অনলাইন ডেস্ক
নতুন হাইড্রোজেন বোমা বানিয়েছে চীন। তবে এই বোমাটি পারমাণবিক নয়, অ-পারমাণবিক। পারমাণবিক বোমার তুলনায় এই বোমার পার্থক্য হলো এটি আকারে বেশ ছোট হয়েও অনেক বেশি তাপ উৎপাদন করতে পারে। তবে পারমাণবিক বোমার তুলনায় এই বোমার শক্তি যথেষ্ট কম। হংকংভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা গবেষকেরা সম্প্রতি একটি হাইড্রোজেনভিত্তিক বিস্ফোরক ডিভাইসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন। এটি পারমাণবিক উপাদান ছাড়াই ভয়াবহ রাসায়নিক চেইন বিক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম। গত মাসে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মাত্র ২ কেজির এই বোমাটি ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১ হাজার ৮৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি তাপমাত্রার একটি অগ্নিগোলক তৈরি করেছিল। এটি দুই সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল। প্রচলিত টিএনটি বিস্ফোরণের চেয়ে এটি ১৫ গুণ বেশি সময়। এই পরীক্ষায় কোনো পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয়নি।
চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের ৭০৫-রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বোমাটি তৈরি করেছে। এটি পানির নিচে ব্যবহৃত হয় এমন অস্ত্র ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বোমাটিতে ম্যাগনেসিয়ামভিত্তিক সলিড হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়েছে। উপাদানটি ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রাইড নামে পরিচিত। এটি রুপালি গুঁড়া জাতীয় পদার্থ। একটি চাপযুক্ত ট্যাংকের চেয়ে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হাইড্রোজেন সংরক্ষণ করতে পারে। মূলত বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় জ্বালানি কোষে হাইড্রোজেন সরবরাহ করে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদনের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রচলিত বিস্ফোরক দিয়ে সক্রিয় করার পর ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রাইডের দ্রুত তাপীয় বিক্রিয়া ঘটে। এতে হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। সেই গ্যাস জ্বলে উঠে একটি শক্তিশালী অগ্নিশিখা তৈরি করে। চাইনিজ ভাষার ‘জার্নাল অব প্রোজেক্টাইলস, রকেটস, মিসাইলস অ্যান্ড গাইডেন্স’ নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের গবেষক ওয়াং জুয়েফেংয়ের নেতৃত্বে গবেষক দলটি বলেছে, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্ফোরণের জন্য ন্যূনতম ইগনিশন শক্তির প্রয়োজন হয়। এটির বিস্ফোরণ পরিসীমা বিস্তৃত এবং শিখা দ্রুতগতিতে বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।’ তারা আরও বলেন, ‘এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্ফোরণের তীব্রতা সুনির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে লক্ষ্যবস্তুর ওপর সহজে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো যায়।’
গবেষণাপত্র অনুসারে, হাইড্রোজেন বোমাটি দীর্ঘস্থায়ী তাপীয় ক্ষতি করতে পারে। কারণ এটি থেকে তৈরি হওয়া সাদা-উত্তপ্ত অগ্নিগোলক দুই সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। এটি অ্যালুমিনিয়াম মিশ্রণ গলাতে যথেষ্ট। যেখানে টিএনটি বিস্ফোরণের ঝলকানি মাত্র দশমিক ১২ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সীমিত বিস্ফোরণে, বোমাটি থেকে দুই মিটার (৬ ফুট ৭ ইঞ্চি) দূরত্বে সর্বোচ্চ চাপ ছিল ৪২৮.৪৩ কিলোপ্যাসকেল। এটি টিএনটি বিস্ফোরণের প্রায় ৪০ শতাংশের সমপরিমাণ শক্তি। তবে এটির তাপ প্রয়োগের পরিসীমা অনেক বেশি ছিল। গবেষকেরা অস্ত্রটির অন্যান্য সম্ভাব্য সামরিক ব্যবহার নিয়েও পরীক্ষা করেছেন। যেমন, এটি ব্যবহার করে বিশাল এলাকা তীব্র তাপে পুড়িয়ে দেওয়া বা উচ্চ মূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে শক্তি কেন্দ্রীভূত করে ধ্বংস করা।
নতুন হাইড্রোজেন বোমা বানিয়েছে চীন। তবে এই বোমাটি পারমাণবিক নয়, অ-পারমাণবিক। পারমাণবিক বোমার তুলনায় এই বোমার পার্থক্য হলো এটি আকারে বেশ ছোট হয়েও অনেক বেশি তাপ উৎপাদন করতে পারে। তবে পারমাণবিক বোমার তুলনায় এই বোমার শক্তি যথেষ্ট কম। হংকংভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা গবেষকেরা সম্প্রতি একটি হাইড্রোজেনভিত্তিক বিস্ফোরক ডিভাইসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন। এটি পারমাণবিক উপাদান ছাড়াই ভয়াবহ রাসায়নিক চেইন বিক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম। গত মাসে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মাত্র ২ কেজির এই বোমাটি ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১ হাজার ৮৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি তাপমাত্রার একটি অগ্নিগোলক তৈরি করেছিল। এটি দুই সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল। প্রচলিত টিএনটি বিস্ফোরণের চেয়ে এটি ১৫ গুণ বেশি সময়। এই পরীক্ষায় কোনো পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয়নি।
চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের ৭০৫-রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বোমাটি তৈরি করেছে। এটি পানির নিচে ব্যবহৃত হয় এমন অস্ত্র ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বোমাটিতে ম্যাগনেসিয়ামভিত্তিক সলিড হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়েছে। উপাদানটি ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রাইড নামে পরিচিত। এটি রুপালি গুঁড়া জাতীয় পদার্থ। একটি চাপযুক্ত ট্যাংকের চেয়ে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হাইড্রোজেন সংরক্ষণ করতে পারে। মূলত বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় জ্বালানি কোষে হাইড্রোজেন সরবরাহ করে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদনের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রচলিত বিস্ফোরক দিয়ে সক্রিয় করার পর ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রাইডের দ্রুত তাপীয় বিক্রিয়া ঘটে। এতে হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। সেই গ্যাস জ্বলে উঠে একটি শক্তিশালী অগ্নিশিখা তৈরি করে। চাইনিজ ভাষার ‘জার্নাল অব প্রোজেক্টাইলস, রকেটস, মিসাইলস অ্যান্ড গাইডেন্স’ নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের গবেষক ওয়াং জুয়েফেংয়ের নেতৃত্বে গবেষক দলটি বলেছে, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্ফোরণের জন্য ন্যূনতম ইগনিশন শক্তির প্রয়োজন হয়। এটির বিস্ফোরণ পরিসীমা বিস্তৃত এবং শিখা দ্রুতগতিতে বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।’ তারা আরও বলেন, ‘এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্ফোরণের তীব্রতা সুনির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে লক্ষ্যবস্তুর ওপর সহজে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো যায়।’
গবেষণাপত্র অনুসারে, হাইড্রোজেন বোমাটি দীর্ঘস্থায়ী তাপীয় ক্ষতি করতে পারে। কারণ এটি থেকে তৈরি হওয়া সাদা-উত্তপ্ত অগ্নিগোলক দুই সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। এটি অ্যালুমিনিয়াম মিশ্রণ গলাতে যথেষ্ট। যেখানে টিএনটি বিস্ফোরণের ঝলকানি মাত্র দশমিক ১২ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সীমিত বিস্ফোরণে, বোমাটি থেকে দুই মিটার (৬ ফুট ৭ ইঞ্চি) দূরত্বে সর্বোচ্চ চাপ ছিল ৪২৮.৪৩ কিলোপ্যাসকেল। এটি টিএনটি বিস্ফোরণের প্রায় ৪০ শতাংশের সমপরিমাণ শক্তি। তবে এটির তাপ প্রয়োগের পরিসীমা অনেক বেশি ছিল। গবেষকেরা অস্ত্রটির অন্যান্য সম্ভাব্য সামরিক ব্যবহার নিয়েও পরীক্ষা করেছেন। যেমন, এটি ব্যবহার করে বিশাল এলাকা তীব্র তাপে পুড়িয়ে দেওয়া বা উচ্চ মূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে শক্তি কেন্দ্রীভূত করে ধ্বংস করা।
নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি এক সময় ছিল ছেলেদের শান্তশিষ্ট একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৩ মিনিট আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেগত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রায় ২০ শতাংশ কমে সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজারে। গতকাল রোববার দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক এমপির প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে