কলকাতা প্রতিনিধি
তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। তিন বারের নির্বাচিত বিধায়ক। অথচ দেখলে বোঝা যায় না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যখন প্রতিদিনই গণমাধ্যমে নেতা-মন্ত্রীদের কাড়ি কাড়ি টাকার ছবি ভাসছে, তখন তিনি ব্যতিক্রম। অতিসাধারণ জীবনযাত্রাতেই স্বচ্ছন্দ তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারাণী টুডু সচরাচর খবরের শিরোনামেও আসেন না। থাকেন প্রচারের অন্তরালে।
তবে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে হঠাৎ ভারতীয় গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। মন্ত্রী হয়েও তাঁর সরলতা মুগ্ধ করেছে সাধারণ মানুষকে। আদিবাসী নারী সন্ধ্যারাণীকে দেখা গিয়েছে নিজের ধান খেতে আর পাঁচজনের সঙ্গে মেতে উঠেছেন ধান রোপণের কাজে। সঙ্গে কোনো পাইক-বরকন্দাজ বা মিডিয়ার ভিড় নিয়ে নয়। একেবারে গ্রাম্য নারীর মতোই কাঁদায় নেমে ধান রোপণ করছিলেন তিনি। মিডিয়া এই খবর পেতেই সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল সন্ধ্যারাণী।
এমনিতেই তাঁর মন খারাপ। এবার মৌসুমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেরিতে। আমন ধান লাগাতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁর কাঁধে সংসার ছাড়াও রয়েছে মন্ত্রিত্ব ও দলনেত্রীর দায়িত্ব। স্বামী স্কুলশিক্ষক গুরুপদও তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা। বর্তমানে জেলা পরিষদের সচিবও। তিনিও সময় পেলেই নেমে পড়েন ধান খেতে।
মন্ত্রী হয়েও রঙিন দুনিয়া ছেড়ে ধানের চারা রোপণ করতে কেমন লাগছে, এ প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তাঁর জবাব, ‘চাষ করি আনন্দে...! ফি বছরই নিজের জমিতে এভাবে ধানের চারা রোপণ করি। নিজের কাজ নিজে করতেই ভালো লাগে।’
সন্ধ্যারাণীর প্রতিবেশীরাও জানেন তাঁর এমন আচরণ, তাই তাঁরা খুব একটা অবাক হন না। আদিবাসী সমাজের একজন হয়েই থাকতে চান তিনি। তবে এ জন্য কটাক্ষ কম হজম করতে হয়নি তাঁকে। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেছেন, ‘পুরোটাই নাটক। মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্যই ধান খেতে নেমেছেন সন্ধ্যারাণী।’ সিপিএমের সারা ভারত কৃষক সভার পুরুলিয়ার সভাপতি বিপত্তারণ শেখরের কটাক্ষ, ‘আগামী নির্বাচনে হেরে যাবেন। পরে যাতে অসুবিধা না হয় তাই এখন থেকে ফের ধান চাষ শুরু করেছেন।’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের এখনো প্রায় ৪ বছর দেরি। তাই বিরোধীদের এমন অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গুরুপদ। তিনি বলেছেন, মমতা ব্যানার্জির সাদামাটা জীবনযাপন তাঁদের আদর্শ। সেই সঙ্গে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে তাঁরা ভালোবাসেন। তাই ধান রোয়ার মধ্যে কোনো অপরাধ বা অহংকারবোধ তাঁদের নেই। আদিবাসী দম্পতি আত্মতৃপ্তির জন্যই চাষের জমিতে নেমে পড়েন, প্রচারে আলোয় তাঁদের কিছু যায় আসেনা। বরং লজ্জা করে, বললেন সন্ধ্যারাণী।
তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। তিন বারের নির্বাচিত বিধায়ক। অথচ দেখলে বোঝা যায় না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যখন প্রতিদিনই গণমাধ্যমে নেতা-মন্ত্রীদের কাড়ি কাড়ি টাকার ছবি ভাসছে, তখন তিনি ব্যতিক্রম। অতিসাধারণ জীবনযাত্রাতেই স্বচ্ছন্দ তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারাণী টুডু সচরাচর খবরের শিরোনামেও আসেন না। থাকেন প্রচারের অন্তরালে।
তবে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে হঠাৎ ভারতীয় গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। মন্ত্রী হয়েও তাঁর সরলতা মুগ্ধ করেছে সাধারণ মানুষকে। আদিবাসী নারী সন্ধ্যারাণীকে দেখা গিয়েছে নিজের ধান খেতে আর পাঁচজনের সঙ্গে মেতে উঠেছেন ধান রোপণের কাজে। সঙ্গে কোনো পাইক-বরকন্দাজ বা মিডিয়ার ভিড় নিয়ে নয়। একেবারে গ্রাম্য নারীর মতোই কাঁদায় নেমে ধান রোপণ করছিলেন তিনি। মিডিয়া এই খবর পেতেই সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল সন্ধ্যারাণী।
এমনিতেই তাঁর মন খারাপ। এবার মৌসুমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেরিতে। আমন ধান লাগাতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁর কাঁধে সংসার ছাড়াও রয়েছে মন্ত্রিত্ব ও দলনেত্রীর দায়িত্ব। স্বামী স্কুলশিক্ষক গুরুপদও তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা। বর্তমানে জেলা পরিষদের সচিবও। তিনিও সময় পেলেই নেমে পড়েন ধান খেতে।
মন্ত্রী হয়েও রঙিন দুনিয়া ছেড়ে ধানের চারা রোপণ করতে কেমন লাগছে, এ প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। তাঁর জবাব, ‘চাষ করি আনন্দে...! ফি বছরই নিজের জমিতে এভাবে ধানের চারা রোপণ করি। নিজের কাজ নিজে করতেই ভালো লাগে।’
সন্ধ্যারাণীর প্রতিবেশীরাও জানেন তাঁর এমন আচরণ, তাই তাঁরা খুব একটা অবাক হন না। আদিবাসী সমাজের একজন হয়েই থাকতে চান তিনি। তবে এ জন্য কটাক্ষ কম হজম করতে হয়নি তাঁকে। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেছেন, ‘পুরোটাই নাটক। মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্যই ধান খেতে নেমেছেন সন্ধ্যারাণী।’ সিপিএমের সারা ভারত কৃষক সভার পুরুলিয়ার সভাপতি বিপত্তারণ শেখরের কটাক্ষ, ‘আগামী নির্বাচনে হেরে যাবেন। পরে যাতে অসুবিধা না হয় তাই এখন থেকে ফের ধান চাষ শুরু করেছেন।’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের এখনো প্রায় ৪ বছর দেরি। তাই বিরোধীদের এমন অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গুরুপদ। তিনি বলেছেন, মমতা ব্যানার্জির সাদামাটা জীবনযাপন তাঁদের আদর্শ। সেই সঙ্গে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে তাঁরা ভালোবাসেন। তাই ধান রোয়ার মধ্যে কোনো অপরাধ বা অহংকারবোধ তাঁদের নেই। আদিবাসী দম্পতি আত্মতৃপ্তির জন্যই চাষের জমিতে নেমে পড়েন, প্রচারে আলোয় তাঁদের কিছু যায় আসেনা। বরং লজ্জা করে, বললেন সন্ধ্যারাণী।
ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর জবাবে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসৌস’ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলায় সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। এ অবস্থায় উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পর্যন্ত স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল মহাপরিদপ্তর (ডিজিসিএ)।
১৩ মিনিট আগেযুদ্ধের উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল ৬ মে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেরিটোরিয়াল আর্মি বিধিমালা, ১৯৪৮-এর ৩৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী সেনাপ্রধানকে টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রতিটি কর্মকর্তা ও সদস্যকে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার...
২ ঘণ্টা আগেআইএমএফ জানায়, সম্প্রসারিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) ব্যবস্থার অধীনে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যালোচনা শেষ করে তাদের নির্বাহী বোর্ড ১ বিলিয়ন ডলার তৎক্ষণাৎ পাকিস্তানকে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এই ব্যবস্থার অধীনে অর্থসংকটে থাকা পাকিস্তানের জন্য মোট অর্থছাড়ের পরিমাণ প্রায়...
৩ ঘণ্টা আগেভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর থেকে, ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, কূটনীতি এবং তথ্য ব্যবহার করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হওয়ায়...
৫ ঘণ্টা আগে