আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিচ্ছিন্ন ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশ উত্তর কোরিয়া আজ শনিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের অনলাইন পরিকাঠামো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে দুপুর নাগাদ ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসতে শুরু করে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, কী কারণে এমন বিভ্রাট ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণকারী গবেষকেরা ধারণা করছেন, এটি কোনো সাইবার হামলা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ সমস্যার ফল হতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো—চীন ও রাশিয়ার মধ্য দিয়ে যে সংযোগগুলো সচরাচর ব্যবহৃত হয়, সেগুলোতেও সমস্যার লক্ষণ দেখা গেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিভ্রাট চলাকালীন উত্তর কোরিয়ার প্রধান সরকারি বার্তা সংস্থা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় এয়ারলাইন এয়ার কোরিওর ওয়েবসাইট অচল হয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে সেগুলো আবার চালু হয়।
উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট সংযোগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষক জুনাদ আলী। তিনি বলেন, ‘এটি ইচ্ছাকৃত না দুর্ঘটনাবশত, তা বলা কঠিন। তবে দেখেই মনে হচ্ছে—এটি বাইরের হামলা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়।’
উত্তর কোরিয়ার অনলাইন কর্মকাণ্ড সবচেয়ে বেশি পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির মধ্যে রাখেন মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার সাইবার সন্ত্রাস প্রতিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। তবে সর্বশেষ ইন্টারনেট বিভ্রাটের বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মার্টিন উইলিয়ামস বলেছেন, ‘চীন ও রাশিয়ার সংযোগে সমস্যা দেখা গেছে। তাই এটি বাইরের সাইবার হামলা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ কারিগরি ত্রুটি বলেই মনে হচ্ছে।’
উত্তর কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যবস্থার অধিকারী দেশ। সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট নেই। তারা শুধু সরকারের পরিচালিত একটি সীমিত পরিসরের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। দেশটিতে শুধু শাসকগোষ্ঠী ও নির্দিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি আছে। সরকারি ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমগুলোও মূলত বিদেশি দর্শকদের উদ্দেশে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
এর আগেও কয়েকবার উত্তর কোরিয়ায় বড় ধরনের ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা গেছে। এসব বিভ্রাটের পেছনে সাইবার হামলার সন্দেহ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, লাজারাস গ্রুপ নামে উত্তর কোরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত একটি হ্যাকার দল রয়েছে। এই হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। যদিও পিয়ংইয়ং সব ধরনের সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বিচ্ছিন্ন ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশ উত্তর কোরিয়া আজ শনিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের অনলাইন পরিকাঠামো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে দুপুর নাগাদ ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসতে শুরু করে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, কী কারণে এমন বিভ্রাট ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণকারী গবেষকেরা ধারণা করছেন, এটি কোনো সাইবার হামলা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ সমস্যার ফল হতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো—চীন ও রাশিয়ার মধ্য দিয়ে যে সংযোগগুলো সচরাচর ব্যবহৃত হয়, সেগুলোতেও সমস্যার লক্ষণ দেখা গেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিভ্রাট চলাকালীন উত্তর কোরিয়ার প্রধান সরকারি বার্তা সংস্থা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় এয়ারলাইন এয়ার কোরিওর ওয়েবসাইট অচল হয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে সেগুলো আবার চালু হয়।
উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট সংযোগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষক জুনাদ আলী। তিনি বলেন, ‘এটি ইচ্ছাকৃত না দুর্ঘটনাবশত, তা বলা কঠিন। তবে দেখেই মনে হচ্ছে—এটি বাইরের হামলা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়।’
উত্তর কোরিয়ার অনলাইন কর্মকাণ্ড সবচেয়ে বেশি পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির মধ্যে রাখেন মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার সাইবার সন্ত্রাস প্রতিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। তবে সর্বশেষ ইন্টারনেট বিভ্রাটের বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মার্টিন উইলিয়ামস বলেছেন, ‘চীন ও রাশিয়ার সংযোগে সমস্যা দেখা গেছে। তাই এটি বাইরের সাইবার হামলা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ কারিগরি ত্রুটি বলেই মনে হচ্ছে।’
উত্তর কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যবস্থার অধিকারী দেশ। সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট নেই। তারা শুধু সরকারের পরিচালিত একটি সীমিত পরিসরের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। দেশটিতে শুধু শাসকগোষ্ঠী ও নির্দিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি আছে। সরকারি ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমগুলোও মূলত বিদেশি দর্শকদের উদ্দেশে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
এর আগেও কয়েকবার উত্তর কোরিয়ায় বড় ধরনের ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা গেছে। এসব বিভ্রাটের পেছনে সাইবার হামলার সন্দেহ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, লাজারাস গ্রুপ নামে উত্তর কোরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত একটি হ্যাকার দল রয়েছে। এই হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। যদিও পিয়ংইয়ং সব ধরনের সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল পুরো অঞ্চলের বাড়িঘরই ধ্বংসই করেনি, পরিবারগুলোকে বারবার বাস্তুচ্যুত করেছে, হাসপাতাল–ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে বিষাক্ত করে তুলেছে সেই মাটি ও পানি, যার ওপর নির্ভর করে টিকে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
২২ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। জানা গেছে, ওয়াশিংটন এই সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল পুরো অঞ্চলের বাড়িঘরই ধ্বংসই করেনি, পরিবারগুলোকে বারবার বাস্তুচ্যুত করেছে, হাসপাতাল–ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে বিষাক্ত করে তুলেছে সেই মাটি ও পানি, যার ওপর নির্ভর করে টিকে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির চার সপ্তাহ পেরিয়েছে। ধীরে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রভাবে পরিবেশের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। ইসরায়েল এখনো প্রতিদিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে।
গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকা একসময় ছিল প্রাণচঞ্চল মহল্লা। এখন সেটি পরিণত হয়েছে এক বিরানভূমিতে। ভাঙা ঘরবাড়ির পাশে বৃষ্টির পানি জমে থাকার যে পুকুরটি ছিল একসময় মানুষের পানির উৎস, সেখানে এখন জমেছে নোংরা পয়োবর্জ্য আর ধ্বংসাবশেষ। অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য এ জায়গাই এখন একদিকে আশ্রয়, অন্যদিকে বিপদ।
গর্ভবতী উম্মে হিশাম নিজ বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিন হাঁটছেন এই দুর্গন্ধে ভরা পানির মধ্য দিয়ে। যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই তাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শেখ রাদওয়ান পুকুরের পাশে আশ্রয় নিয়েছি। মশার যন্ত্রণা, বাড়তে থাকা পয়োনিষ্কাশনের পানি, চারপাশে ধ্বংসস্তূপসহ সব রকম কষ্টের মধ্যে আছি। সব মিলিয়ে আমাদের আর সন্তানদের জীবন হুমকিতে।’
বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য তৈরি সেই পুকুর এখন কাঁচা পয়োনিষ্কাশনে ভরা। ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পানির পাম্পগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দূষিত পানি ক্রমেই বাড়ছে, যা ক্রমেই আশপাশের ঘরবাড়ি ও তাঁবুগুলোর কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।
গাজা সিটির পৌর কর্মকর্তারা বলছেন, পচা পানি আর মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা ভয়াবহভাবে বাড়ছে। পৌর কর্মকর্তা মাহের সালেম বলেন, ‘সব নাগরিকই মারাত্মক প্রভাবের মধ্যে। দুর্গন্ধ, মশা, পোকামাকড়—সবকিছুই ছড়িয়ে পড়েছে। পচা পানির স্তর এখন ছয় মিটারের বেশি উঁচু। নিরাপত্তা বেড়া ভেঙে গেছে। যে কোনো শিশু, নারী, বৃদ্ধ, এমনকি গাড়িও এই পুকুরে পড়ে যেতে পারে।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, স্থির হয়ে থাকা এই পানি থেকে রোগব্যাধি ছড়াতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। কিন্তু গাজার মানুষদের সামনে বিকল্প কিছু নেই। গাজা সিটি থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ‘মানুষ জানে কুয়ো, ট্যাংক বা পানিবাহী ট্রাক থেকে যে পানি পাচ্ছে, তা দূষিত। তবুও তাদের বিকল্প নেই। বেঁচে থাকার জন্য সেটাই খেতে হচ্ছে।’
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলনে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল-জেবেন এই সংকটকে ‘গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এক পরিবেশগত বিপর্যয়’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘সবাই জানে, গাজা আজও ভুগছে ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার কারণে। এই যুদ্ধ প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তৈরি করেছে ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষ, যার বড় অংশই বিষাক্ত পদার্থে দূষিত।’
আল-জেবেন আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃতভাবে পানি ও পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি ও উপকূলীয় পানিও দূষিত হয়েছে। এখন গাজা ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য সংকটের মুখে, পরিবেশগত ঝুঁকিও দ্রুত বাড়ছে।’ তিনি জানান, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অধিকাংশ কৃষিজমিও ‘ধ্বংস হয়ে গেছে’, ফলে অঞ্চলটি এখন ‘তীব্র খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষে ভুগছে, যেখানে খাবারকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, গাজার সুপেয় পানির উৎস এখন ‘ভয়াবহভাবে সীমিত এবং বাকি যা আছে, তার বেশির ভাগই দূষিত।’ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার পতন, পাইপলাইন ধ্বংস এবং স্যানিটেশনের জন্য মাটির গর্ত ব্যবহারের কারণে গাজাকে পানি সরবরাহ করা ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়েছে।’
শেখ রাদওয়ানে এখন বাতাস ভারী পচা গন্ধ আর হতাশায়। প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ‘যখন প্রতিদিনই বাঁচার লড়াই—পানি, খাবার আর এক টুকরো রুটির জন্য—তখন নিরাপত্তা ভাবার সময় থাকে না।’
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল পুরো অঞ্চলের বাড়িঘরই ধ্বংসই করেনি, পরিবারগুলোকে বারবার বাস্তুচ্যুত করেছে, হাসপাতাল–ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে বিষাক্ত করে তুলেছে সেই মাটি ও পানি, যার ওপর নির্ভর করে টিকে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির চার সপ্তাহ পেরিয়েছে। ধীরে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রভাবে পরিবেশের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। ইসরায়েল এখনো প্রতিদিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে।
গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকা একসময় ছিল প্রাণচঞ্চল মহল্লা। এখন সেটি পরিণত হয়েছে এক বিরানভূমিতে। ভাঙা ঘরবাড়ির পাশে বৃষ্টির পানি জমে থাকার যে পুকুরটি ছিল একসময় মানুষের পানির উৎস, সেখানে এখন জমেছে নোংরা পয়োবর্জ্য আর ধ্বংসাবশেষ। অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য এ জায়গাই এখন একদিকে আশ্রয়, অন্যদিকে বিপদ।
গর্ভবতী উম্মে হিশাম নিজ বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিন হাঁটছেন এই দুর্গন্ধে ভরা পানির মধ্য দিয়ে। যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই তাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শেখ রাদওয়ান পুকুরের পাশে আশ্রয় নিয়েছি। মশার যন্ত্রণা, বাড়তে থাকা পয়োনিষ্কাশনের পানি, চারপাশে ধ্বংসস্তূপসহ সব রকম কষ্টের মধ্যে আছি। সব মিলিয়ে আমাদের আর সন্তানদের জীবন হুমকিতে।’
বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য তৈরি সেই পুকুর এখন কাঁচা পয়োনিষ্কাশনে ভরা। ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পানির পাম্পগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দূষিত পানি ক্রমেই বাড়ছে, যা ক্রমেই আশপাশের ঘরবাড়ি ও তাঁবুগুলোর কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।
গাজা সিটির পৌর কর্মকর্তারা বলছেন, পচা পানি আর মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা ভয়াবহভাবে বাড়ছে। পৌর কর্মকর্তা মাহের সালেম বলেন, ‘সব নাগরিকই মারাত্মক প্রভাবের মধ্যে। দুর্গন্ধ, মশা, পোকামাকড়—সবকিছুই ছড়িয়ে পড়েছে। পচা পানির স্তর এখন ছয় মিটারের বেশি উঁচু। নিরাপত্তা বেড়া ভেঙে গেছে। যে কোনো শিশু, নারী, বৃদ্ধ, এমনকি গাড়িও এই পুকুরে পড়ে যেতে পারে।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, স্থির হয়ে থাকা এই পানি থেকে রোগব্যাধি ছড়াতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। কিন্তু গাজার মানুষদের সামনে বিকল্প কিছু নেই। গাজা সিটি থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ‘মানুষ জানে কুয়ো, ট্যাংক বা পানিবাহী ট্রাক থেকে যে পানি পাচ্ছে, তা দূষিত। তবুও তাদের বিকল্প নেই। বেঁচে থাকার জন্য সেটাই খেতে হচ্ছে।’
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলনে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল-জেবেন এই সংকটকে ‘গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এক পরিবেশগত বিপর্যয়’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘সবাই জানে, গাজা আজও ভুগছে ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার কারণে। এই যুদ্ধ প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তৈরি করেছে ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষ, যার বড় অংশই বিষাক্ত পদার্থে দূষিত।’
আল-জেবেন আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃতভাবে পানি ও পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি ও উপকূলীয় পানিও দূষিত হয়েছে। এখন গাজা ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য সংকটের মুখে, পরিবেশগত ঝুঁকিও দ্রুত বাড়ছে।’ তিনি জানান, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অধিকাংশ কৃষিজমিও ‘ধ্বংস হয়ে গেছে’, ফলে অঞ্চলটি এখন ‘তীব্র খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষে ভুগছে, যেখানে খাবারকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, গাজার সুপেয় পানির উৎস এখন ‘ভয়াবহভাবে সীমিত এবং বাকি যা আছে, তার বেশির ভাগই দূষিত।’ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার পতন, পাইপলাইন ধ্বংস এবং স্যানিটেশনের জন্য মাটির গর্ত ব্যবহারের কারণে গাজাকে পানি সরবরাহ করা ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়েছে।’
শেখ রাদওয়ানে এখন বাতাস ভারী পচা গন্ধ আর হতাশায়। প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ‘যখন প্রতিদিনই বাঁচার লড়াই—পানি, খাবার আর এক টুকরো রুটির জন্য—তখন নিরাপত্তা ভাবার সময় থাকে না।’
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

বিচ্ছিন্ন ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশ উত্তর কোরিয়া আজ শনিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের অনলাইন পরিকাঠামো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
০৭ জুন ২০২৫
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। জানা গেছে, ওয়াশিংটন এই সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। জানা গেছে, ওয়াশিংটন এই সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে পৌঁছান আল-শারা। একই সময় সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সারা দেশে আইএসআইএল সেলের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। আল-শারার নেতৃত্বে হায়াত তাহরির আল–শাম ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী গত বছর দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। আজ রোববার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আল–শারা।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার স্বাধীনতার পর ১৯৪৬ সালের পর এটিই কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা। আল-শারা গত মে মাসে রিয়াদে প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত শুক্রবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী নিষেধাজ্ঞা তালিকা’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া-বিষয়ক বিশেষ দূত টম বারাক চলতি মাসের শুরুতে বলেন, ‘আশা করা যায়’ আল-শারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগদানের এক চুক্তিতে সই করবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ওয়াশিংটন-নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
অন্যদিকে, আল-শারা তাঁর সফরে সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য চাইবেন। টানা ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পর দেশটি এখন ব্যাপক পুনর্নির্মাণ সংকটে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, পুনর্গঠনে অন্তত ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার প্রয়োজন, যা তারা ‘সর্বনিম্ন অনুমান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তাঁর বিদ্রোহী সংগঠন ওই নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসআইএলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তাঁর সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামকে যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়।
আল-শারার ওয়াশিংটন সফরটি হচ্ছে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তাঁর ঐতিহাসিক সফরের পর। সেসময় তিনিই ছিলেন প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট, যিনি কয়েক দশক পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভাষণ দেন। এর ঠিক এক দিন আগে, বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এক ভোটে আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
শনিবার দামেস্কে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশজুড়ে আইএসআইএল সেলের বিরুদ্ধে অন্তত ৬১টি অভিযান চালানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, এসব অভিযানে অন্তত ৭১ জনকে আটক করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, এই অভিযানগুলো আলেপ্পো, ইদলিব, হামা, হোমস ও দামেস্কের উপকণ্ঠে চালানো হয়। মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি জানায়, এই অভিযান চলমান ‘সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় প্রচেষ্টা এবং জননিরাপত্তা রক্ষার অংশ।’

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। জানা গেছে, ওয়াশিংটন এই সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে পৌঁছান আল-শারা। একই সময় সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সারা দেশে আইএসআইএল সেলের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। আল-শারার নেতৃত্বে হায়াত তাহরির আল–শাম ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী গত বছর দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। আজ রোববার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আল–শারা।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার স্বাধীনতার পর ১৯৪৬ সালের পর এটিই কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা। আল-শারা গত মে মাসে রিয়াদে প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত শুক্রবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী নিষেধাজ্ঞা তালিকা’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া-বিষয়ক বিশেষ দূত টম বারাক চলতি মাসের শুরুতে বলেন, ‘আশা করা যায়’ আল-শারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগদানের এক চুক্তিতে সই করবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ওয়াশিংটন-নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
অন্যদিকে, আল-শারা তাঁর সফরে সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য চাইবেন। টানা ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পর দেশটি এখন ব্যাপক পুনর্নির্মাণ সংকটে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, পুনর্গঠনে অন্তত ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার প্রয়োজন, যা তারা ‘সর্বনিম্ন অনুমান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তাঁর বিদ্রোহী সংগঠন ওই নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসআইএলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তাঁর সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামকে যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়।
আল-শারার ওয়াশিংটন সফরটি হচ্ছে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তাঁর ঐতিহাসিক সফরের পর। সেসময় তিনিই ছিলেন প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট, যিনি কয়েক দশক পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভাষণ দেন। এর ঠিক এক দিন আগে, বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এক ভোটে আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
শনিবার দামেস্কে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশজুড়ে আইএসআইএল সেলের বিরুদ্ধে অন্তত ৬১টি অভিযান চালানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, এসব অভিযানে অন্তত ৭১ জনকে আটক করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, এই অভিযানগুলো আলেপ্পো, ইদলিব, হামা, হোমস ও দামেস্কের উপকণ্ঠে চালানো হয়। মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি জানায়, এই অভিযান চলমান ‘সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় প্রচেষ্টা এবং জননিরাপত্তা রক্ষার অংশ।’

বিচ্ছিন্ন ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশ উত্তর কোরিয়া আজ শনিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের অনলাইন পরিকাঠামো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
০৭ জুন ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল পুরো অঞ্চলের বাড়িঘরই ধ্বংসই করেনি, পরিবারগুলোকে বারবার বাস্তুচ্যুত করেছে, হাসপাতাল–ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে বিষাক্ত করে তুলেছে সেই মাটি ও পানি, যার ওপর নির্ভর করে টিকে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
২২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটওয়্যারের তথ্যে জানা যায়, আরও প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের বেশি। এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, ৪০টি ব্যস্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। কারণ, সরকারের অচলাবস্থায় বেতন না পাওয়া আকাশপথ নিয়ন্ত্রকেরা (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার) অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করছেন।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এখনো কংগ্রেসে বাজেট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা দূর করতে পারছে না। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া এই স্থবিরতা চলতে থাকায় রোববার ৩৯তম দিনে পা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকার অচলাবস্থা। দুই দলের সিনেটররা সপ্তাহান্তে ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য সরকার পুনরায় চালুর পথ খোঁজা। কারণ, খাদ্যসহায়তা কমে যাওয়া ও ফ্লাইট বিপর্যয়ে এখন সাধারণ মানুষও প্রভাবিত হচ্ছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে আমেরিকান এয়ারলাইনস ওয়াশিংটনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানায়, ‘অচলাবস্থা শেষ করতে দ্রুত সমাধানে পৌঁছান।’
নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়। শনিবার বিকেলের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আগমনকারী ফ্লাইট গড়ে চার ঘণ্টার বেশি দেরি করছিল, আর প্রস্থানকারী ফ্লাইটের গড় বিলম্ব ছিল দেড় ঘণ্টা। শনিবার সর্বাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লট/ডগলাস আন্তর্জাতিক, নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক ও শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এফএএর তথ্যে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলো গড়ে তিন ঘণ্টা, আটলান্টার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন বিমানবন্দর থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি এবং লা-গার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছিল।
আগামী ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকস গিভিং ছুটি। এটি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। এবার শুধু বাণিজ্যিক ফ্লাইটই নয়, প্রাইভেট জেটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার এক্সে শেয়ার করা পোস্টে পরিবহন সচিব ডাফি জানান, বড় বিমানবন্দরগুলোতে প্রাইভেট জেটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। তাদের এখন ছোট বিমানবন্দর বা রানওয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রকেরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মনোযোগ দিতে পারেন।
তবে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ফ্লাইট কমানো হবে—শুক্রবার থেকে ৪ শতাংশ, ১১ নভেম্বর ৬ শতাংশ, ১৩ নভেম্বর ৮ শতাংশ এবং ১৪ নভেম্বর থেকে পূর্ণ ১০ শতাংশ কমানো হবে। সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জরুরি। কারণ, নিয়ন্ত্রকেরা বেতন ছাড়া কাজ করে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।
আইনের কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বেতন ছাড়া কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিচ্ছেন বা জীবিকা চালাতে দ্বিতীয় চাকরি করছেন। তাঁরা ১৪ লাখ সরকারি কর্মীর অংশ, যাঁরা কেউ বিনা বেতনে কাজ করছেন, কেউ বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। বিমান চলাচলে বিপর্যয়ের আরেক কারণ হলো পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থার (টিএসএ) ৬৪ হাজার কর্মীর বেশির ভাগই অচলাবস্থার সময় কোনো বেতন পাচ্ছেন না।
এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আগের সরকার অচলাবস্থায় দেখা গিয়েছিল, টিএসএ কর্মীদের প্রায় ১০ শতাংশ বিনা বেতনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটওয়্যারের তথ্যে জানা যায়, আরও প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের বেশি। এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, ৪০টি ব্যস্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। কারণ, সরকারের অচলাবস্থায় বেতন না পাওয়া আকাশপথ নিয়ন্ত্রকেরা (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার) অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করছেন।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এখনো কংগ্রেসে বাজেট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা দূর করতে পারছে না। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া এই স্থবিরতা চলতে থাকায় রোববার ৩৯তম দিনে পা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকার অচলাবস্থা। দুই দলের সিনেটররা সপ্তাহান্তে ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য সরকার পুনরায় চালুর পথ খোঁজা। কারণ, খাদ্যসহায়তা কমে যাওয়া ও ফ্লাইট বিপর্যয়ে এখন সাধারণ মানুষও প্রভাবিত হচ্ছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে আমেরিকান এয়ারলাইনস ওয়াশিংটনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানায়, ‘অচলাবস্থা শেষ করতে দ্রুত সমাধানে পৌঁছান।’
নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়। শনিবার বিকেলের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আগমনকারী ফ্লাইট গড়ে চার ঘণ্টার বেশি দেরি করছিল, আর প্রস্থানকারী ফ্লাইটের গড় বিলম্ব ছিল দেড় ঘণ্টা। শনিবার সর্বাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লট/ডগলাস আন্তর্জাতিক, নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক ও শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এফএএর তথ্যে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলো গড়ে তিন ঘণ্টা, আটলান্টার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন বিমানবন্দর থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি এবং লা-গার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছিল।
আগামী ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকস গিভিং ছুটি। এটি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। এবার শুধু বাণিজ্যিক ফ্লাইটই নয়, প্রাইভেট জেটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার এক্সে শেয়ার করা পোস্টে পরিবহন সচিব ডাফি জানান, বড় বিমানবন্দরগুলোতে প্রাইভেট জেটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। তাদের এখন ছোট বিমানবন্দর বা রানওয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রকেরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মনোযোগ দিতে পারেন।
তবে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ফ্লাইট কমানো হবে—শুক্রবার থেকে ৪ শতাংশ, ১১ নভেম্বর ৬ শতাংশ, ১৩ নভেম্বর ৮ শতাংশ এবং ১৪ নভেম্বর থেকে পূর্ণ ১০ শতাংশ কমানো হবে। সংস্থাটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জরুরি। কারণ, নিয়ন্ত্রকেরা বেতন ছাড়া কাজ করে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।
আইনের কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বেতন ছাড়া কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিচ্ছেন বা জীবিকা চালাতে দ্বিতীয় চাকরি করছেন। তাঁরা ১৪ লাখ সরকারি কর্মীর অংশ, যাঁরা কেউ বিনা বেতনে কাজ করছেন, কেউ বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। বিমান চলাচলে বিপর্যয়ের আরেক কারণ হলো পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থার (টিএসএ) ৬৪ হাজার কর্মীর বেশির ভাগই অচলাবস্থার সময় কোনো বেতন পাচ্ছেন না।
এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আগের সরকার অচলাবস্থায় দেখা গিয়েছিল, টিএসএ কর্মীদের প্রায় ১০ শতাংশ বিনা বেতনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

বিচ্ছিন্ন ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশ উত্তর কোরিয়া আজ শনিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের অনলাইন পরিকাঠামো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
০৭ জুন ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল পুরো অঞ্চলের বাড়িঘরই ধ্বংসই করেনি, পরিবারগুলোকে বারবার বাস্তুচ্যুত করেছে, হাসপাতাল–ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে বিষাক্ত করে তুলেছে সেই মাটি ও পানি, যার ওপর নির্ভর করে টিকে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
২২ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। জানা গেছে, ওয়াশিংটন এই সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা, যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’-এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি; যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা শুধু পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা, যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’-এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি; যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা শুধু পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

বিচ্ছিন্ন ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশ উত্তর কোরিয়া আজ শনিবার কয়েক ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট, অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ সব ধরনের অনলাইন পরিকাঠামো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
০৭ জুন ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন কেবল পুরো অঞ্চলের বাড়িঘরই ধ্বংসই করেনি, পরিবারগুলোকে বারবার বাস্তুচ্যুত করেছে, হাসপাতাল–ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে বিষাক্ত করে তুলেছে সেই মাটি ও পানি, যার ওপর নির্ভর করে টিকে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
২২ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। জানা গেছে, ওয়াশিংটন এই সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর আগে মার্কিন ফেডারেল সরকার অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে