
ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো ভারতের কর্ণাটকে দুজনের এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ওই দুই শিশুকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে তিন মাস বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি আট মাস বয়সী এক শিশু, যার চিকিৎসা চলছে।
ভারতে এইচএমপিভির তৃতীয় সংক্রমণ নিশ্চিত হয় আহমেদাবাদে। আক্রান্ত এই রোগীও শিশু। তার বয়স দুই মাস। আহমেদাবাদের অরেঞ্জ চিলড্রেন হাসপাতালে চিকিৎসক নীরব প্যাটেল বলেন, ‘বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ছাড়পত্রের জন্য প্রস্তুত।’ প্যাটেলের মতে, শিশুটি গত ২৪ ডিসেম্বর সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাই এবং সেলামে এইচএমপিভির দুটি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। ভারতে এখনো পর্যন্ত এইচএমপিভি সংক্রমণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, এইচএমপিভি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা আরও জানিয়েছে, দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুখ (আইএলআই) বা মারাত্মক তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুখের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। ভারত শ্বাসযন্ত্রজনিত অসুখের সম্ভাব্য বৃদ্ধির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।
বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদের সংক্রমিত শিশু এবং তাদের পরিবারের সাম্প্রতিক দেশের বাইরে কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্য অঞ্চলের বা দেশের সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও নাকচ করেছে তারা। তামিলনাড়ুর সংক্রমণের বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। চীনে প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী নজর কাড়া এইচএমপিভি একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে, এইচএমপিভি কোনো নতুন ভাইরাস নয়। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে...এটি বাতাসে ছড়ায় এবং সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। শীতকাল এবং বসন্তের শুরুর সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এইচএমপিভি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি পরিচিত ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃদু ধরনের সংক্রমণ হয়।’ তিনি ঠান্ডার সময়ে গ্রহণযোগ্য সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ভিড় এড়ানো, গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে, চীনে এইচএমপিভি প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এবং দেশগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের হাসপাতালে মাস্ক পরা মানুষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়ে বেইজিং এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি শীতকালের একটি সাধারণ ঘটনা। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়।’
মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, এইচএমপিভি সব বয়সের মানুষের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ হার বেশি। এইচএমপিভি মানুষ থেকে মানুষ বা অন্য যেকোনো শক্ত মাধ্যম থেকে মানুষে ছড়াতে পারে।
এইচএমপিভির সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ থাকা এবং শ্বাসকষ্ট অন্যতম। সিডিসির মতে, এইচএমপিভি সংক্রমণের ক্লিনিক্যাল উপসর্গ ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো ভারতের কর্ণাটকে দুজনের এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ওই দুই শিশুকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে তিন মাস বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি আট মাস বয়সী এক শিশু, যার চিকিৎসা চলছে।
ভারতে এইচএমপিভির তৃতীয় সংক্রমণ নিশ্চিত হয় আহমেদাবাদে। আক্রান্ত এই রোগীও শিশু। তার বয়স দুই মাস। আহমেদাবাদের অরেঞ্জ চিলড্রেন হাসপাতালে চিকিৎসক নীরব প্যাটেল বলেন, ‘বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ছাড়পত্রের জন্য প্রস্তুত।’ প্যাটেলের মতে, শিশুটি গত ২৪ ডিসেম্বর সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাই এবং সেলামে এইচএমপিভির দুটি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। ভারতে এখনো পর্যন্ত এইচএমপিভি সংক্রমণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, এইচএমপিভি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা আরও জানিয়েছে, দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুখ (আইএলআই) বা মারাত্মক তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুখের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। ভারত শ্বাসযন্ত্রজনিত অসুখের সম্ভাব্য বৃদ্ধির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।
বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদের সংক্রমিত শিশু এবং তাদের পরিবারের সাম্প্রতিক দেশের বাইরে কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্য অঞ্চলের বা দেশের সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও নাকচ করেছে তারা। তামিলনাড়ুর সংক্রমণের বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। চীনে প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী নজর কাড়া এইচএমপিভি একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে, এইচএমপিভি কোনো নতুন ভাইরাস নয়। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে...এটি বাতাসে ছড়ায় এবং সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। শীতকাল এবং বসন্তের শুরুর সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এইচএমপিভি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি পরিচিত ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃদু ধরনের সংক্রমণ হয়।’ তিনি ঠান্ডার সময়ে গ্রহণযোগ্য সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ভিড় এড়ানো, গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে, চীনে এইচএমপিভি প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এবং দেশগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের হাসপাতালে মাস্ক পরা মানুষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়ে বেইজিং এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি শীতকালের একটি সাধারণ ঘটনা। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়।’
মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, এইচএমপিভি সব বয়সের মানুষের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ হার বেশি। এইচএমপিভি মানুষ থেকে মানুষ বা অন্য যেকোনো শক্ত মাধ্যম থেকে মানুষে ছড়াতে পারে।
এইচএমপিভির সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ থাকা এবং শ্বাসকষ্ট অন্যতম। সিডিসির মতে, এইচএমপিভি সংক্রমণের ক্লিনিক্যাল উপসর্গ ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো ভারতের কর্ণাটকে দুজনের এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ওই দুই শিশুকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে তিন মাস বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি আট মাস বয়সী এক শিশু, যার চিকিৎসা চলছে।
ভারতে এইচএমপিভির তৃতীয় সংক্রমণ নিশ্চিত হয় আহমেদাবাদে। আক্রান্ত এই রোগীও শিশু। তার বয়স দুই মাস। আহমেদাবাদের অরেঞ্জ চিলড্রেন হাসপাতালে চিকিৎসক নীরব প্যাটেল বলেন, ‘বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ছাড়পত্রের জন্য প্রস্তুত।’ প্যাটেলের মতে, শিশুটি গত ২৪ ডিসেম্বর সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাই এবং সেলামে এইচএমপিভির দুটি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। ভারতে এখনো পর্যন্ত এইচএমপিভি সংক্রমণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, এইচএমপিভি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা আরও জানিয়েছে, দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুখ (আইএলআই) বা মারাত্মক তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুখের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। ভারত শ্বাসযন্ত্রজনিত অসুখের সম্ভাব্য বৃদ্ধির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।
বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদের সংক্রমিত শিশু এবং তাদের পরিবারের সাম্প্রতিক দেশের বাইরে কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্য অঞ্চলের বা দেশের সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও নাকচ করেছে তারা। তামিলনাড়ুর সংক্রমণের বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। চীনে প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী নজর কাড়া এইচএমপিভি একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে, এইচএমপিভি কোনো নতুন ভাইরাস নয়। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে...এটি বাতাসে ছড়ায় এবং সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। শীতকাল এবং বসন্তের শুরুর সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এইচএমপিভি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি পরিচিত ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃদু ধরনের সংক্রমণ হয়।’ তিনি ঠান্ডার সময়ে গ্রহণযোগ্য সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ভিড় এড়ানো, গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে, চীনে এইচএমপিভি প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এবং দেশগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের হাসপাতালে মাস্ক পরা মানুষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়ে বেইজিং এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি শীতকালের একটি সাধারণ ঘটনা। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়।’
মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, এইচএমপিভি সব বয়সের মানুষের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ হার বেশি। এইচএমপিভি মানুষ থেকে মানুষ বা অন্য যেকোনো শক্ত মাধ্যম থেকে মানুষে ছড়াতে পারে।
এইচএমপিভির সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ থাকা এবং শ্বাসকষ্ট অন্যতম। সিডিসির মতে, এইচএমপিভি সংক্রমণের ক্লিনিক্যাল উপসর্গ ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো ভারতের কর্ণাটকে দুজনের এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ওই দুই শিশুকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে তিন মাস বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরটি আট মাস বয়সী এক শিশু, যার চিকিৎসা চলছে।
ভারতে এইচএমপিভির তৃতীয় সংক্রমণ নিশ্চিত হয় আহমেদাবাদে। আক্রান্ত এই রোগীও শিশু। তার বয়স দুই মাস। আহমেদাবাদের অরেঞ্জ চিলড্রেন হাসপাতালে চিকিৎসক নীরব প্যাটেল বলেন, ‘বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ছাড়পত্রের জন্য প্রস্তুত।’ প্যাটেলের মতে, শিশুটি গত ২৪ ডিসেম্বর সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাই এবং সেলামে এইচএমপিভির দুটি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। ভারতে এখনো পর্যন্ত এইচএমপিভি সংক্রমণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, এইচএমপিভি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা আরও জানিয়েছে, দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুখ (আইএলআই) বা মারাত্মক তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুখের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। ভারত শ্বাসযন্ত্রজনিত অসুখের সম্ভাব্য বৃদ্ধির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।
বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদের সংক্রমিত শিশু এবং তাদের পরিবারের সাম্প্রতিক দেশের বাইরে কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্য অঞ্চলের বা দেশের সংস্পর্শ থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও নাকচ করেছে তারা। তামিলনাড়ুর সংক্রমণের বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। চীনে প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী নজর কাড়া এইচএমপিভি একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে, এইচএমপিভি কোনো নতুন ভাইরাস নয়। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে...এটি বাতাসে ছড়ায় এবং সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। শীতকাল এবং বসন্তের শুরুর সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘এইচএমপিভি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি পরিচিত ভাইরাস, যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃদু ধরনের সংক্রমণ হয়।’ তিনি ঠান্ডার সময়ে গ্রহণযোগ্য সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ভিড় এড়ানো, গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে, চীনে এইচএমপিভি প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এবং দেশগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের হাসপাতালে মাস্ক পরা মানুষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়ে বেইজিং এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি শীতকালের একটি সাধারণ ঘটনা। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়।’
মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, এইচএমপিভি সব বয়সের মানুষের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের মধ্যে এর সংক্রমণ হার বেশি। এইচএমপিভি মানুষ থেকে মানুষ বা অন্য যেকোনো শক্ত মাধ্যম থেকে মানুষে ছড়াতে পারে।
এইচএমপিভির সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ থাকা এবং শ্বাসকষ্ট অন্যতম। সিডিসির মতে, এইচএমপিভি সংক্রমণের ক্লিনিক্যাল উপসর্গ ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। তবে ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এইচএমপিভি বিশ্বব্যাপী ‘প্রচলিত’ একটি ভাইরাস এবং খুবই সাধারণ, তাই এতে ‘চিন্তার কিছু নেই।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৭ ঘণ্টা আগে