Ajker Patrika

‘নিরপেক্ষ ইউক্রেনের’ রুশ দাবি বিবেচনা করছেন জেলেনস্কি

‘নিরপেক্ষ ইউক্রেনের’ রুশ দাবি বিবেচনা করছেন জেলেনস্কি

রাশিয়ার অন্যতম দাবি ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে আচরণ করতে হবে। সেই দাবি ‘সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা’ করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

গতকাল রোববার রাশিয়ার কয়েকটি স্বাধীন সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি বলেন, তাঁর সরকার ইউক্রেনের নিরপেক্ষ রাষ্ট্র থাকার রুশ দাবি ‘সতর্কতার সঙ্গে’ বিবেচনা করছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে চেরনোবিল ছেড়ে গেছে রুশ বাহিনী। তেমনটিই জানিয়েছে শহরটির মেয়র। যুদ্ধের মূলে যে বিষয়টি ছিল—ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকা, সর্বোপরি পূর্ব ইউরোপে রাশিয়া সংলগ্ন দেশ হিসেবে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা সেটিও ইতিবাচকভাবে বিবেচনার ইঙ্গিত দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যেখানে নতুন দফায় আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে উভয় পক্ষ। 

সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আলোচনার এই পয়েন্টটি আমার কাছে বোধগম্য এবং এটিই আলোচনা করা হচ্ছে। এটি যত্ন সহকারে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ 

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, পুতিনের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে চলা এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ কোটির বেশি মানুষ। 

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার বা মঙ্গলবার তুরস্কে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। যেখানে শনিবার (২৬ মার্চ) রুশ সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান ডেপুটি চিফ কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউক্রেনে ‘পরিকল্পনার প্রথম ধাপ’ বাস্তবায়ন করেছে রাশিয়া। পরবর্তী লক্ষ্য পূর্ব ইউক্রেন। তবে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, এই ঘোষণার অর্থ মস্কো তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে কিছুটা পিছু হটেছে। 

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়ারশতে এক বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে কিছুটা জটিল করে তুলেছেন। বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’। এই বক্তব্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আসন্ন আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

হোয়াইট হাউস অবশ্য অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাইডেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে তাতে মস্কোর ক্ষোভ কতটা প্রশমিত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। এই ঘটনা ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমে ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। কারণ, এটি ইউক্রেন প্রশ্নে এতদিনে গড়া ঐক্যকেই হীনবল করেছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্য প্রচেষ্টা আরও দৃঢ় করতে বাইডেনের ইউরোপ সফরের গুরুত্বই কমিয়ে দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। 

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যে কোনো ‘কথা বা কাজে’ উত্তেজনা বৃদ্ধি বিধ্বস্ত বন্দর শহর মারিউপোল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পুতিনের সঙ্গে তাঁর চলমান আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। 

যাই হোক, কঠোর কূটনীতি বা ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা দিয়েও পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করানো যায়নি। তবে রুশরা যখন গুরুতর কৌশলগত এবং লজিস্টিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তখনই তারা পিছু হটেছে। এমনটিই বলছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ। তিনি বলেছেন, পুতিন হয়তো কোরিয়ার মতো ইউক্রেনকে ভাগ করতে চাইছেন। অধিকৃত এবং মুক্ত অঞ্চলের মধ্যে একটি পৃথক্‌করণ রেখা টানতে চান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ২ নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত