Ajker Patrika

অভিষেকে গাজার জন্য প্রার্থনা আর গরিবকে শোষণের নিন্দা জানালেন পোপ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ২৩: ৫০
অভিষেক প্রার্থনায় পোপ লিও চতুর্দশ। ছবি: সংগৃহীত
অভিষেক প্রার্থনায় পোপ লিও চতুর্দশ। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত অভিষেকে গাজার জন্য প্রার্থনা এবং গরিবদের শোষণের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রথম মার্কিন পোপ লিও চতুর্দশ। গির্জার অভ্যন্তরে তিনি ঐক্যের আহ্বানও জানিয়েছেন। আজ রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজপরিবারের সদস্য এবং প্রায় এক লাখ ক্যাথলিক বিশ্বাসী এই আয়োজনে অংশ নেন।

সিএনএন জানিয়েছে, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ লিওর আগমন ঘটে একটি গাড়িতে চড়ে। তাঁকে উল্লাসে স্বাগত জানায় বিশাল জনতা। এ সময় তিনি এক শিশুকে চুমু দিয়ে মানবিকতার নিদর্শন রাখেন। আর ‘ভিভা ইল পাপা’ ধ্বনিতে মুখর হয় পুরো স্কয়ার।

দুই ঘণ্টাব্যাপী এই প্রার্থনায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। পোপ লিওর সঙ্গে পরে সাক্ষাৎও করেন জেলেনস্কি। উপস্থিত ছিলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে। পোপ লিও এই পেরুতেই বহু বছর মিশনারি ও বিশপ হিসেবে কাজ করেছেন।

১৫০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিত্বে গঠিত এই আয়োজনে পোপ লিও বলেন, ক্যাথলিক গির্জায় ধর্মীয় প্রচারণা বা ক্ষমতার রাজনীতির কোনো স্থান নেই। তাঁর এই বক্তব্য গির্জার রক্ষণশীল ও সংস্কারপন্থীদের মধ্যে বেড়ে ওঠা বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন পোপ। তাঁর মতে, এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পৃথিবীর সম্পদ শোষণ করে এবং দরিদ্রদের হেয় করে।

পোপ বলেন, ‘আমি এই ভূমিকা নিজের যোগ্যতার কারণে পাইনি, বরং এক ভাই হিসেবে এসেছি, যিনি আপনার বিশ্বাস ও আনন্দের সেবক হতে চান।’

প্রার্থনার শেষে পোপ ইউক্রেনে ‘ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি’ কামনা করেন এবং গাজার জন্য প্রার্থনা করেন। বর্তমানে গাজায় অসংখ্য শিশু, পরিবার, প্রবীণ—সবাই ক্ষুধার্ত অবস্থায় টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

পোপ জানান, গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে তিনি গভীরভাবে ব্যথিত। পোপ বলেন, ‘সেখানে যা ঘটছে, তা দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। সংঘর্ষ এখনই বন্ধ হোক, ক্লান্ত ও অবসন্ন বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হোক এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করা হোক।’

অনুষ্ঠানে পোপকে তাঁর দায়িত্বের প্রতীকসমূহ দেওয়া হয়—প্যালিয়াম (ভেড়ার লোমে তৈরি পোশাক, যা তাঁর যত্নের প্রতীক) এবং ফিশারম্যান’স রিং, যেটি সেন্ট পিটারের উত্তরাধিকার হিসেবে পোপের কর্তৃত্বের প্রতীক। আংটির ভেতরে লিও চতুর্দশের নাম ও কোট অব আর্মস খোদাই করা আছে।

বছরের পর বছর ধরে পোপদের অভিষেক প্রথায় পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে যেখানে ‘করনেশন’ অর্থাৎ মুকুট পরানোর আয়োজন থাকত, এখন তা বিলুপ্ত। পোপ পল ষষ্ঠ সর্বশেষ এই মুকুট পরিধান করেন ১৯৬৩ সালে, যা পরে বিক্রি করে দান করে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত

আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই আসতে পারে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণা

ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে বাঁচতে পারবে না বাংলাদেশ: বিজেপি নেতা

চিরকুটে শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত