ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত তিরুপতি মন্দির পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী তীর্থস্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। হিন্দুদের কাছে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভেঙ্কটেশ্বরের এই মন্দিরটি রাজা তোন্ডমান নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এক লাখের বেশি ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিয়ে অর্থ কিংবা সোনাদানা দান করেন। এই মন্দিরে প্রস্তুত করা হয় বিখ্যাত লাড্ডু প্রসাদ। পোটু নামে মন্দিরের গোপন রান্নাঘরে তৈরি করা হয় এই প্রসাদ। কিন্তু বিখ্যাত এই লাড্ডুকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হয় ভারতে।
অভিযোগ ওঠে, পশুর চর্বি ও মাছের তেল দিয়ে বানানো ঘি ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তবে আজ সোমবার তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির ‘শুদ্ধ’ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এনডিটিভিসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, মন্দির শুদ্ধ করতে গিয়ে পুরোহিতদের একটি দল মন্দির চত্বরে ‘মহা শান্তি হোমযজ্ঞ’ করেছেন। পুরোহিতেরা দাবি করেছেন, এই হোমযজ্ঞের ফলে ভেজালের কুপ্রভাব দূর হবে। প্রসাদ হিসেবে লাড্ডুর পবিত্রতা পুনরুদ্ধার হবে এবং ভক্তদের মঙ্গল নিশ্চিত হবে।
তিরমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্টের কর্মকর্তা শ্যামলা রাও জানিয়েছেন, আজ চার ঘণ্টা ধরে চলে শুদ্ধিকরণ। সকাল ৬টায় শুরু হয় ‘মহা শান্তি হোমযজ্ঞ’ অনুষ্ঠান। পোটু নামে মন্দিরের যে রান্নাঘরটিতে প্রসাদ তৈরি হয়, মূলত সেই স্থানটিই ছিল শুদ্ধিকরণের কেন্দ্রবিন্দু।
শ্যামলা রাও আরও জানিয়েছেন, নতুন বিতর্কের পর লাড্ডুতে খাঁটি ঘি ব্যবহারের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রসাদি লাড্ডুর স্বাদ আরও বেড়ে গেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু দাবি করেন, রাজ্যটিতে তাঁর আগের সরকার অর্থাৎ ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনামলে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে মাছের তেলও। তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পর মন্দিরের ঐতিহাসিক লাড্ডু আবারও খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে, লাড্ডু বিতর্কের জন্য চন্দ্রবাবু নাইডুকে মিথ্যাবাদী দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখেছেন নাইডুর আগের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএসআর কংগ্রেসপ্রধান জগন্মোহন রেড্ডি।
চন্দ্রবাবুর দাবির পরই ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। তিরুপতির লাড্ডু ইস্যুতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় ধর্মীয় আস্থায় আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়।
তিরুপতি মন্দিরে ভক্তদের কাছ থেকে প্রতিবছর অনুদান হিসাবে প্রায় এক টন সোনা জমা পড়ে। মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের মাঝে লাড্ডু, বড়া, আপ্পাম, মনোহরম ও জিলাপির মতো প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে লাড্ডু হলো এই মন্দিরের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রসাদ। ৩০০ বছর ধরে এই প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ লাড্ডু তৈরি হয় এখানে।
সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, ভেঙ্কটেশ্বর যখন পদ্মাবতীকে বিয়ে করছিলেন, তখন তাঁর অর্থের টান পড়েছিল। তাই তিনি ধনসম্পদের দেবতা কুবেরের কাছে অর্থ ও সোনা প্রার্থনা করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয়, ভেঙ্কটেশ্বরের সেই ঋণ এখনো রয়ে গেছে। তাই ভক্তরা তাঁদের ঈশ্বরকে ওই দেনার সুদ পরিশোধে সাহায্য করার জন্য উদার হস্তে দান করে যাচ্ছেন।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত তিরুপতি মন্দির পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী তীর্থস্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। হিন্দুদের কাছে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভেঙ্কটেশ্বরের এই মন্দিরটি রাজা তোন্ডমান নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এক লাখের বেশি ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিয়ে অর্থ কিংবা সোনাদানা দান করেন। এই মন্দিরে প্রস্তুত করা হয় বিখ্যাত লাড্ডু প্রসাদ। পোটু নামে মন্দিরের গোপন রান্নাঘরে তৈরি করা হয় এই প্রসাদ। কিন্তু বিখ্যাত এই লাড্ডুকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হয় ভারতে।
অভিযোগ ওঠে, পশুর চর্বি ও মাছের তেল দিয়ে বানানো ঘি ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তবে আজ সোমবার তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির ‘শুদ্ধ’ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এনডিটিভিসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, মন্দির শুদ্ধ করতে গিয়ে পুরোহিতদের একটি দল মন্দির চত্বরে ‘মহা শান্তি হোমযজ্ঞ’ করেছেন। পুরোহিতেরা দাবি করেছেন, এই হোমযজ্ঞের ফলে ভেজালের কুপ্রভাব দূর হবে। প্রসাদ হিসেবে লাড্ডুর পবিত্রতা পুনরুদ্ধার হবে এবং ভক্তদের মঙ্গল নিশ্চিত হবে।
তিরমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্টের কর্মকর্তা শ্যামলা রাও জানিয়েছেন, আজ চার ঘণ্টা ধরে চলে শুদ্ধিকরণ। সকাল ৬টায় শুরু হয় ‘মহা শান্তি হোমযজ্ঞ’ অনুষ্ঠান। পোটু নামে মন্দিরের যে রান্নাঘরটিতে প্রসাদ তৈরি হয়, মূলত সেই স্থানটিই ছিল শুদ্ধিকরণের কেন্দ্রবিন্দু।
শ্যামলা রাও আরও জানিয়েছেন, নতুন বিতর্কের পর লাড্ডুতে খাঁটি ঘি ব্যবহারের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রসাদি লাড্ডুর স্বাদ আরও বেড়ে গেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু দাবি করেন, রাজ্যটিতে তাঁর আগের সরকার অর্থাৎ ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনামলে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে মাছের তেলও। তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পর মন্দিরের ঐতিহাসিক লাড্ডু আবারও খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে, লাড্ডু বিতর্কের জন্য চন্দ্রবাবু নাইডুকে মিথ্যাবাদী দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখেছেন নাইডুর আগের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএসআর কংগ্রেসপ্রধান জগন্মোহন রেড্ডি।
চন্দ্রবাবুর দাবির পরই ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। তিরুপতির লাড্ডু ইস্যুতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় ধর্মীয় আস্থায় আঘাত হানার অভিযোগ আনা হয়।
তিরুপতি মন্দিরে ভক্তদের কাছ থেকে প্রতিবছর অনুদান হিসাবে প্রায় এক টন সোনা জমা পড়ে। মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের মাঝে লাড্ডু, বড়া, আপ্পাম, মনোহরম ও জিলাপির মতো প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে লাড্ডু হলো এই মন্দিরের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রসাদ। ৩০০ বছর ধরে এই প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ লাড্ডু তৈরি হয় এখানে।
সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, ভেঙ্কটেশ্বর যখন পদ্মাবতীকে বিয়ে করছিলেন, তখন তাঁর অর্থের টান পড়েছিল। তাই তিনি ধনসম্পদের দেবতা কুবেরের কাছে অর্থ ও সোনা প্রার্থনা করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয়, ভেঙ্কটেশ্বরের সেই ঋণ এখনো রয়ে গেছে। তাই ভক্তরা তাঁদের ঈশ্বরকে ওই দেনার সুদ পরিশোধে সাহায্য করার জন্য উদার হস্তে দান করে যাচ্ছেন।
ব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
১ ঘণ্টা আগেশচীন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ছিলেন। পেটে চামচ ও টুথব্রাশ কীভাবে এল—জানতে চাইলে শচীন বলেন, ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রোগীদের সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়া হতো। ক্ষুধার চোটে ক্ষুব্ধ হয়ে স্তূপ করা বাসনকোসন থেকে চামচ চুরি করে খেতাম।’
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার ধনকুবের ব্যবসায়ী ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা বরিস আভাকিয়ান রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। ৪৩ বছর বয়সী বরিস ছিলেন ২০১৪ সালের ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’ জয়ী সুন্দরী ইউলিয়া ইয়োনিনার স্বামী। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি আদালতে ৩ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের জালিয়াতি মামলার বিচার চলাকালে বরিস সেখান থেকে পালান।
২ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে লিবিয়া থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্যারিসের একটি আদালত। তবে এ মামলায় আদালত সারকোজিকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করলেও দুর্নীতি ও অবৈধ প্রচার তহবিলের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
৩ ঘণ্টা আগে