আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের অল্প কিছুক্ষণ পরেই কীভাবে তা এক আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে, সেই হিসাব অনেকেই মিলাতে পারছেন না। দুর্ঘটনার পরদিন মিলেছে ব্ল্যাক বক্স। এবার হয়তো জানা যাবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।
তার আগ পর্যন্ত সবাই এখন ব্যস্ত দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিকে নিয়ে। উড়োজাহাজে থাকা সব আরোহী যেখানে মৃত্যুবরণ করেছে, সেখানে তিনি কীভাবে বেঁচে গেলেন?
গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহর থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ, যাতে সওয়ার ছিলেন ১২ জন ক্রুসহ ২৪২ জন যাত্রী।
উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি কাছের মেঘানিনগর এলাকায় বিজে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টারে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। চোখের নিমিষে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
দুর্ঘটনায় ২৪১ জন আরোহীর পাশাপাশি বিমানটি যেখানে আছড়ে পড়েছিল, সেখানে মৃত্যু ঘটে কমপক্ষে ৩৩ জনের।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিটি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ। বলা হচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিতে সেদিন এক বিশেষ স্থানে তাঁর আসন ছিল বলেই প্রাণে বেঁচেছিলেন ৪০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রমেশ।
আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই নিজেকে দুর্ঘটনাস্থলে আবিষ্কার করেন রমেশ। জ্ঞান ছিল তাঁর। রক্তে ভেসে যাচ্ছে পরনের কাপড়। দেহের এদিকে-ওদিকে কাটাছেঁড়ার দাগ।
সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুরো ঘটনায় হতবিহ্বল রমেশ সাংবাদিকদের পরে বলেন, ‘আমি কীভাবে বেঁচে ফিরলাম, বুঝে উঠতে পারছি না।’
রমেশের বেঁচে যাওয়া নিঃসন্দেহে কোনো অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়। জরুরি নির্গমনের কাছে থাকা তাঁর আসনটির কারণেই কী বেঁচে গেছেন কি না, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, বিমানযাত্রায় নিরাপদ কোনো আসন আদৌ আছে কি না।
বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ অংগদ সিং এনডিটিভিকে বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উড়োজাহাজে কিছু আসন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। বহু বছরের বিমান দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বলছে, বিমানের একেবারে পেছনের দিকের বা সামনের দিকের আসনগুলো মাঝখানের আসনের চেয়ে বেশি নিরাপদ।
‘তবে, আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এটি একেবারেই প্রযোজ্য নয়। রমেশের ১১এ নম্বর আসনটি বিমানের মাঝামাঝি, ঠিক পাখার আগের দিকে। তাই তাঁর বেঁচে যাওয়াকে অলৌকিক বলাই যথার্থ। এর বাইরে অন্য কোনো শব্দ খাটে না।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটে ১১এ নম্বর আসনটি ইকোনমি ক্লাসের প্রথম সারিতে ছিল।
এটি বিজনেস ক্যাবিনের ঠিক পেছনে এবং বিমানের বাঁ দিকের জরুরি নির্গমনের কাছাকাছি। বিমানটি যখন ভূপাতিত হয়, তখন সামনের বাঁ দিকের অংশ, যার মধ্যে ১১এ আসনটিও ছিল, তা ধসে পড়ে—তবে ওপরের স্তর নয়, যেখানে বিমানের মূল কাঠামো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন উড়োজাহাজের আসনবিন্যাস ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রতিটি দুর্ঘটনার ধরন আলাদা। আর কে বাঁচবেন, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান চলাচলবিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থা সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিচালক মিচেল ফক্স বলেন, ‘প্রতিটি দুর্ঘটনা আলাদা। আর আসনের অবস্থান দেখে কে বাঁচবে তা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।’
ভারতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের অল্প কিছুক্ষণ পরেই কীভাবে তা এক আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে, সেই হিসাব অনেকেই মিলাতে পারছেন না। দুর্ঘটনার পরদিন মিলেছে ব্ল্যাক বক্স। এবার হয়তো জানা যাবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।
তার আগ পর্যন্ত সবাই এখন ব্যস্ত দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিকে নিয়ে। উড়োজাহাজে থাকা সব আরোহী যেখানে মৃত্যুবরণ করেছে, সেখানে তিনি কীভাবে বেঁচে গেলেন?
গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহর থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ, যাতে সওয়ার ছিলেন ১২ জন ক্রুসহ ২৪২ জন যাত্রী।
উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি কাছের মেঘানিনগর এলাকায় বিজে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টারে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। চোখের নিমিষে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
দুর্ঘটনায় ২৪১ জন আরোহীর পাশাপাশি বিমানটি যেখানে আছড়ে পড়েছিল, সেখানে মৃত্যু ঘটে কমপক্ষে ৩৩ জনের।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তিটি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ। বলা হচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটিতে সেদিন এক বিশেষ স্থানে তাঁর আসন ছিল বলেই প্রাণে বেঁচেছিলেন ৪০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রমেশ।
আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই নিজেকে দুর্ঘটনাস্থলে আবিষ্কার করেন রমেশ। জ্ঞান ছিল তাঁর। রক্তে ভেসে যাচ্ছে পরনের কাপড়। দেহের এদিকে-ওদিকে কাটাছেঁড়ার দাগ।
সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুরো ঘটনায় হতবিহ্বল রমেশ সাংবাদিকদের পরে বলেন, ‘আমি কীভাবে বেঁচে ফিরলাম, বুঝে উঠতে পারছি না।’
রমেশের বেঁচে যাওয়া নিঃসন্দেহে কোনো অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়। জরুরি নির্গমনের কাছে থাকা তাঁর আসনটির কারণেই কী বেঁচে গেছেন কি না, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, বিমানযাত্রায় নিরাপদ কোনো আসন আদৌ আছে কি না।
বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ অংগদ সিং এনডিটিভিকে বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উড়োজাহাজে কিছু আসন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। বহু বছরের বিমান দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বলছে, বিমানের একেবারে পেছনের দিকের বা সামনের দিকের আসনগুলো মাঝখানের আসনের চেয়ে বেশি নিরাপদ।
‘তবে, আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এটি একেবারেই প্রযোজ্য নয়। রমেশের ১১এ নম্বর আসনটি বিমানের মাঝামাঝি, ঠিক পাখার আগের দিকে। তাই তাঁর বেঁচে যাওয়াকে অলৌকিক বলাই যথার্থ। এর বাইরে অন্য কোনো শব্দ খাটে না।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটে ১১এ নম্বর আসনটি ইকোনমি ক্লাসের প্রথম সারিতে ছিল।
এটি বিজনেস ক্যাবিনের ঠিক পেছনে এবং বিমানের বাঁ দিকের জরুরি নির্গমনের কাছাকাছি। বিমানটি যখন ভূপাতিত হয়, তখন সামনের বাঁ দিকের অংশ, যার মধ্যে ১১এ আসনটিও ছিল, তা ধসে পড়ে—তবে ওপরের স্তর নয়, যেখানে বিমানের মূল কাঠামো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন উড়োজাহাজের আসনবিন্যাস ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রতিটি দুর্ঘটনার ধরন আলাদা। আর কে বাঁচবেন, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান চলাচলবিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থা সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিচালক মিচেল ফক্স বলেন, ‘প্রতিটি দুর্ঘটনা আলাদা। আর আসনের অবস্থান দেখে কে বাঁচবে তা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।’
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৫ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
৬ ঘণ্টা আগে