
এক ভারতীয় বালকের ওষ্ঠে চুমু খান তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামা। এরপর তিনি সেই বালককে তাঁর জিহ্বা চুষতে বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দালাইলামার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে পেডোফাইল (শিশু যৌনাকাঙ্ক্ষী) বলে আখ্যায়িত করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এই বৌদ্ধ আধ্যাত্মিক নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক বালক ঝুঁকে পড়লে তার ঠোঁটে চুম্বন করছেন তিনি। এরপর তাঁকে জিভ বের করতে দেখা যায় এবং তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি কি আমার জিভ চুষতে পারো?’
ভিডিওটি টুইটারের ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে টুইটার ব্যবহারকারী জুস্ট ব্রুকার্স লিখেছেন, ‘বৌদ্ধদের একটি অনুষ্ঠানে এক ভারতীয় বালককে দালাইলামা চুম্বন করছেন এবং এমনকি তার জিহ্বা স্পর্শ করার চেষ্টা করছেন। তিনি আসলে বলছেন, “আমার জিহ্বা চোষ।” কেন তিনি এমনটা করবেন?’
‘এটি অবাঞ্ছিত। এমন আচরণকে কারও সমর্থন করা উচিত নয়।’ আরেক টুইটার ব্যবহারকারী দীপিকা পুষ্কর নাথ এমন লিখেছেন।
জাস ওবেরয় বলেছেন, ‘আমি এটা কী দেখছি! এটা কি দালাইলামা! তাঁকে পেডোফিলিয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা উচিত। এটা ঘৃণ্য।’
২০১৯ সালে দালাইলামার একটি বক্তব্য ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি একজন নারী দালাইলামা (বৌদ্ধ ধর্মগুরু) হন, তাহলে তাঁকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় চেহারার হতে হবে।’
এই মন্তব্য তখন বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ঝড় বইয়ে দেয়। ২০১৯ সালে একটি ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছিলেন দালাইলামা। পরে অবশ্য তিনি মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এরপর গত মাসে দালাইলামা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বালককে ‘দশম খালখা জেৎসুন ধাম্পা রিনপোচে’ অভিধা দেন। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদা এটি।
তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের তৃতীয় সর্বোচ্চ লামা হিসেবে মাত্র আট বছর বয়সীকে অভিষিক্ত করার পদক্ষেপটি চীন ভালোভাবে নেয়নি। চীন চায় সরকার এই পদের জন্য নির্বাচিত করবে, আর বৌদ্ধনেতারা শুধু স্বীকৃতি দেবেন।
বেইজিংয়ের অভিযোগ, দালাইলামা তিব্বতে বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দিচ্ছেন। চীন কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসনকে (সিটিএ) স্বীকৃতি দেয় না। এই প্রশাসন ভারত, নেপাল, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৩০টি দেশে বসবাসকারী প্রায় এক লাখ নির্বাসিত তিব্বতির প্রতিনিধিত্ব করে। শান্তিতে নোবেলজয়ী দালাইলামা ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

এক ভারতীয় বালকের ওষ্ঠে চুমু খান তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামা। এরপর তিনি সেই বালককে তাঁর জিহ্বা চুষতে বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দালাইলামার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে পেডোফাইল (শিশু যৌনাকাঙ্ক্ষী) বলে আখ্যায়িত করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এই বৌদ্ধ আধ্যাত্মিক নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক বালক ঝুঁকে পড়লে তার ঠোঁটে চুম্বন করছেন তিনি। এরপর তাঁকে জিভ বের করতে দেখা যায় এবং তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি কি আমার জিভ চুষতে পারো?’
ভিডিওটি টুইটারের ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে টুইটার ব্যবহারকারী জুস্ট ব্রুকার্স লিখেছেন, ‘বৌদ্ধদের একটি অনুষ্ঠানে এক ভারতীয় বালককে দালাইলামা চুম্বন করছেন এবং এমনকি তার জিহ্বা স্পর্শ করার চেষ্টা করছেন। তিনি আসলে বলছেন, “আমার জিহ্বা চোষ।” কেন তিনি এমনটা করবেন?’
‘এটি অবাঞ্ছিত। এমন আচরণকে কারও সমর্থন করা উচিত নয়।’ আরেক টুইটার ব্যবহারকারী দীপিকা পুষ্কর নাথ এমন লিখেছেন।
জাস ওবেরয় বলেছেন, ‘আমি এটা কী দেখছি! এটা কি দালাইলামা! তাঁকে পেডোফিলিয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা উচিত। এটা ঘৃণ্য।’
২০১৯ সালে দালাইলামার একটি বক্তব্য ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি একজন নারী দালাইলামা (বৌদ্ধ ধর্মগুরু) হন, তাহলে তাঁকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় চেহারার হতে হবে।’
এই মন্তব্য তখন বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ঝড় বইয়ে দেয়। ২০১৯ সালে একটি ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছিলেন দালাইলামা। পরে অবশ্য তিনি মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এরপর গত মাসে দালাইলামা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বালককে ‘দশম খালখা জেৎসুন ধাম্পা রিনপোচে’ অভিধা দেন। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদা এটি।
তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের তৃতীয় সর্বোচ্চ লামা হিসেবে মাত্র আট বছর বয়সীকে অভিষিক্ত করার পদক্ষেপটি চীন ভালোভাবে নেয়নি। চীন চায় সরকার এই পদের জন্য নির্বাচিত করবে, আর বৌদ্ধনেতারা শুধু স্বীকৃতি দেবেন।
বেইজিংয়ের অভিযোগ, দালাইলামা তিব্বতে বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দিচ্ছেন। চীন কেন্দ্রীয় তিব্বত প্রশাসনকে (সিটিএ) স্বীকৃতি দেয় না। এই প্রশাসন ভারত, নেপাল, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৩০টি দেশে বসবাসকারী প্রায় এক লাখ নির্বাসিত তিব্বতির প্রতিনিধিত্ব করে। শান্তিতে নোবেলজয়ী দালাইলামা ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন আইনে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে হয়। মামদানি সেই শর্ত পূরণ করেছেন।
২৯ মিনিট আগে
‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, কোনো জাতি, কোনো মুসলমান বা খ্রিষ্টান আলাদাভাবে অনুমোদিত নয়। কিন্তু যে কেউ—মুসলমান বা খ্রিষ্টানসহ—নিজস্ব পৃথক পরিচয় বাইরে রেখে সংঘে যোগ দিতে পারে। শাখায় এলে তিনি ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসেন। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও শাখায় আসেন। তবে আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না।
১ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জোহরান মামদানিকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র আকার নিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতারা এখন তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দাবি আইনি বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও কার্যত অসম্ভব।
মামদানির বিজয়ের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘নিউইয়র্কের মতো মহান শহর সন্ত্রাসী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক কমিউনিস্টের হাতে যাচ্ছে।’ তিনি হুমকিও দিয়েছিলেন, মামদানি জিতলে নিউইয়র্কের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেবেন।
এরপর রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেস ও র্যান্ডি ফাইন দাবি করেন, মামদানি নাকি নাগরিকত্ব পাওয়ার সময় মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন এবং ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা’ গোপন করেছিলেন। ওগলেস বলেন, যদি তিনি প্রাকৃতিকীকরণ (naturalisation) বা নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় মিথ্যা বলে থাকেন, তবে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত এবং তাঁকে উগান্ডায় ফেরত পাঠাতে হবে।
তবে মার্কিন ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট পলিটিফ্যাক্ট বলছে, মামদানি তাঁর নাগরিকত্ব আবেদনপত্রে কোনো তথ্যই গোপন করেননি।
জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন আইনে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে হয়। মামদানি সেই শর্ত পূরণ করেছেন।
মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল বা ‘ডিন্যাচারালাইজেশন’ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও বিরল। এটি কেবল আদালতের আদেশে করা যায় এবং সরকারের প্রমাণ করতে হয় যে, ওই ব্যক্তি নাগরিকত্ব পেতে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছেন বা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন’।
অভিবাসী আইনজীবী জেরেমি ম্যাককিনি বলেন, এ ধরনের মামলা প্রমাণ করা খুবই কঠিন। সরকারকে স্পষ্ট, নির্ভুল ও শক্তিশালী প্রমাণ দিতে হয় যে, ওই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যোগ্য ছিলেন না। মামদানির ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেসের অভিযোগের অন্যতম ভিত্তি ছিল, মামদানি ২০১৭ সালে একটি র্যাপ গানে ‘হোলি ল্যান্ড ফাইভ’ নামের পাঁচজন মুসলিম দাতব্যকর্মীর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। পরে যাঁদের হামাসকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে অভিবাসী আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের (স্বেচ্ছাসেবী) কর্মকাণ্ডে মানুষের সমর্থন একটি সুরক্ষিত বাক্স্বাধীনতা। এটি ‘প্রত্যক্ষ সন্ত্রাসবাদে সহায়তা’ নয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পলিটিফ্যাক্ট রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেস ও র্যান্ডি ফাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে, কিন্তু তাঁরা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ছাড়া মামদানির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকত্ব আবেদনপত্রে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার (ডিএসএ) সদস্যপদ উল্লেখ না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিএসএ কোনো কমিউনিস্ট দল নয়, বরং এটি গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন। তাই এর সদস্য হওয়া নাগরিকত্বের পথে বাধা নয়।
অভিবাসী আইনজীবী ম্যাককিনি বলেন, ডিএসএ সদস্যপদ গোপন করা কোনো জালিয়াতি নয়, কারণ এটি নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতাকে প্রভাবিত করে না। তা ছাড়া কোনো গানের কথার কারণে নাগরিকত্ব বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক ক্যাসান্দ্রা রবার্টসন বলেন, মামদানির বিরুদ্ধে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। এটি মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে, নিউইয়র্ক ইয়াং রিপাবলিকান ক্লাব মামদানিকে মেয়র পদে বসতে বাধা দিতে এখন ১৪তম সংশোধনী ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যাঁরা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বা ‘শত্রুদের সহায়তা’ করেছেন, তাঁরা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না।
রিপাবলিকানরা দাবি করছেন, মামদানি ‘হামাসপন্থী’ অবস্থান নিয়েছেন এবং অভিবাসনবিরোধী (আইসিই) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়েছেন। তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা কেবল বিদ্রোহ বা যুদ্ধকালীন শত্রুদের সহায়তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, রাজনৈতিক সমালোচনার ক্ষেত্রে নয়।
গত অক্টোবরে এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা আসলে ইসলামবিদ্বেষ থেকে এসেছে। আজও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইসলামোফোবিয়া আছে। এখানে মুসলমানদের থাকার অধিকার আছে, কিন্তু তা অনেকেই স্বীকার করতে চান না।’
‘ডিন্যাচারালাইজেশন’ বা নাগরিকত্ব বাতিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও বিরল প্রক্রিয়া, যা সাধারণত নাৎসি অপরাধী বা সন্ত্রাসবাদে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়েছে। পলিটিফ্যাক্টের তথ্যমতে, মামদানির বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ নেই। ফলে রিপাবলিকানদের এই প্রচেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।
আল-জাজিরা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জোহরান মামদানিকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র আকার নিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতারা এখন তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দাবি আইনি বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও কার্যত অসম্ভব।
মামদানির বিজয়ের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘নিউইয়র্কের মতো মহান শহর সন্ত্রাসী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক কমিউনিস্টের হাতে যাচ্ছে।’ তিনি হুমকিও দিয়েছিলেন, মামদানি জিতলে নিউইয়র্কের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেবেন।
এরপর রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেস ও র্যান্ডি ফাইন দাবি করেন, মামদানি নাকি নাগরিকত্ব পাওয়ার সময় মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন এবং ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা’ গোপন করেছিলেন। ওগলেস বলেন, যদি তিনি প্রাকৃতিকীকরণ (naturalisation) বা নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় মিথ্যা বলে থাকেন, তবে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত এবং তাঁকে উগান্ডায় ফেরত পাঠাতে হবে।
তবে মার্কিন ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট পলিটিফ্যাক্ট বলছে, মামদানি তাঁর নাগরিকত্ব আবেদনপত্রে কোনো তথ্যই গোপন করেননি।
জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন আইনে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে হয়। মামদানি সেই শর্ত পূরণ করেছেন।
মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল বা ‘ডিন্যাচারালাইজেশন’ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও বিরল। এটি কেবল আদালতের আদেশে করা যায় এবং সরকারের প্রমাণ করতে হয় যে, ওই ব্যক্তি নাগরিকত্ব পেতে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছেন বা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন’।
অভিবাসী আইনজীবী জেরেমি ম্যাককিনি বলেন, এ ধরনের মামলা প্রমাণ করা খুবই কঠিন। সরকারকে স্পষ্ট, নির্ভুল ও শক্তিশালী প্রমাণ দিতে হয় যে, ওই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যোগ্য ছিলেন না। মামদানির ক্ষেত্রে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেসের অভিযোগের অন্যতম ভিত্তি ছিল, মামদানি ২০১৭ সালে একটি র্যাপ গানে ‘হোলি ল্যান্ড ফাইভ’ নামের পাঁচজন মুসলিম দাতব্যকর্মীর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। পরে যাঁদের হামাসকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে অভিবাসী আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের (স্বেচ্ছাসেবী) কর্মকাণ্ডে মানুষের সমর্থন একটি সুরক্ষিত বাক্স্বাধীনতা। এটি ‘প্রত্যক্ষ সন্ত্রাসবাদে সহায়তা’ নয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পলিটিফ্যাক্ট রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেস ও র্যান্ডি ফাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে, কিন্তু তাঁরা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ছাড়া মামদানির বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকত্ব আবেদনপত্রে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার (ডিএসএ) সদস্যপদ উল্লেখ না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিএসএ কোনো কমিউনিস্ট দল নয়, বরং এটি গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন। তাই এর সদস্য হওয়া নাগরিকত্বের পথে বাধা নয়।
অভিবাসী আইনজীবী ম্যাককিনি বলেন, ডিএসএ সদস্যপদ গোপন করা কোনো জালিয়াতি নয়, কারণ এটি নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতাকে প্রভাবিত করে না। তা ছাড়া কোনো গানের কথার কারণে নাগরিকত্ব বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক ক্যাসান্দ্রা রবার্টসন বলেন, মামদানির বিরুদ্ধে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। এটি মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে, নিউইয়র্ক ইয়াং রিপাবলিকান ক্লাব মামদানিকে মেয়র পদে বসতে বাধা দিতে এখন ১৪তম সংশোধনী ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যাঁরা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বা ‘শত্রুদের সহায়তা’ করেছেন, তাঁরা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না।
রিপাবলিকানরা দাবি করছেন, মামদানি ‘হামাসপন্থী’ অবস্থান নিয়েছেন এবং অভিবাসনবিরোধী (আইসিই) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়েছেন। তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা কেবল বিদ্রোহ বা যুদ্ধকালীন শত্রুদের সহায়তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, রাজনৈতিক সমালোচনার ক্ষেত্রে নয়।
গত অক্টোবরে এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা আসলে ইসলামবিদ্বেষ থেকে এসেছে। আজও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইসলামোফোবিয়া আছে। এখানে মুসলমানদের থাকার অধিকার আছে, কিন্তু তা অনেকেই স্বীকার করতে চান না।’
‘ডিন্যাচারালাইজেশন’ বা নাগরিকত্ব বাতিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও বিরল প্রক্রিয়া, যা সাধারণত নাৎসি অপরাধী বা সন্ত্রাসবাদে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়েছে। পলিটিফ্যাক্টের তথ্যমতে, মামদানির বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ নেই। ফলে রিপাবলিকানদের এই প্রচেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।
আল-জাজিরা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত

এক ভারতীয় বালকের ওষ্ঠে চুমু খান তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামা। এরপর তিনি সেই বালককে তাঁর জিহ্বা চুষতে বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দালাইলামার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে পেডোফাইল (শিশু যৌনাকাঙ্ক্ষী) বলে আখ্যায়িত করছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, কোনো জাতি, কোনো মুসলমান বা খ্রিষ্টান আলাদাভাবে অনুমোদিত নয়। কিন্তু যে কেউ—মুসলমান বা খ্রিষ্টানসহ—নিজস্ব পৃথক পরিচয় বাইরে রেখে সংঘে যোগ দিতে পারে। শাখায় এলে তিনি ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসেন। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও শাখায় আসেন। তবে আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না।
১ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিকে সমর্থন করলে কংগ্রেসকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মীরা কংগ্রেসকে ভোট দিতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, আরএসএস কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি নীতিনির্ভর সংগঠন। মুসলিমরা আরএসএসে যোগ দিতে পারে কিনা সে প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির এই নেতা।
সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলার পর সংগঠনটিকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। খাড়গের ছেলে ও কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গেসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চালিয়ে আসছেন।
এই প্রেক্ষাপটে ভাগবত বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, নির্বাচনী রাজনীতিতেও অংশ নিই না। সংঘের কাজ সমাজকে এক করা, রাজনীতির কাজ বিভাজন সৃষ্টি করা। আমরা রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি ও নৈতিকতাকে সমর্থন করি। যে দল দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই পাশে থাকব।’
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা রামমন্দির চেয়েছিলাম, বিজেপি সেটিকে সমর্থন করেছিল বলেই তারা ভোট পেয়েছে। কংগ্রেস যদি তখন ওই দাবির পক্ষে থাকত, আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাদেরই সমর্থন করত।’
মুসলমানরা আরএসএসে যোগ দিতে পারেন কি না—এই প্রশ্নের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, জাতি, মুসলমান বা খ্রিষ্টান হিসেবে আলাদা পরিচয়ে কেউ অনুমোদিত নয়। তবে যে কেউ, ধর্মীয় পরিচয় বাইরে রেখে, ‘ভারত মায়ের সন্তান’ হিসেবে সংঘে যোগ দিতে পারে। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও আমাদের শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না, কারা আসছেন তাও জানতে চাই না।’
আরএসএস নিবন্ধিত সংগঠন নয়—কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘সংঘের জন্ম ১৯২৫ সালে। তখন কি আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে নিবন্ধনের জন্য যেতাম? স্বাধীনতার পরও নিবন্ধন আইনত বাধ্যতামূলক নয়। আমরা ‘বডি অব ইনডিভিজুয়্যালস’ হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃত। তিনবার আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই আদালত সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। সংসদে বহুবার আমাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে—সমর্থনও, বিরোধিতাও। তাই নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। হিন্দুধর্মও তো নিবন্ধিত নয়।’

অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিকে সমর্থন করলে কংগ্রেসকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মীরা কংগ্রেসকে ভোট দিতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, আরএসএস কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি নীতিনির্ভর সংগঠন। মুসলিমরা আরএসএসে যোগ দিতে পারে কিনা সে প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির এই নেতা।
সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলার পর সংগঠনটিকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। খাড়গের ছেলে ও কর্ণাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গেসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা আরএসএসের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা চালিয়ে আসছেন।
এই প্রেক্ষাপটে ভাগবত বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, নির্বাচনী রাজনীতিতেও অংশ নিই না। সংঘের কাজ সমাজকে এক করা, রাজনীতির কাজ বিভাজন সৃষ্টি করা। আমরা রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি ও নৈতিকতাকে সমর্থন করি। যে দল দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আমরা তাদেরই পাশে থাকব।’
অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা রামমন্দির চেয়েছিলাম, বিজেপি সেটিকে সমর্থন করেছিল বলেই তারা ভোট পেয়েছে। কংগ্রেস যদি তখন ওই দাবির পক্ষে থাকত, আমাদের স্বয়ংসেবকেরা তাদেরই সমর্থন করত।’
মুসলমানরা আরএসএসে যোগ দিতে পারেন কি না—এই প্রশ্নের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, জাতি, মুসলমান বা খ্রিষ্টান হিসেবে আলাদা পরিচয়ে কেউ অনুমোদিত নয়। তবে যে কেউ, ধর্মীয় পরিচয় বাইরে রেখে, ‘ভারত মায়ের সন্তান’ হিসেবে সংঘে যোগ দিতে পারে। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও আমাদের শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না, কারা আসছেন তাও জানতে চাই না।’
আরএসএস নিবন্ধিত সংগঠন নয়—কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাবে ভাগবত বলেন, ‘সংঘের জন্ম ১৯২৫ সালে। তখন কি আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে নিবন্ধনের জন্য যেতাম? স্বাধীনতার পরও নিবন্ধন আইনত বাধ্যতামূলক নয়। আমরা ‘বডি অব ইনডিভিজুয়্যালস’ হিসেবে আইনগতভাবে স্বীকৃত। তিনবার আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই আদালত সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। সংসদে বহুবার আমাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে—সমর্থনও, বিরোধিতাও। তাই নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। হিন্দুধর্মও তো নিবন্ধিত নয়।’

এক ভারতীয় বালকের ওষ্ঠে চুমু খান তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামা। এরপর তিনি সেই বালককে তাঁর জিহ্বা চুষতে বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দালাইলামার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে পেডোফাইল (শিশু যৌনাকাঙ্ক্ষী) বলে আখ্যায়িত করছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন আইনে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে হয়। মামদানি সেই শর্ত পূরণ করেছেন।
২৯ মিনিট আগে
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১০ জনের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের নাগরিক, দুজন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি পুরুষ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি একজন রোহিঙ্গা নারীর।
উত্তর মালয়েশিয়ার কেদাহ ও পারলিস প্রদেশের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল রোমলি মোস্তফা বলেন, ‘নৌকাডুবির তিন দিন পরও সমুদ্রে বহু মানুষ জীবিত বা মৃত অবস্থায় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা এখনো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’
জানা গেছে, মিয়ানমারের বুথিডং এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ জন অভিবাসী নিয়ে জাহাজটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রোহিঙ্গা মুসলিম।
কেদাহ প্রদেশের পুলিশপ্রধান আদজলি আবু শাহ বলেন, সমুদ্রে পাড়ি জমানো অভিবাসীরা প্রথমে একটি বড় জাহাজে ছিলেন। তবে মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছালে কর্তৃপক্ষের চোখ এড়াতে তাঁদের তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ হয়ে যেতে বলা হয়। প্রতিটি নৌকায় প্রায় ১০০ জন করে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, এই তিনটি ছোট নৌকার মধ্যে একটি ডুবে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে বাকি দুটি নৌকার অবস্থান সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১০ জনের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের নাগরিক, দুজন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি পুরুষ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি একজন রোহিঙ্গা নারীর।
উত্তর মালয়েশিয়ার কেদাহ ও পারলিস প্রদেশের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল রোমলি মোস্তফা বলেন, ‘নৌকাডুবির তিন দিন পরও সমুদ্রে বহু মানুষ জীবিত বা মৃত অবস্থায় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা এখনো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’
জানা গেছে, মিয়ানমারের বুথিডং এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ জন অভিবাসী নিয়ে জাহাজটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রোহিঙ্গা মুসলিম।
কেদাহ প্রদেশের পুলিশপ্রধান আদজলি আবু শাহ বলেন, সমুদ্রে পাড়ি জমানো অভিবাসীরা প্রথমে একটি বড় জাহাজে ছিলেন। তবে মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছালে কর্তৃপক্ষের চোখ এড়াতে তাঁদের তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ হয়ে যেতে বলা হয়। প্রতিটি নৌকায় প্রায় ১০০ জন করে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, এই তিনটি ছোট নৌকার মধ্যে একটি ডুবে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে বাকি দুটি নৌকার অবস্থান সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এক ভারতীয় বালকের ওষ্ঠে চুমু খান তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামা। এরপর তিনি সেই বালককে তাঁর জিহ্বা চুষতে বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দালাইলামার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে পেডোফাইল (শিশু যৌনাকাঙ্ক্ষী) বলে আখ্যায়িত করছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন আইনে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে হয়। মামদানি সেই শর্ত পূরণ করেছেন।
২৯ মিনিট আগে
‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, কোনো জাতি, কোনো মুসলমান বা খ্রিষ্টান আলাদাভাবে অনুমোদিত নয়। কিন্তু যে কেউ—মুসলমান বা খ্রিষ্টানসহ—নিজস্ব পৃথক পরিচয় বাইরে রেখে সংঘে যোগ দিতে পারে। শাখায় এলে তিনি ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসেন। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও শাখায় আসেন। তবে আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে। দৈনন্দিন এমন গৃহস্থালী সমস্যা এবং ‘এক বেডরুম এখনকার জন্য একটু বেশিই ছোট’–সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জোহরান এই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তবে এই ধরনের সাধারণ সমস্যাগুলো আর বেশিদিন তাঁকে সামলাতে হবে না। কারণ, নিউইয়র্ক সিটির সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনের বাসিন্দা হবেন শিগগিরই।
জোহরান মামদানির বর্তমান অ্যাপার্টমেন্টটি বড়জোর ৮০০ বর্গফুট হতে পারে। সেখানে রয়েছে হিটিং ও গরম পানির ব্যবস্থা, রান্নাঘরে একটি জানালা, দুটি ক্লোজেট—এমন সাধারণ কিছু আসবাবপত্র।
অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন হলো ২২৬ বছরের পুরোনো, ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। আপার ইস্ট সাইডে ইস্ট নদীর তীরে কার্ল শুরজ পার্কে অবস্থিত এই ভবন। ঝাড়বাতির আলোয় উজ্জ্বল আয়না, চকচকে মেহগনি কাঠের দরজা, বিশাল লনে রয়েছে আপেল ও ডুমুর গাছ এবং সবজি বাগান। বাগানে অবশ্য মাঝেমধ্যেই খরগোশেরা বেশ উপদ্রব করে। এমন এক রাজকীয় আবহ রয়েছে সেখানে।
গ্রেসি ম্যানশনকে একবার নিউইয়র্ক টাইমসের একজন রিপোর্টার ‘ফ্যাকাশে লেমন কেকের মতো বাড়ি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এটি কেবল বাসস্থান নয়, এটি কঠোর নিরাপত্তা এবং বিলাসবহুল আয়োজনের এক অভিজাত কেন্দ্র।

বাসভবনের নিচতলাটি অত্যন্ত জমকালো ‘ফেডারেল’ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এই স্থাপত্য নকশায় মেয়রের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এখানে একটি গ্র্যান্ড ফায়ারপ্লেস-সহ বিনোদন কক্ষ এবং প্যারিসের বাগানচিত্রযুক্ত ওয়ালপেপার দিয়ে মোড়ানো একটি ডাইনিং রুম রয়েছে।
মেয়রদের জন্য এখানে রয়েছে পূর্ণ-সময়ের শেফ, যিনি তাঁর জন্য খাবার প্রস্তুত করেন। করিডোরের ওপারে রয়েছে বিশাল বলরুম। ১৯৬৬ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়।

মূল ভবনে ওপর তলায় রয়েছে পাঁচটি বেডরুম। যদিও ঘরোয়া আবহ আনার জন্য বিভিন্ন মেয়র তাঁদের মতো করে অভ্যন্তরীণ সজ্জা পরিবর্তন করেছেন। মেয়র বিল ডি ব্লাসিওর পরিবার আধুনিকীকরণের জন্য একজন ডেকোরেটর নিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া মেয়র আব্রাহাম বিমের স্ত্রী মাঝরাতের হালকা খাবার খাওয়ার জন্য একটি ঘরকে ছোট ডাইনেটে রূপান্তরিত করেছিলেন।
মেয়র ডি ব্লাসিওর ছেলে ড্যান্টে ডি ব্লাসিও স্মরণ করেন, ‘বিশাল লন এবং বলরুম পাওয়াটা ছিল আমেরিকার সবচেয়ে ভাগ্যবান শিশুর মতো অনুভূতি।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, এই বিশালতা শহরের দৈনন্দিন বাস্তবতা, এর গৌরব ও বিনয়ের দিকগুলো থেকে ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

অ্যাস্টোরিয়া, যেখানে মামদানি এখনো অ্যাসেম্বলিম্যান হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন, সেটি হলো বহু সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র—গ্রিক, মিশরীয়, মরক্কো এবং লাতিন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। এটি সাশ্রয়ী, কোলাহলপূর্ণ এবং নিউইয়র্কের অন্যতম সেরা ফুড জোন। মামদানি নিজেই তাঁর পাড়ার থাই রেস্তোরাঁর কাঁচা স্পাইসি বিফ এবং সামুদ্রিক খাবারের স্পটগুলো (বাহারি ইস্টিয়াটোরিও, ইলিয়াস কর্নার এবং আবুকার) সুপারিশ করেন।
অন্যদিকে, আপার ইস্ট সাইড দীর্ঘকাল ধরে নিউইয়র্কের সবচেয়ে ধনী এবং অভিজাত এলাকা। এখানে বার্গার বা স্প্যাগেটি পমোডোরো সহজে খুঁজে পেলেও অ্যাস্টোরিয়ার মতো ভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া কঠিন। সেন্ট্রাল পার্কের কাছে অবস্থিত মার্ক হোটেলের মতো বিলাসবহুল স্থানে এক প্লেট গ্রিলড ব্ল্যাক সি বাসের দাম ৭২ ডলার।
মামদানির অ্যাস্টোরিয়ার অ্যাপার্টমেন্টে কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু গ্রেসি ম্যানশনের আসল আকর্ষণ হলো এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উঁচু প্রাচীর, চতুর্দিকে ক্যামেরা এবং বাইরে মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের দল—নিরাপত্তার এই স্তরটি নিশ্চিত করার জন্যই মেয়ররা শেষ পর্যন্ত এখানে আসতে বাধ্য হন। প্রাক্তন মেয়র বিল ডি ব্লাসিও মামদানিকে এই কারণেই গ্রেসি ম্যানশনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন: ‘নিরাপত্তার জন্য হলেও তার সেখানে যাওয়া উচিত।’
মেয়র ফিওরেলো লাগার্ডিয়া ১৯৪২ সালে প্রথম এই ম্যানশনে স্থানান্তরিত হন এবং এর নাম পরিবর্তন করে আরও সাধারণ ‘গ্রেসি ফার্ম’ রাখার চেষ্টা করেন। যদিও নামটি টেকেনি, কিন্তু তাঁর স্ত্রী নিজে বাড়ির সমস্ত গৃহস্থালির কাজ করতেন এবং লনে পরিবারের কাপড় শুকাতেন।
তবে সাবেক মেয়র এরিক অ্যাডামস এই বাড়ির এক অন্যরকম হুমকির কথা বলেছিলেন: ‘ম্যানশনে ভূত আছে, ভাই!’
মেয়র রুডি গুলিয়ানিকে তাঁর তৎকালীন স্ত্রী ডোনা হ্যানোভার ডিভোর্স দিলে, সিটি হল ছাড়ার কয়েক বছর পরে এটির লনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান করেন রুডি।
মেয়র এড কচ প্রথমে তাঁর ভাড়া বাড়িতে থাকতে চাইলেও পরে ভোটারদের ফোনের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যান। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘পশ জীবনের সঙ্গে খুব দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, এবং আমি সেটাই করেছিলাম।’
ড্যান্টে ডি ব্লাসিওর পরামর্শ ছিল, ‘আপনার প্রচুর পার্টি করা উচিত!’

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি থাকেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায় একটি সাধারণ ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়ার এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সিঙ্ক ফুটা হয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল, তাইলে তোয়ালে দিয়ে মেঝে ঢাকতে হয়েছিল তাঁকে। দৈনন্দিন এমন গৃহস্থালী সমস্যা এবং ‘এক বেডরুম এখনকার জন্য একটু বেশিই ছোট’–সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জোহরান এই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তবে এই ধরনের সাধারণ সমস্যাগুলো আর বেশিদিন তাঁকে সামলাতে হবে না। কারণ, নিউইয়র্ক সিটির সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনের বাসিন্দা হবেন শিগগিরই।
জোহরান মামদানির বর্তমান অ্যাপার্টমেন্টটি বড়জোর ৮০০ বর্গফুট হতে পারে। সেখানে রয়েছে হিটিং ও গরম পানির ব্যবস্থা, রান্নাঘরে একটি জানালা, দুটি ক্লোজেট—এমন সাধারণ কিছু আসবাবপত্র।
অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন হলো ২২৬ বছরের পুরোনো, ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। আপার ইস্ট সাইডে ইস্ট নদীর তীরে কার্ল শুরজ পার্কে অবস্থিত এই ভবন। ঝাড়বাতির আলোয় উজ্জ্বল আয়না, চকচকে মেহগনি কাঠের দরজা, বিশাল লনে রয়েছে আপেল ও ডুমুর গাছ এবং সবজি বাগান। বাগানে অবশ্য মাঝেমধ্যেই খরগোশেরা বেশ উপদ্রব করে। এমন এক রাজকীয় আবহ রয়েছে সেখানে।
গ্রেসি ম্যানশনকে একবার নিউইয়র্ক টাইমসের একজন রিপোর্টার ‘ফ্যাকাশে লেমন কেকের মতো বাড়ি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এটি কেবল বাসস্থান নয়, এটি কঠোর নিরাপত্তা এবং বিলাসবহুল আয়োজনের এক অভিজাত কেন্দ্র।

বাসভবনের নিচতলাটি অত্যন্ত জমকালো ‘ফেডারেল’ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এই স্থাপত্য নকশায় মেয়রের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এখানে একটি গ্র্যান্ড ফায়ারপ্লেস-সহ বিনোদন কক্ষ এবং প্যারিসের বাগানচিত্রযুক্ত ওয়ালপেপার দিয়ে মোড়ানো একটি ডাইনিং রুম রয়েছে।
মেয়রদের জন্য এখানে রয়েছে পূর্ণ-সময়ের শেফ, যিনি তাঁর জন্য খাবার প্রস্তুত করেন। করিডোরের ওপারে রয়েছে বিশাল বলরুম। ১৯৬৬ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়।

মূল ভবনে ওপর তলায় রয়েছে পাঁচটি বেডরুম। যদিও ঘরোয়া আবহ আনার জন্য বিভিন্ন মেয়র তাঁদের মতো করে অভ্যন্তরীণ সজ্জা পরিবর্তন করেছেন। মেয়র বিল ডি ব্লাসিওর পরিবার আধুনিকীকরণের জন্য একজন ডেকোরেটর নিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া মেয়র আব্রাহাম বিমের স্ত্রী মাঝরাতের হালকা খাবার খাওয়ার জন্য একটি ঘরকে ছোট ডাইনেটে রূপান্তরিত করেছিলেন।
মেয়র ডি ব্লাসিওর ছেলে ড্যান্টে ডি ব্লাসিও স্মরণ করেন, ‘বিশাল লন এবং বলরুম পাওয়াটা ছিল আমেরিকার সবচেয়ে ভাগ্যবান শিশুর মতো অনুভূতি।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, এই বিশালতা শহরের দৈনন্দিন বাস্তবতা, এর গৌরব ও বিনয়ের দিকগুলো থেকে ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

অ্যাস্টোরিয়া, যেখানে মামদানি এখনো অ্যাসেম্বলিম্যান হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন, সেটি হলো বহু সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র—গ্রিক, মিশরীয়, মরক্কো এবং লাতিন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। এটি সাশ্রয়ী, কোলাহলপূর্ণ এবং নিউইয়র্কের অন্যতম সেরা ফুড জোন। মামদানি নিজেই তাঁর পাড়ার থাই রেস্তোরাঁর কাঁচা স্পাইসি বিফ এবং সামুদ্রিক খাবারের স্পটগুলো (বাহারি ইস্টিয়াটোরিও, ইলিয়াস কর্নার এবং আবুকার) সুপারিশ করেন।
অন্যদিকে, আপার ইস্ট সাইড দীর্ঘকাল ধরে নিউইয়র্কের সবচেয়ে ধনী এবং অভিজাত এলাকা। এখানে বার্গার বা স্প্যাগেটি পমোডোরো সহজে খুঁজে পেলেও অ্যাস্টোরিয়ার মতো ভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া কঠিন। সেন্ট্রাল পার্কের কাছে অবস্থিত মার্ক হোটেলের মতো বিলাসবহুল স্থানে এক প্লেট গ্রিলড ব্ল্যাক সি বাসের দাম ৭২ ডলার।
মামদানির অ্যাস্টোরিয়ার অ্যাপার্টমেন্টে কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু গ্রেসি ম্যানশনের আসল আকর্ষণ হলো এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উঁচু প্রাচীর, চতুর্দিকে ক্যামেরা এবং বাইরে মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের দল—নিরাপত্তার এই স্তরটি নিশ্চিত করার জন্যই মেয়ররা শেষ পর্যন্ত এখানে আসতে বাধ্য হন। প্রাক্তন মেয়র বিল ডি ব্লাসিও মামদানিকে এই কারণেই গ্রেসি ম্যানশনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন: ‘নিরাপত্তার জন্য হলেও তার সেখানে যাওয়া উচিত।’
মেয়র ফিওরেলো লাগার্ডিয়া ১৯৪২ সালে প্রথম এই ম্যানশনে স্থানান্তরিত হন এবং এর নাম পরিবর্তন করে আরও সাধারণ ‘গ্রেসি ফার্ম’ রাখার চেষ্টা করেন। যদিও নামটি টেকেনি, কিন্তু তাঁর স্ত্রী নিজে বাড়ির সমস্ত গৃহস্থালির কাজ করতেন এবং লনে পরিবারের কাপড় শুকাতেন।
তবে সাবেক মেয়র এরিক অ্যাডামস এই বাড়ির এক অন্যরকম হুমকির কথা বলেছিলেন: ‘ম্যানশনে ভূত আছে, ভাই!’
মেয়র রুডি গুলিয়ানিকে তাঁর তৎকালীন স্ত্রী ডোনা হ্যানোভার ডিভোর্স দিলে, সিটি হল ছাড়ার কয়েক বছর পরে এটির লনেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান করেন রুডি।
মেয়র এড কচ প্রথমে তাঁর ভাড়া বাড়িতে থাকতে চাইলেও পরে ভোটারদের ফোনের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যান। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘পশ জীবনের সঙ্গে খুব দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, এবং আমি সেটাই করেছিলাম।’
ড্যান্টে ডি ব্লাসিওর পরামর্শ ছিল, ‘আপনার প্রচুর পার্টি করা উচিত!’

এক ভারতীয় বালকের ওষ্ঠে চুমু খান তিব্বতের নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামা। এরপর তিনি সেই বালককে তাঁর জিহ্বা চুষতে বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। দালাইলামার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে পেডোফাইল (শিশু যৌনাকাঙ্ক্ষী) বলে আখ্যায়িত করছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে উগান্ডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন আইনে প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে হয়। মামদানি সেই শর্ত পূরণ করেছেন।
২৯ মিনিট আগে
‘সংঘে কোনো ব্রাহ্মণ, কোনো জাতি, কোনো মুসলমান বা খ্রিষ্টান আলাদাভাবে অনুমোদিত নয়। কিন্তু যে কেউ—মুসলমান বা খ্রিষ্টানসহ—নিজস্ব পৃথক পরিচয় বাইরে রেখে সংঘে যোগ দিতে পারে। শাখায় এলে তিনি ভারত মায়ের সন্তান হিসেবেই আসেন। মুসলমান ও খ্রিষ্টানরাও শাখায় আসেন। তবে আমরা তাদের সংখ্যা গুনি না।
১ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের মালাক্কা প্রণালিতে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে