
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার হাজার গ্রামীণ বাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চায়না আর্থকোয়েক সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিগাতসে শহরের দিংরি কাউন্টির চসগো টাউনশিপ। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।
প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে আরও তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা শূন্যেরও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র চসগো টাউনশিপ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চামকো টাউনশিপে সিনহুয়া সংবাদদাতারা অনেক বাড়ি ধসে পড়তে দেখেছেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য খোলা জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। চসগোর বাসিন্দা ৪৯ বছরের পাসাং শেরিং বলেন, ‘প্রথম কম্পনটি ভোরের আগে আঘাত করে এবং এটি ঘরের আলোর উৎস এবং আসবাবপত্র কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এরপর আরও শক্তিশালী একটি কম্পন আসে এবং আমি তৎক্ষণাৎ বাইরে চলে যাই।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা পাসাং বলেন, ‘আমি আগে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি।’ নিজ বাড়ি ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে থাকা পাসাং বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তা হলো রাতে কোথায় থাকব। গ্রামে কিছু অতিরিক্ত তাঁবু রয়েছে এবং কর্মকর্তারা বলছেন আরও আসছে।’
চামকোর গুরুম গ্রামের পার্টি প্রধান শেরিং ফুংছুক এই ভূমিকম্পে তাঁর ৭৪ বছর বয়সী মাকে হারিয়েছেন। তিনি জানান, পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। ২২২ জন বাসিন্দার এই গ্রামে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনই শিশু। গ্রামের সব বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন যুবকেরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের তো কথাই নেই।’
চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সাধারণত জাতীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকারের ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যেখানে উদ্ধারকারী দল এবং তহবিল মোতায়েন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মঙ্গলবার জীবনের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাইস-প্রিমিয়ার ঝাং গুওচিং উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ভূমিকম্পস্থলে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ২২ হাজারটি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, শীতের কোট, কম্বল এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা, পাশাপাশি উচ্চতা প্রবণ ও ঠান্ডা এলাকার জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী।
অঞ্চলটিতে ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, সেনা, পুলিশ এবং পেশাদার উদ্ধারকারীরা রয়েছেন। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শিজাংয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনও দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ৪ হাজার ৬০০টি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, কম্বল, ঠান্ডা নিরোধক জ্যাকেট এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদকেরা গুরুম গ্রাম থেকে জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের কৃষিজমিতে অবস্থিত পুনর্বাসনস্থলে ১৫টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবু সব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং সেখানে যথেষ্ট কম্বল, খাবার ও পানীয় রয়েছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার হাজার গ্রামীণ বাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চায়না আর্থকোয়েক সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিগাতসে শহরের দিংরি কাউন্টির চসগো টাউনশিপ। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।
প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে আরও তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা শূন্যেরও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র চসগো টাউনশিপ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চামকো টাউনশিপে সিনহুয়া সংবাদদাতারা অনেক বাড়ি ধসে পড়তে দেখেছেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য খোলা জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। চসগোর বাসিন্দা ৪৯ বছরের পাসাং শেরিং বলেন, ‘প্রথম কম্পনটি ভোরের আগে আঘাত করে এবং এটি ঘরের আলোর উৎস এবং আসবাবপত্র কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এরপর আরও শক্তিশালী একটি কম্পন আসে এবং আমি তৎক্ষণাৎ বাইরে চলে যাই।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা পাসাং বলেন, ‘আমি আগে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি।’ নিজ বাড়ি ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে থাকা পাসাং বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তা হলো রাতে কোথায় থাকব। গ্রামে কিছু অতিরিক্ত তাঁবু রয়েছে এবং কর্মকর্তারা বলছেন আরও আসছে।’
চামকোর গুরুম গ্রামের পার্টি প্রধান শেরিং ফুংছুক এই ভূমিকম্পে তাঁর ৭৪ বছর বয়সী মাকে হারিয়েছেন। তিনি জানান, পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। ২২২ জন বাসিন্দার এই গ্রামে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনই শিশু। গ্রামের সব বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন যুবকেরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের তো কথাই নেই।’
চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সাধারণত জাতীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকারের ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যেখানে উদ্ধারকারী দল এবং তহবিল মোতায়েন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মঙ্গলবার জীবনের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাইস-প্রিমিয়ার ঝাং গুওচিং উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ভূমিকম্পস্থলে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ২২ হাজারটি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, শীতের কোট, কম্বল এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা, পাশাপাশি উচ্চতা প্রবণ ও ঠান্ডা এলাকার জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী।
অঞ্চলটিতে ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, সেনা, পুলিশ এবং পেশাদার উদ্ধারকারীরা রয়েছেন। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শিজাংয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনও দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ৪ হাজার ৬০০টি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, কম্বল, ঠান্ডা নিরোধক জ্যাকেট এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদকেরা গুরুম গ্রাম থেকে জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের কৃষিজমিতে অবস্থিত পুনর্বাসনস্থলে ১৫টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবু সব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং সেখানে যথেষ্ট কম্বল, খাবার ও পানীয় রয়েছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার হাজার গ্রামীণ বাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চায়না আর্থকোয়েক সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিগাতসে শহরের দিংরি কাউন্টির চসগো টাউনশিপ। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।
প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে আরও তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা শূন্যেরও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র চসগো টাউনশিপ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চামকো টাউনশিপে সিনহুয়া সংবাদদাতারা অনেক বাড়ি ধসে পড়তে দেখেছেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য খোলা জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। চসগোর বাসিন্দা ৪৯ বছরের পাসাং শেরিং বলেন, ‘প্রথম কম্পনটি ভোরের আগে আঘাত করে এবং এটি ঘরের আলোর উৎস এবং আসবাবপত্র কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এরপর আরও শক্তিশালী একটি কম্পন আসে এবং আমি তৎক্ষণাৎ বাইরে চলে যাই।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা পাসাং বলেন, ‘আমি আগে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি।’ নিজ বাড়ি ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে থাকা পাসাং বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তা হলো রাতে কোথায় থাকব। গ্রামে কিছু অতিরিক্ত তাঁবু রয়েছে এবং কর্মকর্তারা বলছেন আরও আসছে।’
চামকোর গুরুম গ্রামের পার্টি প্রধান শেরিং ফুংছুক এই ভূমিকম্পে তাঁর ৭৪ বছর বয়সী মাকে হারিয়েছেন। তিনি জানান, পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। ২২২ জন বাসিন্দার এই গ্রামে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনই শিশু। গ্রামের সব বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন যুবকেরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের তো কথাই নেই।’
চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সাধারণত জাতীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকারের ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যেখানে উদ্ধারকারী দল এবং তহবিল মোতায়েন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মঙ্গলবার জীবনের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাইস-প্রিমিয়ার ঝাং গুওচিং উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ভূমিকম্পস্থলে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ২২ হাজারটি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, শীতের কোট, কম্বল এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা, পাশাপাশি উচ্চতা প্রবণ ও ঠান্ডা এলাকার জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী।
অঞ্চলটিতে ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, সেনা, পুলিশ এবং পেশাদার উদ্ধারকারীরা রয়েছেন। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শিজাংয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনও দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ৪ হাজার ৬০০টি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, কম্বল, ঠান্ডা নিরোধক জ্যাকেট এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদকেরা গুরুম গ্রাম থেকে জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের কৃষিজমিতে অবস্থিত পুনর্বাসনস্থলে ১৫টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবু সব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং সেখানে যথেষ্ট কম্বল, খাবার ও পানীয় রয়েছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার হাজার গ্রামীণ বাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চায়না আর্থকোয়েক সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিগাতসে শহরের দিংরি কাউন্টির চসগো টাউনশিপ। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।
প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে আরও তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা শূন্যেরও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র চসগো টাউনশিপ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চামকো টাউনশিপে সিনহুয়া সংবাদদাতারা অনেক বাড়ি ধসে পড়তে দেখেছেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য খোলা জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। চসগোর বাসিন্দা ৪৯ বছরের পাসাং শেরিং বলেন, ‘প্রথম কম্পনটি ভোরের আগে আঘাত করে এবং এটি ঘরের আলোর উৎস এবং আসবাবপত্র কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এরপর আরও শক্তিশালী একটি কম্পন আসে এবং আমি তৎক্ষণাৎ বাইরে চলে যাই।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা পাসাং বলেন, ‘আমি আগে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি।’ নিজ বাড়ি ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে থাকা পাসাং বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তা হলো রাতে কোথায় থাকব। গ্রামে কিছু অতিরিক্ত তাঁবু রয়েছে এবং কর্মকর্তারা বলছেন আরও আসছে।’
চামকোর গুরুম গ্রামের পার্টি প্রধান শেরিং ফুংছুক এই ভূমিকম্পে তাঁর ৭৪ বছর বয়সী মাকে হারিয়েছেন। তিনি জানান, পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। ২২২ জন বাসিন্দার এই গ্রামে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনই শিশু। গ্রামের সব বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন যুবকেরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের তো কথাই নেই।’
চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সাধারণত জাতীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকারের ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যেখানে উদ্ধারকারী দল এবং তহবিল মোতায়েন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মঙ্গলবার জীবনের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাইস-প্রিমিয়ার ঝাং গুওচিং উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ভূমিকম্পস্থলে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ২২ হাজারটি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, শীতের কোট, কম্বল এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা, পাশাপাশি উচ্চতা প্রবণ ও ঠান্ডা এলাকার জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী।
অঞ্চলটিতে ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, সেনা, পুলিশ এবং পেশাদার উদ্ধারকারীরা রয়েছেন। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শিজাংয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনও দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ৪ হাজার ৬০০টি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, কম্বল, ঠান্ডা নিরোধক জ্যাকেট এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদকেরা গুরুম গ্রাম থেকে জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের কৃষিজমিতে অবস্থিত পুনর্বাসনস্থলে ১৫টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবু সব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং সেখানে যথেষ্ট কম্বল, খাবার ও পানীয় রয়েছে।

ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে