Ajker Patrika

মারা গেলেন সন্ন্যাসী পুত্রের বিলিয়নিয়ার বাবা

প্রয়াত বিলিয়নিয়ার আনন্দ কৃষ্ণণ ও তাঁর একমাত্র ছেলে আজহান সিরিপান্নো। ছবি: সংগৃহীত
প্রয়াত বিলিয়নিয়ার আনন্দ কৃষ্ণণ ও তাঁর একমাত্র ছেলে আজহান সিরিপান্নো। ছবি: সংগৃহীত

থাই-মালয়েশীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে পরিচিত আজহান সিরিপান্নো। অনেকেই মনে করেন, তাঁর জীবনের ছায়া অবলম্বনেই কানাডিয়ান লেখক রবিন শর্মা লিখেছেন ‘দ্য মঙ্ক হু সোল্ড হিজ ফ্যারারি’ বইটি।

বইটির কাল্পনিক চরিত্র জুলিয়ান ম্যান্টেলের বাস্তব রূপ মনে করা হয় সিরিপান্নোকে। তবে সিরিপান্নোর জীবন শুধু গল্প নয়। তিনি বাস্তবেই ত্যাগ করেছেন, তাঁর বাবার ৫ বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য। সাদাসিধে এক আধ্যাত্মিক জীবন বেছে নিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রয়টার্স জানিয়েছে, সন্ন্যাসী সিরিপান্নোর বিলিয়নিয়ার সেই বাবা মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট টেলিকম এবং মিডিয়া টাইকুন আনন্দ কৃষ্ণণ ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। আনন্দ কৃষ্ণণের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান উসাহা তেগাস সডিএন বিহাদ এই খবরটি নিশ্চিত করেছে। তাঁর পরিবার এই বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

আনন্দ কৃষ্ণণ ‘এ. কে. ’ নামেও পরিচিত। মালয়েশিয়ার কর্পোরেট জগতে একটি স্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন। টেলিকমিউনিকেশন, মিডিয়া এবং তেল ও গ্যাস খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ তাঁকে বিশাল সাফল্য এনে দেয়। তিনি ম্যাক্সিস বিহাদ, অ্যাস্ট্রো মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বিহাদ এবং বুমি আর্মাডা বিহাদের মতো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে আনন্দ কৃষ্ণণের ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করে। ফোর্বস-এর তালিকায় তাঁকে মালয়েশিয়ার ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হিসেবে স্থান দেওয়া হয়। তাঁর সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এক বিলিয়নিয়ার ক্লাবের সদস্য হয়েও আনন্দ ছিলেন অত্যন্ত নিভৃতচারী এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা প্রচারে থাকতেন না। মালয়েশিয়া এবং ফ্রান্সের মধ্যেই তাঁর সময় কাটত। স্ত্রী ছিলেন তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

আনন্দ কৃষ্ণণের সন্ন্যাসী পুত্র সিরিপান্নো এখন থাইল্যান্ডে বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে জীবনযাপন করছেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি সব ছেড়ে এই পথ বেছে নিয়েছিলেন। সিরিপান্নোর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন তাঁর বাবা আনন্দ কৃষ্ণণও। আনন্দ নিজেও একজন ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ এবং দাতব্য কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

জানা যায়, সিরিপান্নোর মা মমওয়াজারংসে সুপ্রিন্দা চাক্রাবান থাই রাজপরিবারের সদস্য। তাই থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে সিরিপান্নোর সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ ছিল। এই সম্পর্কই তাঁকে আধ্যাত্মিক পথ বেছে নিতে প্রভাবিত করেছে।

থাইল্যান্ডে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই মজার ছলে একটি আশ্রমে কিছুদিনের জন্য সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেছিলেন সিরিপান্নো। শুরুতে এটি নিছক কৌতূহলের বশে হলেও পরে তা তাঁর জীবনকেই বদলে দেয়। এরপর গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত দাও দুম মঠের অভিভাবক হিসেবে বসবাস করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত