Ajker Patrika

স্পিকারের কাছে নিজ পদত্যাগপত্র ই-মেইল করেছেন গোতাবায়া

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, ২১: ০৪
স্পিকারের কাছে নিজ পদত্যাগপত্র ই-মেইল করেছেন গোতাবায়া

বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে দেশ ছাড়া শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে নিজের পদত্যাগপত্র দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে ই-মেইল করেছেন। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আগামীকাল শুক্রবার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।

ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোতাবায়া রাজাপক্ষে তাঁর পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে ই-মেইল করেছেন। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। গতকাল বুধবার রাতেই তিনি এ ই-মেইল করেন। তবে কিছু কৌশলগত বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা চলার কারণে এখনো এ নিয়ে সরাসরি কোনো বিবৃতি আসেনি।

তবে গোতাবায়ার পদত্যাগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আগামীকাল আসতে পারে বলে জানিয়েছে ডেইলি মিরর। তারা বলছে, নিজের পদত্যাগপত্রের বিষয়ে গোতাবায়া নিশ্চিত করেছেন। যদিও কিছু আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। এ বিষয়ে আগামীকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে স্পিকারের।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ধারণা করা হচ্ছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বোয়িং–৭৮৭ ড্রিমলাইনার যোগে গোতাবায়া সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। এদিকে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোতাবায়া দেশটিতে তাঁর ব্যক্তিগত সফরে রয়েছেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেননি তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গোতাবায়ার সফরকে ‘ব্যক্তিগত’ নিশ্চিত করেছেন। 

সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি (গোতাবায়া) কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেননি এবং তাঁকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুরও করা হয়নি।’

এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, গোতাবায়া সিঙ্গাপুর হয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাবেন। তবে এ খবরকে অস্বীকার করেছে জেদ্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গতকাল বুধবার শ্রীলঙ্কা থেকে মালদ্বীপে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টে নিয়োগ করে গেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রনিল বিক্রমাসিংহে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এবং পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ জারি করেছেন। 

রনিল বিক্রমাসিংহে চলমান বিক্ষোভ থামাতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ‘যা যা করা প্রয়োজন তা করতে’ সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বান সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা গ্রহণের ইঙ্গিত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কলম্বোর মানবাধিকার আইনজীবী ভবানী ফনসেকা বিবিসি ওয়ার্ল্ডকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সেনাবাহিনী সব সময়ই সরকার ও রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পোশাকের পর অস্ত্র প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত এডিরা

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

গ্যাসের চুলা থেকে ছড়ায় বেনজিন, ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকি: গবেষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত