অনলাইন ডেস্ক
চীনের তিয়ানজিন শহরের এক পরিবারে ৩০ লাখ ইউয়ান (৫ কোটি ১৬ লাখের বেশি টাকা) মূল্যের সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে উত্তপ্ত আইনি লড়াই এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এই বিবাদের একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন—তাদের কেউই আসলে মৃত বাবা-মায়ের জৈবিক সন্তান নন।
মঙ্গলবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মার্চে, যখন পরিবারের প্রধান সান মারা যান। তাঁর স্ত্রী অবশ্য আরও বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে সান তাঁর সম্পত্তিটির মালিকানা শুধুমাত্র তাঁর ছেলের নামে লিখে দেন এবং একটি বিবৃতি রেখে যান। এই বিবৃতিতে তিনি ছেলেকে অনুরোধ করেন—তিনি যেন তাঁর দত্তক নেওয়া বোনকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেন।
বিবৃতিতে সান লিখেছিলেন, ‘আমাদের মেয়ে দত্তক নেওয়া হলেও আমরা তাকে নিজের সন্তানের মতোই দেখেছি। শেষ বয়সে আমাদের দেখভাল করেছে ছেলে। তাই আমরা বাড়িটি তাকে দিয়েছি। সে তার বোনকে ক্ষতিপূরণ দেবে—এই আমাদের ইচ্ছা।’
কিন্তু বোনটি বিষয়টি মেনে নেননি। তাঁর দাবি, শুধু বাবার সইযুক্ত চুক্তির মাধ্যমে মালিকানা হস্তান্তর বৈধ নয়। কারণ মায়ের অংশও উত্তরাধিকার হিসেবে গণ্য হবে।
মেয়েটিকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। সাত বছর পর সান দম্পতির ছেলে জন্মগ্রহণ করে এবং দুজনই একসঙ্গে বড় হয়।
তিয়ানজিনের নানকাই জেলা জজ আদালতে মামলাটি গড়ায়। শুনানির একপর্যায়ে, বোনটি পারিবারিক নিবন্ধনের একটি নথি উপস্থাপন করেন আদালতে। এতে দেখা যায়, তাঁর ভাইকেও দত্তক নিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা!
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ভাইটি আদালতেই ভেঙে পড়েন। তিনি দাবি করেন—১৯৯০-এর দশকে সম্পত্তি নিয়ে এক পারিবারিক বিরোধের সময় বোনটি পরিবারের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল এবং সেই থেকে একাই মা-বাবার যত্ন করেছেন তিনি। তাই সম্পত্তির দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
তবে আদালতের বিচারক বলেন, চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, সন্তান দত্তক হলেও উত্তরাধিকার পাওয়ার অধিকার সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু ২০০৭ সালে ওই সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ভাইয়ের নামে হস্তান্তরিত হয়েছিল। তাই এটি আর উত্তরাধিকারের অংশ নয়।
শেষ পর্যন্ত আদালতে তিন ঘণ্টার তীব্র মধ্যস্থতার পর একটি সমঝোতায় পৌঁছায় ভাই-বোন। সিদ্ধান্ত হয়, বাড়িটির মালিকানা ভাইয়ের কাছেই থাকবে। তবে বোনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউয়ান পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি।
এই ঘটনাটি চীনের সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘দুজনই দত্তক। কিন্তু শুধু ছেলেকে সেটি জানানো হয়নি। তাকে জৈবিক সন্তানের মতো বড় করা হয়েছে। ফলে সম্পত্তি নিয়ে বিভেদ হওয়াটা স্বাভাবিক।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এমন নাটকীয় ঘটনা তো শুধু টিভি নাটকে দেখা যায় ভেবেছিলাম!’
এই ঘটনাটি চীনের উত্তরাধিকার ব্যবস্থায় পুরুষের প্রতি পক্ষপাত এবং পরিবারের গোপন সংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
চীনের তিয়ানজিন শহরের এক পরিবারে ৩০ লাখ ইউয়ান (৫ কোটি ১৬ লাখের বেশি টাকা) মূল্যের সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে উত্তপ্ত আইনি লড়াই এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এই বিবাদের একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন—তাদের কেউই আসলে মৃত বাবা-মায়ের জৈবিক সন্তান নন।
মঙ্গলবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মার্চে, যখন পরিবারের প্রধান সান মারা যান। তাঁর স্ত্রী অবশ্য আরও বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে সান তাঁর সম্পত্তিটির মালিকানা শুধুমাত্র তাঁর ছেলের নামে লিখে দেন এবং একটি বিবৃতি রেখে যান। এই বিবৃতিতে তিনি ছেলেকে অনুরোধ করেন—তিনি যেন তাঁর দত্তক নেওয়া বোনকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেন।
বিবৃতিতে সান লিখেছিলেন, ‘আমাদের মেয়ে দত্তক নেওয়া হলেও আমরা তাকে নিজের সন্তানের মতোই দেখেছি। শেষ বয়সে আমাদের দেখভাল করেছে ছেলে। তাই আমরা বাড়িটি তাকে দিয়েছি। সে তার বোনকে ক্ষতিপূরণ দেবে—এই আমাদের ইচ্ছা।’
কিন্তু বোনটি বিষয়টি মেনে নেননি। তাঁর দাবি, শুধু বাবার সইযুক্ত চুক্তির মাধ্যমে মালিকানা হস্তান্তর বৈধ নয়। কারণ মায়ের অংশও উত্তরাধিকার হিসেবে গণ্য হবে।
মেয়েটিকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। সাত বছর পর সান দম্পতির ছেলে জন্মগ্রহণ করে এবং দুজনই একসঙ্গে বড় হয়।
তিয়ানজিনের নানকাই জেলা জজ আদালতে মামলাটি গড়ায়। শুনানির একপর্যায়ে, বোনটি পারিবারিক নিবন্ধনের একটি নথি উপস্থাপন করেন আদালতে। এতে দেখা যায়, তাঁর ভাইকেও দত্তক নিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা!
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ভাইটি আদালতেই ভেঙে পড়েন। তিনি দাবি করেন—১৯৯০-এর দশকে সম্পত্তি নিয়ে এক পারিবারিক বিরোধের সময় বোনটি পরিবারের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল এবং সেই থেকে একাই মা-বাবার যত্ন করেছেন তিনি। তাই সম্পত্তির দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
তবে আদালতের বিচারক বলেন, চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, সন্তান দত্তক হলেও উত্তরাধিকার পাওয়ার অধিকার সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু ২০০৭ সালে ওই সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ভাইয়ের নামে হস্তান্তরিত হয়েছিল। তাই এটি আর উত্তরাধিকারের অংশ নয়।
শেষ পর্যন্ত আদালতে তিন ঘণ্টার তীব্র মধ্যস্থতার পর একটি সমঝোতায় পৌঁছায় ভাই-বোন। সিদ্ধান্ত হয়, বাড়িটির মালিকানা ভাইয়ের কাছেই থাকবে। তবে বোনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউয়ান পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি।
এই ঘটনাটি চীনের সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘দুজনই দত্তক। কিন্তু শুধু ছেলেকে সেটি জানানো হয়নি। তাকে জৈবিক সন্তানের মতো বড় করা হয়েছে। ফলে সম্পত্তি নিয়ে বিভেদ হওয়াটা স্বাভাবিক।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এমন নাটকীয় ঘটনা তো শুধু টিভি নাটকে দেখা যায় ভেবেছিলাম!’
এই ঘটনাটি চীনের উত্তরাধিকার ব্যবস্থায় পুরুষের প্রতি পক্ষপাত এবং পরিবারের গোপন সংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এদিন রাখিবন্ধন উপলক্ষে ভারতের গুরুগ্রামভিত্তিক ১২ বছরের পুরোনো কুইক-কমার্স কোম্পানি ব্লিংকিট, যা শহুরে মধ্যবিত্তের কেনাকাটার ধরন বদলে দিয়েছে, সেখানে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস রচিত ‘দ্য কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো’ সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সমগ্রের প্রথম খণ্ডের সঙ্গে ‘গিফট ফর সিস্টার্স’ বা ‘বোনদের...
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে গত কয়েক মাসে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগ আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এদের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন এক বিন্দু পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ শনিবার ভোরে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারদের হাতে তুলে দেবে না। এক ইঞ্চিও না।
৯ ঘণ্টা আগেগত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একাধিক পোস্ট করে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানান আবির। তাঁর স্বামীর সাজা ঘোষণার কয়েক দিন পর এই পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তানে বসবাসরত আবিরের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী রয়েছে ৫ লাখের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে