Ajker Patrika

নিক্সনকন্যাকে কেন আজও ভুলতে পারেন না ব্রিটিশ রাজা চার্লস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
১৯৭০ সালে ট্রিশিয়া নিক্সনের কাছাকাছি হয়েছিলেন বর্তমান ব্রিটিশ রাজা চার্লস। ছবি: সংগৃহীত
১৯৭০ সালে ট্রিশিয়া নিক্সনের কাছাকাছি হয়েছিলেন বর্তমান ব্রিটিশ রাজা চার্লস। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজা চার্লস সম্প্রতি এক নৈশভোজে স্মরণ করালেন তাঁর জীবনের এক অজানা অধ্যায়। সেদিন তিনি মজা করে বলেছিলেন, ‘আমিও হয়তো নিক্সন পরিবারেই বিয়ে করতে পারতাম।’ তাঁর এই মন্তব্য শুনে অতিথিরা হাসাহাসি করলেও অনেকেই বুঝতে পারেননি এর গভীরতা। তবে সেখানে উপস্থিত রানি ক্যামিলা অবশ্য বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন—চার্লস আসলে ইঙ্গিত করেছেন সেই সময়টিকে, যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জ্যেষ্ঠ কন্যা ট্রিশিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল।

ঘটনাটি ১৯৭০ সালের। সেবার একটি পলো ম্যাচে বর্তমান রানি ক্যামিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস তরুণ চার্লস। একই সময়ে তিনি আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে নিক্সনের কন্যা ট্রিশিয়ারও কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন।

ট্রিশিয়া ছিলেন আত্মবিশ্বাসী, স্বর্ণকেশী ও চার্লসের চেয়ে কিছুটা বড়। প্রেসিডেন্ট নিক্সন তখন ভিয়েতনাম যুদ্ধের সংকটে জর্জরিত এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারকে ঘিরে এক ধরনের কূটনৈতিক সুযোগ দেখছিলেন। তাই তিনি সচেতনভাবেই চার্লস ও ট্রিশিয়াকে বারবার কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছিলেন।

ওয়াশিংটনের আরএফকে স্টেডিয়ামে এক বেসবল ম্যাচে চার্লস ও ট্রিশিয়ার পাশাপাশি বসা, হোয়াইট হাউসে দুজনের নৈশভোজ ও নাচ—সবই ছিল এই পরিকল্পনার অংশ। চার্লসের বয়স তখন মাত্র ২১, আর বয়সে কিছুটা বড় ট্রিশিয়া আমেরিকান টেলিভিশনের পর্দায় উঠে আসছিলেন আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে। অনেকেই ভেবেছিলেন, দুজনের মধ্যে হয়তো জন্ম নেবে এক বিশেষ সম্পর্ক, যা ব্রিটিশ রাজপরিবার ও আমেরিকার রাজনৈতিক পরিবারকে জুড়ে দেবে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। বছর কয়েক পর চার্লস নিজেই স্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘এটা বেশ মজার। তারা আমাকে ট্রিশিয়া নিক্সনের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইছিলেন।’ যদিও এই সম্পর্কের বিষয়ে সেই সময়ের সংবাদমাধ্যমগুলো শিরোনাম করেছিল—‘যে মিলন হলো না’।

ওয়াশিংটনের আরএফকে স্টেডিয়ামে চার্লস ও ট্রিশিয়ার পাশাপাশি বসা। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াশিংটনের আরএফকে স্টেডিয়ামে চার্লস ও ট্রিশিয়ার পাশাপাশি বসা। ছবি: সংগৃহীত

পরে ট্রিশিয়া বিয়ে করেন হার্ভার্ডের এক আইনজীবীকে। আর চার্লসের জীবন চলে যায় ভিন্ন পথে—প্রথমে ডায়ানা, পরে ক্যামিলা। কিন্তু নিক্সন কন্যার সেই স্মৃতি আজও আলোচনায় আসে। বিশেষ করে যখন ব্রিটেন-আমেরিকার ‘বিশেষ সম্পর্ক’ নিয়ে কথা হয়, তখনই ইতিহাসের এই অধ্যায় নতুন করে উচ্চারিত হয়।

সাম্প্রতিক নৈশভোজে ডোনাল্ড ট্রাম্পও দুই দেশের সম্পর্ককে ‘অমূল্য ও চিরন্তন’ বলে বর্ণনা করেন এবং চার্লসকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন। তবে রাজা চার্লস যে অতীতের এক সম্ভাব্য সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুললেন, তা প্রমাণ করে ইতিহাসে অনেক সময় ব্যক্তিগত সম্পর্কও কূটনীতির অংশ হয়ে ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাঝ আকাশে হাত ভাঙল বিমানের কেবিন ক্রুর, অঙ্গহানির আশঙ্কা

বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করল কানাডা

এরদোয়ানকে খলিফা উমর (রা.)-এর সঙ্গে খ্রিষ্টানদের চুক্তিপত্রের প্রতিলিপি উপহার দিলেন জেরুজালেমের পাদরি

আ.লীগের মিছিল না ঠেকিয়ে খাওয়াদাওয়া, তিন পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

রাজশাহীতে পিস্তল হাতে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশের দাবি—নজরে আসেনি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত