অনলাইন ডেস্ক
আগামীকাল শনিবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খ্রিষ্টানদের সদ্যপ্রয়াত ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান। এরপর তাঁর মরদেহ ইতালির রোম শহরের অপর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সান্তা মারিয়া মাজারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসকে সান্তা মারিয়া মাজারে সমাহিত করার ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, মৃত্যুর পর পোপদের সমাহিত করা হয় ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার নিচের গুহায়। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিসকে সেখানে সমাহিত করা হবে না।
পোপ ফ্রান্সিসকে কেন ভ্যাটিকান সিটিতে সমাহিত করা হবে না—এ বিষয়ে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি নিজেই তাঁর সমাহিত হওয়ার স্থান নির্বাচন করে গেছেন। ভ্যাটিকানের বদলে বরং একটি সাধারণ, আলো ঝলমলে পরিবেশে সমাহিত হতে চেয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। পোপ তাঁর ইচ্ছাপত্রে লিখে গেছেন, সমাধি যেন মাটির নিচে হয়, সাধারণ হয়। কোনো বিশেষ অলংকার যেন না থাকে এবং শুধু ফ্রান্সিসকাস নামটি যেন খোদাই করা থাকে।
পোপ ফ্রান্সিসের দাফনের সব খরচ একজন দাতার অনুদানে সম্পন্ন হবে বলেও জানা গেছে।
যে জায়গাকে নিজের সমাধির জন্য ফ্রান্সিস বেছে নিয়েছেন, সেটি শুধু ঐতিহাসিকভাবেই নয়, তাঁর জীবনের সঙ্গেও গভীরভাবে সংযুক্ত। প্রাচীন রোমের সাতটি টিলার একটি ‘এসকুইলিন হিলে’ অবস্থিত এই ব্যাসিলিকার ছাদ সোনালি কাঠে আবৃত এবং দেয়ালের জটিল মোজাইকগুলো সূর্যের আলোয় ঝলমল করে। এটি রোমের চারটি পোপীয় ব্যাসিলিকার একটি এবং এর ঘণ্টাধ্বনির টাওয়ারটি পুরো শহরের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু (২৪৬ ফুট)।
প্রচলিত এক কাহিনিতে বলা হয়ে থাকে, চতুর্থ শতকে ভার্জিন মেরি রোমের তৎকালীন পোপ লিবেরিয়াস ও এক ইতালীয় অভিজাতকে এক রাতে স্বপ্নে এসে দেখা দেন এবং একটি গির্জা নির্মাণের অনুরোধ করেন। এরপর অলৌকিকভাবে গ্রীষ্মকালীন এক আগস্ট মাসে ওই টিলার ওপরে বরফ পড়েছিল। এই ঘটনাকে স্মরণ করে এখনো প্রতিবছরের ৫ আগস্ট সেখানে ‘বিস্ময় বরফ’ নামে একটি উৎসব উদ্যাপিত হয়।
পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও এই মাজারের সম্পর্ক বহু পুরোনো। যেকোনো আন্তর্জাতিক সফরের আগে বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি এখানে আসতেন প্রার্থনার জন্য। ২০১৩ সালে ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর প্রথম সকালের সময়টিও তিনি এই মাজারে কাটিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পোপ নিজেই ঘোষণা দেন, তিনি এই মাজারে সমাহিত হতে চান। তাঁর কথায়, ‘এই জায়গার সঙ্গে আমার গভীর আত্মিক সম্পর্ক। আমি চাই এখানে আমার চিরনিদ্রার জায়গা হোক।’
সিএনএন জানিয়েছে, প্রয়াত পোপের ইচ্ছা অনুযায়ী ইতিমধ্যে তাঁর জন্য ওই মাজারের একটি স্থান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিলাসিতা পরিহার করে সাধারণ জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে তিনি কার্ডিনাল থাকা অবস্থায় গণপরিবহন ব্যবহার করতেন। ভ্যাটিকানে কাজ করতে আসার সময়ও সাধারণ একটি নীল রঙের ফোর্ড গাড়িতে চড়তেন। তিনি পোপের জন্য নির্ধারিত রাজপ্রাসাদে না থেকে থাকতেন সান্তা মার্তা নামে একটি সাধারণ অতিথিশালায়।
এর আগেও সাতজন পোপকে সান্তা মারিয়া মাজারে সমাহিত করা হয়েছিল। তবে ফ্রান্সিস হবেন ১৯০৩ সালের পর প্রথম পোপ, যিনি সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার পরিবর্তে অন্যত্র সমাহিত হবেন। সান্তা মারিয়ায় পোপ হিসেবে সর্বশেষ ১৬৬৯ সালে সমাহিত হয়েছিলেন পোপ নবম ক্লেমেন্ত।
আগামীকাল শনিবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খ্রিষ্টানদের সদ্যপ্রয়াত ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান। এরপর তাঁর মরদেহ ইতালির রোম শহরের অপর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সান্তা মারিয়া মাজারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসকে সান্তা মারিয়া মাজারে সমাহিত করার ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, মৃত্যুর পর পোপদের সমাহিত করা হয় ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার নিচের গুহায়। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিসকে সেখানে সমাহিত করা হবে না।
পোপ ফ্রান্সিসকে কেন ভ্যাটিকান সিটিতে সমাহিত করা হবে না—এ বিষয়ে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি নিজেই তাঁর সমাহিত হওয়ার স্থান নির্বাচন করে গেছেন। ভ্যাটিকানের বদলে বরং একটি সাধারণ, আলো ঝলমলে পরিবেশে সমাহিত হতে চেয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। পোপ তাঁর ইচ্ছাপত্রে লিখে গেছেন, সমাধি যেন মাটির নিচে হয়, সাধারণ হয়। কোনো বিশেষ অলংকার যেন না থাকে এবং শুধু ফ্রান্সিসকাস নামটি যেন খোদাই করা থাকে।
পোপ ফ্রান্সিসের দাফনের সব খরচ একজন দাতার অনুদানে সম্পন্ন হবে বলেও জানা গেছে।
যে জায়গাকে নিজের সমাধির জন্য ফ্রান্সিস বেছে নিয়েছেন, সেটি শুধু ঐতিহাসিকভাবেই নয়, তাঁর জীবনের সঙ্গেও গভীরভাবে সংযুক্ত। প্রাচীন রোমের সাতটি টিলার একটি ‘এসকুইলিন হিলে’ অবস্থিত এই ব্যাসিলিকার ছাদ সোনালি কাঠে আবৃত এবং দেয়ালের জটিল মোজাইকগুলো সূর্যের আলোয় ঝলমল করে। এটি রোমের চারটি পোপীয় ব্যাসিলিকার একটি এবং এর ঘণ্টাধ্বনির টাওয়ারটি পুরো শহরের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু (২৪৬ ফুট)।
প্রচলিত এক কাহিনিতে বলা হয়ে থাকে, চতুর্থ শতকে ভার্জিন মেরি রোমের তৎকালীন পোপ লিবেরিয়াস ও এক ইতালীয় অভিজাতকে এক রাতে স্বপ্নে এসে দেখা দেন এবং একটি গির্জা নির্মাণের অনুরোধ করেন। এরপর অলৌকিকভাবে গ্রীষ্মকালীন এক আগস্ট মাসে ওই টিলার ওপরে বরফ পড়েছিল। এই ঘটনাকে স্মরণ করে এখনো প্রতিবছরের ৫ আগস্ট সেখানে ‘বিস্ময় বরফ’ নামে একটি উৎসব উদ্যাপিত হয়।
পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও এই মাজারের সম্পর্ক বহু পুরোনো। যেকোনো আন্তর্জাতিক সফরের আগে বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি এখানে আসতেন প্রার্থনার জন্য। ২০১৩ সালে ক্যাথলিক চার্চের নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর প্রথম সকালের সময়টিও তিনি এই মাজারে কাটিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পোপ নিজেই ঘোষণা দেন, তিনি এই মাজারে সমাহিত হতে চান। তাঁর কথায়, ‘এই জায়গার সঙ্গে আমার গভীর আত্মিক সম্পর্ক। আমি চাই এখানে আমার চিরনিদ্রার জায়গা হোক।’
সিএনএন জানিয়েছে, প্রয়াত পোপের ইচ্ছা অনুযায়ী ইতিমধ্যে তাঁর জন্য ওই মাজারের একটি স্থান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিলাসিতা পরিহার করে সাধারণ জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে তিনি কার্ডিনাল থাকা অবস্থায় গণপরিবহন ব্যবহার করতেন। ভ্যাটিকানে কাজ করতে আসার সময়ও সাধারণ একটি নীল রঙের ফোর্ড গাড়িতে চড়তেন। তিনি পোপের জন্য নির্ধারিত রাজপ্রাসাদে না থেকে থাকতেন সান্তা মার্তা নামে একটি সাধারণ অতিথিশালায়।
এর আগেও সাতজন পোপকে সান্তা মারিয়া মাজারে সমাহিত করা হয়েছিল। তবে ফ্রান্সিস হবেন ১৯০৩ সালের পর প্রথম পোপ, যিনি সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার পরিবর্তে অন্যত্র সমাহিত হবেন। সান্তা মারিয়ায় পোপ হিসেবে সর্বশেষ ১৬৬৯ সালে সমাহিত হয়েছিলেন পোপ নবম ক্লেমেন্ত।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৪ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে