বিবিসির প্রতিবেদন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। তবে গতকাল ওভাল অফিসের বৈঠকে বাগ্বিতণ্ডার পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনহীন একনায়ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনই যুদ্ধ শুরু করেছে। এত কিছুর পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে লালিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন জোট কার্যত ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি, এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই বিরোধের ফলে ইউরোপের নিরাপত্তার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প কি তাঁর পূর্বসূরি হ্যারি ট্রুম্যানের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন? ১৯৪৯ সালে ট্রুম্যান ঘোষণা করেছিলেন, ‘ন্যাটোর কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এদিকে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে আগ্রহী। এ কারণে ইউক্রেনের ওপর চরম চাপ সৃষ্টি করলেও পুতিনকে বড় ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত তিনি— যা মূলত ইউক্রেনের পক্ষ থেকেই আসতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা এখন দ্বিতীয় সারিতে চলে গেছে, আর ইউরোপীয় নেতারাও উদ্বেগে রয়েছেন। তাঁরা ভাবছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও একই মনোভাব দেখাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
জেলেনস্কি ট্রাম্পের দেওয়া ছাড়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, যা ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি শুধু খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেননি বরং তাঁর মতে, অধিকাংশ ইউক্রেনীয় মনে করে তারা ‘জাতীয় অস্তিত্বের জন্য’ যুদ্ধ করছে। তাদের বিশ্বাস, পুতিনকে যদি প্রতিহত করা না হয়, তবে তিনি যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি রাখবেন না। এ জন্যই জেলেনস্কি বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ করেছে।
গতকাল ওভাল অফিসের বৈঠকটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স কথা বলা শুরু করেন। তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, এই বাগ্বিতণ্ডা পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল হতে পারে—যার লক্ষ্য ছিল জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মানতে বাধ্য করা অথবা সংকট সৃষ্টি করে পরবর্তী পরিস্থিতির দায় তাঁর ওপর চাপানো।
এই বৈঠকের পর যদি ট্রাম্প ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। তবে প্রশ্ন হলো, তারা কতটা কার্যকরভাবে এবং কত দিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে?
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শূন্যস্থান পূরণ করবে ইউরোপ। তাই ইউরোপের ওপর আরও চাপ বাড়বে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো কি এই চাপ নিতে প্রস্তুত?
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। তবে গতকাল ওভাল অফিসের বৈঠকে বাগ্বিতণ্ডার পর সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনহীন একনায়ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনই যুদ্ধ শুরু করেছে। এত কিছুর পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে লালিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন জোট কার্যত ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি, এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই বিরোধের ফলে ইউরোপের নিরাপত্তার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প কি তাঁর পূর্বসূরি হ্যারি ট্রুম্যানের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন? ১৯৪৯ সালে ট্রুম্যান ঘোষণা করেছিলেন, ‘ন্যাটোর কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এদিকে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে আগ্রহী। এ কারণে ইউক্রেনের ওপর চরম চাপ সৃষ্টি করলেও পুতিনকে বড় ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত তিনি— যা মূলত ইউক্রেনের পক্ষ থেকেই আসতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা এখন দ্বিতীয় সারিতে চলে গেছে, আর ইউরোপীয় নেতারাও উদ্বেগে রয়েছেন। তাঁরা ভাবছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও একই মনোভাব দেখাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
জেলেনস্কি ট্রাম্পের দেওয়া ছাড়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, যা ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি শুধু খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেননি বরং তাঁর মতে, অধিকাংশ ইউক্রেনীয় মনে করে তারা ‘জাতীয় অস্তিত্বের জন্য’ যুদ্ধ করছে। তাদের বিশ্বাস, পুতিনকে যদি প্রতিহত করা না হয়, তবে তিনি যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি রাখবেন না। এ জন্যই জেলেনস্কি বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ করেছে।
গতকাল ওভাল অফিসের বৈঠকটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স কথা বলা শুরু করেন। তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, এই বাগ্বিতণ্ডা পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল হতে পারে—যার লক্ষ্য ছিল জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মানতে বাধ্য করা অথবা সংকট সৃষ্টি করে পরবর্তী পরিস্থিতির দায় তাঁর ওপর চাপানো।
এই বৈঠকের পর যদি ট্রাম্প ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। তবে প্রশ্ন হলো, তারা কতটা কার্যকরভাবে এবং কত দিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে?
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শূন্যস্থান পূরণ করবে ইউরোপ। তাই ইউরোপের ওপর আরও চাপ বাড়বে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো কি এই চাপ নিতে প্রস্তুত?
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
১০ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
২ ঘণ্টা আগে