
ইউক্রেন যুদ্ধ ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার সমস্ত ‘মহৎ’ লক্ষ্য অর্জন করবে এবং ‘ছন্দোবদ্ধ ও শান্তভাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে। তবে এমন মন্তব্য নিয়ে উপহাস করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, কীভাবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করতে পারেন, যাতে বহু রুশ সেনা মারা যাচ্ছে।
একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া বলছে, বিশেষ অপারেশন অনুমিতভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এ ধরনের পরিকল্পনা কীভাবে আসতে পারে তা বিশ্বের কেউই বুঝতে পারছে না। এক মাসেরও বেশি সময়ের যুদ্ধে তাদের হাজার হাজার সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিকল্পনা কীভাবে সম্ভব? কে এমন পরিকল্পনা অনুমোদন করতে পারে?
জেলেনস্কি দাবি করেন, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত চলা আফগানিস্তান যুদ্ধের চেয়ে গত ৪৮ দিনে ইউক্রেনে বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে সব রুশ ট্যাংকই মাঠে আটকে নেই। আর শত্রুরাও এমনি যুদ্ধ ছেড়ে পালায় না। তাদের মধ্যে সব সেনাকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে এমনও না। এর মানে হলো যে আমাদের যোদ্ধাদের, আমাদের সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে হ্রাস করা উচিত হবে না।
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মস্কো গত ২৫ মার্চ সর্বশেষ তথ্য জানায়। সেখানে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর তখন পর্যন্ত তাদের ১ হাজার ৩৫১ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেনন। তবে ইউক্রেন বলছে, এই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

ইউক্রেন যুদ্ধ ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার সমস্ত ‘মহৎ’ লক্ষ্য অর্জন করবে এবং ‘ছন্দোবদ্ধ ও শান্তভাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে। তবে এমন মন্তব্য নিয়ে উপহাস করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, কীভাবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করতে পারেন, যাতে বহু রুশ সেনা মারা যাচ্ছে।
একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া বলছে, বিশেষ অপারেশন অনুমিতভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এ ধরনের পরিকল্পনা কীভাবে আসতে পারে তা বিশ্বের কেউই বুঝতে পারছে না। এক মাসেরও বেশি সময়ের যুদ্ধে তাদের হাজার হাজার সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিকল্পনা কীভাবে সম্ভব? কে এমন পরিকল্পনা অনুমোদন করতে পারে?
জেলেনস্কি দাবি করেন, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত চলা আফগানিস্তান যুদ্ধের চেয়ে গত ৪৮ দিনে ইউক্রেনে বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে সব রুশ ট্যাংকই মাঠে আটকে নেই। আর শত্রুরাও এমনি যুদ্ধ ছেড়ে পালায় না। তাদের মধ্যে সব সেনাকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে এমনও না। এর মানে হলো যে আমাদের যোদ্ধাদের, আমাদের সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে হ্রাস করা উচিত হবে না।
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মস্কো গত ২৫ মার্চ সর্বশেষ তথ্য জানায়। সেখানে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর তখন পর্যন্ত তাদের ১ হাজার ৩৫১ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেনন। তবে ইউক্রেন বলছে, এই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’ তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
৯ মিনিট আগে
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও তা খুব কম সময়ের জন্যই মানছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি
২৯ মিনিট আগে
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’ তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের দখল করা এলাকায় তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র পেছনে হাজারো ‘স্ক্রিনিং করা বা বাছাইকৃত’ ফিলিস্তিনির জন্য ঘরবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিকল্পনায় যুক্ত থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব বসতিকে বলেছেন ‘Alternate Safe Communities বা বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়।’ এখানে প্রবেশের আগে ফিলিস্তিনিদের ‘হামাসবিরোধী’ মনোভাব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে।
প্রস্তাবটি উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্র্যাঙ্কের এক ইমেইলে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির তত্ত্বাবধানে থাকা বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত ইসরায়েলি সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যায়।
ফ্র্যাঙ্ক তাঁর ইমেইলে লিখেছেন, প্রতিটি বসতিতে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি স্কুল, একটি প্রশাসনিক ভবন এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রায় প্রতিদিনই বদলাচ্ছে, বসতিগুলোর নির্ধারিত জনসংখ্যাও ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দল পরিকল্পনাটি সংশোধন করে প্রতিটি বসতির জনসংখ্যা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে প্রায় ৬ হাজারে নামিয়ে এনেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা সেই অঞ্চলগুলো পুনর্গঠন করতে পারে। তবে হামাস নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় গাজাকে ধ্বংসস্তূপ হিসেবেই রেখে দেওয়া হবে।
গাজা ভাগ করার এই পরিকল্পনায় নানা বিপদ রয়েছে। তবু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি-প্রচেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুই আরব কূটনীতিক বলেছেন, তারা এই উদ্যোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, এটি গাজার একাংশকে স্থায়ীভাবে দখল করে রাখার প্রাথমিক ধাপ হতে পারে।
দ্য আটলান্টিক জানায়, বর্তমানে গাজার দুই মিলিয়ন মানুষের কমপক্ষে দুই শতাংশ ওই ‘হলুদ রেখা’র পেছনে বসবাস করে। এই বাধাটি আপাতত অস্থায়ী বলেই ধরা হচ্ছে। ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি-পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এক সময় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে—তবে একটি ছোট নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। ইসরায়েলি সেনারা সরে গেলে সেখানে একটি আরব শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রবেশ করবে, যারা পরবর্তীতে নিরাপত্তা দায়িত্ব তুলে দেবে ‘সংস্কারকৃত’ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
মূলত এই পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় গাজার ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বসবাসে রাজি হতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থও প্রয়োজন। ট্রাম্প প্রশাসন গাজার পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তহবিল ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, এই বিনিয়োগ করবে উপসাগরীয় দেশগুলো।
দ্য আটলান্টিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ‘বিকল্প নিরাপদ শহর’ গাজার দক্ষিণে রাফাহ অঞ্চলে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। এটি মিশর সীমান্তের কাছে। তবে, এ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, এই বসতি নির্মাণের জন্য যে জমি ব্যবহৃত হবে, তা আসলে কার মালিকানায়? গাজা উপত্যকায় একটি আনুষ্ঠানিক ভূমি রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি হামাস পরিচালনা করলেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামো অনুযায়ীই চলে আসছিল।
ইসরায়েল গাজার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংস করে ফেলেছে। জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার পুনর্গঠনে লাগবে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিম তীরে, যা ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে, সেখানে সরকার ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে বিপুল জমি দখল করেছে।
দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট এই নতুন বসতিতে প্রবেশকারীদের যাচাই করবে। শুধু ব্যক্তির হামাস-সম্পৃক্ততা নয়, তার পরিবারের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। ফিলিস্তিনি আইনসভা নির্বাচনে জয়ের পর তারা ধর্মনিরপেক্ষ দল ফাতাহর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। বর্তমানে ফাতাহ পশ্চিম তীরে সীমিত নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে।
দ্য আটলান্টিক আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকৌশল ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টেট্রা টেক সল্যুশনস ইতিমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে একটি চুক্তি পেয়েছে। তাদের কাজ হবে প্রথম ‘বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়’-এর স্থান পরিষ্কার করা, অর্থাৎ সেখানে থাকা ধ্বংসাবশেষ ও অবিস্ফোরিত অস্ত্র সরানো।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’ তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের দখল করা এলাকায় তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র পেছনে হাজারো ‘স্ক্রিনিং করা বা বাছাইকৃত’ ফিলিস্তিনির জন্য ঘরবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিকল্পনায় যুক্ত থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব বসতিকে বলেছেন ‘Alternate Safe Communities বা বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়।’ এখানে প্রবেশের আগে ফিলিস্তিনিদের ‘হামাসবিরোধী’ মনোভাব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে।
প্রস্তাবটি উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্র্যাঙ্কের এক ইমেইলে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির তত্ত্বাবধানে থাকা বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত ইসরায়েলি সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যায়।
ফ্র্যাঙ্ক তাঁর ইমেইলে লিখেছেন, প্রতিটি বসতিতে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি স্কুল, একটি প্রশাসনিক ভবন এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রায় প্রতিদিনই বদলাচ্ছে, বসতিগুলোর নির্ধারিত জনসংখ্যাও ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দল পরিকল্পনাটি সংশোধন করে প্রতিটি বসতির জনসংখ্যা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে প্রায় ৬ হাজারে নামিয়ে এনেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা সেই অঞ্চলগুলো পুনর্গঠন করতে পারে। তবে হামাস নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় গাজাকে ধ্বংসস্তূপ হিসেবেই রেখে দেওয়া হবে।
গাজা ভাগ করার এই পরিকল্পনায় নানা বিপদ রয়েছে। তবু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি-প্রচেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুই আরব কূটনীতিক বলেছেন, তারা এই উদ্যোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, এটি গাজার একাংশকে স্থায়ীভাবে দখল করে রাখার প্রাথমিক ধাপ হতে পারে।
দ্য আটলান্টিক জানায়, বর্তমানে গাজার দুই মিলিয়ন মানুষের কমপক্ষে দুই শতাংশ ওই ‘হলুদ রেখা’র পেছনে বসবাস করে। এই বাধাটি আপাতত অস্থায়ী বলেই ধরা হচ্ছে। ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি-পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এক সময় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে—তবে একটি ছোট নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। ইসরায়েলি সেনারা সরে গেলে সেখানে একটি আরব শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রবেশ করবে, যারা পরবর্তীতে নিরাপত্তা দায়িত্ব তুলে দেবে ‘সংস্কারকৃত’ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
মূলত এই পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় গাজার ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বসবাসে রাজি হতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থও প্রয়োজন। ট্রাম্প প্রশাসন গাজার পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তহবিল ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, এই বিনিয়োগ করবে উপসাগরীয় দেশগুলো।
দ্য আটলান্টিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ‘বিকল্প নিরাপদ শহর’ গাজার দক্ষিণে রাফাহ অঞ্চলে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। এটি মিশর সীমান্তের কাছে। তবে, এ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, এই বসতি নির্মাণের জন্য যে জমি ব্যবহৃত হবে, তা আসলে কার মালিকানায়? গাজা উপত্যকায় একটি আনুষ্ঠানিক ভূমি রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি হামাস পরিচালনা করলেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামো অনুযায়ীই চলে আসছিল।
ইসরায়েল গাজার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংস করে ফেলেছে। জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার পুনর্গঠনে লাগবে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিম তীরে, যা ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে, সেখানে সরকার ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে বিপুল জমি দখল করেছে।
দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট এই নতুন বসতিতে প্রবেশকারীদের যাচাই করবে। শুধু ব্যক্তির হামাস-সম্পৃক্ততা নয়, তার পরিবারের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। ফিলিস্তিনি আইনসভা নির্বাচনে জয়ের পর তারা ধর্মনিরপেক্ষ দল ফাতাহর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। বর্তমানে ফাতাহ পশ্চিম তীরে সীমিত নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে।
দ্য আটলান্টিক আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকৌশল ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টেট্রা টেক সল্যুশনস ইতিমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে একটি চুক্তি পেয়েছে। তাদের কাজ হবে প্রথম ‘বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়’-এর স্থান পরিষ্কার করা, অর্থাৎ সেখানে থাকা ধ্বংসাবশেষ ও অবিস্ফোরিত অস্ত্র সরানো।

ইউক্রেন যুদ্ধ ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার সমস্ত ‘মহৎ’ লক্ষ্য অর্জন করবে ও ‘ছন্দোবদ্ধ এবং শান্তভাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে...
১৩ এপ্রিল ২০২২
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও তা খুব কম সময়ের জন্যই মানছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি
২৯ মিনিট আগে
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও তা খুব কম সময়ের জন্যই মানছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে হামলা বাড়িয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অপর দিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৫ অজ্ঞাত ফিলিস্তিনির মরদেহ আল-শিফা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে অন্তত ৬৯ হাজার ১৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৪ জন আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ২৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের এই দুই বছরের গণহত্যার পরও গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো নিখোঁজ মানুষের মরদেহ রয়ে গেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানান, ‘গাজার পরিবারগুলো এখনো স্বজনদের খুঁজে ফিরছে। তারা নাসের হাসপাতাল, মরচুয়ারি ও শনাক্তকরণ কক্ষে ছুটে বেড়াচ্ছে। ভাঙা শরীরের অংশ, পোশাক, দাগ বা কোনো চিহ্ন দেখে প্রিয়জনকে চিনে ফেলার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন। মরদেহ পচে গেছে, ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জামও নেই। এতে পরিবারগুলো ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে, বিশেষ করে মায়েরা, যাঁরা প্রতিদিন হাসপাতালে ঘুরেফিরে আশায় বুক বাঁধেন, কিন্তু শেষে ভাঙা হৃদয় নিয়ে আশ্রয়ে ফিরে যান।’
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অন্তত ২৮২ বার লঙ্ঘন করেছে। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও সরাসরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে এসব হামলা চালানো হয়েছে। আল জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ৩১ দিনের মধ্যে ২৫ দিনই ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ চালিয়েছে। অর্থাৎ মাত্র ছয় দিন কোনো সহিংসতা, মৃত্যু বা আহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবু যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, যুদ্ধবিরতি এখনো ‘চলমান।’ অন্যদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে মঙ্গলবার ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী দুটি ফিলিস্তিনি গ্রামে হামলা চালায়। তারা গাড়ি ও সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে চারজন ফিলিস্তিনি আহত হন।
হামলাগুলো ঘটে বেইত লিদ ও দেইর শারাফ গ্রামে। বসতি স্থাপনকারীরা সেখানে চারটি দুগ্ধবাহী ট্রাক, কৃষিজমি, টিনের ঘর ও এক বেদুইন সম্প্রদায়ের তাঁবু পুড়িয়ে দেয়। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মুয়াইয়াদ শা’বান বলেন, এসব হামলা ফিলিস্তিনিদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার বড় পরিকল্পনার অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল সরকার বসতি স্থাপনকারীদের রক্ষা ও ছাড় দিচ্ছে।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, ‘চরমপন্থী সহিংসতার’ অভিযোগে চার ইসরায়েলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আল জাজিরার ফ্যাক্টচেক ইউনিট সানাদের যাচাই করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বলছে, ফিলিস্তিনিরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপরও বসতি স্থাপনকারীরা হামলা চালায়। এতে একটি সামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও তা খুব কম সময়ের জন্যই মানছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে হামলা বাড়িয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অপর দিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৫ অজ্ঞাত ফিলিস্তিনির মরদেহ আল-শিফা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে অন্তত ৬৯ হাজার ১৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৪ জন আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ২৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের এই দুই বছরের গণহত্যার পরও গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো নিখোঁজ মানুষের মরদেহ রয়ে গেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম জানান, ‘গাজার পরিবারগুলো এখনো স্বজনদের খুঁজে ফিরছে। তারা নাসের হাসপাতাল, মরচুয়ারি ও শনাক্তকরণ কক্ষে ছুটে বেড়াচ্ছে। ভাঙা শরীরের অংশ, পোশাক, দাগ বা কোনো চিহ্ন দেখে প্রিয়জনকে চিনে ফেলার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন। মরদেহ পচে গেছে, ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জামও নেই। এতে পরিবারগুলো ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে, বিশেষ করে মায়েরা, যাঁরা প্রতিদিন হাসপাতালে ঘুরেফিরে আশায় বুক বাঁধেন, কিন্তু শেষে ভাঙা হৃদয় নিয়ে আশ্রয়ে ফিরে যান।’
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অন্তত ২৮২ বার লঙ্ঘন করেছে। বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও সরাসরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে এসব হামলা চালানো হয়েছে। আল জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ৩১ দিনের মধ্যে ২৫ দিনই ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ চালিয়েছে। অর্থাৎ মাত্র ছয় দিন কোনো সহিংসতা, মৃত্যু বা আহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবু যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, যুদ্ধবিরতি এখনো ‘চলমান।’ অন্যদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে মঙ্গলবার ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী দুটি ফিলিস্তিনি গ্রামে হামলা চালায়। তারা গাড়ি ও সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে চারজন ফিলিস্তিনি আহত হন।
হামলাগুলো ঘটে বেইত লিদ ও দেইর শারাফ গ্রামে। বসতি স্থাপনকারীরা সেখানে চারটি দুগ্ধবাহী ট্রাক, কৃষিজমি, টিনের ঘর ও এক বেদুইন সম্প্রদায়ের তাঁবু পুড়িয়ে দেয়। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মুয়াইয়াদ শা’বান বলেন, এসব হামলা ফিলিস্তিনিদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার বড় পরিকল্পনার অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল সরকার বসতি স্থাপনকারীদের রক্ষা ও ছাড় দিচ্ছে।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, ‘চরমপন্থী সহিংসতার’ অভিযোগে চার ইসরায়েলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আল জাজিরার ফ্যাক্টচেক ইউনিট সানাদের যাচাই করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বলছে, ফিলিস্তিনিরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপরও বসতি স্থাপনকারীরা হামলা চালায়। এতে একটি সামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইউক্রেন যুদ্ধ ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার সমস্ত ‘মহৎ’ লক্ষ্য অর্জন করবে ও ‘ছন্দোবদ্ধ এবং শান্তভাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে...
১৩ এপ্রিল ২০২২
গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’ তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
৯ মিনিট আগে
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। প্রায় সব বুথফেরত জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, এনডিএর পাঁচ দল (জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) মিলে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
বেশির ভাগ জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন, যা সরাসরি সরকার গঠনের রাস্তা খুলে দিচ্ছে নীতীশ কুমারের সামনে। তাঁর দল জেডিইউ একাই ৬৭ থেকে ৭৫ আসন পাবে, বলছে জরিপ।
অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন (আরজেডি-কংগ্রেস ও বামপন্থী মহাজোট) পিছিয়ে রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা হতে পারে ৭০ থেকে ১০২-এর মধ্যে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এই নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছেন। তাঁর নতুন দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি) বেশির ভাগ জরিপেই একটির বেশি আসন পাচ্ছে না; কয়েকটি জরিপে শূন্য আসনের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
আজ দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে ৬৭ শতাংশ পেরিয়েছে। বিহারের লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।
পি-মার্ক, টিআইএফ রিসার্চ, দৈনিক ভাস্কর, ম্যাট্রাইজ ও পিপলস ইনসাইট—সব বুথফেরত জরিপেই এনডিএর পরিষ্কার জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কিছু আসনে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে জরিপ সংস্থাগুলো।
যদিও ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে। বিহারে প্রকৃত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। প্রায় সব বুথফেরত জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, এনডিএর পাঁচ দল (জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) মিলে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
বেশির ভাগ জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন, যা সরাসরি সরকার গঠনের রাস্তা খুলে দিচ্ছে নীতীশ কুমারের সামনে। তাঁর দল জেডিইউ একাই ৬৭ থেকে ৭৫ আসন পাবে, বলছে জরিপ।
অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন (আরজেডি-কংগ্রেস ও বামপন্থী মহাজোট) পিছিয়ে রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা হতে পারে ৭০ থেকে ১০২-এর মধ্যে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এই নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছেন। তাঁর নতুন দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি) বেশির ভাগ জরিপেই একটির বেশি আসন পাচ্ছে না; কয়েকটি জরিপে শূন্য আসনের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
আজ দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে ৬৭ শতাংশ পেরিয়েছে। বিহারের লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।
পি-মার্ক, টিআইএফ রিসার্চ, দৈনিক ভাস্কর, ম্যাট্রাইজ ও পিপলস ইনসাইট—সব বুথফেরত জরিপেই এনডিএর পরিষ্কার জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কিছু আসনে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে জরিপ সংস্থাগুলো।
যদিও ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে। বিহারে প্রকৃত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

ইউক্রেন যুদ্ধ ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার সমস্ত ‘মহৎ’ লক্ষ্য অর্জন করবে ও ‘ছন্দোবদ্ধ এবং শান্তভাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে...
১৩ এপ্রিল ২০২২
গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’ তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
৯ মিনিট আগে
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও তা খুব কম সময়ের জন্যই মানছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি
২৯ মিনিট আগে
নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
পুলিশ ডা. আদিল ও ডা. মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তারের পরপরই উমর জানতে পারেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। ওই দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদের পরই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কয়াল গ্রামের মানুষ জানতে পেরেছে, ৩৩ বছর বয়সী চিকিৎসক উমরই সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী। এর পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছেন ডা. নবির পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাবি মুজাম্মিল বলেন, ‘শুক্রবার নবি আমাদের ফোন করে বলেছিল, পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত আছে, তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে। আমরা তাঁকে পড়াশোনা করাতে অনেক কষ্ট করেছি। সে কোনো দিন রাজনীতি বা সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব।’
দিল্লির বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ চিরুনি অভিযানে নামে।
কয়াল গ্রামে ডা. নবির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাঁর মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারীর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁর বাবাকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে। মানসিক অবস্থার কারণে গতকাল তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আলফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. নবির সহকর্মী ও বন্ধু ডা. সাজাদ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন। পুলিশ তাঁকে কেবল উমরের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নাকি তিনিও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এ ছাড়া কয়েল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সাম্বুরা গ্রামে পুলিশ আমির ও উমর রশিদ নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। পেশায় প্লাম্বার (নলমিস্ত্রি) আমিরকে এ ঘটনার মূল হোতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে একটি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যা এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আমিরের পরিবার বলছে, সে কখনো জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে যায়নি, তাই ফরিদাবাদের কোনো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
পরিবার জানায়, সোমবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তৎক্ষণাৎ আমির ও উমরকে আটক করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, তারা আসলেই কোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল কি না।
এ ঘটনাগুলোর সূত্রপাত সোমবার পুলিশ অভিযান শুরু করার পর, যেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়।
অক্টোবর ১৯ তারিখে শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ এই মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে। স্থানীয় থানার সূক্ষ্ম তদন্তে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের চিত্র সামনে আসে, যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডা. আদিল।
তাঁকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে আনন্তনাগের এক হাসপাতালের আলমারি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদেই আরেক চিকিৎসক, আলফালাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মুজাম্মিল আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুজাম্মিলের জবানবন্দির পরই পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিস পায়।
গত কয়েক দিনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এমন এক ভয়াবহ ‘উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের’ সন্ধান পেয়েছে, যারা আদর্শগতভাবে চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ফুয়েল অয়েল ও ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে, যা ফরিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্তভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নবি সম্ভবত অভিযানের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদিল আহমদ রাঠারের সঙ্গে। যিনি আনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং যাকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।
পুলিশ ডা. আদিল ও ডা. মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তারের পরপরই উমর জানতে পারেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। ওই দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদের পরই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কয়াল গ্রামের মানুষ জানতে পেরেছে, ৩৩ বছর বয়সী চিকিৎসক উমরই সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী। এর পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছেন ডা. নবির পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাবি মুজাম্মিল বলেন, ‘শুক্রবার নবি আমাদের ফোন করে বলেছিল, পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত আছে, তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে। আমরা তাঁকে পড়াশোনা করাতে অনেক কষ্ট করেছি। সে কোনো দিন রাজনীতি বা সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব।’
দিল্লির বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ চিরুনি অভিযানে নামে।
কয়াল গ্রামে ডা. নবির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাঁর মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারীর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁর বাবাকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে। মানসিক অবস্থার কারণে গতকাল তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আলফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. নবির সহকর্মী ও বন্ধু ডা. সাজাদ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন। পুলিশ তাঁকে কেবল উমরের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নাকি তিনিও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এ ছাড়া কয়েল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সাম্বুরা গ্রামে পুলিশ আমির ও উমর রশিদ নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। পেশায় প্লাম্বার (নলমিস্ত্রি) আমিরকে এ ঘটনার মূল হোতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে একটি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যা এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আমিরের পরিবার বলছে, সে কখনো জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে যায়নি, তাই ফরিদাবাদের কোনো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
পরিবার জানায়, সোমবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তৎক্ষণাৎ আমির ও উমরকে আটক করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, তারা আসলেই কোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল কি না।
এ ঘটনাগুলোর সূত্রপাত সোমবার পুলিশ অভিযান শুরু করার পর, যেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়।
অক্টোবর ১৯ তারিখে শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ এই মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে। স্থানীয় থানার সূক্ষ্ম তদন্তে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের চিত্র সামনে আসে, যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডা. আদিল।
তাঁকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে আনন্তনাগের এক হাসপাতালের আলমারি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদেই আরেক চিকিৎসক, আলফালাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মুজাম্মিল আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুজাম্মিলের জবানবন্দির পরই পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিস পায়।
গত কয়েক দিনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এমন এক ভয়াবহ ‘উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের’ সন্ধান পেয়েছে, যারা আদর্শগতভাবে চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ফুয়েল অয়েল ও ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে, যা ফরিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্তভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নবি সম্ভবত অভিযানের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদিল আহমদ রাঠারের সঙ্গে। যিনি আনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং যাকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইউক্রেন যুদ্ধ ভালোভাবে চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া তার সমস্ত ‘মহৎ’ লক্ষ্য অর্জন করবে ও ‘ছন্দোবদ্ধ এবং শান্তভাবে’ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে...
১৩ এপ্রিল ২০২২
গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’ তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
৯ মিনিট আগে
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও তা খুব কম সময়ের জন্যই মানছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি
২৯ মিনিট আগে
ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে