আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো শুরু করেছে ভারত। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে।
একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্য থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
আসামে এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবার এবং জমিজমা উভয়ই রাজ্যে রয়েছে। এই রাজ্যে লক্ষাধিক পরিবার রয়েছে, যাদের শিকড় বাংলাদেশে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এবং তাঁদের পরিবারকে প্রায়শই ভুলভাবে প্রধানত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা এতটা দরিদ্র যে, উচ্চ আদালতে ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার মতো সামর্থ্যও রাখেন না।
সরাকরের রোষে পড়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানবাধিকারকর্মীরা বলেছেন, এই বিতাড়ন অভিযানে কেবল মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আসাম সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল টেলিগ্রাফ। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সংলগ্ন ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) সীমান্ত থাকা আসাম গত মাস থেকে রাতের অন্ধকারের ‘পুশইন’ শুরু করেছে। আসামে এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়। সম্ভাব্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বা বাঙালি ভাষাভাষীদের স্থানীয় অসমিয়া ভাষাভাষীরা বিশেষ করে চাকরির বাজারে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, ‘বিদেশি বিতাড়নের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চাপ রয়েছে। আমরা ৩০৩ জনকে পুশব্যাক করেছি। এই পুশব্যাক আরও তীব্র করা হবে। রাজ্যকে বাঁচাতে আমাদের আরও সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, ঘোষিত বিদেশিদের বিতাড়নের বিষয়ে কেন আসাম পদক্ষেপ নেয়নি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশ ‘পুশইন করা ভারতীয়দের’ প্রক্রিয়া মেনে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে এটি সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। গত সপ্তাহে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ ব্যাপারে আসামভিত্তিক আইনজীবী আমান ওয়াদুদ টেলিগ্রাফকে বলেন, সরকার ‘নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে খুব আতঙ্ক রয়েছে—আগের চেয়েও বেশি।’ আইনজীবী আমান ওয়াদুদ নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে কাজ করেন। রাজ্যের এখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যও তিনি।
এদিকে ভুলভাবে নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও অন্তত চারজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, কোনো প্রকৃত ভারতীয় নাগরিককে বিতাড়ন করা হবে না। চারজনকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কারণ তাঁদের আপিল আদালতে বিচারাধীন।
ফিরিয়ে আনা এই চারজনের একজন খাইরুল ইসলাম। ৫১ বছর বয়সী এই সাবেক সরকারি স্কুলশিক্ষককে ২০১৬ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছিল। খাইরুল দুই বছর আসামের একটি বন্দিশিবিরে কাটিয়েছেন। ২০২০ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
খাইরুল ইসলাম টেলিগ্রাফকে জানান, গত ২৩ মে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি আটক কেন্দ্রে রাখে। সেখান থেকে তাঁকে এবং আরও ৩১ জনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা (বিএসএফ) জড়ো করে একটি ভ্যানে তোলে। ওই সময় তাঁদের সবার চোখ ও হাত বাঁধা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এরপর, আমাদের মধ্যে ১৪ জনকে অন্য একটি ট্রাকে তোলা হয়। আমাদের সীমান্তের একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।’ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ভয়ংকর ছিল। আমি এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়িনি। গভীর রাত ছিল। একটি সোজা রাস্তা এবং আমরা সবাই সেই বরাবর হাঁটতে শুরু করি।’
খাইরুল ইসলাম জানান, একটি বাংলাদেশি গ্রামের বাসিন্দারা তখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ফোন করেন। তাঁদের ১৪ জনের দলটিকে দুই দেশের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে ঠেলে দিয়েছিল বিএসএফ। খাইরুল বলেন, ‘সারা দিন আমরা সূর্যের তীব্র তাপের নিচে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’
পরে, খাইরুল ইসলামদের দলটিকে বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খাইরুল ইসলামের স্ত্রী আসাম পুলিশকে জানান, তাঁর মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন পর, আমাকে হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভাবেই আমি বাড়িতে ফিরে আসি। আমার সঙ্গে যারা ছিল তাদের কী হয়েছে বা তারা কোথায় আছে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’
শুধু আসামই নয়, পশ্চিমের আহমেদাবাদ শহরের পুলিশও দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৫০ জনের বেশি ‘বাংলাদেশি অভিবাসীকে’ চিহ্নিত করেছে বলে দাবি করছে। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অজিত রাজিয়ান টেলিগ্রাফকে বলেন, এই ব্যক্তিদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া চলছে।

‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো শুরু করেছে ভারত। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে।
একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্য থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
আসামে এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবার এবং জমিজমা উভয়ই রাজ্যে রয়েছে। এই রাজ্যে লক্ষাধিক পরিবার রয়েছে, যাদের শিকড় বাংলাদেশে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এবং তাঁদের পরিবারকে প্রায়শই ভুলভাবে প্রধানত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা এতটা দরিদ্র যে, উচ্চ আদালতে ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার মতো সামর্থ্যও রাখেন না।
সরাকরের রোষে পড়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানবাধিকারকর্মীরা বলেছেন, এই বিতাড়ন অভিযানে কেবল মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আসাম সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল টেলিগ্রাফ। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সংলগ্ন ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) সীমান্ত থাকা আসাম গত মাস থেকে রাতের অন্ধকারের ‘পুশইন’ শুরু করেছে। আসামে এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়। সম্ভাব্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বা বাঙালি ভাষাভাষীদের স্থানীয় অসমিয়া ভাষাভাষীরা বিশেষ করে চাকরির বাজারে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, ‘বিদেশি বিতাড়নের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চাপ রয়েছে। আমরা ৩০৩ জনকে পুশব্যাক করেছি। এই পুশব্যাক আরও তীব্র করা হবে। রাজ্যকে বাঁচাতে আমাদের আরও সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, ঘোষিত বিদেশিদের বিতাড়নের বিষয়ে কেন আসাম পদক্ষেপ নেয়নি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশ ‘পুশইন করা ভারতীয়দের’ প্রক্রিয়া মেনে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে এটি সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। গত সপ্তাহে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ ব্যাপারে আসামভিত্তিক আইনজীবী আমান ওয়াদুদ টেলিগ্রাফকে বলেন, সরকার ‘নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে খুব আতঙ্ক রয়েছে—আগের চেয়েও বেশি।’ আইনজীবী আমান ওয়াদুদ নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে কাজ করেন। রাজ্যের এখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যও তিনি।
এদিকে ভুলভাবে নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও অন্তত চারজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, কোনো প্রকৃত ভারতীয় নাগরিককে বিতাড়ন করা হবে না। চারজনকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কারণ তাঁদের আপিল আদালতে বিচারাধীন।
ফিরিয়ে আনা এই চারজনের একজন খাইরুল ইসলাম। ৫১ বছর বয়সী এই সাবেক সরকারি স্কুলশিক্ষককে ২০১৬ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছিল। খাইরুল দুই বছর আসামের একটি বন্দিশিবিরে কাটিয়েছেন। ২০২০ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
খাইরুল ইসলাম টেলিগ্রাফকে জানান, গত ২৩ মে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি আটক কেন্দ্রে রাখে। সেখান থেকে তাঁকে এবং আরও ৩১ জনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা (বিএসএফ) জড়ো করে একটি ভ্যানে তোলে। ওই সময় তাঁদের সবার চোখ ও হাত বাঁধা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এরপর, আমাদের মধ্যে ১৪ জনকে অন্য একটি ট্রাকে তোলা হয়। আমাদের সীমান্তের একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।’ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ভয়ংকর ছিল। আমি এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়িনি। গভীর রাত ছিল। একটি সোজা রাস্তা এবং আমরা সবাই সেই বরাবর হাঁটতে শুরু করি।’
খাইরুল ইসলাম জানান, একটি বাংলাদেশি গ্রামের বাসিন্দারা তখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ফোন করেন। তাঁদের ১৪ জনের দলটিকে দুই দেশের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে ঠেলে দিয়েছিল বিএসএফ। খাইরুল বলেন, ‘সারা দিন আমরা সূর্যের তীব্র তাপের নিচে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’
পরে, খাইরুল ইসলামদের দলটিকে বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খাইরুল ইসলামের স্ত্রী আসাম পুলিশকে জানান, তাঁর মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন পর, আমাকে হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভাবেই আমি বাড়িতে ফিরে আসি। আমার সঙ্গে যারা ছিল তাদের কী হয়েছে বা তারা কোথায় আছে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’
শুধু আসামই নয়, পশ্চিমের আহমেদাবাদ শহরের পুলিশও দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৫০ জনের বেশি ‘বাংলাদেশি অভিবাসীকে’ চিহ্নিত করেছে বলে দাবি করছে। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অজিত রাজিয়ান টেলিগ্রাফকে বলেন, এই ব্যক্তিদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া চলছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো শুরু করেছে ভারত। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে।
একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্য থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
আসামে এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবার এবং জমিজমা উভয়ই রাজ্যে রয়েছে। এই রাজ্যে লক্ষাধিক পরিবার রয়েছে, যাদের শিকড় বাংলাদেশে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এবং তাঁদের পরিবারকে প্রায়শই ভুলভাবে প্রধানত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা এতটা দরিদ্র যে, উচ্চ আদালতে ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার মতো সামর্থ্যও রাখেন না।
সরাকরের রোষে পড়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানবাধিকারকর্মীরা বলেছেন, এই বিতাড়ন অভিযানে কেবল মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আসাম সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল টেলিগ্রাফ। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সংলগ্ন ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) সীমান্ত থাকা আসাম গত মাস থেকে রাতের অন্ধকারের ‘পুশইন’ শুরু করেছে। আসামে এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়। সম্ভাব্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বা বাঙালি ভাষাভাষীদের স্থানীয় অসমিয়া ভাষাভাষীরা বিশেষ করে চাকরির বাজারে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, ‘বিদেশি বিতাড়নের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চাপ রয়েছে। আমরা ৩০৩ জনকে পুশব্যাক করেছি। এই পুশব্যাক আরও তীব্র করা হবে। রাজ্যকে বাঁচাতে আমাদের আরও সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, ঘোষিত বিদেশিদের বিতাড়নের বিষয়ে কেন আসাম পদক্ষেপ নেয়নি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশ ‘পুশইন করা ভারতীয়দের’ প্রক্রিয়া মেনে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে এটি সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। গত সপ্তাহে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ ব্যাপারে আসামভিত্তিক আইনজীবী আমান ওয়াদুদ টেলিগ্রাফকে বলেন, সরকার ‘নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে খুব আতঙ্ক রয়েছে—আগের চেয়েও বেশি।’ আইনজীবী আমান ওয়াদুদ নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে কাজ করেন। রাজ্যের এখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যও তিনি।
এদিকে ভুলভাবে নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও অন্তত চারজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, কোনো প্রকৃত ভারতীয় নাগরিককে বিতাড়ন করা হবে না। চারজনকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কারণ তাঁদের আপিল আদালতে বিচারাধীন।
ফিরিয়ে আনা এই চারজনের একজন খাইরুল ইসলাম। ৫১ বছর বয়সী এই সাবেক সরকারি স্কুলশিক্ষককে ২০১৬ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছিল। খাইরুল দুই বছর আসামের একটি বন্দিশিবিরে কাটিয়েছেন। ২০২০ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
খাইরুল ইসলাম টেলিগ্রাফকে জানান, গত ২৩ মে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি আটক কেন্দ্রে রাখে। সেখান থেকে তাঁকে এবং আরও ৩১ জনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা (বিএসএফ) জড়ো করে একটি ভ্যানে তোলে। ওই সময় তাঁদের সবার চোখ ও হাত বাঁধা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এরপর, আমাদের মধ্যে ১৪ জনকে অন্য একটি ট্রাকে তোলা হয়। আমাদের সীমান্তের একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।’ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ভয়ংকর ছিল। আমি এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়িনি। গভীর রাত ছিল। একটি সোজা রাস্তা এবং আমরা সবাই সেই বরাবর হাঁটতে শুরু করি।’
খাইরুল ইসলাম জানান, একটি বাংলাদেশি গ্রামের বাসিন্দারা তখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ফোন করেন। তাঁদের ১৪ জনের দলটিকে দুই দেশের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে ঠেলে দিয়েছিল বিএসএফ। খাইরুল বলেন, ‘সারা দিন আমরা সূর্যের তীব্র তাপের নিচে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’
পরে, খাইরুল ইসলামদের দলটিকে বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খাইরুল ইসলামের স্ত্রী আসাম পুলিশকে জানান, তাঁর মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন পর, আমাকে হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভাবেই আমি বাড়িতে ফিরে আসি। আমার সঙ্গে যারা ছিল তাদের কী হয়েছে বা তারা কোথায় আছে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’
শুধু আসামই নয়, পশ্চিমের আহমেদাবাদ শহরের পুলিশও দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৫০ জনের বেশি ‘বাংলাদেশি অভিবাসীকে’ চিহ্নিত করেছে বলে দাবি করছে। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অজিত রাজিয়ান টেলিগ্রাফকে বলেন, এই ব্যক্তিদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া চলছে।

‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো শুরু করেছে ভারত। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে।
একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্য থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
আসামে এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবার এবং জমিজমা উভয়ই রাজ্যে রয়েছে। এই রাজ্যে লক্ষাধিক পরিবার রয়েছে, যাদের শিকড় বাংলাদেশে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এবং তাঁদের পরিবারকে প্রায়শই ভুলভাবে প্রধানত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা এতটা দরিদ্র যে, উচ্চ আদালতে ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার মতো সামর্থ্যও রাখেন না।
সরাকরের রোষে পড়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানবাধিকারকর্মীরা বলেছেন, এই বিতাড়ন অভিযানে কেবল মুসলিমদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আসাম সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল টেলিগ্রাফ। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সংলগ্ন ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) সীমান্ত থাকা আসাম গত মাস থেকে রাতের অন্ধকারের ‘পুশইন’ শুরু করেছে। আসামে এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়। সম্ভাব্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বা বাঙালি ভাষাভাষীদের স্থানীয় অসমিয়া ভাষাভাষীরা বিশেষ করে চাকরির বাজারে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন, ‘বিদেশি বিতাড়নের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চাপ রয়েছে। আমরা ৩০৩ জনকে পুশব্যাক করেছি। এই পুশব্যাক আরও তীব্র করা হবে। রাজ্যকে বাঁচাতে আমাদের আরও সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, ঘোষিত বিদেশিদের বিতাড়নের বিষয়ে কেন আসাম পদক্ষেপ নেয়নি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশ ‘পুশইন করা ভারতীয়দের’ প্রক্রিয়া মেনে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। তবে এটি সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। গত সপ্তাহে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ ব্যাপারে আসামভিত্তিক আইনজীবী আমান ওয়াদুদ টেলিগ্রাফকে বলেন, সরকার ‘নির্বিচারে লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে খুব আতঙ্ক রয়েছে—আগের চেয়েও বেশি।’ আইনজীবী আমান ওয়াদুদ নাগরিকত্ব মামলা নিয়ে কাজ করেন। রাজ্যের এখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যও তিনি।
এদিকে ভুলভাবে নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও অন্তত চারজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, কোনো প্রকৃত ভারতীয় নাগরিককে বিতাড়ন করা হবে না। চারজনকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কারণ তাঁদের আপিল আদালতে বিচারাধীন।
ফিরিয়ে আনা এই চারজনের একজন খাইরুল ইসলাম। ৫১ বছর বয়সী এই সাবেক সরকারি স্কুলশিক্ষককে ২০১৬ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছিল। খাইরুল দুই বছর আসামের একটি বন্দিশিবিরে কাটিয়েছেন। ২০২০ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
খাইরুল ইসলাম টেলিগ্রাফকে জানান, গত ২৩ মে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি আটক কেন্দ্রে রাখে। সেখান থেকে তাঁকে এবং আরও ৩১ জনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা (বিএসএফ) জড়ো করে একটি ভ্যানে তোলে। ওই সময় তাঁদের সবার চোখ ও হাত বাঁধা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এরপর, আমাদের মধ্যে ১৪ জনকে অন্য একটি ট্রাকে তোলা হয়। আমাদের সীমান্তের একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।’ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা ভয়ংকর ছিল। আমি এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়িনি। গভীর রাত ছিল। একটি সোজা রাস্তা এবং আমরা সবাই সেই বরাবর হাঁটতে শুরু করি।’
খাইরুল ইসলাম জানান, একটি বাংলাদেশি গ্রামের বাসিন্দারা তখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ফোন করেন। তাঁদের ১৪ জনের দলটিকে দুই দেশের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে ঠেলে দিয়েছিল বিএসএফ। খাইরুল বলেন, ‘সারা দিন আমরা সূর্যের তীব্র তাপের নিচে খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’
পরে, খাইরুল ইসলামদের দলটিকে বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খাইরুল ইসলামের স্ত্রী আসাম পুলিশকে জানান, তাঁর মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন পর, আমাকে হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভাবেই আমি বাড়িতে ফিরে আসি। আমার সঙ্গে যারা ছিল তাদের কী হয়েছে বা তারা কোথায় আছে সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’
শুধু আসামই নয়, পশ্চিমের আহমেদাবাদ শহরের পুলিশও দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৫০ জনের বেশি ‘বাংলাদেশি অভিবাসীকে’ চিহ্নিত করেছে বলে দাবি করছে। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অজিত রাজিয়ান টেলিগ্রাফকে বলেন, এই ব্যক্তিদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া চলছে।

তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২৯ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’ এবং ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী এবং দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টার স্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদী মুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এ অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’ এবং ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী এবং দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টার স্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদী মুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এ অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
১১ জুন ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
১১ জুন ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২৯ মিনিট আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
১১ জুন ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২৯ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

চলতি মে মাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্য ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ ঘোষিত ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে থেকে এই ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
১১ জুন ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
২৯ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে