ইশতিয়াক হাসান

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।
১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।
তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।
অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।
তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।
চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।
‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।
এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।
‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’
ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।
পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।
‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।
হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।
শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।
১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে।
চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।
অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি।
মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে।
এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন।
তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল।
ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি।
অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে।
১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে।
১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।
তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।
যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।
অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।
স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’
হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’
‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।
তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।
সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।
১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।
তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।
অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।
তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।
চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।
‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।
এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।
‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’
ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।
পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।
‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।
হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।
শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।
১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে।
চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।
অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি।
মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে।
এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন।
তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল।
ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি।
অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে।
১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে।
১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।
তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।
যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।
অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।
স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’
হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’
‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।
তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।
সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
৬ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
৬ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
নিচে দিল্লিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে ঘটে যাওয়া বড় বড় বিস্ফোরণের ঘটনার একটি সময়রেখা তুলে ধরা হলো—
৯ জানুয়ারি ১৯৯৭: দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের বিপরীতে আইটিও এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জন আহত হয়।
১ অক্টোবর ১৯৯৭: সদর বাজার এলাকায় একটি শোভাযাত্রার কাছে দুটি বিস্ফোরণে ৩০ জন আহত হয়।
১০ অক্টোবর ১৯৯৭: শান্তিবন, কৌরিয়া পুল ও কিংসওয়ে ক্যাম্প এলাকায় তিন দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়।
১৮ অক্টোবর ১৯৯৭: রানীবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়।
২৬ অক্টোবর ১৯৯৭: করোলবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়।
৩০ নভেম্বর ১৯৯৭: লাল কেল্লা এলাকার দুই দফা বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭: পাঞ্জাবিবাগ এলাকায় একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
২৬ জুলাই ১৯৯৮: কাশ্মীরি গেট আইএসবিটিতে (ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাল) পার্ক করা বাসে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।
১৮ জুন ২০০০: লাল কেল্লার কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ২ জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি আহত হয়।
২২ মে ২০০৫: দিল্লির দুটি সিনেমা হলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়।
২৯ অক্টোবর ২০০৫: দিল্লির সরোজিনী নগর, পাহারগঞ্জ বাজার এবং গোবিন্দপুরীর একটি বাসে তিন দফা বিস্ফোরণে ৫৯ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০০৬: পুরান দিল্লির জামা মসজিদ প্রাঙ্গণে দুটি বিস্ফোরণে ১৪ জন আহত হয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮: রাজধানীর কনট প্লেস, করোলবাগের ঘাফফার মার্কেট এবং গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে পাঁচ দফা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮: মেহরাউলি ফুল মার্কেটে কম তীব্রতার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়।
২৫ মে ২০১১: দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে গাড়ি পার্কিং এলাকায় ছোট আকারের একটি বিস্ফোরণ ঘটে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
নিচে দিল্লিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে ঘটে যাওয়া বড় বড় বিস্ফোরণের ঘটনার একটি সময়রেখা তুলে ধরা হলো—
৯ জানুয়ারি ১৯৯৭: দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের বিপরীতে আইটিও এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জন আহত হয়।
১ অক্টোবর ১৯৯৭: সদর বাজার এলাকায় একটি শোভাযাত্রার কাছে দুটি বিস্ফোরণে ৩০ জন আহত হয়।
১০ অক্টোবর ১৯৯৭: শান্তিবন, কৌরিয়া পুল ও কিংসওয়ে ক্যাম্প এলাকায় তিন দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়।
১৮ অক্টোবর ১৯৯৭: রানীবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়।
২৬ অক্টোবর ১৯৯৭: করোলবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়।
৩০ নভেম্বর ১৯৯৭: লাল কেল্লা এলাকার দুই দফা বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭: পাঞ্জাবিবাগ এলাকায় একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
২৬ জুলাই ১৯৯৮: কাশ্মীরি গেট আইএসবিটিতে (ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাল) পার্ক করা বাসে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।
১৮ জুন ২০০০: লাল কেল্লার কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ২ জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি আহত হয়।
২২ মে ২০০৫: দিল্লির দুটি সিনেমা হলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়।
২৯ অক্টোবর ২০০৫: দিল্লির সরোজিনী নগর, পাহারগঞ্জ বাজার এবং গোবিন্দপুরীর একটি বাসে তিন দফা বিস্ফোরণে ৫৯ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০০৬: পুরান দিল্লির জামা মসজিদ প্রাঙ্গণে দুটি বিস্ফোরণে ১৪ জন আহত হয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮: রাজধানীর কনট প্লেস, করোলবাগের ঘাফফার মার্কেট এবং গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে পাঁচ দফা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮: মেহরাউলি ফুল মার্কেটে কম তীব্রতার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়।
২৫ মে ২০১১: দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে গাড়ি পার্কিং এলাকায় ছোট আকারের একটি বিস্ফোরণ ঘটে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
এই ভোটে সরকারের জোটসঙ্গীদের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের দুই সদস্য ভিন্নমত দিয়ে সরকারের পক্ষে ভোট দেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে। ভোটাভুটির আগে বিরোধী বেঞ্চে প্রবল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়; তারা বিলের কপি ছিঁড়ে আইনমন্ত্রীর টেবিলের দিকে ছুড়ে দেন এবং ‘গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে’ স্লোগান তুলতে থাকেন।
বিক্ষোভ শেষে বেশিরভাগ বিরোধী সদস্য সিনেট চেম্বার থেকে ওয়াকআউট করেন, ফলে বিলটি পাসে আর কোনো বাধা থাকেনি।
বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, আর অধিবেশন পরিচালনা করেন সিনেট চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ রজা গিলানি। ধারা-ধারাভিত্তিক ভোটের পর প্রোটোকল অনুযায়ী সিনেটের প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি হবে, কার্যকর ২০২৫ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে।
সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স, অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট উপাধি আজীবন বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের’ সুপারিশে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার নিয়োগ দেবেন।
‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ নামে নতুন আদালত গঠন হবে।
আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের কিছু এখতিয়ার নতুন আদালতে স্থানান্তর হবে।
রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি দায়মুক্তি পাবেন।
বিতর্কিত ধারাগুলো ও কমিটির প্রস্তাব
আইন ও বিচারবিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির (যা বিরোধী দল বয়কট করে) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিলটিতে কয়েকটি ছোট সংশোধন আনা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর ফারুক এইচ. নাইক জানান, প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকেও একজন সদস্য যুক্ত হবেন।
কমিটি অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল, হাইকোর্টে পাঁচ বছর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরাই এ আদালতে মনোনীত হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে কেউ নিয়োগ পেলে তাঁর জ্যেষ্ঠতা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো— সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিল্ড মার্শাল পদ অন্তর্ভুক্ত করা। এর ফলে তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) জন্যই আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ তারকা জেনারেলের পদ সৃষ্টির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হলে। সংশোধনীর ফলে সেনাপ্রধান আসিম মুনির সর্বেসর্বা ক্ষমতার অধিকারী হলেন।
পিটিআই থেকে সাইফুল্লাহ আবরোর নাটকীয় পদত্যাগ
বিল পাসের পরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সিনেটর সাইফুল্লাহ আবরো নিজের আসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সৈয়দ জেনারেল আসিম মুনিরের জন্যই ভোট দিয়েছি। তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে জাতিকে গর্বিত করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, ২৬তম সংশোধনের সময় তাঁর পরিবারের ১০ সদস্য অপহৃত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দল কোনো সহায়তা দেয়নি। পদত্যাগের পর সিনেট চেয়ারম্যান গিলানি বলেন, ‘আমরা আপনাকে আবার সিনেটর করব।’
‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে দাবি সরকারের
বিল পাস হওয়ার পর উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার একে ‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ২০০৬ সালের চার্টার অব ডেমোক্রেসির অসমাপ্ত এজেন্ডা। বিচার বিভাগের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে সাংবিধানিক আদালত গঠন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
দার আরও বলেন, ‘ফিল্ড মার্শালের পদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সামরিক নেতৃত্বের কাঠামো এখন আরও স্পষ্ট হলো। এতে বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সিনিয়রিটি বা প্রধান বিচারপতির অবস্থানে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
বিরোধীদের ক্ষোভ
পিটিআই সিনেটর আলি জাফর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এই সংশোধনের বিরোধিতা করব, কারণ কেউই—যে-ই হোক—আইন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। যদি কেউ অপরাধ করে, সে প্রেসিডেন্ট হোক বা গভর্নর, তার বিচার হওয়া উচিত।’
তবে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই রাষ্ট্রপ্রধানরা নির্দিষ্ট পরিমাণ দায়মুক্তি ভোগ করেন। এটি কোনো ব্যতিক্রম নয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, এই সংশোধনটি সুশাসন, প্রাদেশিক ভারসাম্য এবং প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা
বিল অনুযায়ী, নবগঠিত সাংবিধানিক আদালতও সুপ্রিম কোর্টের মতো সুয়োমোটো (নিজ উদ্যোগে মামলা নেওয়ার) ক্ষমতা রাখবে, তবে তা প্রয়োগের আগে আদালত যাচাই করবে যে আবেদনটি ন্যায্য ও প্রয়োজনীয় কিনা।
বিচারক বদলির নতুন নিয়ম
এখন থেকে একজন বিচারককে এক হাইকোর্ট থেকে অন্য হাইকোর্টে বদলি করা যাবে শুধুমাত্র জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপে) মাধ্যমে, যেখানে নির্বাহী, বিচার বিভাগ, সংসদ ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি থাকবেন।
সাংবিধানিক সংশোধনের প্রেক্ষাপট
একটি সাংবিধানিক সংশোধন পাসের জন্য সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। ৯৬ সদস্যের সিনেটে অন্তত ৬৪ ভোট লাগত, যা সরকার পেয়েছে। বিলটি এখন জাতীয় পরিষদে যাবে, যেখানে সরকারী জোটের মোট ২৩৩ আসন থাকায় এটি পাস হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিলটি শনিবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সিনেটে উত্থাপন করা হয়। এতে প্রধান দুটি লক্ষ্য ছিল — ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন এবং ফিল্ড মার্শালের পদকে সংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সিদ্ধান্ত
বিলে প্রধানমন্ত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আইনের আদালত ও জনগণের আদালত উভয়ের কাছেই জবাবদিহি থাকতে হবে।’
তিনি জোটসঙ্গীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশের স্বার্থে, প্রাদেশিক সম্প্রীতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
এই ভোটে সরকারের জোটসঙ্গীদের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের দুই সদস্য ভিন্নমত দিয়ে সরকারের পক্ষে ভোট দেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে। ভোটাভুটির আগে বিরোধী বেঞ্চে প্রবল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়; তারা বিলের কপি ছিঁড়ে আইনমন্ত্রীর টেবিলের দিকে ছুড়ে দেন এবং ‘গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে’ স্লোগান তুলতে থাকেন।
বিক্ষোভ শেষে বেশিরভাগ বিরোধী সদস্য সিনেট চেম্বার থেকে ওয়াকআউট করেন, ফলে বিলটি পাসে আর কোনো বাধা থাকেনি।
বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, আর অধিবেশন পরিচালনা করেন সিনেট চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ রজা গিলানি। ধারা-ধারাভিত্তিক ভোটের পর প্রোটোকল অনুযায়ী সিনেটের প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি হবে, কার্যকর ২০২৫ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে।
সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স, অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট উপাধি আজীবন বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের’ সুপারিশে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার নিয়োগ দেবেন।
‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ নামে নতুন আদালত গঠন হবে।
আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের কিছু এখতিয়ার নতুন আদালতে স্থানান্তর হবে।
রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি দায়মুক্তি পাবেন।
বিতর্কিত ধারাগুলো ও কমিটির প্রস্তাব
আইন ও বিচারবিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির (যা বিরোধী দল বয়কট করে) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিলটিতে কয়েকটি ছোট সংশোধন আনা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর ফারুক এইচ. নাইক জানান, প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকেও একজন সদস্য যুক্ত হবেন।
কমিটি অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল, হাইকোর্টে পাঁচ বছর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরাই এ আদালতে মনোনীত হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে কেউ নিয়োগ পেলে তাঁর জ্যেষ্ঠতা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো— সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিল্ড মার্শাল পদ অন্তর্ভুক্ত করা। এর ফলে তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) জন্যই আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ তারকা জেনারেলের পদ সৃষ্টির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হলে। সংশোধনীর ফলে সেনাপ্রধান আসিম মুনির সর্বেসর্বা ক্ষমতার অধিকারী হলেন।
পিটিআই থেকে সাইফুল্লাহ আবরোর নাটকীয় পদত্যাগ
বিল পাসের পরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সিনেটর সাইফুল্লাহ আবরো নিজের আসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সৈয়দ জেনারেল আসিম মুনিরের জন্যই ভোট দিয়েছি। তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে জাতিকে গর্বিত করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, ২৬তম সংশোধনের সময় তাঁর পরিবারের ১০ সদস্য অপহৃত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দল কোনো সহায়তা দেয়নি। পদত্যাগের পর সিনেট চেয়ারম্যান গিলানি বলেন, ‘আমরা আপনাকে আবার সিনেটর করব।’
‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে দাবি সরকারের
বিল পাস হওয়ার পর উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার একে ‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ২০০৬ সালের চার্টার অব ডেমোক্রেসির অসমাপ্ত এজেন্ডা। বিচার বিভাগের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে সাংবিধানিক আদালত গঠন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
দার আরও বলেন, ‘ফিল্ড মার্শালের পদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সামরিক নেতৃত্বের কাঠামো এখন আরও স্পষ্ট হলো। এতে বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সিনিয়রিটি বা প্রধান বিচারপতির অবস্থানে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
বিরোধীদের ক্ষোভ
পিটিআই সিনেটর আলি জাফর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এই সংশোধনের বিরোধিতা করব, কারণ কেউই—যে-ই হোক—আইন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। যদি কেউ অপরাধ করে, সে প্রেসিডেন্ট হোক বা গভর্নর, তার বিচার হওয়া উচিত।’
তবে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই রাষ্ট্রপ্রধানরা নির্দিষ্ট পরিমাণ দায়মুক্তি ভোগ করেন। এটি কোনো ব্যতিক্রম নয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, এই সংশোধনটি সুশাসন, প্রাদেশিক ভারসাম্য এবং প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা
বিল অনুযায়ী, নবগঠিত সাংবিধানিক আদালতও সুপ্রিম কোর্টের মতো সুয়োমোটো (নিজ উদ্যোগে মামলা নেওয়ার) ক্ষমতা রাখবে, তবে তা প্রয়োগের আগে আদালত যাচাই করবে যে আবেদনটি ন্যায্য ও প্রয়োজনীয় কিনা।
বিচারক বদলির নতুন নিয়ম
এখন থেকে একজন বিচারককে এক হাইকোর্ট থেকে অন্য হাইকোর্টে বদলি করা যাবে শুধুমাত্র জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপে) মাধ্যমে, যেখানে নির্বাহী, বিচার বিভাগ, সংসদ ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি থাকবেন।
সাংবিধানিক সংশোধনের প্রেক্ষাপট
একটি সাংবিধানিক সংশোধন পাসের জন্য সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। ৯৬ সদস্যের সিনেটে অন্তত ৬৪ ভোট লাগত, যা সরকার পেয়েছে। বিলটি এখন জাতীয় পরিষদে যাবে, যেখানে সরকারী জোটের মোট ২৩৩ আসন থাকায় এটি পাস হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিলটি শনিবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সিনেটে উত্থাপন করা হয়। এতে প্রধান দুটি লক্ষ্য ছিল — ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন এবং ফিল্ড মার্শালের পদকে সংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সিদ্ধান্ত
বিলে প্রধানমন্ত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আইনের আদালত ও জনগণের আদালত উভয়ের কাছেই জবাবদিহি থাকতে হবে।’
তিনি জোটসঙ্গীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশের স্বার্থে, প্রাদেশিক সম্প্রীতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
৬ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর একটি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল লালকেল্লার সামনে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সত্যেশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙাচুড়া গাড়ি, ছিন্নভিন্ন লাশ এবং রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরা।
গোলচা আরও জানান, ফরেনসিক দল, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত আপডেট জানানো হচ্ছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ এ কে মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিস্ফোরণের পর যে আগুন লেগেছিল, তা সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, আগুনে ছয়টি গাড়ি, দুটি ই-রিকশা ও একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদনি চক ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ভরগবের দোকান। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো ভবন কেঁপে উঠেছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারায় ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। শব্দটা এতটাই জোরে ছিল, আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
এ ঘটনার পর দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর একটি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল লালকেল্লার সামনে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সত্যেশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙাচুড়া গাড়ি, ছিন্নভিন্ন লাশ এবং রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরা।
গোলচা আরও জানান, ফরেনসিক দল, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত আপডেট জানানো হচ্ছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ এ কে মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিস্ফোরণের পর যে আগুন লেগেছিল, তা সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, আগুনে ছয়টি গাড়ি, দুটি ই-রিকশা ও একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদনি চক ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ভরগবের দোকান। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো ভবন কেঁপে উঠেছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারায় ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। শব্দটা এতটাই জোরে ছিল, আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
এ ঘটনার পর দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
৬ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে