলেছেন, তিনি জীবননাশের আশঙ্কা করছেন। তিনি আসামিদের কাছে ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সে সময় মোদি-বাইডেন বৈঠকে অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছিল, মামলাসংক্রান্ত কারণেই হয়তো দোভাল যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি। তবে ভারত এ বিষয়ে বলেছে, দেশীয় বিষয় তদারকিতে ব্যস্ত থাকায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র যাননি।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যম ও রাজনীতি বিশ্লেষকেরা কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বে প্রায় একই ধরনের অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, ট্রুডো মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফায়দা হাসিলের জন্যই এ ধরনের কাজ করছেন। ট্রুডো দীর্ঘদিন ধরেই কানাডার শিখদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কারণ, তাঁর সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিখদের সমর্থন জরুরি। উল্লেখ্য, শিখরা কানাডার জনসংখ্যার ২ শতাংশ।
ভারতীয় বিশ্লেষক ব্রহ্ম চেলানির মতে, ‘ট্রুডোর পদক্ষেপ ভারতের জন্য বিপৎসীমা দেখিয়ে দিয়েছে, যার অর্থ হলো—কানাডায় নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে। নতুন সরকার এলে হয়তো দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব হবে।’
কেসি সিং নামে ভারতের সাবেক এক কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক একটি ‘সংকট বিন্দুতে’ পৌঁছে গেছে। কারণ, এক দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, যেগুলোকে সাধারণত পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সমঝোতার জন্য জনসমক্ষে বিবাদের বাইরে রাখা হয়।’
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশ
১৬ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশ
১৬ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশ
১৬ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সাধারণত কোনো দেশ নিজেদের মাটিতে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি বা গুপ্তহত্যার মতো অভিযোগ তোলে না। যেমন—ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান নয়াদিল্লির এমন অভিযানের সঙ্গে বহুল পরিচিত। দুই দেশ একাধিকবার নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এমনকি বিমান হামলাসহ একাধিক গোপন অভিযান চালিয়েছে দেশ
১৬ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে