Ajker Patrika

ইরান থেকে শত শত ড্রোন পেয়েছে রাশিয়া: হোয়াইট হাউস

ডয়চে ভেলে
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ১১: ৪১
ইরান থেকে শত শত ড্রোন পেয়েছে রাশিয়া: হোয়াইট হাউস

হোয়াইট হাউস বলেছে, রাশিয়া ইরানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও জোরালো করছে বলে মনে হচ্ছে ৷ হোয়াইট হাউসের দাবি, রাশিয়া ইরান থেকে শত শত একমুখী আক্রমণকারী ড্রোন পেয়েছে, যা দিয়ে তারা ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে৷ 

প্রকাশিত নতুন তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে হোয়াইট হাউস জানায়, আনক্রুড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) নামে পরিচিত এই ড্রোন ইরানে তৈরি করা হয় ৷ কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে পাঠানো এই ড্রোনগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ বাহিনী ব্যবহার করেছে৷ 

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভে হামলা চালাচ্ছে ৷ ইউক্রেনের জনগণকে আতঙ্কিত করতে ইরানি ইউএভি ব্যবহার করছে এবং রাশিয়া-ইরান সামরিক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে ৷ আমরা উদ্বিগ্ন ইরানি ইউএভি তৈরি করতে ইরানের সঙ্গে কাজ করছে রাশিয়া ৷ তারা এগুলো রাশিয়ায় বসেই বানাচ্ছে ৷ রাশিয়াকে সাহায্য করছে ইরান।’

কারবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য রয়েছে, রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে একটি ড্রোন তৈরির কারখানা বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ পাচ্ছে, যা পরের বছরের শুরুতে সম্পূর্ণরূপে চালু হতে পারে৷ 

তার দাবি, ‘রাশিয়ার আলাবুগা নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই ইউএভি উৎপাদনকেন্দ্রের পরিকল্পিত অবস্থানের স্যাটেলাইট চিত্র আমরা প্রকাশ করছি৷ ’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য একটি প্রতিরক্ষা প্রস্তুতকারকের ইরানি কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ৷ ইরান রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে ৷ তবে তারা বলেছে যে, সেগুলো ফেব্রুয়ারির আগে পাঠানো হয়েছিল৷ 

এদিকে ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো ৷ হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, আগস্ট থেকে ইরান কয়েক শ ড্রোন রাশিয়াকে হস্তান্তর করেছে৷ 

কারবি বলেন, ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে হেলিকপ্টার, রাডারসহ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে৷ 

কারবি বলেন, ‘রাশিয়া ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেক্ট্রনিকস, বিমান প্রতিরক্ষাসহ অভূতপূর্ব প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে আসছে৷ ’

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘এটি একটি পূর্ণ স্কেল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, যা ইউক্রেনের জন্য, ইরানের প্রতিবেশীদের জন্য এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকারক ৷ আমরা জনগণের সঙ্গে এসব তথ্য ভাগ করে নেব ৷ তাদের এ ধরনের কাজে আমরা ব্যাঘাত ঘটাব৷’

ড্রোন স্থানান্তর জাতিসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশকে এর জন্য জবাবদিহি করতে বলবে বলে জানান কিরবি। 

ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন বলেছে যে, রাশিয়াকে ইরানের তৈরি ড্রোন সরবরাহ করা ইরানের পরমাণু চুক্তিকে ২০১৫ সালের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। 

 ২০১৫ সালের জাতিসংঘের প্রস্তাবের অধীনে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চালু ছিল৷ 

ইউক্রেন এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর যুক্তি, রেজল্যুশনে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র এবং এ সম্পর্কিত প্রযুক্তির ওপর বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং ড্রোনের মতো উন্নত সামরিক ব্যবস্থা রপ্তানি এবং ক্রয়ও তার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ 

জাতিসংঘে ইরানি ও রুশ মিশনগুলো মার্কিন অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধের পর কোনো সাড়া দেয়নি ৷

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত