অনলাইন ডেস্ক
অপারেশন সিঁদুরের প্রায় তিন সপ্তাহ পর মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর মুখ খুলেই পাকিস্তানের উদ্দেশে বাক্যবাণ ছুড়েছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে পাকিস্তানের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। আমরা পাকিস্তানের শত শত মাইল ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস করেছি। আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েই পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ করতে বাধ্য হয়েছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানপুরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি রুপির একটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে এসব কথা বলেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তৃতায় অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের ‘সামরিক শক্তি’ প্রদর্শনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি এই অভিযানের সাফল্যের পেছনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে পাকিস্তানের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল।
অপারেশন সিঁদুরের এত দিন পর মোদির এমন মন্তব্যের কারণ হলো, চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ৯ ও ১০ মে রাতে ভারত যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়েছিল, সেগুলো পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। আজারবাইজানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গত ২৮ মে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘ব্রহ্মসসহ ভারতের অন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানার ঠিক আগমুহূর্তে পাকিস্তান পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এর আগেই ভারতের হামলায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।’
অবশ্য এর আগেও মে মাসের শুরুতে শাহবাজ শরিফ স্বীকার করেছিলেন, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো (এর মধ্যে ব্রহ্মসও ছিল) ১০ মে ভোরের দিকে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান বিমানঘাঁটি ও অন্যান্য এলাকায় আঘাত হানে। ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাগুলো ছিল অপারেশন সিঁদুরের অংশ।
এপ্রিলে পেহেলগামে হামলার জেরে ৬ মে রাতে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান পরিচালনা করেছিল ভারত। পরদিন ৭ মে রাতে ভারতের হামলার জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। ভারতের দাবি, এই অভিযানে তারা পাকিস্তান ও পাক-অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের ভেতরে ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার মধ্যে লস্কর-ই-তাইয়েবার সদর দপ্তরও ছিল।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান চার দিনের সংঘাত যখন ভয়াবহ মোড় নিচ্ছিল, তখন আকস্মিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ মে ঘোষণা দেন, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হয়।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ওই হামলায় ২৫ পর্যটক ও একজন স্থানীয় গাইড নিহত হন। একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তারা অস্বীকার করে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে; ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এরপর থেকে দেশ দুটি একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। প্রথমে এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে থাকলেও দ্রুত সামরিক সংঘাতের দিকে মোড় নেয়।
অপারেশন সিঁদুরের প্রায় তিন সপ্তাহ পর মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর মুখ খুলেই পাকিস্তানের উদ্দেশে বাক্যবাণ ছুড়েছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে পাকিস্তানের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। আমরা পাকিস্তানের শত শত মাইল ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস করেছি। আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েই পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ করতে বাধ্য হয়েছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানপুরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি রুপির একটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে এসব কথা বলেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তৃতায় অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের ‘সামরিক শক্তি’ প্রদর্শনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি এই অভিযানের সাফল্যের পেছনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে পাকিস্তানের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল।
অপারেশন সিঁদুরের এত দিন পর মোদির এমন মন্তব্যের কারণ হলো, চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ৯ ও ১০ মে রাতে ভারত যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়েছিল, সেগুলো পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। আজারবাইজানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গত ২৮ মে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘ব্রহ্মসসহ ভারতের অন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানার ঠিক আগমুহূর্তে পাকিস্তান পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এর আগেই ভারতের হামলায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।’
অবশ্য এর আগেও মে মাসের শুরুতে শাহবাজ শরিফ স্বীকার করেছিলেন, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো (এর মধ্যে ব্রহ্মসও ছিল) ১০ মে ভোরের দিকে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান বিমানঘাঁটি ও অন্যান্য এলাকায় আঘাত হানে। ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাগুলো ছিল অপারেশন সিঁদুরের অংশ।
এপ্রিলে পেহেলগামে হামলার জেরে ৬ মে রাতে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান পরিচালনা করেছিল ভারত। পরদিন ৭ মে রাতে ভারতের হামলার জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। ভারতের দাবি, এই অভিযানে তারা পাকিস্তান ও পাক-অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের ভেতরে ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার মধ্যে লস্কর-ই-তাইয়েবার সদর দপ্তরও ছিল।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান চার দিনের সংঘাত যখন ভয়াবহ মোড় নিচ্ছিল, তখন আকস্মিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ মে ঘোষণা দেন, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হয়।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ওই হামলায় ২৫ পর্যটক ও একজন স্থানীয় গাইড নিহত হন। একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তারা অস্বীকার করে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে; ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এরপর থেকে দেশ দুটি একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। প্রথমে এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে থাকলেও দ্রুত সামরিক সংঘাতের দিকে মোড় নেয়।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৬ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৬ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে