Ajker Patrika

সুইডেনে এবার ‘তোরাহ’ ও ‘বাইবেল’ পোড়ানোর অনুমতি

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩, ২১: ০২
সুইডেনে এবার ‘তোরাহ’ ও ‘বাইবেল’ পোড়ানোর অনুমতি

এবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও ইহুদিদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তোরাহ (তাওরাত) পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির পুলিশ। একই সময়ে বাইবেলও পোড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার এ বিষয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তোরাহ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় ইসরায়েলসহ বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছে।

অনুমতি পাওয়া ওই বিক্ষোভ এবং তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর কর্মসূচি আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। কয়েক সপ্তাহ আগেই স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর জের ধরে এবার তোরাহ পোড়ানোর পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

তবে যারা ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তাদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদেই তারা শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তোরাহ ও বাইবেল পুড়িয়ে দেবে। বিষয়টিকে আবেদনকারীরা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

তবে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্টকহোম পুলিশ বলেছে, সুইডিশ আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জনগণকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সে সময় পরিচালিত কার্যকলাপের জন্য নয়।

স্টকহোম পুলিশের প্রেস অফিসার ক্যারিনা স্কেগারলিন্ড বলেন, ‘পুলিশ ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেয় না। পুলিশ জনসমাবেশ করার এবং মত প্রকাশের অনুমতি দেয়।’

কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার প্রতিবাদে ইসরায়েলের যেসব ব্যক্তিত্ব তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগও রয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার নিন্দা জানাই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুসলমানদের পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছি। কিন্তু হৃদয়বিদারক হলো, একই পরিণতি ইহুদি জনগণের চিরন্তন গ্রন্থের জন্যও অপেক্ষা করছে।’ 

ওয়ার্ল্ড জায়োনিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ইয়াকভ হ্যাগোয়েল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, বরং ইহুদিবিদ্বেষ।’ 

উল্লেখ্য, গত জুনে সুইডিশ পুলিশ ৩৭ বছর বয়সী এক ইরাকি অভিবাসী যুবককে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। তিনি ঈদুল আজহার দিন স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে কোরআনের ওপর আঘাতের পাশাপাশি কয়েকটি পৃষ্ঠা পুড়িয়ে দেন।

কোরআন পোড়ানোর ওই ঘটনাট বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা জানায়। নিন্দা জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারও। বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত