মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলার শিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল সাগাইংয়ের একটি গ্রামে এ হামলা চালানো হয়।
গোষ্ঠীগুলো জানায়, নিহতদের মধ্য ১৫ জন নারী ও কয়েকজন শিশু রয়েছে। তবে বিবিসি শিশু ও অন্যদের সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারেনি। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির সামরিক সরকার জনগণের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। দিনদিন এসব হামলার মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
সাগাইং অঞ্চলের বাসিন্দারা মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরোধিতাকারীদের মধ্য অন্যতম। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সেনাবাহিনী ও বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য স্কুল রয়েছে।
সাগাইংয়ের পা জি গি গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে একটি জেট বিমান ও একটি হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দিচ্ছিল। একপর্যায়ে জেট বিমানটি বোমা ফেলে এবং হেলিকপ্টার থেকে টানা ২০ মিনিট গুলি করা হয় গ্রামবাসীর ওপর।
ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা ইন্টারনেটে কয়েকটি ভিডিও আপলোড করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, গ্রামজুড়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য, কোথাও পড়ে আছে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ ও অসংখ্য ভবনে আগুনের দৃশ্য।
পা জি গি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) অফিসের উদ্বোধন উপলক্ষে এ গ্রামে আশপাশের এলাকার মানুষেরা জমায়েত হয়েছিলেন। এ সময় এমন হামলা হলো। মরদেহ গণনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
পিডিএফ মূলত মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নামা সশস্ত্র সংগঠন। তারা মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে সশস্ত্র অভিযান চালায়। ২০২১ সালের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন।
বিরোধীদের ওপর হামলা চালাতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার রুশ ও চীনা আকাশযানের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। কারণ, সেনারা স্থলভাগে অভিযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। কেননা তাঁরা প্রায়শই মাইন এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণে নিহত হচ্ছেন। এভাবে বিমান হামলা অব্যাহত থাকলে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রোজেক্টের (অ্যাসলেড) এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশটির অভ্যন্তরে অন্তত ৬০০টি বিমান হামলা চালিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে নির্বাসিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জানিয়েছে, এসব হামলায় ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্তই ১৫৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে এক বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হন। একটি নৃগোষ্ঠী আয়োজিত কনসার্টে এ হামলা চালানো হয়। ওই কনসার্টে তিনটি বোমা ফেলা হয়েছিল জেট বিমান থেকে।
এদিকে গত মাসেই মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি স্কুলে বিমান হামলায় ৫ শিশু নিহত হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন।
সর্বশেষ পা জি গি গ্রামের এ হামলায় নিহতের সংখ্যা যদি ৫৩ বা এর অধিক হয়ে থাকে তাহলে এটিই হবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলার মধ্য সবচেয়ে মারাত্মক।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং গত মাসে বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাজ ‘সন্ত্রাসমূলক’। এসব সংগঠনকে সরকার ভেবেচিন্তে মোকাবিলা করবে।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলার শিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল সাগাইংয়ের একটি গ্রামে এ হামলা চালানো হয়।
গোষ্ঠীগুলো জানায়, নিহতদের মধ্য ১৫ জন নারী ও কয়েকজন শিশু রয়েছে। তবে বিবিসি শিশু ও অন্যদের সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারেনি। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটির সামরিক সরকার জনগণের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। দিনদিন এসব হামলার মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে।
সাগাইং অঞ্চলের বাসিন্দারা মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরোধিতাকারীদের মধ্য অন্যতম। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সেনাবাহিনী ও বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য স্কুল রয়েছে।
সাগাইংয়ের পা জি গি গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে একটি জেট বিমান ও একটি হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দিচ্ছিল। একপর্যায়ে জেট বিমানটি বোমা ফেলে এবং হেলিকপ্টার থেকে টানা ২০ মিনিট গুলি করা হয় গ্রামবাসীর ওপর।
ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা ইন্টারনেটে কয়েকটি ভিডিও আপলোড করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, গ্রামজুড়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য, কোথাও পড়ে আছে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ ও অসংখ্য ভবনে আগুনের দৃশ্য।
পা জি গি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) অফিসের উদ্বোধন উপলক্ষে এ গ্রামে আশপাশের এলাকার মানুষেরা জমায়েত হয়েছিলেন। এ সময় এমন হামলা হলো। মরদেহ গণনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
পিডিএফ মূলত মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নামা সশস্ত্র সংগঠন। তারা মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে সশস্ত্র অভিযান চালায়। ২০২১ সালের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন।
বিরোধীদের ওপর হামলা চালাতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার রুশ ও চীনা আকাশযানের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। কারণ, সেনারা স্থলভাগে অভিযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। কেননা তাঁরা প্রায়শই মাইন এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণে নিহত হচ্ছেন। এভাবে বিমান হামলা অব্যাহত থাকলে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রোজেক্টের (অ্যাসলেড) এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশটির অভ্যন্তরে অন্তত ৬০০টি বিমান হামলা চালিয়েছে।
মিয়ানমার থেকে নির্বাসিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জানিয়েছে, এসব হামলায় ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্তই ১৫৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে এক বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হন। একটি নৃগোষ্ঠী আয়োজিত কনসার্টে এ হামলা চালানো হয়। ওই কনসার্টে তিনটি বোমা ফেলা হয়েছিল জেট বিমান থেকে।
এদিকে গত মাসেই মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি স্কুলে বিমান হামলায় ৫ শিশু নিহত হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন।
সর্বশেষ পা জি গি গ্রামের এ হামলায় নিহতের সংখ্যা যদি ৫৩ বা এর অধিক হয়ে থাকে তাহলে এটিই হবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলার মধ্য সবচেয়ে মারাত্মক।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং গত মাসে বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাজ ‘সন্ত্রাসমূলক’। এসব সংগঠনকে সরকার ভেবেচিন্তে মোকাবিলা করবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথলিক ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পোপ হতে চাই।’ এই পর্যন্ত ঠিক আছে। বক্তব্য দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। ট্রাম্প আন্তরিকভাবে এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেননি, রসিকতার ছলেই তিনি এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।
২ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০টি ইউনিটের ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আনন্দবাজারের সকাল ৭টার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তখনো আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরে দেয়াল ধসে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেয়াল ধসে পড়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে